রাজনীতি
বিশ্বের সঙ্গে রোজা-ঈদ পালনের চিন্তা করার অনুরোধ তারেক রহমানের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিজ্ঞানের এই যুগে সারা বিশ্বের মানুষদের সঙ্গে এক সঙ্গে রোজা ও ঈদ পালন করা যায় কিনা, এ বিষয়ে দেশের ওলামা মাশায়েখদের চিন্তা করার অনুরোধ করছি।
রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে ওলামা মশায়েখ ও এতিমদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। এতে ফার্মগেট ইসলামি মিশন মাদ্রাসা ও শান্তিনগর বাজার জাতীয় মুসলিম মাদ্রাসার প্রায় ৭০-৮০ জন শিশু এতিম ও ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, রমজান আমাদেরকে শেখায় সংযম হতে। কীভাবে ধৈর্যশীল হতে হবে। কীভাবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। একই সঙ্গে আল্লাহর যা যা সৃষ্টি আছে, সব কিছুর পাশে আমাদেরকে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। আল্লাহর সৃষ্টিকে যত্ন নেওয়া রমজান আমাদের শিক্ষা দেয়।
তিনি বলেন, একজন মুসলমান হিসেবে একটি প্রশ্নই আমার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায় সারা বিশ্বে তাদের বড়দিন একই দিনে এক সঙ্গে পালন করে। এখানে উপস্থিত ওলামা-মাশায়েখগণকে অনুরোধ করবো, সারা দেশে আরও ওলামা শায়েখদের যারা আছেন, সবাই মিলে চিন্তা করে দেখতে পারি কিনা, যে বাংলাদেশের মানুষ সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা এবং ঈদ পালন করতে পারি কিনা। বিজ্ঞানের যুগে এটি করা সম্ভব কিনা, কোনো উপায় বের করা যায় কিনা, এই বিষয়টি আপনাদের চিন্তা করার জন্য অনুরোধ করব।
তারেক রহমান বলেন, একটি আয়াত শুনছিলাম যেখানে বলা হচ্ছে আমাদের আশেপাশে আত্মীয়-স্বজন সহকর্মী যারা আছে, তাদেরকে সৎ কাজে উৎসাহিত করা, অসৎ কাজে নিরুৎসাহিত করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে যতটুকুর সম্ভব, এটি করা যদি সম্ভব হয়, তাহলে আমাদের যে প্রত্যাশিত সমাজ-দেশ তা ধীরে-ধীরে আমরা গড়ে তুলতে সমর্থ হবে। আসুন রমজানের প্রথম দিনে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে নিজেদের বাবা-মা, এখানে যে এতিম বন্ধুরা এসেছেন, যারা তাদের আপনজন হারিয়েছেন, তাদের জন্য হাত তুলে আমরা দোয়া করি। আল্লাহর দরবারে আমরা দোয়া চাই। আমাদের প্রথম এবং শেষ ঠিকানা, আমাদের এই মাতৃভূমির প্রতি আল্লাহ যেন রহমত দেন। আমাদের এই দেশের প্রতিটি মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাই।
একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির সঙ্গে দেশের ভেতরে এবং বাইরে থেকে কিছু লোক ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে বিভেদ সৃষ্টি চেষ্টা করছে। এই বিভেদ দিয়ে শুধু বিএনপিকে ধ্বংস নয়, একটি ফাটল সৃষ্টি করে এবং দেশকে ধ্বংস করবে। যার সুযোগ নিবে বিদেশি অপশক্তি।
তিনি বলেন, সেকেন্ডে রিপাবলিক কি, আমি বুঝি নাই। অর্থাৎ একটা উছিলা করে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আপনাদের মতো দেখতে (ওলামাদের মত) কিছু লোক আগুনে বাতাস দিতে চেষ্টা করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দোয়া চাইলেন শাজাহান খান

কারাজীবন থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং আগামী নির্বাচনে কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন এজন্য দোয়া চেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। কারাগারে থেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছেন বলেও মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক এই প্রভাবশালী মন্ত্রী।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীক যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির আগে আদালতে তোলার আগে একথা বলেন তিনি।
এদিন সকাল ১০টা ৬ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় আনিসুল হক, শাহজাহান খান, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম, সোলায়মান সেলিমসহ অন্য আসামিদের। এসময় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও পিছনে হাত রেখে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে বের করা হয় তাদের।
এসময় শাজাহান খানের কাছে কেমন আছেন জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে তিনি বলেন, আছি তোমাদের দোয়ায়। দোয়া করবা আমার জন্য।
তখন ওই সাংবাদিক বলেন, কী দোয়া করবো?
উত্তরে শাজাহান খান বলেন, দোয়া করবা যেন তাড়াতাড়ি মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কিভাবে ফিরিয়ে আনা এবং আগামী নির্বাচনে কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারি.. এ সমস্ত বিষয়ে দোয়া করবা। তখন ওই সাংবাদিক আবার বলেন, সবাই বলছে আপনারা দেশের বারোটা বাজিয়েছেন। তখন শাহজাহান খান বলেন, আমরা বারোটা বাজিয়েছি না কারা বারোটা বাজিয়েছে এটা সামনে প্রমাণিত হবে।
পরে তাদের কাঠগড়ায় ওঠানো হয়। এসময় তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ, মাথার হেলমেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর ১০টা ১৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠলে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। পরে আদালত এক এক করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর তাদের আদালত থেকে নামিয়ে সিএমএম আদালতের হাজতখানার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। এসময় আরেক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, আপনি এত হাসেন কেন। তখন শাহজাহান খান বলেন, আমি সবসময় হাসি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাসতে থাকবো। কারাগারে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে বলেন, খুব ভালো আছি। কারাগারে থেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি। এরপর তাকে এজলাস থেকে অন্যান্য আসামির সাথে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে: ড. হেলাল উদ্দিন

ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব না পেয়েও জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণে কাজ করছে। অথচ জনগণের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করার বিধান। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে।
মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল পূর্ব থানা জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক সেহরি ও ইফতার ফুড প্যাকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি, ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণকে আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
মতিঝিল পূর্ব থানা আমীর নূর উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী খলিলুর রহমানের পরিচালনায় উপহার সামগ্রী বিতরণকালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহাপুর পূর্ব থানা আমীর মাওলানা শরীফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেট থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সাহরী ও ইফতার সামগ্রীর ফুড প্যাকেজ উপহার প্রদান পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে দরিদ্র রোজাদারসহ দেশবাসীর সেবায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান নিজেও মানবতার সেবায় দেশের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন। তিনি জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কষাঘাতে রোজাদারসহ দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে রমাদানে নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নিউমার্কেট থানা আমীর মাওলানা মহিব্বুল হক ফরিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও জোন পরিচালক অধ্যাপক নূরনবী মানিক, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও জোন সহকারী পরিচালক শেখ শরীফ উদ্দিন আহমদ সহ ওয়ার্ড দায়িত্বশীলবৃন্দ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জামায়াত নেতা নয়, নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়: শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামী নেতা নয়, নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। ক্ষমতা নয়, দুনিয়ায় আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে জামায়াত জোরালোভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর শ্যামলীতে বাদশাহ ফয়সল ইনস্টিটিউটে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মেডিকেল থানা আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জনের জন্য আল্লাহ আমাদের ওপর সিয়ামকে অত্যাবশ্যকীয় বা ফরজ করে দিয়েছেন; তাই এ মোবারক মাসে যথাযথভাবে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করতে হবে।
জাকাতভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, শাড়ি, লুঙ্গি বা খাদ্যদ্রব্য নয় বরং এমনভাবে জাকাত দেওয়া উচিত যাতে একজন ব্যক্তি স্বাবলম্বী ও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ইসলামী রাষ্ট্র না হওয়ায় সরকারি জাকাত ব্যবস্থাপনায় জনগণের আস্থা নেই তাই মানুষ সরকারকে জাকাত দিতে চায় না।
জামায়াতে ইসলামী নেতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় না, আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে চায় মন্তব্য করে আমিরে জামায়াত বলেন, জামায়াত নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, আল্লাহর কোরআন বিজয় করতে চায়। তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ময়দানে কাজ করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ.লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না: সারজিস

আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারত শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো মানুষ, কোনো রাজনৈতিক দল ভুল করেও যেন নির্বাচনের কথা না বলে।
তিনি আরও বলেন, খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে হবে। সে বিচারের মঞ্চে দাঁড়াবে, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াবে। যে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো হত্যা করা হলো সেই খুনের বিচার না দেখা পর্যন্ত কীভাবে এ দেশের মানুষ ভিন্ন কিছু চিন্তা করে?
তিনি বলেন, যতদিন না আমরা খুনি হাসিনাকে ওই ফাঁসির মঞ্চে না দেখছি, এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা রাজপথে ছিলাম। আমার যে ভাইয়েরা রাজপথে জীবন দিয়েছে, আমাদের যে মায়েদের চোখ দিয়ে এখনও কান্না ঝরছে, পানি পড়ছে আমরা যেন মরার আগে অন্তত খুনি হাসিনার বিচারটা দেখে মরতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ করতে পারি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মায়েদের পাশে থাকার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে এনসিপির কার্যক্রম শুরু

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্যক্রম শুরু করলো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দলটির নেতাকর্মীরা।
এরপর সকাল ১০টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের শহীদদের জন্য দোয়া মোনাজাতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের। পরে দুপুর ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সব কর্মসূচিতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিশাল সমাবেশের মধ্যদিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। এরপর ২১৭ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
চারটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে সাংগঠনিক পরিধি বিস্তৃতি ঘটানো হবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির একাধিক নেতা।