অর্থনীতি
তেল, আটা-ময়দা, গ্যাসসহ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিলো এনবিআর

হঠাৎ বেশ কিছু পণ্যের ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ তালিকায় থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে আছে বিস্কুট, লবণ, শর্ষে তেল, আটা, ময়দা, এলপি গ্যাস ইত্যাদি। কিছু পণ্যে উৎপাদন পর্যায়ে এবং কিছু পণ্যে ব্যবসায়ী পর্যায়ে এ ছাড় দেওয়া হয়।
আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে। শর্ষে তেলের উৎপাদন পর্যায়েও ভ্যাট অব্যাহতি থাকবে, যার কোনো সময়সীমা নেই।
এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্যের ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেল, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল, কেনোলা অয়েল, ডাল বা ডাল–জাতীয় খাদ্যশস্য।
শর্ত সাপেক্ষে এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসেও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। যাঁরা নিজেরা আমদানি করে নিজেরাই ভোক্তার কাছে বিক্রি করেন, তাঁরা ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।
এসব পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পেতে কিছু বিধিবিধান মানতে হবে। যেমন ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ, মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ইত্যাদি করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
ভারত থেকে এলো আমদানির ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল

আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা ৬ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চালবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আজ শনিবার (৮ মার্চ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি করা ৬ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল নিয়ে এমভি পিএইচইউ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।
জাহাজে রক্ষিত চালের নমুনা পরীক্ষা শেষে আজই খালাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কিছুটা কেটেছে ভোজ্যতেলের সংকট, বেড়েছে শসা, লেবু-মাংসের দাম

পবিত্র রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিয়ে গলা ভেজাতে চান। বাজারে তাই লেবুর চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। শসা, লেবুর দামও ঊর্ধ্বমুখী। দেশি মুরগির দাম ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০০ টাকা। বাজারভেদে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা। তবে বাড়েনি আলু ও পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (৭ মার্চ) ছুটির দিনে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দ্রব্যমূল্যের এমন চিত্র পাওয়া যায়।
দেখা গেছে সরকার খেজুর, ভোজ্যতেলসহ কিছু পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে। তবে পুরোপুরি সংকট না কাটলেও আগের তুলনায় কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের বাজার। অধিকাংশ দোকানেই এখন কম-বেশি বিভিন্ন কোম্পানির সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমান হয়নি সয়াবিনের ৫ লিটারের বোতল। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। রোজার আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ১৯০-২০০ টাকা ছিল। একইভাবে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৩০-৩৫০ টাকা হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, রোজাতে বেশি সংখ্যায় ক্রেতারা মুরগি কেনেন, এ কারণে দাম বাড়ার প্রবণতা রয়েছে।
মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম সপ্তাহখানেক আগে কিছুটা কম ছিল। আর কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। গতকাল এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ছাগলের মাংস বিক্রি হয়েছে ১০৫০-১১০০ টাকায়। অন্যদিকে চাষের চিংড়ি, কই, শিং, তেলাপিয়া, রুই ও পাঙাশ মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। বাজারে আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। যেমন প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেখা গেছে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে সাধারণ মানের লেবুর হালি ছিল ২০-৪০ টাকা, যা গতকাল ৪০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর বড় লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার আশপাশে। অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা, হাইব্রিড শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে বেগুন ও শসার দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল। তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম। এ বছর রমজানের আগে সরকার খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমিয়েছে; যার ফলে আমদানি বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, কম শুল্ক ও সরবরাহ বেশি থাকায় গত এক মাসের মধ্যে মানভেদে খেজুরের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে।
এক মাস আগের তুলনায় ছোলার দামও কেজিতে ১৫ টাকার মতো কমে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি চিড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আখের গুড় ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, খেজুরের গুড় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও মুড়ি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা বাজারে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লেবুর এত বেশি দাম-খাব না। বেগুনেরও মৌসুম। কয়েক দিন ধরেই টানা দাম বাড়ছে। যেন দেখার কেউ নেই। তবে আগের মতোই কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০, দেশি আদা ১৩০ থেকে ১৬০, আমদানি করা আদা ২২০, দেশি রসুন ১৬০, আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সেবা-কৃষি খাতে মজুরি কমেছে

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। তবে এই সময়ে মজুরি হার হয়েছে ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। যা গত মাসে ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। ফলে ব্যয়ের থেকে আয় কমেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ফেব্রুয়ারি মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে মজুরি সূচক না বাড়লে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিখাতে মজুরি হার কমে ৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ হয়েছে, গত মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। একইভাবে ফেব্রুয়ারি মাসে সেবাখাতে মজুরি সূচক কমে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ হয়েছে, গত মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে শিল্পখাতে ফেব্রুয়ারি মাসে মজুরি সূচক ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ হয়েছে, যা গত মাসে একই ছিল।
অন্যদিকে শহরের থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতির ঝাঁজ বেশি, যা ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। অথচ শহরে সাধারণ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তবে গ্রাম ও শহরে গত মাসের থেকে মূল্যস্ফীতি কমেছে। শহরে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ, অন্যদিকে গ্রামে ছিল ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এছাড়া আগের বছরের (২০২৪ সালের) ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
পাশাপাশি খাদ্য খাতে ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা জানুয়ারি মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। এ মাসে সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধসহ নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি মিলেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ফেব্রুয়ারি মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে খাদ্য-বহির্ভূত খাতে ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে আলু, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি ও মসলার দাম কমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিসিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন মামুনুর রশীদ

বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) ২০২৫ ও ২০২৬ দ্বি-বার্ষিক মেয়াদের নির্বাচনে মো. মামুনুর রশীদ (এফসিএমএ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
বর্তমানে মামুন এক্স-ইনডেক্স কোম্পানীজের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি আইসিএমএবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
সোমবার (৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ১২ সদস্য বিশিষ্ট নবনির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পর্ষদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য মোরশেদ আলম ও ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।