জাতীয়
আগামী ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যেই নির্বাচন: ড. ইউনূস

চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগেমী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত দলটিকেই নিতে হবে। এছাড়া নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করবে তা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় বলেও জানিয়েছেন নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত বছর ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর নতুন সরকারের দায়িত্ব নিতে বলা হলে তিনি ‘চমকে’ গিয়েছিলেন বলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন নেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন।
তিনি বিবিসিকে বলেন, আমার কোনও ধারণা ছিল না যে- আমি সরকারের নেতৃত্ব দেব। আমি এর আগে কখনও সরকারি কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করিনি এবং এরপরও পরিস্থিতি বুঝে ঠিকভাবে কাজ করতে হয়েছিল।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, একবার এটি স্থির হয়ে গেলে আমরা অন্যান্য কিছু জিনিস সংগঠিত করতে শুরু করি। যার মধ্যে— আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা এবং অর্থনীতি ঠিক করা দেশের জন্য অগ্রাধিকার ছিল।
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি ভারতেই নির্বাসনে রয়েছেন। নাটকীয় এই পটপরিবর্তনের পর একে একে বের হয়ে আসছে সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ নানা চিত্র। হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, দাবি উঠেছে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারেরও।
এমন অবস্থায় এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন করার আশা করছেন ড. ইউনূস। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই নির্বাসনে থাকা হাসিনা এবং তার দল সেই নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের জন্য হাসিনাকে ফেরত চাচ্ছে বাংলাদেশ।
অধ্যাপক ইউনূস ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে বিবিসিকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগকে) সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা এটা (নির্বাচন) করতে চায় কিনা, আমি তাদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করবে তা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি বলেন: শান্তি ও শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এবং এরপর অর্থনীতি। (সাবেক সরকারের রেখে যাওয়া) এটি এক ছিন্নভিন্ন অর্থনীতি, বিধ্বস্ত অর্থনীতি। এটা এমন কিছু যেন ১৬ বছর ধরে কিছু ভয়ানক টর্নেডো হয়েছে এবং আমরা এখন টুকরোগুলো তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
বিবিসি বলছে, শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং নিপীড়কের মতো বা নির্মম উপাযে বাংলাদেশ শাসন করেন। তার আওয়ামী লীগ সরকারের সদস্যরা নির্মমভাবে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালায়। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের হত্যা ও জেলে পাঠানোর ব্যাপক অভিযোগ ছিল।
তবে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বৗাপক গণআন্দোলন ও বিদ্রোহ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। বিক্ষোভকারীদের আহ্বানে ড. ইউনূস নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিতে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, তিনি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করবেন। তার সরকার কত দ্রুত সংস্কার করতে পারে তার ওপর নির্বাচনের এই সময়সীমা নির্ভর করছে। কারণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব সংস্কারকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি আমাদের ইচ্ছা মতো দ্রুত সংস্কার করা যায়, তাহলে ডিসেম্বরে আমরা নির্বাচন করতে পারবো। আর যদি সংস্কারের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
গত গ্রীষ্মে বাংলাদেশকে ঘিরে থাকা সহিংস বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা থেকে এসেছি। (এমন বিশৃঙ্খলা যেখানে) মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
কিন্তু প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও ঢাকার মানুষ বলছেন, আইনশৃঙ্খলা এখনও পুনরুদ্ধার হয়নি এবং পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। ড. ইউসূস বলেন, বেটার (ভালো) একটি আপেক্ষিক শব্দ। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি গত বছরের একই সময়ের সাথে তুলনা করেন তবে এটি (আইনশৃঙ্খলা) ঠিক আছে। এখন যা ঘটছে, তা অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা বা ভিন্ন কিছু নয়।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের বর্তমান দুর্দশার জন্য আগের সরকারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনাগুলো হওয়া উচিত- তা আমি সমর্থন করছি না। আমি বলছি যে, আপনাকে বিবেচনা করতে হবে, আমরা কোনও আদর্শ দেশ বা আদর্শ শহর নই যা আমরা হঠাৎ করে তৈরি করেছি। এই অবস্থা হচ্ছে দেশের ধারাবাহিকতা যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি, এমন একটি দেশ যেখানে এসব বহু, বহু বছর ধরে চলছে।
শেখ হাসিনার নৃশংস শাসনের শিকার মানুষ তার ওপরে ক্ষুব্ধ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছে, ছাত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর মারাত্মক দমন-পীড়নের জন্য তার (হাসিনার) বিচারের দাবিতে। বাংলাদেশের একটি আদালত হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, কিন্তু তাকে ফেরত দেওয়ার বিষযে ভারত এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এখন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দলের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসিনা ইউটিউবে ভাষণ দেবেন এমন এমন খবরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হাসিনার প্রয়াত পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের সদস্যদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর এবং আগুন দেওয়া হয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে আওয়ামী লীগ অন্তর্বর্তী সরকারকে সহিংসতার ন্যায্যতা দেওয়ার অভিযোগ করেছে। বাংলাদেশ তাদের জন্য নিরাপদ নয় বলে আওয়ামী লীগের সদস্যদের দাবি সম্পর্কে বিবিসি জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, দেশে আদালত আছে, আইন আছে, থানা আছে, তারা গিয়ে অভিযোগ করতে পারে, তাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারে। আপনারা অভিযোগ করতে কেবল বিবিসি সংবাদদাতার কাছে না গিয়ে অভিযোগ করতে থানায় যান এবং দেখুন আইন তার গতিতে কাজ করছে কিনা।
ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশি সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত এবং কার্যকরভাবে মার্কিন এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের অর্থায়নকৃত প্রায় সব কর্মসূচি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মতো দেশে প্রভাব ফেলবে।
ড. ইউনূস বলেন, এটা তাদের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, এটি ভালোই হয়েছে। কারণ তারা এমন কিছু করছে যা আমরাই করতে চেয়েছিলাম, যেমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং এর মতো আরও জিনিস, যা আমরা কখনোই ঠিকভাবে (মোকাবিলা) করতে পারিনি।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকারি উন্নয়ন সহায়তার তৃতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিভাবে এই ঘাটতি পূরণ করা হবে জানতে চাইলে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যখন এটা হবে, আমরা তা পূরণ করব।

জাতীয়
একদিনে ডেঙ্গুতে আরও এক শিশুর মৃত্যু, আক্রান্ত ২৬২

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৬২ জন। শনিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আটজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত আট হাজার ৩৮০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ২৮ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৮৪ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক নয় শতাংশ পুরুষ ও ৪১ দশমিক এক শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে ৪১ জন মারা গেছেন। মৃত একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা যান ৫৭৫ জন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
জাতীয়
ঢাকার তিন এলাকায় ই-রিকশা নামানোর ঘোষণা আসিফের

ঢাকার তিনটি এলাকায় ই-রিকশা নামানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এসব রিক্সা তৈরি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে তিন চাকার স্বল্প গতির ব্যাটারি চালিত ই-রিকশার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ঢাকা শহরের অনিয়ন্ত্রিত রিকশা একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। সড়কের ৩২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে এসব অটো রিকশার কারণে। তাই নিরাপদ বাহন হিসাবে ই-রিকশাকে তৈরি করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নতুন ই-রিকশার ক্ষেত্রে লাইসেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। যা হবে অনলাইনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আগামী আগস্ট থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির পল্টন ও ধানমন্ডি এবং উত্তর সিটির উত্তরায় প্রাথমিকভাবে চলবে এসব ই-রিকশা।
একই অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আগস্টের প্রথম থেকেই মার্কেটে আসবে নতুন এই রিকশা পাওয়া যাবে। দুই সিটির দুই জোনে অনুমোদনহীন রিকশাগুলো ধীরে ধীরে সরিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
চালক প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানানো হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই উদ্যোগের আওতায় প্রথমে মাস্টার ট্রেইনার গড়ে তোলা হবে, যারা পরে মাঠ পর্যায়ে চালকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
মাস্টার ট্রেইনার তৈরির লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থী, যুব মহিলা ও পুরুষদের মধ্য থেকে ২০০ জন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে ১০০ জনসহ মোট ৩০০ জন প্রশিক্ষণার্থীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
দেশে গুঁড়া দুধ আমদানি লজ্জার বিষয়: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দেশে গুঁড়া দুধ আমদানি করা হয়, যেটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। যে টাকা দিয়ে আমরা গুঁড়া দুধ আমদানি করি সেই টাকা দিয়ে আমরা অনেকগুলো চিলিং সেন্টার স্থাপন করতে পারবো। এই বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে। শুধু সরকারি ভাবে নয়, বেসরকারি ভাবেও উৎসাহ দেব যাতে করে চিলিং সেন্টার স্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার (২৮জুন) সকালে মানিকগঞ্জ সদরের জয়নগরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচিত ৪টি জেলায় গবাদিপশুর ক্ষুরারোগের টিকা প্রদান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ও ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। সেটা দেশে আমাদের পক্ষ থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে। কিছু আমদানিও করা হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
জাতীয়
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি: উপপ্রেস সচিব

ট্রাম্প প্রশাসন আসার পর থেকেই শুল্ক আরোপের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ওপর যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তা নিয়ে শুরুতেই আপত্তি জানিয়েছে ইউনূস সরকার। শেষে সরকারের আপত্তিতে তা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই ট্রাম্প সরকারের সঙ্গে জোর আলোচনা চালিয়ে যায় অন্তর্বর্তী সরকার।
সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইউএস অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ।
শনিবার (২৮ জুন) প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনসিটিএডি) সাবেক বাণিজ্য নীতিবিষয়ক প্রধান ড. খলিলুর রহমানের বরাত দিয়ে উপপ্রেস সচিব বলেন, আমরা মার্কিন দলের সঙ্গে আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি করেছি। উভয় পক্ষই চুক্তিটি দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসনের বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতি ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। ঢালাওভাবে এই শুল্ক আরোপকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশসহ প্রায় ৬০টি দেশের ওপর নির্দিষ্ট হারে আরও বেশি ‘রেসিপ্রোকাল শুল্ক’ আরোপ করা হবে।
উল্লেখ্য, আগে বাংলাদেশি পণ্য গড়ে ১৫.৬২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মার্কিন বাজারে প্রবেশ করত।
কাফি
জাতীয়
এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে ‘কমপ্লিট শার্টডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। শনিবার(২৮ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সংস্থাটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
সকালে কর্মসুচি শুরুর আগে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ভেতরে প্রবেশ করলেও অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী বাইরে রয়েছেন। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকাসহ ঢাকার বাইরের কর অঞ্চলের কর্মীদের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
এনবিআরের বন্ধ গেটের সামনে কর্মীরা অবস্থান নিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন। ভেতরের র্যাব কোস্টগার্ড ও পুলিশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। গেটের সামনে জল কামানসহ পুলিশের কয়েকশ গাড়ির ভীতিকর অবস্থা পরিবেশের মধ্যেই এনবিআরের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান ও বক্তৃতা চলছে।
নেতারা বক্তব্যে বলেন, যেকোনো মূল্যে অংশগ্রহণমূলক সংস্কারবিরোধী ও সাবেক স্বৈরাচারের দোসর এনবিআরের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ নিশ্চিত করা হবে। তারপরই কাজে ফিরতে চাই।
শুক্রবার (২৭ জুন) এনবিআরের পক্ষ থেকে এনবিআরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতে বলেছিল। এ ধরনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল এনবিআরের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে এনবিআর সংস্কারে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে চেয়ারম্যানের দাবিতে ‘কমপ্লিট শার্টডাউন’ ও মাস্ট টু ইন্ডিয়ার কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। কর্মসূচি পালনে বিভিন্ন করনচলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করছে।