পুঁজিবাজার
আজ থেকে ব্যাংক-পুঁজিবাজারে লেনদেন নতুন সূচিতে

রমজান মাসে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী চলবে ব্যাংক ও নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এ সময় ক্লিয়ারিং হাউজে লেনদেনে আন্তঃব্যাংকের চেক নিষ্পত্তির নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই সঙ্গে দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আজ রবিবার (২ মার্চ) থেকে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন চলবে। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক পৃথক নির্দেশনায় এ সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাসে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর মধ্যে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে।
সাধারণ সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হয়। আর ব্যাংকের অফিস সময় থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে প্রতিবছরের রমজান মাসে অফিস ও লেনদেন সময়সূচিতে পরিবর্তন আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পুঁজিবাজারে লেনদেন
এছাড়া, রোজায় পুঁজিবাজারে সকাল ১০টা থেকে থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন চলবে। এরপর ১০ মিনিট হবে ‘পোস্ট ক্লোজিং সেশন’। তবে ডিএসই দাপ্তরিক কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে।
সাধারণত পুঁজিবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন চলে। এরপর ১০ মিনিট থাকে পোস্ট ক্লোজিং সেশন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন
রমজান মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে যোহরের নামাজের বিরতি থাকবে ১৫ মিনিট (দুপুর ১টা ১৫ থেকে দেড়টা পর্যন্ত)। স্বাভাবিক সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
রোজায় চেক ক্লিয়ারিং
রোজায় ক্লিয়ারিং হাউজে লেনদেনে আন্তঃব্যাংকের চেক নিষ্পত্তির নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস), স্বয়ংক্রিয় চেক নিকাশ ঘর (বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ-বিএসিএইচ বা ব্যাচ) এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্কে (বিইএফটিএন) তিন প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব সেবার মাধ্যমে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় বা অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে অর্থ পরিশোধ ও স্বয়ংক্রিয় চেক নিষ্পত্তি করে থাকে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বিএসিএইচ-এর মাধ্যমে হাই ভ্যালু চেক (৫ লাখ টাকার বেশি) এবং রেগুলার ভ্যালু চেক (৫ লাখ টাকার কম) নিকাশ ব্যবস্থা নিষ্পত্তি করা হয়। রমজান মাসে হাই ভ্যালুর চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে পাঠাতে হবে। এগুলো দুপুর দেড়টার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে। আর যেকোনো রেগুলার ভ্যালুর চেক দুপুর ১২টার মধ্যে ক্লিয়ারিং হাউজে পাঠাতে হবে। এসব চেক বিকেল ৩টার মধ্যে নিষ্পত্তি হবে।
আরটিজিএস-এর লেনদেন হবে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত; তবে, গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত, কাস্টমস ডিউটি ই-পেমেন্ট সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এবং আন্তঃব্যাংক ফান্ড ট্রান্সফার ও রিটার্ন লেনদেন আরটিজিএস-এর মাধ্যমে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পরিশোধ করা যাবে।
রমজান মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন, অফিসের সময়সূচি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পুঁজিবাজার
বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার তথ্য চেয়ে সকালে সিএসইর চিঠি, বিকেলে না

গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি মূলধনি মুনাফা অর্জন করেছে, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে চিঠি পাঠিয়েছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। তবে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে তথ্য চেয়ে পাঠানো চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে সিএসই। একই দিন বিকালে ঐ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনো তথ্য দিতে হবে না বলে ফের ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাছে বার্তা পাঠায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সিএসইর পক্ষ থেকে ওই চিঠি ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিতরণ করা হয়। বড় বিনিয়োগকারীদের মুনাফার ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে আজ সকালে চিঠিটি বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে পাঠানোর পর তা নিয়ে বাজারে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এরপর বিকেলে তা সিএসই ফিরতি এক বার্তায় তথ্য দিতে হবে না বলে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে জানিয়ে দেয়।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফা করেছে, এমন বিনিয়োগকারীর তথ্য চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে চিঠি পাঠায় বিএসইসি। চিঠিতে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে বিএসইসিতে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে তথ্য দেওয়ার কোনো সময়সীমা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এনবিআর থেকে এ ধরনের তথ্য চাওয়া হলে বাজারে সেটির প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা না ভেবেই বিএসইসির পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের এসব তথ্য চেয়ে স্টক এক্সচেঞ্জে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা না করে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কাছে এ ধরনের চিঠি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। এর কারণ, চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং বিনিয়োগকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয় তথ্য। তা ছাড়া এমন তথ্য পাঠানোর কোনো সময়সীমাও ছিল না। এ কারণে ডিএসইর পক্ষ থেকে এই চিঠি আর ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিতরণ করা হয়নি। তবে সিএসই আজ সকালে এই চিঠি বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে পাঠায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, আপাতত এ বিষয়ে আর অগ্রসর না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করে পরে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
গত বছর শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফার ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ করা হয়। সেই হিসাবে ২০২৪–২৫ অর্থবছরে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৫০ লাখ টাকার বেশি মুলধনি মুনাফা করেছে, তাদের কর দেওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা কর দিচ্ছেন কি না, তা যাচাইয়ে গত ২৫ আগস্ট এনবিআর থেকে এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি পাঠানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বর এই তথ্য চেয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেওয়া হয়।
একাধিক ব্রোকারেজ হাউস জানিয়েছে, আজ সকালে সংস্থাটির সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসে এই চিঠি পাঠিয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে বিকেলে তথ্য পাঠাতে হবে না মর্মে নতুন বার্তা পাঠানো হয়েছে।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০কোটি ৫ লক্ষ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আজ ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি -এর। এদিন কোম্পানিটির ১৬ কোটি ১০ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা এটিকে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে খান ব্রাদাস্ পি.পি. ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৯৯ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার। আর ৩ কোটি ৫ লক্ষ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।
ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন করা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফাইন ফুডস লি: এর ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড এর ৬৯ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করতে কাজ করছে ডিএসই: চেয়ারম্যান

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেছেন, আমরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নিজেদেরকে ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। আইপিও প্রক্রিয়া সহজীকরণের চেষ্টা করছি। এছাড়াও লিস্টিং পরবর্তী সময়ে কমপ্লায়েন্স নিয়ে অভিযোগুলোর বিষয়ে ডিএসই আপনাদের হয়ে রেগুলেটরদের কাছে তুলে ধরছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নিকুঞ্জে অবস্থিত ডিএসই টাওয়ারে আয়োজিত বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিক লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট রূপালি হক চৌধুরীর নেতৃত্বে নির্বাহী কমিটির সাথে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত হতে পারেনি। কারণ দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অবহেলা পুঁজিবাজারকে সংকুচিত ও পঙ্গু করে রেখেছে৷ সেখান থেকে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার) ড. আনিসুজ্জামানকে পুঁজিবাজার বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আমরা দেখেছি। বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসইসিসহ সকল পক্ষই আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এছাড়াও রেগুলেটরী ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে টাস্কফোর্স কাজ করছে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ভালো উদ্যোক্তারা যদি সঠিক প্রাইসিং পায়, তারা পুঁজিবাজারে আসবে, আর আন্ডাররাইটারই চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স হিসেবে কাজ করবে। সংশোধিত আইপিও সিস্টেমে ভালো কোম্পানি আসতে পারবে এবং মন্দ কোম্পানিগুলো আটকানো যাবে। গ্রীন চ্যানেল ও ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ডিএসই দ্রুত আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে। এজিএম নির্বিঘ্নে সম্পাদনের জন্য ডিজিটাল বা হাইব্রিড আকারে আয়োজনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন বিভিন্ন সংস্থা ও অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সমন্বয় করে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব হবে। ডিএসই এবং বিএপিএলসি’র মধ্যে সহযোগিতা দেশের পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে। আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশীদারিত্ব বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে, নতুন প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে এবং জাতীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
বৈঠকে বিএপিএলসির চেয়ারম্যান রূপালি হক চৌধুরী বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বাজারের স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএপিএলসি সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিএসই’র সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা দেশের পুঁজিবাজারকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করবে। আমরা বিভিন্ন সময় বাজার উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ড. আনিসুজ্জামান সহ কমিশন ও সরকারি উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক করেছি। আমাদের দেশের পুজিবাজারকে অনেক বড় করতে হবে। আর বড় করার জন্য কি করতে হবে, এটি নিয়ে আমরা আরও আলোচনা করতে পারি। আমাদের সমস্যা নিয়ে বেশি আলোচনা করার চেয়ে সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে বেশি আলোচনা করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নতুন নতুন আইডিয়া ও বিজনেস প্ল্যান দেখে যদি ছোট ছোট কোম্পানিগুলোকে পুজিবাজারে আনতে পারি তবে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে যারা তালিকাভুক্ত রয়েছে তাদের কমপ্লায়েন্সের বিষয়গুলো আরও সহজ করা প্রয়োজন। আজকের এই সভাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে একসাথে সবাই কাজ করতে চাই।
আলোচনা সভায় দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বিএপিএলসি’র প্রতিনিধিবৃন্দরা লিস্টিং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা; কমপ্লায়েন্স ও সুশাসন কাঠামো; কর কাঠামো; আইপিও প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা এবং যথাযথ মূল্যায়ন; তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরি; যোগ্য ও মানসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির জন্য গ্রীন চ্যানেল প্রবর্তন; রেগুলেটরদের মধ্যে সমন্বয় সাধন; নীতি নির্ধারক, নিয়ন্ত্রক ও কর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ; কোম্পানির মনিটরিং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা; কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা বৃদ্ধি; নির্বিঘ্নে এজিএম আয়োজন; আইপিও’র ক্ষেত্রে ডাইনামিক ভ্যালুয়েশন মডেলের অভাব, ইউনিফাইড ডিজিটাল রিপোর্টিং সিস্টেমের অভাব, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ন্যূনতম করের পার্থক্য এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্র বিশেষ সুবিধা প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে উভয় পক্ষ একমত হন যে, সমন্বিত প্রচেষ্টা ও গঠনমূলক সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তোলা সম্ভব। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (ডিএসই) ভবিষ্যতেও বিএপিএলসির সঙ্গে এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়া, আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (অবঃ), সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মোহাম্মদ শাহজাহান, মিনহাজ মান্নান ইমন, রিচার্ড ডি রোজারিও, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
কাফি
পুঁজিবাজার
সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান। ডিএসই সূতে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ানের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ১ টাকা বা ৮.৮৫ শতাংশ কমেছে। এর ফলে কোম্পানিটি দরপতনের তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
দরপতনের এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০ পয়সা বা ৮.৭০ শতাংশ কমেছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১০ পয়সা বা ৮.৩৩ শতাংশ।
এছাড়াও, ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৭.৬৯ শতাংশ, বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ৬.৮২ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৬.৮২ শতাংশ, একমি পেস্টিসাইড লিমিটেডের ৬.২৯ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৬.২৫ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেসের ৫.৮৮ শতাংশ এবং জিবিবি পাওয়ার লিমিটেডের ৫.৪৮ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইউসিবি

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি এর শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৬০ পয়সা বা ৫.৭১ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
দর বৃদ্ধির এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২ টাকা বা ৫.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪.৬৩ শতাংশ।
এছাড়াও, ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের ৩.৭০ শতাংশ, মতিন স্পিনিং মিলসের ৩.৬৯ শতাংশ, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস লিমিটেডের ৩.৩৩ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের ২.৯৪ শতাংশ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসির ২.৫৬ শতাংশ, হাওয়া ওয়েল টেক্সটাইলস (বিডি) পিএলসির ২.৪৬ শতাংশ এবং ইনটেক লিমিটেডের ২.৩১ শতাংশ দর বেড়েছে।