ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫১৮

দেশের ৯টি সরকারি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫১৮ জন।
রোববার (২ মার্চ) দুপুরের পর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এবারের ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় মেধায় শীর্ষ তিনজনই মেয়ে। এর মধ্যে প্রথম হয়েছেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী সুবর্ণা বড়ুয়া, দ্বিতীয় হয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী মাহবুবা খান এবং তৃতীয় হয়েছেন হলিক্রস কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী শ্রেয়া ঘোষ।
সরকারি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন ৬৮ হাজার ৬৮৪ জন। ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট আসন ৫৪৫টি।
ভর্তি পরীক্ষার ফল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট https://mefwd.gov.bd/, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgme.gov.bd, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dghs.gov.bd ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট http://dgme.teletalk.com.bd থেকে জানা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তীর্ণ হওয়াদের মধ্যে উপজাতীয় কোটার শিক্ষার্থীদের কোটার সপক্ষে সনদ অথবা প্রমাণকসমূহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর যাচাই করলে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
এ ছাড়া ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য নির্ধারিত ২৭টি আসনের বরাদ্দ প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার ফল পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে।
আরো জানানো হয়, আগামী ৬ থেকে ৯ মার্চ এর মধ্যে এক হাজার টাকা টেলিটক এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিয়ে পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে।
এ জন্য টেলিটকের যেকোনো প্রিপেইড মোবাইল থেকে এসএমএস করতে হবে। ১ম SMS: DGME RSC Roll No লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে। (যেমন DGME< Space>RSC1116000) ফিরতি Message এ একটি PIN নম্বর আসবে। ২য় SMS: ফি প্রদানের জন্য প্রাপ্ত PIN নম্বর দিয়ে SMS করতে হবে DGME RSCYESPIN এবং পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে।
যেমন: DGMERSCYES< Space>3699 ফিরতি SMS-এ ফি জমা বাবদ একটি প্রাপ্তি স্বীকার SMS পাওয়া যাবে।
পুনঃনিরীক্ষার ফল আবেদনকারীকে যথাসময়ে জানানো হবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি উপাচার্য কার্যালয়ে তুমুল হট্টগোল, নেপথ্যের কারণ প্রশাসনিক পদে নিয়োগ

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন পদ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের অপসারণের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে রেজিস্ট্রার পদের নাম নিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও দাফতরিক পদ থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণের দাবিতে দুপুর সাড়ে সাড়ে ১২টায় উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হট্টগোল শুরু করেন। পরবর্তীতে ১টার দিকে জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জান খান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুনের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এসময়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সদস্য নুর উদ্দিন, রাফিজ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, আলিনুর রহমান, সাবিদ, উল্লাস মাহমুদ ও অন্যান্য কর্মীরা ভেতরে থাকা সাংবাদিকদের বের হয়ে যেতে বলেন। এবং ভিসির কার্যালয়ে প্রবেশে তারা বাধা দেন।
ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বলেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ রেজিস্ট্রার হিসেবে ওয়ালিউর রহমান পিকুলের নাম বলেন। পরে প্রক্টর এ বিষয়ে কাউন্টার দিয়ে বলেন রেজিস্ট্রার হিসেবে একজনের নাম কেন আসবে।
এক পর্যায়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর বডির মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয় এবং প্রক্টরকে ‘জামায়াত’ ট্যাগ দেয়া হয়।
এসময় কক্ষের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও ছাত্রদল কর্মীরা তাদের বাধা দেন। পরে তাদের উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এসময় ভিসি কার্যালয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, আপনার (ভিসি) রুমে আমি নিরাপদ নই, আমার ছাত্রতুল্য একজন জুনিয়র শিক্ষক আপনার সামনে সাউটিং করেছে আমি আপনাকে (ভিসি) ক্ষমা করবো না।
পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকদের সাক্ষাতে বলেন, এক জুনিয়র শিক্ষক তার সঙ্গে অসদাচরণ করলেও উপাচার্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনার বিচার দাবি করে তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, প্রশাসনকে জিম্মি করে রাখার চেষ্টা চলছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনছে। পূর্বে আলোচনায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়ে সম্মতি দিলেও আজকের ঘটনাগুলো আন্দোলনের চেতনার অপব্যবহার বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার পরও প্রশাসন যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি, যা অস্থিতিশীলতা বাড়াচ্ছে। তাই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাদের নেতাকর্মীসহ সবাইকে বের হতে বলেছি। উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে আমরা স্যারের সঙ্গে কোনো হট্টগোল করিনি।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, রেজিস্ট্রারের বিষয়ে আলোচনার জন্য ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয় এবং তাদের সহযোগীদের বাইরে থাকতে বলা হয়েছিল। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাজন করে আমার কোন ফয়দা নাই। প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষ যারা আসছে আমি নিজেই বানায় নিয়ে আসছি। আমি না আসলে তারা কেউ আসতে পারত না। প্রো-ভিসি যাওয়ার সময় যে কথা বলে গেলো তার নিজের এবিষয়ে ফিলিং থাকা উচিত।
হট্টগোলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, উপাচার্যের কার্যালয়ে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। যেহেতু শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে সেহেতু আমরা উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেব। এইরকম ঘটনা কখনো কাম্য নয়। এ বিষয় নিয়ে কোনো তদন্ত কমিটির দরকার নেই।
এদিকে এসব ঘটনার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে তার কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে সেখানে তালা লাগিয়ে দেয় কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যেকার একটি পক্ষ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হয়ে তার কার্যালয় খুলে দেন এবং সেখানে তাকে তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
এদিকে, সাংবাদিকদের কাজে বাধা ও শিক্ষকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ মানববন্ধন করে। সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের অপসারণ ও সেই পদে নতুন যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগের বিষয়ে সোমবার উপাচার্যের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব জানান এবং উপাচার্য তাতে সম্মতি জানান। তার প্রেক্ষিতে আজ বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে। পরে ছাত্রদল নেতারা উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করলে আজকের ঘটনা ঘটে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির ট্যুরিজম বিভাগের ইফতার মাহফিল ও কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল এবং কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের চারতলায় এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম জুয়েল, ইউম্যান রির্সোস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক জেসমিন আক্তার, প্রভাষক ইয়ামিন মাসুম ও নাসির মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম আশরাফ আলী খান আজহারি এবং বঙ্গবন্ধু হল মসজিদের খতিব মনিরুজ্জামান সহ বিভাগটির শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন, দ্বিতীয় স্থান ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী রেদুওয়ান হাসান ও তৃতীয় হয়েছেন একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম হোসেন। ইসলামী সংগীতে প্রথম হয়েছেন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মুনায়েম, দ্বিতীয় হয়েছেন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইমন এবং তৃতীয় হয়েছেন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রবিন।
বিভাগটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের সমাজে কোনো ধরনের বর্ণ বৈষম্য থাকা উচিত নয়। আমাদের ভাগ্যে যা আছে তা এমনি ঘটে যাবে, হতাশ হওয়া কিংবা কারো প্রতি বৈষম্য করা উচিত না।
রমজান মাস সম্পর্কে তিনি বলেন, রমজান আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাস। এই মাস আমাদের শেখায় কীভাবে এক মাসের সংযম ও সাধনার মাধ্যমে বাকি ১১ মাসের জীবন পরিচালনা করতে হয়। প্রকৃত পরিবর্তন তখনই আসে, যখন আমরা এই শিক্ষাকে বছরের বাকি সময়েও ধরে রাখতে পারি।
কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দীন খান আজহারি বলেন, আমরা আজ উদাসীন, যেন স্রোতের মুখে ভেসে চলেছি নির্দিষ্ট গন্তব্যহীনভাবে। কিন্তু যদি আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট থাকে, তাহলে কখনো পথভ্রষ্ট হবো না। রমজান ঠিক তেমনই একটি মাস, যা আমাদের জন্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণের সুযোগ এনে দেয়। যদি আমরা রমজানের শিক্ষা শুধু এই এক মাসের জন্য নয়, বরং সারাবছর বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর ও সার্থক।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দীন খান আজহারি। এর আগে কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের শিক্ষাসামগ্রী ইসলামী বই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ছাত্র নেতাদের সাথে ইবি উপাচার্যের বৈঠক, প্রশাসনিক পদে পরিবর্তনের আশ্বাস

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা সমন্বয়কদের সাথে মতবিনিময় ও সৌজন্য সভা করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু আমরা দেখছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক জায়গায় এখনও আওয়ামী লীগ বা ফ্যাসিস্টরা বসে আছে। এ ব্যাপারে আমরা সোচ্চার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ফ্যাসিস্টরা কোনোভাবেই জায়গা পাবে না।
তিনি আরোও বলেন, আমরা আজ একটা দাবি নিয়ে এসেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যতম স্টেক হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। কিন্তু সেটাও ফ্যাসিস্টদের দখলে। ভিসি স্যার আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে নতুন একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া হবে। অলরেডি তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আমরা চাই একজন সৎ যোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কাজগুলো পরিচালিত হোক। এর আগে আমরা শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রেজিস্ট্রার নিজে কোনো ড্রাফট তৈরি করতে পারে না, ইংরেজিতে কথা বললে তিনি সেটা বুঝতে পারে না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে এসব পদের পরিবর্তন আনতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের যারা দোসর ছিল বর্তমান প্রশাসন এখনও তাদের পুরোপুরি ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে।আমরা বলেছি যে আমাদের যে বিভিন্ন ফাঁকা পোস্ট আছে সেখানে সৎ ও যোগ্য ব্যাক্তি নিয়োগ দেয়া হোক। অবশ্যই নিয়োগ গুলো মেধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। মাননীয় উপাচার্য আমাদের সাথে এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সেখানে বলেছি অতীতে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের এ ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেছেন যে তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যদি তাদের কোন দাবি নিয়ে আসে আর সেটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক হয় তাহলে অবশ্যই সে ব্যাপারে আমরা বিবেচনা করবো। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশ সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও আছে আমি সর্বোচ্চ ছাত্র সংগঠনের সাথে কথা বলি। আর যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন ধারার একটি নব উত্থিত আন্দোলনকারী দল এবং তারা এই বাংলাদেশের পরিবর্তন সাধন করেছে সেহেতু আমরা অবশ্যই তাদেরকে মূল্যায়ন করবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ফি কমানোর দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষার অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক ফি বাতিল চাই, শিক্ষানবিস আইনজীবীদের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হওয়া চাই, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সুবিবেচক সিদ্ধান্ত নিন, We demand Equity We Demand Right, We are together for our right, আমাদের দাবি মানতে হবে ইত্যাদি প্লেকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অযৌক্তিক এবং অন্যায্য যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এর প্রতিবাদে আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা আজকে একত্রিত হয়েছি। নবীন শিক্ষানবিস আইনজীবীদের এনরোলমেন্ট এর যে পরীক্ষা হয় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক ফি ৪০২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এধু এটাই নয় এর পূর্বে আমাদের ইন্টিমেশন জমা দিতে গিয়ে ১০৮০ টাকা ফি জমা দিতে হয়। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে বিসিএস সহ অন্যান্য সকল পরীক্ষা চাকরির আবেদনটি কমিয়ে আনা হয়েছে অথচ বার কাউন্সিলের পরীক্ষার ফি কমিয়ে আনা হয় নাই। অন্যান্য সকল পরীক্ষার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই অন্যায্য ফি অনতিবিলম্বে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
মানববন্ধনে আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্রিয়া কুন্ডু বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর যেখানে অন্যান্য চাকরি পরীক্ষার ফি সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে সেখানে বার কাউন্সিলে এই অন্যায্য ফি কেন নির্ধারণ করা হলো। আমরা এই অন্যায্য ফি অনতিবিলম্বে কমানোর দাবি জানাচ্ছি। বার কাউন্সিলের প্রতি অনুরোধ আপনারা আমাদের দাবিটি বিবেচনা করুন।
অর্থসংবাদ/কাফি/সাকিব
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ

স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত করা হচ্ছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে।
সোমবার (৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার আইডি থেকে এক স্ট্যাটাসে আবরার ফাহাদের দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পাওয়ার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি—আবরার ফাহাদ। মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। তার নির্মম হত্যাকাণ্ড সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল।
আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালে বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।