আন্তর্জাতিক
কানাডা, মেক্সিকোর ওপর শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত করলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) কানাডা ও মেক্সিকোর জন্য আরোপিত কঠোর শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্ববাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা ওই তিন দেশের ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনবে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর, বিশ্ববাজারে তীব্র মন্দাভাব দেখা দেয়। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেবে ও স্বল্পমেয়াদে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে।
যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শুল্কের ফলে বাজারের অস্থিরতার সঙ্গে তার সিদ্ধান্তের সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন, তবে তিনি উত্তর আমেরিকার আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির আওতাভুক্ত আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
এছাড়া, ট্রাম্প কানাডার পটাশ সারের ওপরও শুল্ক কমিয়ে দেন। পটাশ হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সার, যা যুক্তরাষ্ট্রে কম উৎপাদিত হয়।
এই শুল্ক বিরতি ২ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর একদিন আগে গাড়ি নির্মাতা শিল্পের জন্যও সাময়িক শুল্ক ছাড় ঘোষণা করেছিল হোয়াইট হাউজ।
ট্রাম্প বলেন, এই সিদ্ধান্ত আমাদের মার্কিন গাড়ি প্রস্তুতকারীদের জন্য পরিস্থিতি আরও অনুকূল করে তুলবে।
তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, ২ এপ্রিলের পর নতুন শুল্ক কাঠামো ঘোষণা করা হবে। ওইদিন ‘প্রত্যুত্তরমূলক শুল্ক’ নীতির আপডেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প, যা যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে অন্যায্য বাণিজ্যিক চর্চার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে।
এছাড়া ট্রাম্প বলেন, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই, যা আগামী সপ্তাহে কার্যকর হবে।
অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া
ক্যাটো ইনস্টিটিউটের জেনারেল ইকোনমিক্সের সহ-সভাপতি স্কট লিন্সিকোম বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত “অর্থনৈতিক বাস্তবতার স্বীকৃতি”।
তিনি বলেন, শুল্ক সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন ঘটায়, শুল্কের বোঝা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর পড়ে, এবং বাজার এই অনিশ্চয়তা পছন্দ করে না।
শুল্কের রাজনৈতিক ও কৌশলগত উদ্দেশ্য
ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার মিত্র ও প্রতিপক্ষদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান বাণিজ্য অংশীদার কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে অবৈধ অভিবাসন ও মাদক চোরাচালান ঠেকানোর যুক্তি দেন।
তবে, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ ফেন্টানিল সরবরাহের ১% এরও কম যোগান দেয় এবং এটি অবৈধ অভিবাসনের তুলনামূলকভাবে ছোট উৎস বলে মার্কিন ও কানাডিয়ান সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা যায়।
এদিকে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের ফেন্টানিল সরবরাহে ভূমিকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এটি মূলত অভ্যন্তরীণ সমস্যা, যা শুল্ক দিয়ে সমাধান করা সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির নতুন রেকর্ড
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, ট্রাম্পের শুল্ক মূল্যস্ফীতি বাড়াবে না, এবং দাম বৃদ্ধির প্রভাব ‘সাময়িক’ হবে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি জানুয়ারিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির বাণিজ্য ঘাটতি ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৩ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সোনার আমদানি বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য শুল্কের আগে অতিরিক্ত পণ্য আমদানি করায় এই ঘাটতি আরও বেড়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
যেকোনো পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন

কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় একজন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্যত যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। টানা সাত দিনের মতো ঘটেছে গোলাগুলির ঘটনা। এক দেশ অপর দেশের বিরুদ্ধে নিয়েছে নানা পদেক্ষেপ। চলমান উত্তেজনাকর এই অবস্থার মধ্যে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে পুরোনো মিত্র চীন।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে নিযুক্ত চীনা কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন বলেছেন, সব পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাশে থাকবে বেইজিং। অবশ্য তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। পাকিস্তান ও ভারতের উচিত সংলাপ ও কূটনৈতিক পথে শান্তির রাস্তা খোঁজা।
বৃহস্পতিবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
লাহোরে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কেন্দ্রীয় পাঞ্জাব শাখার নেতাদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় পিপিপি কেন্দ্রীয় পাঞ্জাবের অর্থ সম্পাদক আহমাদ জাওয়াদ রানার বাসভবনে।
ঝাও বলেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কৌশলগত সহযোগিতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা অবকাঠামোতে দীর্ঘদিনের। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, চীন পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল, আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে-বিশেষ করে নিরাপত্তা, কৌশলগত সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে।
আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী এ বৈঠকে জাতীয় ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় ঝাও বলেন, চীন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের শিকড় গভীরে গাঁথা। প্রত্যেক চীনা নাগরিক পাকিস্তানকে ভালোবাসে এবং পাকিস্তানিরাও চীনকে একইরকম ভালোবাসা ও সম্মান দেখায়।
ঝাও বলেন, পাকিস্তান শুধু প্রতিবেশী বা মিত্র নয়, চীনের কাছে এক পরীক্ষিত বন্ধু। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও কৌশলগত সহযোগিতাই আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি।
বৈঠকে দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
উত্তেজনা বাড়ালে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না, পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি

প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণহানির ঘটনার পরই এই অবস্থা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভারত যদি উত্তেজনা ছড়ায়, তাহলে আমাদের কেউই থামাতে পারবে না।
রোববার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পুরো পাকিস্তান আজ সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ভারত যদি উত্তেজনা ছড়ায় তাহলে আমরা পুলওয়ামার ঘটনায় যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলাম ঠিক সেভাবে মোদির সরকারকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
পুরো পাকিস্তানে সশস্ত্র বাহিনীর পেছনে ঐক্যবদ্ধ আছে বলে দাবি করেন খাজা আসিফ। তিনি যেকোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
খাজা আসিফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক শক্তিধর দুই রাষ্ট্রের যেকোনও সংঘাত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হুমকি হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, এই বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আনা হয়েছে। তারা পেহেলগামের এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করতে পারে।
ভারতকে সতর্ক করে দিয়ে পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘উত্তেজনা যদি বাড়তে থাকে, তাহলে কেউই আমাদের থামাতে পারবে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার পথ বেছে নেন, তাহলে আমরা তাকে পুরো পথে তাড়া করব।’’
খাজা আসিফ বলেন, নরেন্দ্র মোদি পুলওয়ামার সময় ব্যবহৃত একই কৌশলের পুনরাবৃত্তি করে মিথ্যা প্রচারণার জন্য পরিচিত। তবে পাকিস্তান কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী রয়েছে।
গত মঙ্গলবার কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনার পর ভারতের পক্ষ থেকে বুধবার বেশ কিছু কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই হামলার ঘটনায় ভারতের সরকার পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘‘সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদে’’ সহায়তার অভিযোগ এনে দেশটির সঙ্গে স্বাক্ষরিত দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত এবং উভয় দেশের মধ্যকার প্রধান স্থল সীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার ও হাইকমিশনে নিযুক্ত কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি।
ভারতের আকস্মিক এমন পদক্ষেপের পর পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে প্রায় একই ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি আটক

ভারতের গুজরাটে এক হাজার জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগে রাজ্যের সুরাট ও আহমেদাবাদ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভির নির্দেশে শুরু এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল অঞ্চলটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরাট পুলিশের নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) এবং স্থানীয় পুলিশ ইউনিটগুলোর সমন্বিত অভিযানে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোরবেলা সন্দেহভাজন এই অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আহমেদাবাদ থেকেই ৮৯০ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। অন্যদিকে সুরাটের অভিযানে আটক করা হয়েছে ১৩৪ জনকে।
কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আটকরা সবাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে অঞ্চলটিতে বসবাস করছিলেন তারা। বলা হচ্ছে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।
গুজরাট পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (এসওজি) রাজদীপ সিং নাকুম বলেছেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল কাগজপত্র নিয়ে বসবাস করছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
রাজ্য পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ শাখা) শরদ সিংহল বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ মহাপরিচালকের সরাসরি নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের এপ্রিলের পর ১২৭ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৭৭ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি বলেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
গুজরাটে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাট থেকে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই বাংলাদেশিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।
গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, ‘‘অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।’’
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ইরানের বন্দরনগরী বন্দর আব্বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজারের বেশি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ১১৫ জন আহত হয়েছেন।
ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর। যা হোরমোজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালীর উত্তর দিকে অবস্থিত। যেখান দিয়ে পৃথিবীর মোট উৎপাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহণ করা হয়।
হোরমোজগান বন্দর ও সামুদ্রিক প্রশাসনের কর্মকর্তা ইসমাইল মালেকজাদেহ বলেছেন, “শনিবার (২৬ এপ্রিল) শহীদ রাজী বন্দরের ডকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমরা আগুন নেভানোর কাজ করছি।”
হোরমোজগান প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার পরিচালক মেহেরদাদ হাসানজাদেহ সরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে ঠিক কতজন হতাহত হয়েছেন সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণ এলাকা থেকে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলি বের হচ্ছে। অন্যান্য ভিডিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ওই সময় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন বা গাড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শহীদ রাজী বন্দর দিয়ে মূলত জাহাজে কনটেইনার ওঠানামা করা হয়। তবে সেখানে তেলের ট্যাংক এবং পেট্রলজাত রাসায়নিক পদার্থের অবকাঠামোও আছে।
কাফি