পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ডেসকো

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৯টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল। শেয়রটির দর ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা প্রাইম টেক্সটাইলের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ দশমিক ০২ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- পাওয়ার গ্রীড, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ, তিতাস গ্যাস, বাটা সু, খান ব্রাদার্স এবং ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে পিই রেশিও অপরিবর্তীত

বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-২৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) অপরিবর্তীত রয়েছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৪০ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৪০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও অপরিবর্তীত রয়েছে।
এর আগের সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৫৮ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৪০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.১৮ পয়েন্ট বা ১.৫৪ শতাংশ কমেছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স

বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-২৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪টি কোম্পানির মধ্যে ১৯৯ কোম্পানির দর কমেছে। আলোচ্য সময়ে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৫ দশমিক ১২ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাহাজীবাজার পাওয়ারের শেয়ার দর কমেছে ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩৮ দশমিক ৪০ টাকা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ডেসকোর শেয়ার দর কমেছে ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৩ দশমিক ৭০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- পাওয়ার গ্রীডের ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ, এনার্জি পাওয়ারের ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ, মীর আখতারের ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ, জিলবাংলা সুগারের ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, আনলিমা ইয়ার্নের ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৮ শতাংশ এবং এইচআর টেক্সটাইলের ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে মিডল্যান্ড ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-২৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন করা ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে ১৫৮টির শেয়ারদর বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে মিডল্যান্ড ব্যাংকের আগের সপ্তাহের তুলনায় শেয়ারদর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ শতাংশ। আর শেয়ারদর ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স পিএলসি।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- এমেরাল্ড অয়েল, কেয়া কসমেটিকস, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ডেল্টা স্পিনিং এবং খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে স্কয়ার ফার্মা

বিদায়ী সপ্তাহে (২৫ এপ্রিল-২৮ এপ্রিল) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৪ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। তাতে সপ্তাহ শেষে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ অবদান স্কয়ার ফার্মার।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির সপ্তাহজুড়ে গড়ে ১৪ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা মিডল্যান্ড ব্যাংকের বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ার হাতবদল হয়েছে গড়ে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- লাভেলো, ব্র্যাক ব্যাংক, শাহজিবাজার পাওয়ার, বিএসসি, সিটি ব্যাংক, শাইনপুকুর সিরামিকস ও বেক্সিমকো ফার্মা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দীর্ঘ মন্দার বিশ্ব রেকর্ড এখনো বাংলদেশের পূঁজিবাজারেরই

বাংলাদেশের পূঁজিবাজার ১৭ বছর যাবৎ মন্দাক্রান্ত। এটি দীর্ঘতম মন্দার বিশ্বরেকর্ড। এর আগে, এ রেকর্ডটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে।সেখানে টানা ১০ বছর(১৯২৯-১৯৩৯)শেয়ার বাজারে মন্দাকাল ছিল। পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। বাংলাদেশের পূঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবার নয়। যেন এটাই ভবিতব্য। অন্তবর্তী সরকারের ৯ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এটি নির্বাচিত সরকারের পাঁচ ভাগের প্রায় এক ভাগ। এ দীর্ঘ সময়েও পুঁজিবাজারসহ মেক্রো ইকনমিতে তেমন কোন উন্নতি নেই। তবে, বিদেশী ঋণ এসেছে। বিদেশী ঋণ পরিশোধে তা ব্যয়ও হয়েছে। রেমিটেন্স আসছে। তা জমা হচ্ছে। আমদানী খাত থেকেও বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। সেটাও জমা হচ্ছে। তাতে রিজার্ভ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সরকারের উচিত ছিল শুরু থেকেই অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেয়া। সরাকারী উদ্যোগে বিভিন্ন উন্নয়ন বান্ধব কর্মকাণ্ড শুরু করা। বাজার ব্যবস্থা প্রতিযোগিতামুলক করার স্বার্থে ক্ষুদ্রও মাঝারি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তদের সহযোগিতা দেয়া। বিনিয়োগের প্রধান ও বিকল্প উৎসের জন্য পুঁজিবাজার শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগী হওয়া। সরকার সে পথে হাটেনি। এর খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে।
দেশের ছোট ও মাঝারি শিল্প ও বাণিজ্য মন্দা চলছে গত দেড় দশক ধরে। কয়েকটি বড় শিল্পগোষ্ঠী ছোট ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের বাজার গিলে খাচ্ছে। তাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসা কারখানা রুগ্ন হচ্ছে।এর নেতিবাচক প্রভাবে, সারা দেশে বিপুল সংখ্যক লোক কর্মচ্যুত হয়েছে। এখনো হচ্ছে। কর্ম সংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়নি।
পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের পরিধি ছোট হচ্ছে। কর্মকর্তা কর্মচারী ছাটাই অব্যাহত আছে। বেকারদের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সার্বিক সমস্যা, সংকট আরও প্রকট ও ঘনীভূত হচ্ছে।
প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে দেশের অর্থ ও পুঁজিবাজারে তারল্য খরা বহমান। সার্বিক বৈরী পরিস্থিতির দায় অর্থ উপদেষ্টা এড়াতে পারবেন না। তিনি সম্ভবনার সব দুয়ারই সঙ্কুচিত করেছেন। এর উৎকট ও বিভৎস চেহারা পুঁজিবাজারের আয়ানায় তাকালেই দৃশ্যমান হয়।
অর্থ নয়, প্রনোদনাও নয়। শুধুমাত্র নীতি সহয়তা ও সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই; তারল্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতির প্রভূত উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব ছিল। সে ধরণের প্রেক্ষিতও সৃষ্টি হয়েছিল। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পূঁজিবাজারের প্রতিবন্ধকতার দেয়ালগুলো ভেঙ্গে দিলেই তারল্য প্লাবন ধরা দিতো। দেশী বিদেশী পূঁজি, পূঁজিবাজারের মাধ্যমেই ব্যাংকে প্রবেশ করতো।
ব্যাংকে জমা পড়া টাকায়, ব্যাংক গুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়তেই থাকতো। ব্যাংকগুলো স্বল্প ও মাঝারী মেয়াদী ঋণ সরবরাহ বাড়িয়ে অর্থনীতির অর্থনীতির চাকায় গতি সঞ্চার করতে পারতো। বড় ও মাঝরী প্রকল্পে পুঁজিবাজার সুদ বিহীন টেকসই বিনিয়োগ পূঁজির সরবরাহ করতে পারতো। পূঁজিবাজার শক্তিশালী হলে; সরকারী বেসরকারী মেগা প্রকল্পেও পুঁজি সরবারহ করার সামর্থ অর্জন করতো।
সরকার নীতি সহয়তার আওতায় বড় প্রকল্পগুলোর কিছু অংশ শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়তে বাধ্য করতে পারতো। পূঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পথের কাঁটাগুলো উপরে ফেলা উচিৎ। তবেই দেশী বিদেশী ভালো উদ্যেক্তাগন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে নিজ থেকেই উৎসাহী হবে। অর্থ উপদেষ্টার মাথায় এসব চিন্তা আসেনি।
অর্থ উপদেষ্টা শুরু থেকেই উল্টো পথে হেটেছেন । তিনি পূঁজিবাজারকে ঠেলে দিয়েছেন বিপর্যয়ের দিকে। পূঁজিবাজারের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের, শীর্ষ পদে বসিয়েছেন; বিগত মাফিয়া সরকারের দোসর, স্যডিস্ট প্রকৃতির এক অযোগ্য ব্যাক্তিকে। শীর্ষ কর্মকতার এক মাত্র যোগ্যতা সে অর্থ উপদেষ্টার বন্ধুর জামাই। নিয়োগ প্রাপ্তির শুরু থেকেই পূঁজবাজারে আতঙ্কের বিস্তার ঘটাতে থাকেন। ইতোমধ্যেই সে নিজ প্রতিষ্ঠান বিএসইসি’র ভিতরে ও বাইরে সমানভাবে বিতর্কিত ও নিন্দিত। জরিমানার খড়গ উঁচিয়ে ইতোমধ্যেই আদায় অযোগ্য ৯০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। প্রায় এক কোটিরও বেশী লোককে সীমাহীন দুর্ভোগের অতলে ডুবিয়েছে। বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের রাশেদ মাকসুদের উপর বিন্দুমাত্র আস্থা নেই।
আস্থাহীন এ ব্যক্তিটিরই উপরই অর্থ উপদেষ্টার সবচেয়ে বেশী আস্থা! তার চোখে সে যোগ্য। কারণ, সে ‘চোর ধরতে পারে’।
আমার জানা মতে; পূঁজিবাজারে চোর নেই। আছে, জুয়ারী, কারসাজি আশ্রয়ী লেনদেনকারী, ইনসাইড ট্রেডার, ফ্রন্ট রানার, শর্ট সেলার, মেনুপেলুটার, লুটেরা ইত্যকার লোকজন।আরও আছে মারজিন ক্যান্সারসৃষ্ট ফোর্সসেল।
উল্লিখিত বিষয়গুলো সেকেন্ডারী মার্কেটের মন্দ উপসর্গ। এ উপসর্গ সনাক্ত ও প্রতিকারের সর্বাধুনিক সার্ভেলেন্স সফটওয়্যার বিএসইসি’র আছে। ট্রেড চলাকালীন সময়েই সব অসঙ্গতি ঐ সফটওয়্যারে ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিক সংকেত দেয়। অসঙ্গতির তাৎক্ষণিক সমাধানও সম্ভব।
সনাক্ত সিকিউরিটিজের ট্রেড স্থগিত করে, সংশ্লিষ্ট ব্রোকার হাউজের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার অসঙ্গতির কারণ ও ব্যাখ্যা চাইতে পারেন,বিএসইসির অনডিউটি কর্মকর্তা। ব্যাখ্যায় সন্তোষ্ট হলে রেহাই। সন্তোষ্ট না হলে- লেনদেন স্থগিত, জরিমানা অথবা সর্তকীকরণ সিদ্ধান্ত দিতেই পারেন। এব্যবস্থায় ৯০ ভাগ অসঙ্গতির নিষ্পত্তি অথবা শাস্তি তাৎক্ষণিক ভাবেই দেয়া সম্ভব। বাকি দশ ভাগের অপরাধ গুরুতর হলে তদন্তে কমিটি গঠিত হতেই পারে।
তদন্তে, অপরাধ প্রমানিত হলে- অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী শাস্তি দেয়া যেতেই পারে। এধরণের আ্যকশন বিএসইসি’র নিয়মিত কাজের অংশের মধ্যেই পড়ে। বিএসইসি তা না করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেগুলো জমিয়ে একসাথে শাস্তির ঘোষণা দিয়ে,প্রেস রিলিজ ইস্যু করে বাজারকে আতঙ্কগ্রস্ত করে। এ ব্যবস্থায় নিরাপরাধ বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারীও শাস্তি ভোগ করে।
প্রাসঙ্গিক উদাহরন হিসাবে মারজিন ব্যবস্থা আসতেই পারে। মার্জিন ব্যবস্থার প্রবর্তক, শতভাগ মার্জিন, ১২০ পিইতেও মার্জিন, ফোর্স সেল সবই বিএসইসি জবরদস্তী চাপিয়ে দিয়েছে। ফোর্স সেল না করার মৌখিক সিদ্ধান্তও বিএসইসিইর কর্তা ব্যক্তিরাই চাপিয়ে দেয়।
মার্জিন ব্যবস্থায় ইতোমধ্যেই লাখো বিনিয়োগকারী ইকুইটি মাইনাসের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে। যারা মার্জিন নেয়নি তারাও এ ব্যবস্থায় নি:স্ব হয়েছে। এখনো হচ্ছে।
পরিসংখ্যান জানান দেয়; গত ১৬ মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মাকসুদ আমলের ৮ মাসে বাজার মূলধন কমেছে ৩৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ডিএসই’র দিনের লেনদেন সর্বনিম্ন ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে গত এপ্রিল ৩০,২০২৫ পর্যন্ত ডিএসইএক্স সূচক কমেছে এক হাজার ৮২ পয়েন্ট। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স সূচক ৪৯১৭.৯২ পয়েন্টের ঘরে নেমে আসে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ১৫৮ টি কোম্পানির সিকিউরিটজের দাম বাড়ে, দাম অপরিবর্তিত থাকে ১৭টি কোম্পানির সিকিউরিটিজের। লেনদেন হয়নি ১৯ কোম্পানির সিকিউরিটিজের। মোট ২১৪টি কোম্পানির সিকিউরিটিজ পতন ধারায় ছিল না। এ ২১৪টি কোম্পানির মিলিত শক্তিও বাজার ধনাত্মক ধারায় টানতে পারেনি। গত সপ্তাহে ডিএসইর তিন সূচকেরই ঋণাত্মক পরিবর্তন ঘটে।
উল্লিখিত চিত্র চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কী পরিমান আইপিও গার্ভেজ পুঁজিবাজারে যুক্ত হয়েছে।এসবই বিএসইসির চাপিয়ে দেয়া আইপিও।
ফজলুল বারী
সাংবাদিক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক