জাতীয়
নারী-পুরুষ সবার জন্যই প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) নারী-পুরুষ সবাইকে প্রকাশ্যে ধূমপান না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নারী-পুরুষ সবার জন্যেই প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ। এটি একটি অপরাধ।
রবিবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট’ পুলিশ লাইন্সের বিভিন্ন মেসের ক্যান্টিন ও রান্নাঘর ঘুরে দেখেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে খাবারের মান নিয়ে কথা বলেন।
মোহাম্মদপুরে দুই নারীর ওপর হামলার ঘটনা ও দেশজুড়ে চলা মবের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দুই নারীর ওপর হামলার ঘটনায় আমি যতটুকু জেনেছি তারা দুজনে সিগারেট খাচ্ছিলেন। স্থানীয় কিছু লোক নামাজে যাওয়ার সময়ে তাদের বাধা দেন। তাদের ওপর চা ছুড়ে মারা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন নারী-পুরুষ সবার জন্যেই প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ। এটা কিন্তু অপরাধ। এটা সবাই মেনে চলবেন। সবাইকে অনুরোধ করব বাইরে যেন কেউ সিগারেট খাবেন না। এখন রোজায় সবাইকে সংযমী হতে হবে। আমাদের ধর্ম উপদেষ্টা সবাইকে অনুরোধ করেছেন কেউ যেন বাইরে খাবার না খান। এটা রোজাদারদের জন্য সম্মান দেখানো।
আরেক প্রশ্নে ব্যবসায়ীদের জিনিসপত্রের দাম না বাড়ানোর অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে অনুরোধ করব, যেন জিনিসপত্রের দাম না বাড়ায়। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়। আমাদের দেশে উল্টো সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, জনপরিসরে ধূমপান রোধে ২০০৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ করা হয়। পরবর্তীকালে আইনটিতে কিছু সংশোধন আনা হয়। এ আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষেধ। কেউ এই আইনের লঙ্ঘন করলে ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড হবে। আর দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে দ্বিগুণ অর্থদণ্ড হবে।
এই আইনের ২ এর ‘চ’ ধারায় ‘পাবলিক প্লেস’ বলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও বেসরকারি অফিস, গ্রন্থাগার, লিফট, আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্র হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, আদালত ভবন, বিমানবন্দর ভবন, সমুদ্রবন্দর ভবন, নৌ-বন্দর ভবন, রেলওয়ে স্টেশন ভবন, বাস টার্নিমাল ভবন, প্রেক্ষাগৃহ, প্রদর্শনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপণী ভবন, চতুর্দিকে দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ রেস্টুরেন্ট, পাবলিক টয়লেট, শিশুপার্ক, মেলা বা পাবলিক পরিবহনে আরোহণের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সারি, জনসাধারণ কর্তৃক সম্মিলিতভাবে ব্যবহার্য অন্য কোনো স্থান অথবা সরকার বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, সময় সময় ঘোষিত অন্য যেকোনো বা সব স্থান বোঝানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশের হটলাইন চালু

নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি আক্রমণাত্মক ভঙ্গি, কটূক্তি, ইভটিজিং, হেনস্থা, যৌন হয়রানি বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হটলাইন সেবা চালু করেছে। দেশের যে কোনো স্থানে এরূপ ঘটনা ঘটলে এ হটলাইন নম্বরে অভিযোগ দেওয়া যাবে।
সোমবার (১০ মার্চ) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এ হটলাইন সেবা চালু করেছে। এর আগে রোববার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল হটলাইন চালুর বিষয়টি জানান।
হটলাইন নম্বরসমূহ হলো :
০১৩২০০০২০০১
০১৩২০০০২০০২
০১৩২০০০২২২২
ফোন নম্বরগুলো দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে।
এছাড়া সাইবার অপরাধের শিকার নারীদের আইনি সেবা ও সুরক্ষা প্রদানে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন ফেসবুক পেজ পূর্বের মতোই চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমনের পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টাকে সহায়তা করতে তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করে সোমবার (১০ মার্চ) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এতে বলা হয়, ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। উপদেষ্টাকে সহায়তা করতে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হলো।
বিশেষ সহকারী পদে থাকাকালে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারক, যিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের আর্থিক খাত ও নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নীতি বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করেছেন। তার গবেষণা ও বিশ্লেষণ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নিয়োগের মাধ্যমে সরকারের নীতিনির্ধারণী কর্মকাণ্ড আরও সুসংগঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আনিসুজ্জামান চৌধুরী বর্তমানে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড সাইকোলজি এবং অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স অ্যাকাডেমি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুল অব বিজনেসে একযোগে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিউইয়র্ক ও ব্যাংককে জাতিসংঘের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে, তিনি ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইংল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া) এবং ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা (কানাডা)-তেও অধ্যাপনা করেছেন।
তিনি জার্নাল অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমি’র প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (১৯৯৫-২০০৮) ছিলেন এবং বর্তমানে এর সম্পাদকীয় পরিষদের সহসম্পাদক হিসেবে যুক্ত আছেন। এ ছাড়া তিনি ইকোনোমিক অ্যান্ড লেবার রিলেশনস রিভিউয়ের সম্পাদকীয় পরিষদেরও আছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় ৪৬ মিনিটে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার (১০ মার্চ) ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই। পরে ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ৯টা ৩৬ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ৯টা ৪৬ মিনিটে আগুন পুরাপুরি নির্বাপণ সম্ভব হয়।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ৪ তলা ভবনের নিচ তলায় জেনারেটর রুমে আগুনের ঘটনা ঘটে জানিয়ে তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করা গেলেও ৫ লাখ টাকার সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়।
হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার (১০ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। আমিনুল ইসলাম নিজেই গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পদত্যাগ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বারবার বলা হচ্ছিল। তাই আজ দুপুর ২টার দিকে আমার পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সচিবের কাছে পাঠিয়েছি।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে তাকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তিনি ২০০২ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০০৬ সালের ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি জানুয়ারি ২০১৮ থেকে আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে টিএমএসএসের অ্যাডভাইজার এবং ২০২১ সাল থেকে টিএমএসএস ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার বাস্তবায়নের স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাচার করা টাকা ফেরাতে দ্রুত বিশেষ আইন করা হবে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায় সেটা ত্বরান্বিত করার জন্য একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আপনারা এই আইনটা দেখবেন।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, পাচার করা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রথম থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার তৎপর ছিল। প্রফেসর ইউনূস প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে, এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। আমাদের টপ প্রায়োরিটির ভেতরে এটা থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফোকাস ছিল, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর।
শফিকুল আলম বলেন, টাকাটা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগোল, সেটার ওপর আজ একটা বড় মিটিং হয়। মিটিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। সেই মিটিংয়ে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রচুর ল ফার্মের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্ট করতে এ আইনটা সাহায্য করবে। ২০০টা ল ফার্মের সঙ্গে আমরা অলরেডি কথা বলেছি। তবে এখনো সিলেকশন হয়নি। একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলেকশন হবে। ৩০টার মতো ল ফার্মের সঙ্গে অ্যাগ্রিমেন্টে যাব। সেটা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এগুলো বাংলাদেশের টাকা, যত দ্রুত সম্ভব টাকা ফেরত আনা যায়। এটার বিষয়ে প্রতি মাসে হাই পাওয়ার মিটিং হবে। ঈদের পর আরেকটা মিটিং তিনি ডেকেছেন। এখন থেকে এ বিষয়ে প্রতি মাসে মিটিং করা হবে, বলেন প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। সেটা কতটুকু হয়েছে? আমরা যতটুকু জেনেছি, এটা আরও ডিটেইলসে জানার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন।
বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যানের জানিয়েছেন, অনেক ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়তে যায়। একটা কেসে দেখা গেছে, ছেলের টিউশন ফি হিসেবে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। মানি লন্ডারিংটা কীভাবে হয়েছে দেখেন।