অন্যান্য
গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইন প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্ত মত প্রকাশের গুরুত্ব

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হলো নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করা। সুইডেন একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে জনগণের অধিকার সংরক্ষিত, তারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদেরও প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে পারে, প্রশ্ন তুলতে পারে এবং সরকারি নীতির জবাবদিহিতা দাবি করতে পারে। জনগণের এই অধিকারই একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের পরিচয় বহন করে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যখন আমরা গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলি, তখন দেখা যায় যে, সেখানে এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হয়, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হয়, সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয় না, এবং দেশকে এক ধরনের পারিবারিক শাসনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ, আইনের শাসন, জনগণের মৌলিক অধিকার, এবং গণতন্ত্রের সর্বোত্তম অনুশীলন নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশেও সুইডেনের মতো উন্মুক্ত আলোচনা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে উঠতে পারে।
এবার সুইডেনে বর্তমান সংকট ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা যাক
‘দেশীয় সন্ত্রাসবাদ’ মোকাবিলার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা করুন
সরকার ও সুইডিশ ডেমোক্র্যাট (Sverigedemokraterna – SD) দল থেকে অপরাধ মোকাবিলায় খালি কথা ও প্রতীকী রাজনীতি আর সহ্য করা যাবে না। এখন প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন (Ulf Kristersson) – যিনি মোডারেট পার্টির (Moderata samlingspartiet – M) নেতা, তাকে স্পষ্ট করতে হবে যে, “দেশীয় সন্ত্রাসবাদ” মোকাবিলা করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, লিখেছেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট (Socialdemokraterna – S) দলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
আজকের সুইডেনে, ইউরোপের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাফিয়া গোষ্ঠী থাকতে পারে, যারা ঠান্ডা মাথায় তাদের শত্রুদের হত্যা করছে, সাধারণ মানুষের বসতবাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, এবং দোকান ও ভবন লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালাচ্ছে। মাত্র ২৮ দিনে দেশে ৩২টি বিস্ফোরণ ঘটেছে, যার বেশিরভাগই রাজধানী স্টকহোমে।
১৩-১৪ বছর বয়সী শিশুদের, যাদের বেশিরভাগই অভিবাসী পটভূমি থেকে এসেছে এবং যারা সুইডেনে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের আশা হারিয়ে ফেলেছে, তারা গ্যাংস্টার ও মাফিয়াদের হাতে ঘাতকের ভূমিকায় পরিণত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী করছে? গত দুই বছরে, তারা শুধুই একের পর এক হাস্যকর সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এবং নিজেদের গৃহীত ‘শক্তিশালী’ পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে। কিন্তু বাস্তবে, হত্যা ও বিস্ফোরণের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে এবং নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতাও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন যখন এই পরিস্থিতিকে ‘দেশীয় সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যা দেন, তখন ধরে নেওয়া যায় যে তিনি তার কথার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন। তাহলে, তিনি কি নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান?
• গ্যাং সদস্যদের “সন্ত্রাসী” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা?
• সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করা, যার ফলে সমাজ ও নাগরিকদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?
• বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াই অ-নাগরিকদের নির্বাসিত করা?
• বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের জন্য আজীবনের জন্য সুইডেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা?
• পুলিশের মধ্যে একটি বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট গঠন করা, যা শুধুমাত্র গ্যাং সংক্রান্ত সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য দায়ী থাকবে?
• সন্ত্রাস মোকাবিলায় অভিজ্ঞ দেশগুলোর (যেমন জার্মানি, ইতালি, স্পেন ও আয়ারল্যান্ড) সঙ্গে সহযোগিতা ও শিক্ষা বিনিময় বৃদ্ধি করা?
প্রধানমন্ত্রী কি এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে চান? এই ধরনের পদক্ষেপ কি আইনের শাসনের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি রাষ্ট্রে গ্রহণযোগ্য? এটি কি মাফিয়া ও সহিংসতা দমনের কার্যকর সমাধান?
সরকার ও SD দল, খালি প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট হয়েছে, প্রতীকী রাজনীতিও আর চলবে না। আপনারা গ্যাং অপরাধ দমন ও সহিংসতা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন স্পষ্টভাবে বলুন—আপনারা কীভাবে তা বাস্তবায়ন করবেন?
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার একটি গ্রহণযোগ্য উদাহরণ
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, জনগণের ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ আফ্রিকার গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং নেলসন ম্যান্ডেলার নেতৃত্ব গণতন্ত্রের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বর্ণবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের পর, দক্ষিণ আফ্রিকা যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, তখন তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
সরকারের সমালোচনা করার অধিকার নিশ্চিত করা হয়, যাতে জনগণ তাদের দাবি সঠিকভাবে জানাতে পারে এবং রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারে।
সুইডেন ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য এই উদাহরণ গুরুত্বপূর্ণ। সুইডেনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, কিন্তু সরকার এখনো গ্যাং সহিংসতা দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চার সীমাবদ্ধতা জনগণের কণ্ঠরোধ করছে, যা শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবও সৃষ্টি করছে।
তাই, একটি কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, সরকারকে অবশ্যই জনগণের মতামত গ্রহণ করতে হবে, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নীতি প্রণয়ন করতে হবে এবং সর্বস্তরে বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু আইন প্রণয়ন করলেই যথেষ্ট নয়, আইনের যথাযথ প্রয়োগ, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অধিকার সংরক্ষণই প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তি।
এটি শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়, বরং একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সংগ্রাম। যখন নাগরিকদের কণ্ঠরোধ করা হয়, তখন কেবল গণতন্ত্র নয়, বরং একটি দেশের সার্বিক উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও জনগণের মৌলিক অধিকারও হুমকির মুখে পড়ে। শুধুমাত্র শক্তিশালী আইন নয়, বরং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চাই একটি সমাজকে সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা, দুর্নীতি ও স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্ত করতে পারে।
বাংলাদেশের জন্য বাস্তবসম্মত প্রস্তাব
বাংলাদেশে সুইডেনের মতো গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব, তবে এটি অর্জন করতে হলে সুনির্দিষ্ট কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন:
✅ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, যেখানে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারবে এবং সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে পারবে, যা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।
✅ বিচারব্যবস্থাকে আরও স্বাধীন ও শক্তিশালী করা, যাতে বিচারপ্রক্রিয়া কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
✅ সরকারের কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং সরকারি নীতিনির্ধারণে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটানো।
✅ বিরোধী মতের প্রতি সহনশীলতা বৃদ্ধি করা, যাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠী নির্বিঘ্নে তাদের মত প্রকাশ করতে পারে এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে ওঠে।
✅ শিক্ষাব্যবস্থায় গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বুঝতে পারে এবং সক্রিয়ভাবে নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।
এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশকে শুধু একটি কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে না, বরং সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
গণতন্ত্র কেবল একটি শাসনব্যবস্থা নয়, এটি একটি মূল্যবোধ, যা জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করে। তাই, একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের জন্য শুধু সরকার নয়, জনগণকেও সচেতন ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। rahman.mridha@gmail.com

অন্যান্য
মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাই: গভর্নর

সরকারিভাবে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। এটি করতে পারলে আমরা সফল হবো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গুগল পে’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন ও সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হাসেন খালেদ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গুগল পেমেন্টসের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার শাম্মী কুদ্দুস, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ কামাল, ভিসা বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহম্মেদসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকারিভাবে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে। তবে আমরা চাই ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে। এটি করতে পারলে আমরা সফল হবো।
বিদেশি ব্যাসায়ীরা দেশে আসলে টাকা পাচার করবেনা বরং দেশের উপকার হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ক্যাশলেস জগতে প্রবেশ করতে, তবে এরই মধ্যে তা সম্ভব হচ্ছে। দেশে গুগল পে চালুর মাধ্যমে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করবো বাংলাদেশে আরও দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের মিলন মেলা হবে। বিদেশিদের কোন কাজ বাংলাদেশে সম্পন্ন করলে দিন শেষে উপকারভোগী হয় দেশ।
গভর্নর বলেন, স্কুলের বাচ্চাদের ধীরে ধীরে ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা চাচ্ছি আর্থিক খাত সম্পূর্ণ ঠিক করতে। এরই মধ্যে ২০ টি ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক নিরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়েছে, জুলাই শেষে আরও ৭ টি ব্যাংকের শেষ করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ব্যাংকিং খাতকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে দেয়া হবেনা।
ডলারে দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুবাই থেকে আমাদের দেশের ডলারের দাম নির্ধারণ করা হবে না। যার জন্য ডলার বাজারে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সিটি ব্যাংক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ভবিষ্যৎমুখী ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও স্মার্ট ও সুবিধাজনক পেমেন্ট সল্যুশন নিয়ে আসতে পেরে গর্বিত।
গুগল ওয়ালেটের সূচনার মধ্য দিয়ে সিটি ব্যাংক আবারও প্রমাণ করলো তারা দেশের ডিজিটাল উদ্ভাবনের অগ্রদূত, যারা নিরাপদ, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের আর্থিক সেবা নিশ্চিত করে আসছে।
অন্যান্য
শেয়ার বিক্রয় করবেন এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান এনসিসি ব্যাংক পিএলসির এক উদ্যোক্তা শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা সোহেলী হোসেন ১ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২৩১টি শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। বর্তমানে এই উদ্যোক্তার কাছে কোম্পানিটির ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬৩৫টি শেয়ার আছে।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার বর্তমান বাজার মূল্যে ব্লক মার্কেটে বিক্রয় করবেন এই উদ্যোক্তা।
এসএম
অন্যান্য
টিউলিপ সিদ্দিকের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে মুখ খুললেন প্রেস সচিব

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা হাতে পেয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দফতর। মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, “আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। এটি একটি আইনগত বিষয়, এবং আইনিভাবেই এর সমাধান করা হবে।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে লন্ডনের এক সাংবাদিক টিউলিপ সিদ্দিকের পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে শফিকুল আলম এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও জানান, টিউলিপ সিদ্দিক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে রোববার (৮ জুন) টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি পাঠানোর খবর বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর সোমবার (৯ জুন) চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরের আগেই টিউলিপ তাকে হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলে চা পানের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠান।
তবে রোববার সংবাদমাধ্যমে প্রেস সচিব বলেছিলেন, তখন পর্যন্ত তারা চিঠিটি হাতে পাননি।
এমএস
অন্যান্য
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ৫ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিতে একটি উচ্চ পর্যায়ে কমিটি গঠন করা করা হয়েছে। সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটি প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে সরাসরি বিদেশি বিনেয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আগামী ১ মাসের মধ্যে মতামত দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
অন্যান্য
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেন আমীর হামজা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মুফতি আমীর হামজা।
রবিবার (২৫ মে) কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আব্দুল ওয়াহিদ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে তাঁর নাম ঘোষণা করেন জামায়াত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোবারক হোসেন জানান, কুষ্টিয়া-৩ আসনের প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে মোট ৩০০ আসনের অধিকাংশ প্রার্থী ঘোষণা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি ছাড়া জামায়াত ইসলামী কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।
মুফতি আমীর হামজার সম্পর্কে মোবারক হোসেন বলেন, আমরা যে প্রার্থী দিয়েছি, তিনি শুধু দেশের মধ্যে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও সুপরিচিত একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য আলমগীর বিশ্বাস এবং অধ্যাপক খন্দকার এ কে এম আলী মহসীন।
অন্যান্য উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল গফুর, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, কুষ্টিয়া শহর আমির এনামুল হক, ছাত্রশিবির শহর সভাপতি সেলিম রেজা, জেলা সভাপতি খাজা আহমেদ প্রমুখ।
জামায়াতের এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।