রাজনীতি
আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চাই না: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে দেখতে চাইনি, আর দেখতে চাইও না। সব দলকে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ রেখে যেতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রুপসী বাংলা গ্র্যান্ড বলরুমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, আমরা একটা দীর্ঘ লড়াই করে এসেছি। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। নিপীড়ন, গুম, খুন হত্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে আমরা সবাই মিলিত হতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, এ রমজানের ইফতারের মধ্যদিয়ে আমাদের যে বিভেদ রয়েছে সেটি দূর করতে পারব। আমরা একটা সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, আশা করছি শিগগিরই আমাদের প্রত্যাশিত সংস্কার সম্পন্ন হবে।

রাজনীতি
১৮ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন ইঞ্জিনিয়ার আক্তারুজ্জামান

রাজধানীর বিজয়নগরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর লাঠিচার্জে আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর-২ আসনের মনোনীত এমপি প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাসায় ফিরেছেন। একই সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বাসায় ফিরেছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে তারা অনেকটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
সম্রাট মাঝী জানিয়েছেন, তিনি এখন থেকে বাকী চিকিৎসা বাসায় থেকেই নেবেন।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর পল্টনে জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করতে গেলে ভিপি নুরুল হক নুর ও ইঞ্জিনিয়ার আক্তারুজ্জামান সম্রাটের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তারা গুরুতর আহত হন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
দীর্ঘ ১৮ দিনের চিকিৎসা শেষে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রাজনীতি
পিআর একটি সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান: রিজভী

পিআর একটি সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে মানুষ বিভ্রান্তিতে ভুগবে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসায় ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একটি ইসলামী দল পিআর-এর জন্য তুমুল আন্দোলনের কথা বলেছে। এটা একটি সুপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান, যা কারও জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না। পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি কারও জন্য মঙ্গল হবে না। বরং এতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
২০১৩ সালের ‘শাপলা চত্বর’ ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শাপলা হত্যাকাণ্ডের সময় হেফাজতের নেতাকর্মীদের রক্ত নিয়ে তামাশা করেছিল শেখ হাসিনা। অপপ্রচার, গণহত্যা দিয়ে মুসলমানদের দমন করা যাবে না।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান-এর পক্ষ থেকে মাওলানা ফারুকীর প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতার বার্তাও পৌঁছে দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য-সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, রুবেল আমিন ও শাহাদত হোসেন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা হেদায়েতউল্লাহ কাসেমী, মুফতি জাবের কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ মাহমুদী, হাফেজ মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মুফতি জাকির হোসেন কাসেমী, মাওলানা সালেহ আহমদ আজম ও মুফতি এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
জাতি হিসেবে বরাবরই আমরা সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর: নুর

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতি হিসেবে বরাবরই আমরা সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর!
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের একটি ভিডিও শেয়ার করে এ কথা বলেন তিনি।
ভিডিও শেয়ার দিয়ে নুরুল হক নুর লেখেন, জাতি হিসেবে বরাবরই আমরা সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর!’ যাদের জন্য আমরা অধিকার ফিরে পাই, মুক্ত হই তাদেরও ভুলে যাই!
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা পেয়েছেন মাত্র ১৩৬ ভোট। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় হাবিবুর রহমান হাবিবকে।
নুরের শেয়ার করা ভিডিওতে হাবিব বলেন, যে ছেলে আমরণ অনশন করেছিল ডাকসু নির্বাচনের জন্য, একবার চিন্তা করুন তো যে ছেলের কারণে নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছি, সেই ছেলেকে এত বড় অসম্মানিত করব? ছাত্রদলের ভিতরে হাজার দোষ আছে আপনি ভোট দিলেন না, আমার কোনো আপত্তি নাই।
কিন্তু যারা আন্দোলনে ছিল, যারা ভোটটা নিয়ে আসলো ফ্যাসিস্টের পতন ঘটিয়ে, যে ছেলেটা আমরণ অনশন করল, তাকে কেন আপনারা অবহেলা করলেন? এই প্রশ্নটার উত্তর কি কেউ দিতে পারবে? মিলাতে পারবে কেউ?
নুরের সেই পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করে নিজের মতামত জানিয়েছেন।
কেউ লিখেছেন, বিন ইয়ামিন মোল্লা ভাই এর জন্য কষ্ট লাগল। আরও বেশি ভোট পাইতে পারতো।
কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নাই। কেউ লিখেছেন, ইয়ামিন মোল্লা তার ত্যাগ এবং বিসর্জন অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচনে মূল্যায়িত হয়নি।
কারো মতে, জুলাইতে যুদ্ধ করেছে সবাই।
রাজনীতি
ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই: ড. হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে হলে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যারা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে জড়িত তারাই পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পল্টন থানার উদ্যোগে আয়োজিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ভারতের সেবাদাসদের সকল অপতৎপরতা ও বুলিং এর জবাব জামায়াতের নেতাকর্মীরা ভালো কাজের মাধ্যমে দিবে। জনগণের জন্য জামায়াতে ইসলামী নিবেদিত ছিল আছে এবং থাকবে। জামায়াতে ইসলামীর সকল ত্যাগ জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। জনগণ বিশ্বাস করে জামায়াতে ইসলামী ব্যতীত অন্য কারে হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি, লুটপাট, সন্ত্রাসী, দখলদারিত্ব, খুন, গুম ও ধর্ষণের দায়িত্ব যে দল নিয়েছে, জনগণ সেই দলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। ডাকসু নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্র-ছাত্রীরা জাতিকে সেই ম্যাসেজই দিয়েছে। জাতি সেই ম্যাসেজ সাদরে গ্রহন করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমদ খানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি এডভোকেট মারুফুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পল্টন থানার সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান শাহীন ও এনামুল হক। থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল কাদের, আবুল ফারাহ মো. ইউসুফ, ওমর ফারুক, মঞ্জুরুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মাওলানা এনামুল হক শামীম, হাবিবুর রহমান, সাইয়েদ যুবায়ের, নজরুল ইসলাম মজুমদার, মোহাম্মাদ আল আমীন রাসেল ও শামীম হাসনাইন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মজলিসে শূরা সদস্য আক্তার হোসেন, মাহবুবুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমীন, ওসমান আলী প্রমুখ।
কাফি
রাজনীতি
তফসিলের আগেই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি ফখরুলের

আগামী সংসদ নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার জন্য তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধিকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, দুই উপদেষ্টার ব্যাপারে আমরা আগেই বলেছি, তারা উপদেষ্টা পরিষদে থাকতে পারবেন না। ড. ইউনূসের উচিত নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তাদের চলে যেতে বলা। তা না হলে প্রশ্ন উঠবেই।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ্বে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার পর অনিশ্চয়তা কেটে গেলেও নানা মহলে মতপার্থক্যে বাড়ছে ভোট নিয়ে সংশয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থানে একদিকে সংকটের মুখে জাতীয় ঐক্য অন্যদিকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের গুপ্ত তৎপরতায় পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা দেখেছেন রাজনীতিবিদরা। এ বিষয়গুলো নিয়েই তিনি বলেন, সংকট বাড়তে থাকলে অনিশ্চয়তায় পড়বে পুরো জাতি, যা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হবে।
ভারতে বসে আওয়ামী লীগের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে এসছে। তার (শেখ হাসিনা) পক্ষে নির্বাচন বনচালের চেষ্টা অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু এটাকে প্রতিরোধ করা হবে যখন দলটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে যেসব কথাবর্তা বলছে, এগুলো আওয়ামী লীগের জন্য চরম ক্ষতিকর হচ্ছে। তিনি যদি ক্ষমা চেয়ে বরং বলতো আমরা ভুল করেছি এবং কিছু ভালো লোকজন সামনে এগিয়ে দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করতো তাহলে ভালো হতো।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের ওপরই তারা আস্থা রাখতে চান বলেও জানান মির্জা ফখরুল।