জাতীয়
মাগুরার সেই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি

মাগুরার সেই শিশুটির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। শিশুটির যৌনাঙ্গে আঘাত রয়েছে। তবে গলায় আঘাত বেশি। তার চিকিৎসায় চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিশুটির সব দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মেয়েটির অবস্থা ভেরি ক্রিটিক্যাল (খুব আশঙ্কজনক)। তার গলার আঘাত খুবই মারাত্মক। তার যৌনাঙ্গেও আঘাত রয়েছে। গত রাত ৯টার দিকে মেয়েটিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। চিকিৎসার জন্য পেডিয়াট্রিক, পিডিয়াট্রিক সার্জারি, অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনি ডিপার্টমেন্ট মিলে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মা।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের সকল দায়দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের পাশে থেকে সবধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন এবং সহযোগিতা করতেছেন। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাচ্ছি।
শিশুটির মা বলেন, আমার মেয়েটা এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। তার অবস্থা ভালো নাই। এতটুকু বাচ্চাকে কীভাবে যে অত্যাচার করেছে হয়তো আপনারা শুনেছেন। কিন্তু দেখতে তো পারেননি। তার শরীরেও কতগুলো আঘাত করেছে।
মেয়েকে নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, বড় মেয়ের শ্বশুর, ভাসুর ও মেয়ের জামাই তারা তিনজন মিলেই আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন করেছে। মেয়ের জামাই আগেও বিয়ে করেছিল, আমরা বিষয়টি জানতাম না। মেয়ের শ্বশুরের বিরুদ্ধে আগেও আরও দুটি মেয়েলি কেস জড়িত ছিল। সেখান থেকে খালাস নাকি পেয়েছে। এই কেস থেকে যেন কোনো খালাস না পায়। এর সর্বোচ্চ শাস্তি যেন হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
দেশে তেল শোধনাগার নির্মাণে কুয়েতকে বিনিয়োগের আহ্বান

বাংলাদেশে তেল শোধনাগার নির্মাণ ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে কুয়েতকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (৯ মার্চ) কুয়েতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আলি তুনিয়ান আবদুল ওয়াহাব হামাদাহ রাজধানীর বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাতে দুই দেশ কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। বিশেষ করে বিনিয়োগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিবাসী কল্যাণ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি আজ রোববার দুপুরে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, কুয়েতের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও কুয়েতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। এসময় তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও হালাল খাদ্য খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কুয়েত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধু। এখানে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে হালাল খাদ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত, যা নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্যের বাজার বিশাল। তিনি এ উদ্যোগে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করতে অনুরোধ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় কুয়েতি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (স্পেশাল ইকোনমিক জোনস) বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। এছাড়া আগামী ৭ থেকে ৯ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিতে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সম্মেলনে কুয়েত থেকে বিনিয়োগকারী আনুন। এটি দুই দেশের জন্য একটি বড় সুযোগ হবে।
রাষ্ট্রদূত হামাদাহ কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ এবং কুয়েতের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানান। তিনি বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করতে উদগ্রীব।
সাক্ষাৎকালে উভয়ে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে কুয়েত থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে একটি তেল শোধনাগার স্থাপনে কুয়েতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে সহযোগিতা বাড়াতে আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ উন্নত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া, বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশি সামরিক সদস্যদের পেশাদারত্বের প্রশংসা করেন।
সাক্ষাতের শেষ পর্যায়ে উভয় পক্ষ অর্থনীতি ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অংশীদারত্ব পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। আমরা বাণিজ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য খাতে আরও সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঈদে অগ্রিম বেতন পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মার্চ মাসের বেতন অগ্রিম পাবেন। আগামী ২৩ মার্চ তাদের এই বেতন দেওয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দুল গফুর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ট্রেজারি ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে আজই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এরই মধ্যে প্রজ্ঞাপন ইস্যু হয়ে গেছে।
সরকারি বর্ষপঞ্জি-২০২৫ অনুযায়ী চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ তারিখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। সেজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে- সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী (গেজেটেড-নন-গেজেটেড), সামরিক বাহিনীর কমিশন্ড/নন-কমিশন্ড অফিসারদের ২০২৫ সালের মার্চ মাসের বেতন-ভাতাদি এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনারদের মার্চ মাসের অবসর ভাতা ২৩ মার্চ প্রদান করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্ষণের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে আজহারীর আহ্বান

জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে কঠোর আইন প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ রবিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে এই আহ্বান জানান তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আজহারী লিখেছেন, “বাকরুদ্ধ বাংলাদেশ! পুরো জাতি যেন আজ স্তব্ধ! এ দেশে মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়? কে নিশ্চিত করবে তাদের সুরক্ষা? ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ন্যায়বিচারের অভাবেই অপরাধীরা সাহস পায়।”
তিনি আরো লিখেছেন, “দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা যখন ক্রিমিনাল ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠে, মূলত তখনই লম্পটগুলো ধর্ষণের সাহস করে। ক্ষমতার বলে ও আইনের ফাঁকফোকর মাড়িয়ে এরা সব সময় থাকে ধরাছোঁয়ার আড়ালে।”
আজহারী বলেন, ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে এসব ঘটনা বারবার ঘটবে। ধর্ষণের নজিরবিহীন শাস্তি নিশ্চিত হোক— এটাই আজ গণমানুষের দাবি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্ষণে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোববার (৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটিকে দেখতে গিয়ে এ আশ্বাস দেন তিনি।
হাসপাতালে গিয়ে উপদেষ্টা শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। তখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, আট বছরের এই শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাগুরা সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দোষীরা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায় সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোচ্চার রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নারী হয়রানি ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ পর্যন্ত নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। নারীরা নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে ঘরে-বাইরে দায়িত্ব পালন করবে। এতে যারা তাদের বাধা দিতে আসবে, সহিংসতা করতে আসবে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন ও সোচ্চার থাকতে হবে। পারিবারিক, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ লালন করতে হবে।
এর আগে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি জানতে পেরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিশুটির মাকে ফোন দিয়ে খোঁজখবর নেন ও সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।
গতকাল শনিবার শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শিশু-নারী ধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে: আসিফ

সাম্প্রতিক সময়ে শিশু এবং নারী ধর্ষণের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-২০২৪ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে জেন্ডারকেন্দ্রিক কোনো বৈষম্য থাকবে না। সংস্কারের যে বৃহৎ কার্যক্রম সরকার হাতে নিয়েছে সেটি সফল করতে সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।’
শনিবার ঢাকার এলজিইডি ভবনে ‘শ্রেষ্ঠ আত্মনির্ভরশীল নারী সম্মাননা ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ কথা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে নারীদের বিরত রাখলে তা গোটা জাতির উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অন্তরায়, যেখানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫১ শতাংশ নারী। সে কারণেই নারীর সম-অধিকার ও সমঅংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা একটি আন্তর্জাতিক মূল্যবোধ।
আসিফ মাহমুদ বলেন, নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেমন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি, তেমনিভাবে ২০২৪ এ নতুন বিজয় গাঁথা সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অনেকে ধর্মকে ব্যবহার করে, নারীদের পোশাক এবং আচরণকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে তিনি দুর্বৃত্তদের কঠোর হস্তে দমন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. আব্দুর রশিদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।