আন্তর্জাতিক
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচারে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (জিটিআই) আগের বছরে চেয়ে ২০২৫ সালে তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩২তম থাকলেও চলতি বছর তা ৩৫তম।
বুধবার (৪ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের (আইইপি) প্রকাশিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক-২০২৫-এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। ২০১২ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের প্রধান বৈশ্বিক প্রবণতা ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে স্কোর গণনায় পাঁচ বছরের সময়কাল ধরে প্রত্যেক বছর এই সূচক প্রকাশ করে আইইপি।
ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের ১২তম সংস্করণে বলা হয়েছে, ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক গড়ের তুলনায় ২০২৪ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কম প্রভাব দেখা গেছে।
জিটিআইয়ের ২০২৫ সালের সূচকে ৩ দশমিক ০৩ স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। শূন্য থেকে ১০ স্কোরের হিসেবে কোনও দেশ শূন্য পেলে সেই দেশে সন্ত্রাসবাদের প্রভাব নেই বলে ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া কোনও দেশ ১০ স্কোর পেলে সেই দেশে সন্ত্রাসবাদের সর্বাধিক প্রকোপ রয়েছে বিবেচনা করা হয়।
এ বছর বিশ্বের ১৬৩ দেশকে নিয়ে ১০০টি স্থান নির্ধারণ করেছে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস। বাংলাদেশ ৩ দশমিক ০৩ স্কোর পেয়ে সূচকে ৩৫তম অবস্থানে রয়েছে। গত বছর বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের এই সূচকে বাংলাদেশ ৩২তম অবস্থানে ছিল।
বিশ্বজুড়ে এক বছরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা, হামলায় নিহত অথবা আহত ও সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মির পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের এই সূচক তৈরি করে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস।
সিডনিভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান বলেছে, সন্ত্রাসবাদ এখনও বৈশ্বিক হুমকি হিসাবে রয়ে গেছে। বছরে অন্তত একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে এমন দেশের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ২০২৪ সালে ৫৮ থেকে বেড়ে ৬৬ হয়েছে।
সূচকে উন্নতি করা দেশের তুলনায় সন্ত্রাসবাদের অবনতি ঘটা দেশের সংখ্যা গত সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ৪৫টি দেশে সন্ত্রাসবাদের অবনতির বিপরীতে উন্নতি ঘটেছে মাত্র ৩৪টি দেশে।
আইইপি বলেছে, গত বছর বিশ্বে চারটি প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের সহিংসতা আরও তীব্র করে তুলেছে। এর ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রাণহানি বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ।
সূচকে হামলা ও প্রাণহানির হিসেবে এ বছর সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তকমা পেয়ে বুরকিনা ফাসো। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের কারণে যত সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, তার এক পঞ্চমাংশই বুরকিনা ফাসোতে। এরপরই রয়েছে পাকিস্তান ও সিরিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে সর্বোচ্চ গড় স্কোর পেয়েছে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল। গত এক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের শীর্ষ অঞ্চলের অবস্থান ধরে রেখেছে দক্ষিণ এশিয়া।
সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক সূচকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের খারাপ অবস্থানের পেছনে প্রাথমিকভাবে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাওয়াকে চিহ্নিত করেছে আইইপি। যদিও এক দশক আগের তুলনায় এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার উন্নতি ঘটেছে। কেবল পাকিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশই এই সূচকে উন্নতি করেছে।
আইইপি বলেছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হ্রাস পাওয়ার ফলে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের উন্নতি ঘটেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে জিটিআইয়ের সবচেয়ে খারাপ স্কোর আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের। বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির দশটি দেশের তালিকায় রয়েছে ওই দুই দেশ।
সূচকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে সন্ত্রাসবাদী দেশ পাকিস্তান। দেশটির স্কোর ৮ দশমিক ৩৭৪। একই সঙ্গে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পরই রয়েছে আফগানিস্তান; ৭ দশমিক ২৬২ স্কোর নিয়ে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে দ্বিতীয় রয়েছে দেশটি। এছাড়া ৬ দশমিক ৪১১ স্কোর নিয়ে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ১৪তম স্থানে আছে ভারত।
আইইপির সূচকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সাতটি দেশের মধ্যে কেবল ভুটান এবং শ্রীলঙ্কার জিটিআই স্কোর শূন্য। এর অর্থ গত পাঁচ বছরে দেশ দু’টিতে সন্ত্রাসী হামলার রেকর্ড নেই। এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদে তৃতীয় সর্বনিম্ন প্রভাবিত দেশ নেপাল। দেশটির স্কোর ১ দশমিক ১১৩। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে নেপালের অবস্থান ৬৮তম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ভারতে হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি আটক

ভারতের গুজরাটে এক হাজার জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগে রাজ্যের সুরাট ও আহমেদাবাদ থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভির নির্দেশে শুরু এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল অঞ্চলটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুজরাট পুলিশের নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) এবং স্থানীয় পুলিশ ইউনিটগুলোর সমন্বিত অভিযানে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোরবেলা সন্দেহভাজন এই অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আহমেদাবাদ থেকেই ৮৯০ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। অন্যদিকে সুরাটের অভিযানে আটক করা হয়েছে ১৩৪ জনকে।
কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আটকরা সবাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে অঞ্চলটিতে বসবাস করছিলেন তারা। বলা হচ্ছে, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।
গুজরাট পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (এসওজি) রাজদীপ সিং নাকুম বলেছেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং জাল কাগজপত্র নিয়ে বসবাস করছিলেন। তদন্ত শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
রাজ্য পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ শাখা) শরদ সিংহল বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ মহাপরিচালকের সরাসরি নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে, ২০২৪ সালের এপ্রিলের পর ১২৭ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৭৭ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি বলেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেছিলেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
গুজরাটে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাট থেকে এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই বাংলাদেশিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।
গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাল মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, ‘‘অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।’’
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ইরানের বন্দরনগরী বন্দর আব্বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা রাজধানী তেহরান থেকে ১ হাজারের বেশি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ১১৫ জন আহত হয়েছেন।
ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর। যা হোরমোজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালীর উত্তর দিকে অবস্থিত। যেখান দিয়ে পৃথিবীর মোট উৎপাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহণ করা হয়।
হোরমোজগান বন্দর ও সামুদ্রিক প্রশাসনের কর্মকর্তা ইসমাইল মালেকজাদেহ বলেছেন, “শনিবার (২৬ এপ্রিল) শহীদ রাজী বন্দরের ডকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আমরা আগুন নেভানোর কাজ করছি।”
হোরমোজগান প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার পরিচালক মেহেরদাদ হাসানজাদেহ সরকারি টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে ঠিক কতজন হতাহত হয়েছেন সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণ এলাকা থেকে কালো ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলি বের হচ্ছে। অন্যান্য ভিডিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ওই সময় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন বা গাড়ি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শহীদ রাজী বন্দর দিয়ে মূলত জাহাজে কনটেইনার ওঠানামা করা হয়। তবে সেখানে তেলের ট্যাংক এবং পেট্রলজাত রাসায়নিক পদার্থের অবকাঠামোও আছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কাশ্মীরে হামলার নিরপেক্ষ তদন্তে পাকিস্তান উন্মুক্ত: শাহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার যে কোনো নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্তের জন্য তার দেশ উন্মুক্ত।
আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে পাসিং আউট কুচকাওয়াজের ভাষণের তিনি এ কথা বলেন।
শাহবাজ বলেন, পহেলগামে সাম্প্রতিক ট্র্যাজেডি ভারতের চিরস্থায়ী দোষারোপের আরেকটি উদাহরণ। যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে পাকিস্তান তার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। পাকিস্তান যে কোনো নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত।
তিনি ভারতের সমালোচনা করে বলেন, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা যাচাইযোগ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং মিথ্যাচারের ওপর ভিত্তি করে শোষণের ধরন অব্যাহত রেখেছে ভারত। কিন্তু আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের বীর সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এবং প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঠিকই বলেছেন। জিন্নাহ বলেছেন, কাশ্মীর পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরা। দুর্ভাগ্যবশত, জাতিসংঘের একাধিক প্রস্তাব সত্ত্বেও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এই বিরোধ অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কোনো সন্দেহ নেই। পাকিস্তান কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে যাবে; যতক্ষণ না তারা তাদের মহান সংগ্রাম এবং ত্যাগের মাধ্যমে তাদের অধিকার অর্জন করতে পারে।
এদিকে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেছেন, ‘সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।’
সিন্ধু নদী ডাকাতির চেষ্টা করছে ভারত- এমন মন্তব্য করে বিলাওয়াল বলেন, সিন্ধু সভ্যতার প্রকৃত উত্তরাধিকারীরা পাকিস্তানে বাস করেন। সিন্ধু সভ্যতার বৈধ উত্তরাধিকারী হিসেবে পাকিস্তান কখনই নদীর ওপর তার দাবি ত্যাগ করবে না।
নয়াদিল্লি যখন ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে এবং ইসলামাবাদের দোরগোড়ায় যুদ্ধের ঢোল বাজাচ্ছে তখন শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তান পিপলস পার্টি ওই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ থেকে ভারতকে কঠোর বার্তা এবং দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারত।
এর আগে ভারতের পহেলগামে হামলার ঘটনার পর পাকিস্তান ঘোষণা দেয়, তারা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে। এ নিয়ে করাচি উপকূলের কাছে নিজেদের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে’ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানি নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৪ -২৬ এপ্রিলের মধ্যে এই মিসাইল পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ ঘিরে ভারতের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এদিকে পাল্টা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভারতও সামরিক তৎপরতা জোরদার করেছে। গতকাল মিসাইল ধ্বংসের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। নিজেদের প্রযুক্তিতে তৈরি আইএনএস সুরাত থেকে এক নিম্ন-উড্ডয়ন মিসাইল সফলভাবে ধ্বংস করা হয়। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, এতে তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
এই সামরিক পাল্টাপাল্টির মধ্যে ভাষার লড়াইও থেমে নেই। ভারতের সিদ্ধান্তকে ‘শিশুসুলভ’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে যোগ্য জবাব দেব। এই জবাব কম হবে না।’
সাম্প্রতিক উত্তেজনায় দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতোমধ্যে হিমশীতল হয়ে পড়েছে। একে অপরের কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে দুই দেশ। বন্ধ হয়েছে আকাশসীমাও। এখন সামরিক শক্তি প্রদর্শনের পালা শুরু হয়েছে সমুদ্র ও আকাশপথে।
চলমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের।