রাজনীতি
ডিসেম্বর নয়, জুন-জুলাইয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব: রিজভী

নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে ডিসেম্বর নয়, জুন-জুলাইয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। এটি নিয়ে গড়িমসি করলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজশাহীতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ পরিবারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মনে করি। আমরা মনে করি এই সরকারই জাতীয় নির্বাচন দেবে। জনগণ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। এসময় জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচন নয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
ভারত বাংলাদেশের বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছে। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের এত মাথাব্যথা কেন—এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘ভারত এখন শেখ হাসিনার দোসরদের বাগানবাড়িতে পরিণত হয়েছে। ভারতের সব অপকর্ম শেখ হাসিনা মেনে নিতেন। বিশ্বের সবচেয়ে রক্তাক্ত সীমান্ত ভারত-বাংলাদেশ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে মারলেও হাসিনা সরকার নীরব থাকতো। পররাষ্ট্রনীতি মাথা নত করে চলতো। ভারত মনে করতো হাসিনা তাদের একজন বিশ্বস্ত, অনুগত।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা ছিলেন দস্যুদলের সর্দারনি। যখন যা ইচ্ছে করেছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের হত্যা করে, রক্তাক্ত করে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছেন, ভারত তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে।’
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মানের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুন অর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
আ. লীগের নামে কোনো দল রাজনীতি করতে পারবে না: নুর

আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনৈতিক দল গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
শরীয়তপুরের সখিপুরে তারাবুনিয়ার ঐতিহাসিক মাটিতে প্রথমবারের মতো এক গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে তিনি বলেন, “দেশে এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, ভোটাধিকার শুধু কাগজে-কলমে। জনগণের অধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ আজ ফ্যাসিবাদী একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। তবে সেই অবৈধ দুঃশাসনের অবসান হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন যুবলীগও নিষিদ্ধ হবে। গণঅধিকার পরিষদ জনগণের নেতৃত্বে এই দানবীয় দখলদারদের উৎখাত করবে।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট মাঝি। একই মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা দেন, শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “আমরা একদলীয় দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মাঠে আছি। তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
গণসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের মুখপাত্র ফারুক হাসান, ডা. শাহজালাল সাজু, অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ মুন্সি, হাসান আল মামুন, বীন ইয়ামিন মোল্লা, মাহমুদ পারভেজ, নাজমুল হাসান, ওবায়দুল হোসেন শুভ এবং শাকিল সিকদার।
সমাবেশ শেষে নেতারা সখিপুর বাজার, উত্তর তারাবুনিয়া ও আশপাশের জনবহুল এলাকায় গণসংযোগ করেন। পথচলতি মানুষজনের হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং তুলে ধরেন সংগঠনের লক্ষ্য ও কর্মসূচির কথা।
এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো এলাকা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বক্তারা বলেন, “সরকারের দমন-পীড়ন, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই চলবে জনগণের শক্তিকে ভিত্তি করে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিগত নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি: নূরুল ইসলাম বুলবুল

অতীতে নির্বাচনের মাধ্যমে কেবল ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বারবার অসৎ নেতৃত্বের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যাওয়ার কারণে দূর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। বরং যখন যেই দল ক্ষমতায় বসে তখন সেই দলের সবোর্চ্চ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত সবাই দুর্নীতি, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসীতে লিপ্ত হয়েছে। জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি বলে তাদের কোন দায়বদ্ধ ছিল বলে তারা মনে করেনি। নিজের খেয়াল খুশি মত রাষ্ট্র পরিচালনা করে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শাহজাহানপুর পূর্ব থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ভিন্ন ধর্মাবলম্বী প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী জনগণের অধিকারের দাবিতে রাজপথে আসলেই রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে দমন-নিপীড় চালিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর চেয়ে বড় কোন মজলুম দল বাংলাদেশে নাই। জামায়াতে ইসলামীর আমীর, সেক্রেটারী জেনারেল সহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বাচাঁই করে করে হত্যা করেছে। দলের নিবন্ধন কেড়ে নিয়েছে, প্রতিক কেড়ে নিয়েছে, সবশেষ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধও করেছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী তার সাংগঠনিক কর্মকান্ডে এদেশের জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। জনগণের হৃদয় থেকে জামায়াতে ইসলামীকে মুছে ফেলা যায়নি, যাবে না। সেজন্য যারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছে, জনগণ তাদেরকেই দেশ ছাড়া করেছে। আগামীতেও যারাই গণমানুষের সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর অগ্রযাত্রায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে জনগণই তাদের উপযুক্ত সময়ে, উপযুক্ত জবাব দিবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন গণমানুষের সংগঠন হলো?- কারণ জামায়াতে ইসলামী কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না গিয়েও দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরবে-নিবিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর ৪ দফা কর্মসূচির অন্যতম একটি সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবা। সমাজ সেবার অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সমাজের শোষিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত ছিল এবং আছে। দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে জামায়াতে ইসলামী মানবিক প্রয়োজনে সমানভাবে সমাজ সেবা করে আসছে। এটাই ইসলামের শিক্ষা। এটাই ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ হলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জান ও মালের সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রই পালন করবে। সকল ধর্মের মানুষ সমাজে সমান মর্যাদা ও অধিকার লাভ করবে। রাষ্ট্রের কাছে ধর্মের কোন বিভেদ থাকবে না। সকলেই নাগরিক হিসেবে সমান। তাই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিতে হচ্ছে, সম্পদ পাহারা দিতে হচ্ছে কেন প্রশ্ন রেখে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, কারণ মানুষের তৈরি আইনে মানুষে-মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে, ধর্মের বিভেদ সৃষ্টি করে। যার কারণে সমাজে অশান্তি বিদ্যামান। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ হলে সমাজে শান্তি বিরাজ করবে।
জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণ ও নিরাপদ বাসযোগ্য বাংলাদেশ জাতিকে উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশের প্রতিটি নাগরিককে অংশগ্রহন করেত হবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়তে তিনি দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী মানবিক সেবা করে এবং করবে। জনগণ সুযোগ দিলে সম্প্রীতির বান্ধনে একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র জামায়াতে ইসলামী গঠন করবে। যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ থাকবে না। মানুষ নিরাপদে ও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-যুবক সকলে নিরাপদে নিবিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবে। মানুষ মৌলিক স্বাধীনতার নিশ্চিতা পাবে। মানুষ হিসেবে প্রতিটি মানুষ সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় তিনি আরো বলেন, ঢাকা-৮ আসনের জনগণ তাকে সুযোগ দিলে তিনি এই আসনকে সম্প্রীতির নতুন বাংলাদেশের অনুসরণীয় একটি এলাকায় রূপ দিবেন। ঢাকা-৮ আসনের প্রতিটি মানুষ নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার লাভ করতে পারবে। মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্রের ভিত্তি ঢাকা-৮ আসন থেকেই স্থাপিত হবে।
থানা সেক্রেটারী মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ওয়ার্ড সভাপতি মোশাররফ হোসেন চঞ্চল, থানা অফিস সম্পাদক নাহিদ জামাল, থানা প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. আবদুল খালেক, থানা সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এস.এম আজীম উদ্দিন, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কালী পদ চন্দ্রশীল, লতিফ চন্দ্রশীল, লোকনাথ সরকার ও স্বপন চন্দ্রশীল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে থানা দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ সহ শাহজানপুর থানা এলাকার ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সঠিক বিচার হলে আ.লীগ করার কেউ থাকবে না: মামুনুল হক

আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে অতীতের গণহত্যা ও গুম-খুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের বিচার করতে হবে। বিচার শেষে যদি আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বেঁচে থাকে, তবেই তাদের রাজনীতির সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। তবে বিশ্বাস করি, সঠিক বিচার হলে আওয়ামী লীগ পরিচালনার মতো কেউ অবশিষ্ট থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মাছুমপুর খেলার মাঠ চত্বরে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, ১৯৭২ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ মুজিব দেশের জনগণের ইচ্ছা ও অধিকারকে পদদলিত করেছিলেন। তার আমলে ভারতীয় ধর্মীয় মতবাদ আমদানি করে বাংলাদেশকে ভারতের শৃঙ্খলে বন্দি করা হয়। কিন্তু চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য আর কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না।
এ সময় তিনি নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসলাম পরিপন্থী এসব সুপারিশ দ্রুত বাতিল করতে হবে। দেশের ৯০ শতাংশ নারী এই প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরাফত হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মুসা ও বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম ও সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি আব্দুর রউফসহ অনেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জমিয়তের সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক, মহাসচিব মঞ্জুরুল আফেন্দী

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
আজ (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের কাউন্সিলে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা করেন দলের নবনির্বাচিত সহসভাপতি নাজমুল হাসান কাসেমী।
এছাড়াও সিনিয়র সহসভাপতি পদে আবদুর রব ইউসুফী, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লোকমান মাজহারী দায়িত্ব পেয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
লুট করা টাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছে আ.লীগ: রিজভী

জনগণের টাকা লুট করে সেই টাকায় আবার নাশকতার পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় সমাজের বিপথগামীদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে অনৈতিকতা ও দুর্নীতিতে না জড়িয়ে, ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আদালত শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হতে সহায়তা করেছেন। ফ্যাসিবাদের বিচারকদের বিচার হতে হবে। হিটলারের সহযোগী বিচারকদের যদি বিচার হতে পারে শেখ হাসিনার সহযোগী বিচারকদের কেনো হবে না।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলে জনগণকে পেন্ডুলামের মতো দোল খাওয়ানো হচ্ছে। সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত।
এ সময় প্রশ্ন তুলে বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহার হলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা কেন প্রত্যাহার হচ্ছে না?
সম্প্রতি আলোচনায় আসা একজন উপদেষ্টার এপিএসের দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। রিজভী বলেন, ছাত্র উপদেষ্টার এপিএসের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ভয়ংকর।