অর্থনীতি
নতুন চারটি বিভাগ খুললো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

অর্থপাচার ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগসহ প্রধান কার্যালয়ে নতুন চারটি বিভাগ খুলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, নতুন বিভাগ গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাংক পরিদর্শন ও পরিপালন সংক্রান্ত কার্যক্রম অধিকতর গতিশীলকরণ; ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগসমূহের আওতাধীন ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ও তাদের শাখাসমূহের পরিদর্শন পরবর্তী পরিপালন সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পাদন করা। এছাড়া মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে সম্পাদন এবং ইসলামী ব্যাংকিং সংক্রান্ত প্রবিধি ও নীতি প্রণয়নসহ এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডসমূহ বাস্তবায়ন।
নতুন খোলা অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-৯, পরিদর্শন পরিপালন বিভাগ, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগ এবং ইসলামী ব্যাংকিং রেগুলেশন্স অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠিত আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেখভাল করতো। তবে আগস্ট পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিএফআইইউয়ের কাজের পরিমাণ এখন বেড়ে গেছে। আর এ কারণে নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বেড়েছে সবজির দাম, চালের বাজারে অস্বস্তি

সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে চালের দাম। এক সপ্তাহে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীত ও গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজিই কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে শিমের কেজি ২০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
পাকা টমেটোর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ক্ষীরা ৬০ টাকা এবং শসা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেগুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, পটল ১০০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর মুখী ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, ঝিঙে ও কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
এসব বাজারে মাঝারি আকারের লেবুর হালি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ১৪০ টাকা, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৮০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১০ টাকা, কলমি শাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা ও ডাঁটা শাক ২০ টাকা।
আলুর দাম স্থিতিশীল। নতুন আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বগুড়ার লাল আলু ৩৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আদার কেজি ১৪০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা, নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
বাজারে সোনালি কক মুরগির কেজি ২৭০ টাকা। সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৬৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশের কেজি আকার-ওজনভেদে এক হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৭৫০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৮০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
টাকা ছাপিয়ে দুই ব্যাংককে আরও ২৫শ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এস আলম গ্রুপ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লুট করেছিল। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), আর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁর জামাই বেলাল আহমেদ। সরকার পতনের পর ব্যাংক দুটির আমানতকারীরা টাকা তুলতে সমস্যায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে এ দুই ব্যাংককে আবারও টাকা ধার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার দেওয়া হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা। নতুন টাকা ছাপিয়েই তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই অনুমোদন দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, ‘দুই ব্যাংক তারল্য সমস্যায় ছিল। বেশ কিছুদিন আগে আবেদন করেছিল। বৃহস্পতিবার তাদের আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে ব্যাংক দুটি আড়াই হাজার কোটি টাকা ধার পাবে।’ কত দিন এভাবে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দেওয়া হবে, এর কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব অবশ্য মুখপাত্র দিতে পারেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংককে দেড় হাজার কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে এক হাজার কোটি টাকার তারল্য–সহায়তা দেওয়া হবে। নতুন এই আড়াই হাজার কোটি টাকাসহ বর্তমান গভর্নরের আমলে এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে এভাবে দেওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৯ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এসআইবিএলকে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংককে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া টাকা ছাপিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংককে ৫ হাজার কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংককে ১০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংককে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এবি ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ঋণসংক্রান্ত জালিয়াতির খবর প্রকাশিত হলে গ্রাহকেরা সতর্ক হয়ে পড়েন। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে এসব ব্যাংককে ধার দেওয়া শুরু করে, তবে ঋণ দেওয়া বন্ধ করেনি। সরকার পতনের পর ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয় ও ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়। এরপর টাকা ধার দেওয়া শুরু হয়। এখন ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি কীভাবে উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঈদের কারণে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকা তোলার চাপ বেড়ে গেছে। এ জন্য অনেকটা বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হচ্ছে। নাহলে এক ব্যাংকের কারণে অন্য ব্যাংকগুলোতে টাকা তোলার চাপ শুরু হবে। এমন পরিস্থিতিতে অন্য কোনো করণীয় নেই। তবে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে, এই টাকা কোনোভাবেই আমানতকারীদের দেওয়া ছাড়া অন্যত্র ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার

তিন মাসে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে চার হাজার ৯৫৪টি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৭ হাজার ১২৭টি। পরে ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ডিসেম্বর-ভিত্তিক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে গ্রাহকের মোট হিসাব বা অ্যাকাউন্ট ছিল ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। এসব হিসাবে মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা।
এর আগে সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। এসব হিসাবে জমা ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংক খাতের হিসাব বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি। আর আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, ডিসেম্বর শেষে কোটি টাকার ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৮১টি হলেও তা সমসংখ্যক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
তিনি বলেন, আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাব থাকতে পারে। পাশাপাশি অনেক সরকারি সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্টের পর ব্যাংক থেকে টাকা তোলায় কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাসহ দলীয় ব্যবসায়ীদের অনেকে দেশ ছাড়েন। অতি কড়াকড়ির কারণে বিদেশে টাকা পাচার কমে যায়।
এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে এ সময় ধাপে ধাপে ব্যাংকের সুদ হার বাড়ানো হয়। এ সময়ে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ব্যাংক হিসাবে টাকার পরিমাণও বাড়তে থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফল আমদানিতে উৎসে কর কমলো

আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে বুধবার (১২ মার্চ) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর। অবিলম্বে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব তাজা ফল আমদানিতে অগ্রিম কর কমানো হলো, সেগুলো হলো— তাজা বা শুকনা কমলালেবু, তাজা বা শুকনা লেবু জাতীয় ফল, তাজা বা শুকনা আঙুর ফল, তাজা বা শুকনা লেবু, তাজা বা শুকনা আঙ্গুর, তাজা আপেল ও নাশপাতি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। ফলে বাজারে আমদানি করা বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যায়।
বর্তমানে ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ আগাম কর আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোটামুটি যত ধরনের শুল্ককর আছে, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ১৩৬ শতাংশ। ১০০ টাকা ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা কর দিতে হতো। অগ্রিম কর কমানোয় এখন করভার কিছুটা কমবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর ২৯ হাজার শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ

এখন পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেডের ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লি: কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৯৮৭ জন শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এই প্র