জাতীয়
নতুন কর্মসংস্থান কমেছে, মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ তা কিন্তু নয়। তবে নতুন কর্মসংস্থান কম হচ্ছে। এজন্য কিছু লোকের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা স্বীকার করছি।
আজ বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন কর্মসংস্থান কম হচ্ছে। সেটা আমরা একনেকে বলেছি। আর ব্যবসা-বাণিজ্য আমরা চেষ্টা করছি। কারণ ব্যবসা-বাণিজ্য সব থেকে বেশি। সম্প্রতি এসএমই সেক্টরের ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে বলা হয়েছে। তবে কিছু লোকের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা স্বীকার করছি। তবে মূল্যবৃদ্ধির তুলনায় আয়ের বিষয়টি বড়।
বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। গত বছরের তুলনায় পণ্যের দাম এখন অনেক কম।
গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গার্মেন্টসে আমরা ক্যাশ ইনসেনটিভ দিচ্ছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টের দোষ আছে, কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্টের ডিমান্ড তেমন নেই। সেটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
গত সরকারের আমলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বেক্সিমকোটা একটি ইউনিক চ্যালেঞ্জ। তাদের দোষে, করাপশনের দোষ এবং ম্যানেজমেন্টের দোষ রয়েছে। প্রাইভেট লাইব্রেরিটি সরকারের গড়ে দেওয়া ঠিক নয়। সরকারের টাকা মানে তো জনগণের টাকা। সেটি তো অন্য কাজে ব্যয় করতে হয় আমাদের। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক বিষয় আছে। তাদের প্রতি আমাদের নজর আছে। আমরা চেষ্টা করছি। বিডার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এক্সপোর্ট প্রসেসিংজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি রিলোকেট করা যায়।
ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় প্রকল্পগুলো নিয়ে সরকারের অবস্থান কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলওসি নিয়ে কথা হয়েছে। এলওসি পার্টিকুলার দেশে আসে। দেরি হওয়া মানে আমরা প্রজেক্টটা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করি, অনেকে বলে বন্ধ। না, সেটা সম্ভব নয়। একটা প্রজেক্ট হয়েছে, সেটি যে সরকারই করুক এবং ভারত সাহায্য দিচ্ছে, এগুলো প্রয়োজনীয়। অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, কয়েকটাতে প্রগ্রেস জিরো থেকে ওয়ান, টু আমরা দেখব। কিন্তু আপাতত জেনারেলি বন্ধ করার বিষয় নেই। এখানে অর্থনৈতিক দিক ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক একটা বিষয় আছে। একটা দেশের সঙ্গে যখন দ্বিপাক্ষিক বিষয় থাকে তখন ওই দেশের প্রাইভেট সেক্টর, হোক সরকারী সেক্টর, আমরা সাহায্য-সহযোগিতার জন্য অর্থনীতি দেখি না। অর্থনীতির জন্য একটা প্রকল্প নেয়া হয়, কিন্তু ক্যান্সেল করা খুবই সেনসেটিভ ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমি যথেষ্ট যত্নবান। চট করে ক্যান্সেল করে দেব না। চট করে আমরা কিছু নিচ্ছিও না।
এলএনজি সংকট নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এলএনজি সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। দুইটা লটে আজ আমরা এলএনজি আমদানি করতে বলেছি। কন্টিনিউয়াসলি আমরা বলছি, কষ্ট বেশি হোক বা না হোক, আমরা এনসিওর করব সাপ্লাইটা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
চেক জালিয়াতির মামলায় মাহমুদুল ইসলাম গ্রেফতার

বাংলাদেশ ফাইন্যান্স কর্তৃক দায়েরকৃত চেক প্রতারণার মামলায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারায় তার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মাহমুদুল ইসলামের কাছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের পাওনা প্রায় ৩২ কোটি টাকা যার পুরোটাই খেলাপী। তিনি একাধিক চেক প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন।
মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী একজন স্বীকৃত ঋণ খেলাপি, যার বিরুদ্ধে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্স তার বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা করার পাশাপাশি ঋণখেলাপির অভিযোগে পৃথক মামলাও দায়ের করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করে এবং আজ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মাহমুদুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলার রাজনীতিবিদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সব সময় বাহিনী দিয়ে ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাহিনী দিয়ে সব সময় মব নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, পুলিশের ওপরও হামলা হচ্ছে।
ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে ‘মব ভায়োলেন্স’ এর ঘটনা ঘটছে। পুলিশ, বিদেশিরাও এই ধরনের সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন, বাসাবাড়িতে লোকজন ঢুকে তছনছ করছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব সন্ত্রাসীরা নিজেদের ‘তৌহিদী জনতা’ পরিচয় দিচ্ছেন। এসব ঘটনা গত ছয় মাসেও নিয়ন্ত্রণে করা যায়নি।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটার ক্ষেত্রে আমি আপনার সাথে দ্বিমত করব না। এটা তো আমাদের হচ্ছেই। বাট, এটা আমরা যেগুলো হচ্ছে সাথে সাথেই আমরা কিন্তু তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনি দেখবেন পুলিশের উপরেও আক্রমণ হচ্ছে। এসবের ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণ এতো উচ্ছৃংখল হয়ে গেলে কিন্তু অনেক সমস্যা হয়। বাহিনী দিয়ে তো সবসময় কন্ট্রোল করা যায় না। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এক সাংবাদিক জানতে চান ‘ছাত্র-জনতা’ চাইলে কোথাও কোনো অভিযান চালাতে পারে কি না। জবাবে তিনি বলেন, “এটার ক্ষেত্রে কারো কোন অধিকার নেই, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো অভিযান চালানোর সুযোগ নেই।”
ট্যুরিস্ট পুলিশের জনবলের অনেক ঘাটতি রয়েছে তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এদের নিজস্ব কোন ভবন নেই। যানবাহনের অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশ অ্যাকটিভ হলে বিদেশি ট্যুরিস্টরা দেশে আসবে এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে।
হাইওয়েতে গাছ ফেলে ডাকাতি হচ্ছে এ ব্যাপারে করণীয় বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাঙ্গাইল রাজশাহী রুটে এসব হচ্ছে বেশি, তবে ভবিষ্যতে যেন না হয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি এসব ডাকাতি রোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি ছিনতাই রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ৮ জন

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আটজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সরকারের সংশ্লিষ্ট এক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিগগির স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী (মরণোত্তর), কবি আল মাহমুদ (মরণোত্তর), ভাস্কর নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), পপসম্রাট আজম খান (মরণোত্তর), লেখক গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর) এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম সোনার পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
গত বছর (২০২৪) ১০ জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
গত ২ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এবার আমরা একুশে পদক যেভাবে দিয়েছি, আমরা একবারই সম্ভবত এ পুরস্কারগুলো দিতে পারবো। কিন্তু দেখেই যেন মনে হয় এ পুরস্কারগুলো অনন্যধর্মী, অন্য বছর এ ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয় না। পরেও দেওয়া হবে কি না আমি জানি না।’
কমিটির সদস্য ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘এ পুরস্কারের (স্বাধীনতা পুরস্কার) মহিমা উপলব্ধি করে দল ও গোষ্ঠীগত চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে স্যারের (ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) নেতৃত্বে আমরা এমন সব নাম সুপারিশ করেছি, আপনারা একুশে পদক দেখে খুশি হয়েছিলেন এ পুরস্কার দেখে আরও খুশি হবেন। মনে হবে পুরস্কার দিতে পেরে আমরা নিজেরা ধন্য হচ্ছি।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সংস্কার চাইলে জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সংস্কার চাইলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে, আর যদি কম সংস্কার চায় তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাবেক দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মিলাম ও ড্যানিলোভিচ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক ইউনূস কূটনীতিকদের বলেন, সংস্কারের বিষয়ে সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। জুলাই সনদ আমাদের পথ দেখাবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদে প্রদত্ত সুপারিশের কিছু অংশ বাস্তবায়ন করবে এবং বাকিগুলো রাজনৈতিক সরকারগুলো বাস্তবায়ন করবে।
দুই প্রাক্তন কূটনীতিক প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাধীনতা অধিকারের কাজ এবং দেশকে গণতান্ত্রিক উত্তরণে সহায়তা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এর কাজ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় ড. ইউনূস অলাভজনক গোষ্ঠীর কাজ এবং বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমর্থন করার জন্য দুই কূটনীতিকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত মিলাম ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশে ব্যাপক সংস্কার বাস্তবায়ন এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বড় সুযোগ এনে দিয়েছে।
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিচ বলেন, ভুয়া সংবাদ এবং বিভ্রান্তির হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ইতিবাচক বক্তব্য এবং গুরুতর প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তারা বর্তমান বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট এবং বহুল নির্যাতিত মিয়ানমার শরণার্থীদের জন্য সাহায্য হ্রাসের প্রভাব, পূর্ববর্তী শাসনামলে চুরি হওয়া কোটি কোটি ডলার পুনরুদ্ধার, সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রচেষ্টা এবং আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়েও আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মিলাম যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অলাভজনক মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের সভাপতি ও নির্বাহী পরিচালক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পদোন্নতিতে এএসপি হলেন পুলিশের ১৫ পরিদর্শক

বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ১৫ পুলিশ পরিদর্শক। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতির কথা জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন দুটিতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব মো. মাহাবুবুর রহমান।
একটি প্রজ্ঞাপনে ১৪ জনের নাম রয়েছে এবং আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ভূতাপেক্ষভাবে একজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
বিসিএসের মর্যাদা পাওয়া ১৫ পরিদর্শক হলেন- আরএমপির পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এসএম ফারুক হোসেন, ডিএমপির ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আলী আহমেদ মাসুদ, ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. সালাহ উদ্দিন আরশেদ, সিআইডির পরিদর্শক (নিরস্ত্র) একেএম মামুনুর রশীদ, মানিকগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. রবিউল ইসলাম, রাজশাহীর ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. খালেদ হোসেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কাজী মিজানুর রহমান, এসবি ঢাকার পরিদর্শক (নিরস্ত্র), মো. ইউসুফ খান, এপিবিএনের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আব্দুল বাতেন খান, সিরাজগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জুলফিকার মো. আসাদুজ্জামান, ঝালকাঠির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. জাকির হোসেন, এসবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. গিয়াস উদ্দিন, এসবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আব্দুল কাদের ও কুষ্টিয়ার মোহা. আব্দুর রব।