ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

মাগুরার শিশু আছিয়াসহ সকল ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, নতুন আইন প্রণয়ন এবং দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট প্রদান ও শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় আধাঘণ্টা বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া; দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক সাদীয়া মাহমুদ মীম বলেন, যখন রুম থেকে বের হচ্ছিলাম তখন কাউন্টিং করছিলাম যে এরপরে কি আমি ধর্ষিতা হতে চলেছি? এমন চিন্তা সবসময় তাড়া করে বেড়ায় আমাদের। আমরা চাই ধর্ষকের শাস্তি জনসমক্ষে করতে হবে। সকল ধর্ষককে শাস্তির ভয়াবহতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। একজন শিশুর উপর যখন পাশবিক নির্যাতন হয় তখন আপনাদের মনুষ্যত্ব কোথায় থাকে? বাসায় কি আপনাদের মা বোন নাই?
শাখা সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, বাংলাদেশে যে হারে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে স্বাভাবিক মৃত্যুদণ্ড দিলে এদেশে ধর্ষণ কমবে না। আপনারা ধর্ষক যেখানে পাবেন সেখানে মব সৃষ্টি করুন।ধর্ষককে জায়গায় মেরে ফেলুন। তাহলেই বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণকে রোধ করা সম্ভব হবে। যদি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে মাগুরার আছিয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিচার না করা হয় আমরা এই রাস্তা আবারও বন্ধ করে দিবো।
ইবি সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত না হলে কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে আগামী দিনের আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। যদি অন্যান্য অপরাধের শাস্তি কমানো বা মওকুফ করা গেলেও ধর্ষকের শাস্তি কমানোর কোনো সুযোগ নাই। নারী আমাদের মায়ের জাত। যে সকল মানুষ নারীদের দিকে ধর্ষকের চোখে তাকাবে ছাত্র সমাজের উচিত তাদের চোখ তুলে নেয়া। জুলাই বিল্পবের পর আমরা এখনো স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি কারণ সারাদেশে ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপতৎপরতা চলছে। সারাদেশে যেভাবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে তাতে অন্তবর্তীকালীন সরকার ধর্ষণের শাস্তি নিশ্চিত করতে বাধ্য হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আজ, পরীক্ষার্থী সাড়ে ১২ লাখ

সারাদেশে আজ থেকে একযোগে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে এই বছরের পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছেন ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। এছাড়া আলিম পরীক্ষার্থী প্রায় ৮৬ হাজার এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার। এ বছর দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এসব পরীক্ষা।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত রাখতে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। প্রশ্নফাঁসের গুজব প্রতিরোধ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং গুজব থেকে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ২৪ জুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সেখানে পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ, ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য লেখা ও বৃত্ত ভরাট, উত্তরপত্র ভাঁজ না করা, শুধুমাত্র সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার, এমসিকিউ ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি না থাকা এবং কেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রাখা।
এছাড়া, তত্ত্বীয়, এমসিকিউ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষার্থী শুধুমাত্র প্রবেশপত্রে উল্লেখিত বিষয়েই পরীক্ষা দিতে পারবে এবং নিজের প্রতিষ্ঠানে নয়, অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরীক্ষার আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষার অংশে উপস্থিতি স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
পরীক্ষার প্রথম দিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এরপর তিনি সরকারি বাংলা কলেজ কেন্দ্রও পরিদর্শন করবেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা পরিচালনার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থী, কক্ষ পরিদর্শক ও সংশ্লিষ্টদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশনাও রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে আগেভাগেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে শুধুমাত্র এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের অনুমতি থাকবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন পুরো সময়জুড়ে সতর্ক থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বাড়তি নজরদারি থাকবে। পরীক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়—এমন কোনো তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।
প্রসঙ্গত, বোর্ডের প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২৬ জুন শুরু হয়ে চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আগামীকাল, অংশ নিচ্ছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী

চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হবে লিখিত পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এবার সারা দেশে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি, আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি। দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে মোট ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারও পরীক্ষা সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নকলমুক্ত রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের গুজব প্রতিরোধ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং গুজব থেকে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে দেশের সব কোচিং সেন্টার আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মঙ্গলবার (২৪ জুন) জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
এ বছর পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্যে রয়েছে– পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা, ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য লেখা ও বৃত্ত ভরাট, উত্তরপত্র ভাঁজ না করা, শুধু সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা এবং বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি না থাকা, পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনো অবস্থাতেই মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না, তত্ত্বীয়, এমসিকিউ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে পাস করতে হবে। এ ছাড়া পরীক্ষার্থী শুধু প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে এবং স্থানান্তরের মাধ্যমে আসনবিন্যাস করা হয়েছে, অর্থাৎ নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। প্রতিটি অংশের উপস্থিতি পত্রে পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এদিকে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ৩৩ দফা নির্দেশনা জারি করেছে, যাতে পরীক্ষা শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এসব নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক রাখার পাশাপাশি তিন ফুট দূরত্বে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংশ্লিষ্ট ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র যাচাই করে খামে সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর দিন সকালে নির্ধারিত সেট অনুযায়ী খাম খোলা যাবে এবং অব্যবহৃত সেট ফেরত পাঠাতে হবে। প্রশ্নপত্র আনার সময় থানার ট্যাগ অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের বাইরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনে মাইক ব্যবহার করে সচেতনতা তৈরি, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রতিটি কেন্দ্রে নকল প্রতিরোধ পোস্টার টানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে শুধু এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের অনুমতি থাকবে। এ ছাড়া বর্ষাকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসকে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।
স্বাস্থ্যবিধির দিকটিও উপেক্ষিত হয়নি। শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
২০২৪ সালের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সরকারের কঠোর নজরদারি ও প্রস্তুতি আরও জোরালো করা হয়েছে। অতীতের মতো যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বাড়তি মনিটরিং চালানো হবে বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রক্তাক্ত জুলাইয়ের সাথে বেঈমানি: কোটা প্রথা বাতিল চায় ইবি শিক্ষার্থীরা

গুচ্ছ ভর্তিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা রাখার পক্ষে মতপোষণ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকাল ৩টার দিকে বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মণ্ডল সহ অন্যান্য কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘প্রশাসন কি আবারও রক্ত দেখতে চাই?’, ‘প্রশাসন তুমি কার?’, ‘কোটা বিলুপ্তিতে আবারও রক্ত দিবো?’, ‘কাদের স্বার্থ রক্ষায় এখনো কোটা?’, ‘কোটার জন্য আন্দোলন করে আবারও কোটা কেন?’ প্লেকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মণ্ডল বলেন, “বিগত স্বৈরাচার সরকার কোটা সংস্কার করতে ব্যর্থ হয় এবং কোটা সংস্কারের তীব্র আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, কিন্তু সেই কোটা এখনো বহাল আছে। প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বলতে চাই অচিরেই কোটা প্রথা বাতিল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোটার মাধ্যমে আসা শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পতিত স্বৈরাচার সরকারের ইবি শাখা ছাত্রলীগের কুলাঙ্গার সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ও কোটার ফসল। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কি করলো সেটা দেখার বিষয় নয়, আমাদের বিশ্বিবদ্যালয় চলবে আমাদের গতিতে, উপজাতি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যতীত সকল কোটা বাতিল করতে হবে।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “জুলাই বিল্পব হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে, পরে সেটি এক দফায় রুপান্তরিত হয়, ফলে পতিত স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, যদি প্রশাসন কোটাপ্রথা বন্ধ না করে তাহলে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় ব্লকেড করে দিতে বাধ্য হবো, প্রয়োজনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করে কোটা প্রথা সমাধান করতে হবে।”
উল্লেখ্য, এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কোটা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি/উপজাতি কোটা, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা, বিকেএসপি/খেলোয়ার কোটা, পোষ্য কোটা, হরিজন ও দলিত কোটায় ভর্তির বিষয়ে গুচ্ছের ওয়েবসাইটে জানানো হয়। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় স্নাতকে বিভিন্ন ইউনিটে বিভিন্ন কোটায় ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সময়সূচির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই-৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটি’র নেতৃত্বে টিনা-সেতু

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ‘জুলাই-৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটি’র ২০২৫-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা পারভীন টিনা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিস সেতু খানম মনোনীত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে জুলাই-৩৬ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল হক সিদ্দিকী এ কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি মিসেস জান্নাতুল তামান্না ও রহিমা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারিয়ম আক্তার চৈতি, কোষাধ্যক্ষ জারিন আক্তার মিম, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক নুসরাত জাহান, অফিস সম্পাদক শম্পা আক্তার, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সুরাইয়া ইয়াসমিন, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকাশনা সম্পাদক উম্মে হাবিবা সিগমা, লজিস্টিকস সেক্রেটারি নওশিন শর্মিলী এবং নির্বাহী সদস্য সাদিয়া সিদ্দিকা।
হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মিস সেতু খানম বলেন, “বিতর্ক বরাবরই আমার অত্যন্ত পছন্দের একটা প্লাটফর্ম। সময়ের পরিক্রমায় আজ অনেক বড় একটা দায়িত্ব কাধে এসে পড়েছে। বর্তমান কমিটির প্রতিটা মেম্বার অনেক বেশি এক্টিভ এবং ডেডিকেটেড। তাদের চোখে জুলাই-৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির জন্য ভালো কিছু করার আকাঙ্ক্ষা দেখি। তাই সবাইকে নিয়ে যেন একসাথে হল ডিবেটিং সোসাইটির জন্য কাজ করতে পারি এবং ভবিষ্যতে দেশসেরা ডিবেট ফিস্ট গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।”
হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আফসানা পারভিন টিনা বলেন, “জুলাই ৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির সাথে আমার যাত্রা তিন বছরের বেশি। আমার কাছে এই ডিবেটিং সোসাইটি একটা আবেগের জায়গা। ক্লাস,পরীক্ষা,টিউটোরিয়াল এই সবকিছুর চাপে থেকেও ডিবেটের জন্য সময় কখনো কম পড়ে যায়নি। সময়ের পরিক্রমায় এতো গুরুদায়িত্ব কাঁধে এসে পড়েছে। আমার এই দায়িত্ব যেনো সম্মানের সাথে যথাযথভাবে পালন করতে পারি সেজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। পাশাপাশি জুলাই-৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটি পূর্বের অর্জন গুলো সাথে রেখে পরবর্তী প্রজন্ম যেনো সাফল্যের সাথে বিতর্কের অঙ্গনে বিচরণ করতে পারে এই প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে যাবো”
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে প্রশ্নফাঁসের গুজব রোধ, নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং তা চলবে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত।
এর আগে, চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পরীক্ষার সময় কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন।
গত বছর এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টার চালু থাকলে নানা অপপ্রচার এবং প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ায়। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে এবার শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার।
এছাড়া, পরীক্ষা চলাকালীন সব কেন্দ্রেই থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি পরীক্ষার দিনগুলোতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মনিটরিং বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকেও অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে— যেন তারা কোনো ধরনের গুজবে কান না দেন।