পুঁজিবাজার
বিএসইসি চেয়ারম্যান-কমিশনারদের পদত্যাগ চেয়ে আজ থেকে কর্মবিরতি

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে আগারগাঁও ভবনে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁরা।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রতিবাদে কর্মীরা চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভ করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
বুধবার মধ্যে কমিশন পদত্যাগ না করলে কাল বৃহস্পতিবার থেকে বিএসইসির সব শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করবেন বলে সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর আগে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনারদের পদত্যাগ দাবিতে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের পাহারায় বিএসইসির চেয়ারম্যান ও অন্য কমিশনাররা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে বিএসইসি ভবন ত্যাগ করেন। এ সময় তাঁদের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এক আদেশে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত জানান। বিএসইসিতে নতুন কর্তৃপক্ষ যোগ দেওয়ার পর সাইফুর রহমানকে ওএসডি করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমান কমিশন নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। এর মধ্যে বড় কারণ—কমিশনারদের খারাপ আচরণ, বিভিন্ন কম্পানির তদন্তের আলোকে কর্মকর্তাদের ধারাবাহিক শোকজ করা এবং নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পাঁচ দফা দাবি জানাই।
তবে তাঁরা দাবি মেনে নয়নি। বরং বুধবার সেনাবাহিনীকে ভুল তথ্য দিয়ে ডেকে এনে আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর লাঠিচার্জ করিয়েছেন।
বিএসইসির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এখানে (বিএসইসি) যোগ্য ও অভিজ্ঞ অভিভাবক বসানো হোক। যে অভিভাবক নিজেদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মান দিতে জানে না, তাদের সঙ্গে কিভাবে কাজ করা সম্ভব?
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
কর্মকর্তারা যার পদত্যাগ চান, তাকেই সমাধানের দায়িত্ব দিচ্ছে সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ওটা আমার কিছু করার নেই। বিএসইসির চেয়ারম্যান আছেন, উনি দেখবেন। ওনাকে সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তারনেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগ চেয়ে বুধবার বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং আজ বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, ওটা আমার কিছু করার নেই। ওটা উনি (বিএসইসি চেয়ারম্যান) দেখবেন। ওনাকে সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা দেখবে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ। আমার এ ব্যাপারে বক্তব্য নেই। চেয়ারম্যান আছেন একজন, উনি দেখবেন।
কর্মকর্তাদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টার অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, যার যেটা করার করুক। প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলবে তারাই জানে। অনেকেই তো কর্মবিরতি পালন করছে।
এদিকে, বিএসইসি চেয়ারম্যান সচিবালয় থেকে ফিরে সাংবাদিকদের বলেন, আজকে সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের বলেছেন, যে কাজটা করে যাচ্ছি, সেটা যেন করে যাই, আরও জোরদার করি।
বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপনাদের পদত্যাগ চায় এবং কর্মবিরতি পালন করছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা যে মিশন নিয়ে নেমেছি, সেই মিশন থেকে এক চুল পরিমাণ নড়বো না। কোনো ধরনের অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না। আমরা যে কাজ নিষ্ঠা ও নিয়মের সঙ্গে করে আসছি, সেটা করে যাব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে, এক চুল পরিমাণ নড়বো না: রাশেদ মাকসুদ

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা তাদের স্বপদে বহাল থাকতে চান।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নিরাপত্তা নিয়ে বিএসইসিতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রাশেদ মাকসুদ।
মাকসুদ বলেন, আজকে সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের বলেছেন, যে কাজটা করে যাচ্ছি, সেটা যেন করে যাই, আরও জোরদার করি।
বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপনাদের পদত্যাগ চায় এবং কর্মবিরতি পালন করছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা যে মিশন নিয়ে নেমেছি, সেই মিশন থেকে এক চুল পরিমাণ নড়বো না। কোন ধরনের অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না। আমরা যে কাজ নিষ্ঠা ও নিয়মের সঙ্গে করে আসছি, সেটা করে যাবো।
কর্মকর্তারা কাজ না করলে কি করবেন? এমন প্রশ্নে কমিশনার লালারুখ বলেন, আমরা আহ্বান জানাবো তাদের কাজে যোগদানের জন্য। তারপরেও যদি কাজে না আসেন এমন প্রশ্নে লালারুখ বলেন, সেটা দেখা যাবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লিন্ডে বাংলাদেশের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ১৩ মার্চ বিকেল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সভায় কোম্পানিটির গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে।
সভা শেষে হিসাববছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ আসতে পারে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এসিআই’য়ের এমডির শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা ২৫ লাখ শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করেছেন।
এরে আগে, ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আলহাজ টেক্সটাইলসের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১৬৯টি কোম্পানির। এর মধ্যে দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারদর আগেরর দিনের তুলনায় কমেছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এতে দর পতনের শীর্ষে ওঠেছে কোম্পানিটি।
দর পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা হামিদ ফেব্রিক্সের শেয়ার দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ।
এছাড়া, আজ ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- নর্দার্ন জুট, এইচ.আর টেক্সটাইল, এস.আলম কোল্ড রোল্ড, হাক্কানি পাল্প, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, রতনপুর স্টিল এবং ফারইস্ট ফাইন্যান্স।
এসএম