অর্থনীতি
ভারত থেকে এলো আমদানির ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল

আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা ৬ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চালবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আজ শনিবার (৮ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা ৬ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল নিয়ে এমভি পিএইচইউ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
এমএলএম ব্যবসা নিয়ে সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

এমএলএম ব্যবসা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদান এবং রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান করা পিরামিড,পঞ্জি স্কিম বা মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যার মাধ্যমে গ্রাহকের বিনিয়োগ হারানোর নজির রয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বিগত সময়ে দেশে কিছু প্রতিষ্ঠানের বিধি বহির্ভূতভাবে গ্রাহকের আমানত বা বিনিয়োগ সংগ্রহ, রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান এবং অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদানের নামে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া অস্বাভাবিক মূল্যছাড়ে বিভিন্ন ই-কমার্সে পণ্য বিক্রির নামে প্রতারণার নজিরও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এ ধরনের প্রতারণা মানিলন্ডারিংয়ের আওতাভুক্ত অপরাধ। অতীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স ব্যতীত আমানত সংগ্রহ তথা ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৩১ (১) এর প্রদত্ত নির্দেশনার লংঘন।
সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক একই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হওয়ায় তা বর্তমানে অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা বিবেচনায় দেশের জনসাধারণকে এই প্রকার প্রতিষ্ঠানসমূহে লেনদেন করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত ও বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো। পাশাপাশি এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানের সংবাদ জানা থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করার জন্য জনগণ ও গণমাধ্যমকে অনুরোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আবারও কমলো সোনার দাম

আবারও সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা।
শনিবার (৮ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যা রোববার (৯ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ সোনার দাম কমানো হয়। এরপর ৫ মার্চ সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষাণা দেওয়া হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ১ লাখ ১ হাজার ৬৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছর ১৩বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৯বার, আর কমেছে মাত্র ৪বার।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কিছুটা কেটেছে ভোজ্যতেলের সংকট, বেড়েছে শসা, লেবু-মাংসের দাম

পবিত্র রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিয়ে গলা ভেজাতে চান। বাজারে তাই লেবুর চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। শসা, লেবুর দামও ঊর্ধ্বমুখী। দেশি মুরগির দাম ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০০ টাকা। বাজারভেদে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা। তবে বাড়েনি আলু ও পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (৭ মার্চ) ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দ্রব্যমূল্যের এমন চিত্র পাওয়া যায়।
দেখা গেছে সরকার খেজুর, ভোজ্যতেলসহ কিছু পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। তবে পুরোপুরি সংকট না কাটলেও আগের তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজার। অধিকাংশ দোকানেই এখন কম-বেশি বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমান হয়নি সয়াবিনের ৫ লিটারের বোতল। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। রোজার আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ১৯০-২০০ টাকা ছিল। একইভাবে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৩০-৩৫০ টাকা হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, রোজাতে বেশি সংখ্যায় ক্রেতারা মুরগি কেনেন, এ কারণে দাম বাড়ার প্রবণতা রয়েছে।
মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম সপ্তাহখানেক আগে কিছুটা কম ছিল। আর কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। গতকাল এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হয়েছে ১০৫০-১১০০ টাকায়। অন্যদিকে চাষের চিংড়ি, কই, শিং, তেলাপিয়া, রুই ও পাঙাশ মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। বাজারে আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। যেমন প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেখা গেছে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে সাধারণ মানের লেবুর হালি ছিল ২০-৪০ টাকা, যা গতকাল ৪০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর বড় লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার আশপাশে। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা, হাইব্রিড শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে বেগুন ও শসার দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল। তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম। এ বছর রমজানের আগে সরকার খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমিয়েছে; যার ফলে আমদানি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, কম শুল্ক ও সরবরাহ বেশি থাকায় গত এক মাসের মধ্যে মানভেদে খেজুরের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে।
এক মাস আগের তুলনায় ছোলার দামও কেজিতে ১৫ টাকার মতো কমে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি চিড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আখের গুড় ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, খেজুরের গুড় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও মুড়ি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজারে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লেবুর এত বেশি দাম-খাব না। বেগুনেরও মৌসুম। কয়েক দিন ধরেই টানা দাম বাড়ছে। যেন দেখার কেউ নেই। তবে আগের মতোই কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০, দেশি আদা ১৩০ থেকে ১৬০, আমদানি করা আদা ২২০, দেশি রসুন ১৬০, আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সেবা-কৃষি খাতে মজুরি কমেছে

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। তবে এই সময়ে মজুরি হার হয়েছে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। যা গত মাসে ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। ফলে ব্যয়ের থেকে আয় কমেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ফেব্রুয়ারি মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মজুরি সূচক না বাড়লে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিখাতে মজুরি হার কমে ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ হয়েছে, গত মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। একইভাবে ফেব্রুয়ারি মাসে সেবাখাতে মজুরি সূচক কমে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ হয়েছে, গত মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে শিল্পখাতে ফেব্রুয়ারি মাসে মজুরি সূচক ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ হয়েছে, যা গত মাসে একই ছিল।
অন্যদিকে শহরের থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতির ঝাঁজ বেশি, যা ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। অথচ শহরে সাধারণ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তবে গ্রাম ও শহরে গত মাসের থেকে মূল্যস্ফীতি কমেছে। শহরে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ, অন্যদিকে গ্রামে ছিল ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এছাড়া আগের বছরের (২০২৪ সালের) ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
পাশাপাশি খাদ্য খাতে ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা জানুয়ারি মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ মাসে সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধসহ নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি মিলেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ফেব্রুয়ারি মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে খাদ্য-বহির্ভূত খাতে ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে আলু, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি ও মসলার দাম কমেছে।