ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবিতে ৭ দিন চলবে অনলাইন ক্লাস

পবিত্র রমজান উপলক্ষে আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস সশরীরে চলবে। আগামী ১৪ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ডিনস কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে। আগামী ১৪ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। গত ৬ মার্চ উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ যথারীতি চলবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভ্যানচালক, গার্ড ও দোকানীদের মাঝে ইবি ছাত্রদল নেতার ইফতার বিতরণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের ভ্যানচালক, কার্মরত গার্ড ও দোকানীদের মাঝে ৩৫০ প্যাকেট ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দশম রমজানে শাখা ছাত্র দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ এবং তার অনুসারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে এই কার্যক্রম চালানো হয়।
এসময় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার বলেন, আমি চিন্তা করেছিলাম আমার সহযোদ্ধাদের নিয়ে ক্যাম্পাসের গার্ড, ভ্যানচালক ও দোকানীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করবো। সেই চিন্তা থেকে ৩৫০ জনের মাঝে ইফতার বিতরণ করছি।
প্রসঙ্গত, ক্যাম্পাস জুড়ে ইফতার বিতরণ শেষে তিনি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে একসাথে ইফতার করেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মুখোমুখি অবস্থান ইবির একই বিভাগের শিক্ষার্থীদের

ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এসময় আন্দোলনে মুখোমুখি অবস্থায় একপক্ষ স্বতন্ত্রতা ফিরে পেতে ডি ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি করানো হোক বলে দাবি জানান। একই বিভাগে অপরপক্ষের শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে আইন অনুষদের স্বাভাবিক নিয়মে ভর্তি করানোর দাবি জানান।
আজ মঙ্গলবার (১১মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মুখোমুখি কর্মসূচি পালন করেন একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ দীর্ঘদিন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আসছে। তবে সম্প্রতি রমজানের ছুটির আগে বিভাগের শিক্ষকরা একাডেমিক মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেন, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় সভাপতির কাছে গিয়ে পরিবর্তনের দাবি জানায়। পরে গত ১ মার্চ তারা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় প্রশাসনের আশ্বাসে তারা ফিরে যায়।
আইন অনুষদভুক্ত থাকার পক্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, আইন অনুষদের অধীনে আল-ফিকহ বিভাগের যাত্রা শুরু ২০০৩-০৪ সেশনে। সেই ধারাবাহিকতায়, আমরা চাই আমাদের বিভাগে ভর্তির প্রক্রিয়া আইন অনুষদের অন্যান্য বিভাগের মতোই হোক। আইন বিভাগের পরেই আমাদের ডিপার্টমেন্ট তার পরে ল এন্ড ল্যান্ড মেনেজমেন্টের প্রতিষ্ঠা। সে হিসেবে ঐ দুইটা ডিপার্টমেন্টে এল.এল.বি ডিগ্রি দেওয়া জন্য যেভাবে ছাত্র নির্বাচন করবে আমারাও সেভাবে যেতে চাই। তবে কোনভাবে থিওলজির মাধ্যমে ছাত্র নেওয়াটা আমরা মেনে নেব না। বিভাগের নামে আইন শব্দটি যুক্ত করা সহ ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগের কারিকুলাম সংস্কার করতে হবে।
অপর পক্ষের শিক্ষার্থীরা বলেন, আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগ শুরু থেকে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । সে উদ্দেশ্য সাথে সামাঞ্জস্য রেখে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার নেয়া হতো। কিন্তু ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পরে একটা স্বৈরাচারী প্রশাসন এসে আমাদের শিক্ষকদের কোনো পরামর্শ ছাড়াই পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে। যে কারণে আমাদের বিভাগের স্বতন্ত্রতা নষ্ট হয়। আগে যেখানে ভর্তি পরীক্ষায় আল-ফিকহ্ সংক্রান্ত ২০-২৫ টা প্রশ্ন থাকতো কিন্তু বর্তমানে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার কারণে জেনারেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চান্স পাচ্ছে যাদের অধিকাংশের আরবিতে তেমন জ্ঞানই নেই। আল-ফিকহ্ বিভাগে আবরিতে ২৩০০ মার্কের পরীক্ষা থাকে যারা আরবিতে অদক্ষ তার কীভাবে ফিকহ্ বুঝবে, কী করে একজন ফকিহ্ হিসেবে পরিচয় দিবে। যেটা আল-ফিকাহ্ বিভাগের সাথে একেবারেই যায় না।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দীন বলেন, শর্ত পূরণ করার স্বার্থে ধর্মতত্ত্ব অনুষদ ভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মানে এই নয় যে আমরা ধর্মতত্ত্ব অনুষদে চলে যাচ্ছি। মানবিক অনুষদের একটি বিভাগও এই অনুষদের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তবে অনেকেই না বুঝে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যা কখনও কাম্য নয়। আমরা বিভাগের নামটি পরিবর্তন নিয়েও কাজ করে যাচ্ছি সেশনজট নিরসনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলমান।
এবিষয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফকরুল ইসলাম বলেন, একাডেমিক ভাবে যে দাবিটা গেছে সেটা একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে আলোচনার মাধ্যমে বিবেচনা করা হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, জড়িত থাকলে ছাত্রত্ব বাতিল

খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) কোনো শিক্ষার্থী রাজনীতির সাথে জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। সোমবার (১০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সুলতান মাহমুদ স্বাক্ষরিত জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম (জরুরী) ও ৯৮তম (জরুরী) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সিন্ডিকেটের ৯৮তম (জরুরী) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।
এতে আরও বলা হয়, সিদ্ধান্ত সমূহ Academic Ordinance rules & Regulations এর ছাত্র শৃঙ্খলা বিধিতে ২০নং ধারা মোতাবেক কোনো ছাত্র/গোষ্ঠী কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। এরূপ ঘটনা বা সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি আজীবন বহিস্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত না থাকার জন্য বলা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি কমানোর দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অতিরিক্ত ও বৈষম্যমূলক ফি নির্ধারণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা পরীক্ষা ফি ৪ হাজার ২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ‘আইনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী’ ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশ নিতে বিভিন্ন পর্যায়ে উচ্চ পরিমাণ ফি দিতে হয়, যা তাদের এবং তাদের পরিবারের জন্য আর্থিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে। এছাড়া যাতায়াত, আবাসন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ব্যয় আরও বেড়ে যায়। তারা দাবি করেন, পূর্বেও এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহাগ বলেন, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রথমেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১ হাজার ৮০ টাকা এবং পরবর্তীতে পরীক্ষার ফি হিসেবে ৪ হাজার ২০ টাকা প্রদান করতে হয়। যা অধিকাংশ চাকরির পরীক্ষার ফি থেকে অনেক বেশি। দেশে অন্যান্য সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন ফি সাধারণত ২০০ টাকার মধ্যে রাখা হলেও, বার কাউন্সিল পরীক্ষায় এত বেশি ফি নির্ধারণ করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক। তাই আমরা দাবি জানাই, বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি যৌক্তিক সীমায় নির্ধারণ করা হোক। অন্যথায়, আমাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে আমরা বাধ্য হবো।
মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বার কাউন্সিল পরীক্ষার ফি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

মাগুরার শিশু আছিয়াসহ সকল ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, নতুন আইন প্রণয়ন এবং দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট প্রদান ও শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় আধাঘণ্টা বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া; দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সাদীয়া মাহমুদ মীম বলেন, যখন রুম থেকে বের হচ্ছিলাম তখন কাউন্টিং করছিলাম যে এরপরে কি আমি ধর্ষিতা হতে চলেছি? এমন চিন্তা সবসময় তাড়া করে বেড়ায় আমাদের। আমরা চাই ধর্ষকের শাস্তি জনসমক্ষে করতে হবে। সকল ধর্ষককে শাস্তির ভয়াবহতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। একজন শিশুর উপর যখন পাশবিক নির্যাতন হয় তখন আপনাদের মনুষ্যত্ব কোথায় থাকে? বাসায় কি আপনাদের মা বোন নাই?
শাখা সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, বাংলাদেশে যে হারে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে স্বাভাবিক মৃত্যুদণ্ড দিলে এদেশে ধর্ষণ কমবে না। আপনারা ধর্ষক যেখানে পাবেন সেখানে মব সৃষ্টি করুন।ধর্ষককে জায়গায় মেরে ফেলুন। তাহলেই বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণকে রোধ করা সম্ভব হবে। যদি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মাগুরার আছিয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিচার না করা হয় আমরা এই রাস্তা আবারও বন্ধ করে দিবো।
ইবি সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত না হলে কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে আগামী দিনের আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। যদি অন্যান্য অপরাধের শাস্তি কমানো বা মওকুফ করা গেলেও ধর্ষকের শাস্তি কমানোর কোনো সুযোগ নাই। নারী আমাদের মায়ের জাত। যে সকল মানুষ নারীদের দিকে ধর্ষকের চোখে তাকাবে ছাত্র সমাজের উচিত তাদের চোখ তুলে নেয়া। জুলাই বিল্পবের পর আমরা এখনো স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি কারণ সারাদেশে ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপতৎপরতা চলছে। সারাদেশে যেভাবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে তাতে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করতে বাধ্য হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম