আন্তর্জাতিক
গ্রিনল্যান্ডের দখল আমাদের লাগবেই: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থেই গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা উচিত জানিয়ে গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানাভুক্ত করার সংকল্প ফের ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানেই গ্রিনল্যান্ডের প্রসঙ্গটি তোলেন ট্রাম্প।
ন্যাটো মহাসচিবকে ট্রাম্প বলেন, “আপনি জানেন মার্ক, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য গ্রিনল্যান্ডের দখল আমাদের প্রয়োজন। এটা কিন্তু শুধু নিরাপত্তা নয়— আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা। আমাদের অনেক প্রিয় খেলোয়াড় এই দ্বীপের উপকূলের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে।”
এখানে ‘প্রিয় খেলোয়াড়’ বলতে রাশিয়া এবং চীনকে বুঝিয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে একাধিকবার তিনি বলেছেন, গ্রিনল্যান্ড উপকূলের সমুদ্রে চীন এবং রাশিয়ার উপস্থিতি বাড়ছে এবং এটি যে কোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ন্যাটো মহাসচিবকে ট্রাম্প বলেন,“আমি মনে করি এটা (গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা) আমাদের হাতে আসবে। আর আমি শুধু ভাবছি; এর আগে অবশ্য এ ব্যাপারে খুব বেশি ভাবিনি, কিন্তু আমি এমন একজনের সঙ্গে বসে আছি যিনি (এ ব্যাপারে) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। নিকট ভবিষ্যতেই এ ব্যাপারে আমরা আপনার সঙ্গে কথা বলব।”
ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাবে মার্ক রুট তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে গ্রিনল্যান্ডে সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে জয়ী রাজনৈতিক দল ডেমোক্রাটিট পার্টির শীর্ষ নেতা জেনস-ফ্রেডেরিক নিলসেন ট্রাম্পের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এক বার্তায় নিলসেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য একেবারেই অযথাযথ এবং এই বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে নিকট ভবিষ্যতে গ্রিনল্যান্ডের স্বার্থে আমাদের সবাইকে একত্রিত হতে হবে।”
গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউটে এগেড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের নিজেদের সীমানা বাড়ানোর কথা বলেছেন। আমার মনে হয় যথেষ্ট হয়েছে এবং এখন তার থামা উচিত।”
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা মাত্র ৫৬ হাজার ৫৮৩ জন। এই জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশই ইনুইট জাতিগোষ্ঠীভুক্ত। গ্রিনল্যান্ডের অবস্থান উত্তর আমেরিকা অঞ্চলে হলেও এই দ্বীপটি ডেনমার্কের অধীন একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রদেশ। এ দ্বীপের বাসিন্দারাও ডেনমার্ক এবং ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিক।
আর্কটিক এবং আটলান্টিক সাগরকে পৃথককারী এই দ্বীপটির নাম গ্রিনল্যান্ড হলেও উত্তর মেরুর কাছাকাছি অবস্থান হওয়ার কারণে বছরের একটি বড় সময়ই তুষারাচ্ছাদিত থাকে এ ভূখণ্ড। দ্বীপটির ভূপৃষ্ঠের গভীরে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদরা।
গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা অবশ্য নতুন নয় ট্রাম্পের। এর আগে যখন প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সে সময় ২০১৯ সালে একবার তিনি বলেছিলেন যে ‘কৌশলগত কারণে’ যুক্তরাষ্ট্রের এ দ্বীপটি কিনে নেওয়া উচিত।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর গ্রিনল্যান্ড ক্রয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “সারা বিশ্বের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে, গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে অত্যাবশ্যক।”
সে সময়েও তার জবাব দিয়েছিলেন মিউটে। ফেসবুকে এক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “গ্রিনল্যান্ড আমাদের। আমরা বিক্রির জন্য নই এবং কখনও এমনটা ঘটবে না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছি এবং নিশ্চিতভাবেই তা আমরা বৃথা যেতে দেবো না।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
বিশ্ববাজারে আবারও রেকর্ড উচ্চতায় স্বর্ণের দাম

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলছে বাণিজ্য উত্তেজনা। তার ফলে সৃষ্ট বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তায় ডলারের মান পতনের প্রভাব পড়েছে স্বর্ণের ওপর। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে ফের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে স্বর্ণের দাম।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৮৩ দশমিক ৮৭ ডলার। সেশনের শুরুতে যা রেকর্ড ৩ হাজার ৩৮৪ ডলারে পৌঁছেছিল।
অন্যদিকে ফিউচার মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বেচাকেনা হচ্ছে ৩ হাজার ৩৯৬ দশমিক ১০ ডলারে; দাম বেড়েছে ২ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তা এবং ডলারের দুর্বলতা বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণের মতো নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে।
আইজি মার্কেটসের কৌশল বিশ্লেষক ইয়াপ জুন রং এ ব্যাপারে বলেন, বাজার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ উত্তেজনা ও মন্দার আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকিগুলোকে মূল্যায়ন করছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর টেকসই স্বর্ণ চাহিদাও মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
স্বর্ণের পরবর্তী মাইলফলক ৩ হাজার ৫০০ ডলার হতে পারে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্বল্পমেয়াদে বাজারে বিনিয়োগের চাপ কিছুটা বেশি দেখা যাচ্ছে, আর প্রযুক্তিগত সূচকগুলোও বলছে—দাম কিছুটা অতিরিক্ত বেড়েছে।
এদিকে, দেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। দেশে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বর্তমানে ১ লাখ ৬০ হাজার ২০৫ টাকা। আর ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

ছয় দিনে আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। রোববার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, গত ১০ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার ৬৬৮ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১২ হাজার ৩৭২ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৪ হাজার ৭৫০ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ৫৬৬ জন রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি সংস্থা যৌথ অভিযান চালিয়ে এই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন এক হাজার ২৬৪ জন। তাদের মধ্যে ইয়েমেনি ৩৬ শতাংশ, ইথিওপিয়ান ৬১ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশের ৩ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।
এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টা করায় আরও ৯৩ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময়ে আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ২৭ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে ৩২ হাজার ৪১৭ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০ হাজার ৩৮ জন পুরুষ এবং দুই হাজার ৩৭৯ জন নারী।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ২৪ হাজার ৮১১ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আরও ২ হাজার ৯৩৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১২ হাজার ২৩৫ জনকে ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
মরু অঞ্চলের দেশ সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো ভারত

২০২০ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। এর অধীনে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহণ করতে পারতো। গত সপ্তাহে বাংলাদেশকে দেওয়া সেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত।
ভারত এই পদক্ষেপ কেন নিলো, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ভারতের বন্দরগুলোতে যানজট তৈরি হচ্ছে। পণ্য পরিবহণ করতে বহু সময় লেগে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ওই জট কাটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও নেপাল-ভুটানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। অর্থাৎ ওই দুই দেশে ভারতের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ।
রণধীর আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকেও জানিয়েছেন ভারত চায় বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক। আমরা গণতান্ত্রিক সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা বাংলাদেশ গঠনের পাশে আছি।
এদিকে ওপি জিন্দল বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত জানিয়েছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। দুই দেশের মধ্যে যে টানাপড়েন চলছে, তার জেরেই ভারত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মতে, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ভারতের এই সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আরও একটি নজির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে কোনো আপস করেন না। এই পদক্ষেপ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ অবৈধ ৫০৬ শ্রমিক আটক

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেদান ইম্বিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। অভিযানে ৫০৬ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান জানান, মেদান ইম্বি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অভিবাসীদের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এখানকার অনেক দোকানঘরের উপরের তলা ভাড়া নিয়ে অবৈধ অভিবাসীরা বসবাস করত।
অভিযানকালে পালানোর চেষ্টাকালে দুই বিদেশি পুরুষ আহত হন। এছাড়া উঁচু হিলের জুতা পরা এক মহিলাও পালাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের ইমার্জেন্সি মেডিকেল রেসপন্স সার্ভিস ইউনিট তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে মোট ৮৯৫ জনকে পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৭৪৯ জন ছিলেন বিদেশি নাগরিক এবং ১৪৬ জন স্থানীয়। আটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি ছাড়াও নেপালি (১৪২ জন), ইন্দোনেশিয়ান (১০৯ জন) এবং কিছু ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকও রয়েছেন।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আটকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বৈধ কাগজপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া এবং ওয়ার্কিং ভিজিট পাসের অপব্যবহার। অনেক কর্মীকে দেখা গেছে যাদের জোহরের ওয়ার্কিং ভিসা থাকলেও তারা কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বললো ভারত

ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আহ্বানকে অপ্রয়োজনীয় ও লোক দেখানো বলে দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ সরকার মুসলিমদের ওপর হামলা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তাহানির ঘটনার নিন্দা জানায় বলেও উল্লেখ করেছেন শফিকুল আলম।
এরর জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার একটা চেষ্টা।
গত সপ্তাহে মুসলিম-অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে অগ্নিসংযোগ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে।