রাজনীতি
ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ আজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আজই আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দলের। তারুণ্য নির্ভর নতুন এই রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এই দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
এদিকে, দলটির আত্মপ্রকাশকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি৷ টার্গেট প্রায় ৩ লাখ লোকের সমাগম ঘটানো। অনুষ্ঠান সফলভাবে শেষ করতে একাধিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকরা।
এরইমধ্যে নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে ও গুরুত্বপূর্ণ পদে কারা আসছেন সেসব ঠিক করা হয়েছে। যদিও বেশ কিছুদিন ধরে নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে মতানৈক্য ছিল।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সূত্র জানিয়েছে, তারুণ্য নির্ভর নতুন এই রাজনৈতিক দলটির আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব পদে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন,আরিফুল ইসলাম আদিব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.তাসনিম জারা, প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক পদে সারজিস আলম, দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাতের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে।
নতুন এই রাজনৈতিক দলে সব মিলিয়ে প্রথমে ১৫১ জনের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেওয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে কমিটির আকার বাড়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকায় ভেন্যু পরিদর্শনে এসে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমরা এক সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্লামেন্টের সামনে রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবো। এজন্য আমরা ঐতিহাসিক পার্লামেন্টকে সিলেক্ট করেছি কারণ তরুণরা বাংলাদেশের ডেমোক্রেটিক সিস্টেমে নতুন কিছু সংযোজন করতে যাচ্ছি। গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা এবং সমাজের নানা ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকাবাসীর যেন দুর্ভোগ না হয় এজন্য আমরা ডিএমপির সঙ্গে কমিউনিকেশনে আছি। এখানে ফায়ার সার্ভিস থাকবে এবং নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা থাকবে। আমরা সব দলকে ইনভাইট করেছি আশা করছি তারা সবাই আসবে।
রাজনৈতিক দল গঠনের পর নিজস্ব কার্যক্রমে ফিরবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পর পূর্ণ উদ্যমে জাতীয় নাগরিক কমিটি তার কার্যক্রমে ফিরবে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিরাজ মিয়ার গণমাধ্যামে পাঠানো এক বার্তায় একথা জানানো হয়। মূলত জাতীয় নাগরিক কমিটির ১১তম সাধারণ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত সমূহের স্পষ্টিকরণ ব্যখ্যায় বিষয়টি জানানো হয়।
জানানো হয়, ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সদস্যদের উপস্থিতিতে ১১ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
১। আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখপাত্র ও মুখ্য সংগঠক ব্যতীত জাতীয় নাগরিক কমিটির অবশিষ্ট অর্গানোগ্রাম, নির্বাহী কমিটি, সেলসমূহ ও সার্চ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ জাতীয় নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা, সংস্কৃতি, জলবায়ু, কূটনীতি, দপ্তর, সোশ্যাল মিডিয়াবিষয়কসহ ইত্যাদি যে সেলগুলো করা হয়েছিল সেগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক এর পাশাপাশি ‘যুগ্ম’ ও ‘সহ’ যে পদগুলো ছিল (যেমন-যুগ্ম আহ্বায়ক, যুগ্ম সদস্য সচিব, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, সহ মুখপাত্র ইত্যাদি) সেগুলোও বিলুপ্ত করা হয়েছে। তাছাড়াও, জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ৩৪ সদস্যের যে নির্বাহী কমিটি এবং কমিটিতে নতুন সদস্য নেওয়ার জন্য যে সার্চ কমিটি ছিল সেগুলোও বিলুপ্ত করা হয়েছে। কারণ এই পদগুলোতে থাকা অনেক সদস্য আসন্ন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হতে যাচ্ছেন।
তাই ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন দল গঠিত হবার পর পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বর্তমান আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখপাত্র ও মুখ্য সংগঠক দায়িত্ব নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। বর্তমানে দায়িত্ব থাকা ব্যক্তিরা তাদের দায়িত্ব নতুনদের কাছে হস্তান্তর করবেন। নতুন নেতৃত্বরাই পরবর্তী সময় তাদের সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নির্বাহী কমিটিতে কারা থাকবে, সেল ও সম্পাদকগুলোতে গুলেতে কারা থাকবেন।
বার্তায় জানানো হয়, এককথায় নতুন দলে বর্তমান অনেক সদস্য চলে যাওয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন করে পূর্ণগঠন করা হবে। দলে যোগ দিচ্ছেন না এমন সদস্যদের সদস্যপদ বহাল থাকবে। জাতীয় নাগরিক কমিটি পুনরায় নতুন উদ্যোমে তার নিজস্ব কার্যক্রমে ফিরে যাবে।
২। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ নতুন দল আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক কমিটির রাজনৈতিক দল গঠনের ঐতিহাসিক দায়িত্ব সম্পন্ন হয়েছে। দল গঠনের পর থেকে জানায় সিভিল-পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবেই থেকে যাবে। আর কোন দল গঠনের উদ্যোগ নেবে না। এছাড়া, আগামী দিনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জনগণের স্বার্থে জাতীয় নাগরিক কমিটি সর্বদা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাবে।
অর্থাৎ, জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশের সময় দেশকে একটি নতুন রাজনৈতিক দল উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। জনগণের পক্ষ থেকে চলমান বাস্তবতায় বাংলাদেশমুখী, মধ্যপন্থি, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক একটি রাজনৈতিক দলের যে প্রয়োজনীয়তা অনুভব হচ্ছিল, তারই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি নতুন রাজনৈতিক দল জাতিকে উপহার দিতে যাচ্ছে। এই দল আত্মপ্রকাশের পর নতুন করে আর দ্বিতীয় কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের কাজ জাতীয় নাগরিক কমিটি করবে না। জাতীয় নাগরিক কমিটি তার সাংগঠনিক কার্যক্রম বর্তমানের মতোই একটি সিভিক পলিটিক্যাল প্লাটফর্ম হিসেবেই চালিয়ে যাবে।
বার্তায় আরও জানানো হয়, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ডে যে প্রতিনিধি কমিটিগুলো গঠিত হয়েছিল এবং পেশাজীবীদের নিয়ে যে উপকমিটি বা প্রতিনিধি কমিটি হয়েছিল সে সব কমিটির যে সব সদস্য আসন্ন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হতে
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
জুমার পর ‘বড় জমায়েতের’ ডাক হাসনাতের

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বড় জমায়েত করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার বাদ জুমা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে বলে জানান তিনি। এতে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে যমুনার সামনে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। সকাল আটটার পরে যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে। আজকে তারা বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েক শ নেতা-কর্মী বিক্ষোভ সেখানে করছেন। তাঁরা কিছুক্ষণ পরপর স্লোগান দিচ্ছেন।
সকাল আটটার দিকে যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে কয়েক শ নেতা-কর্মী এ বিক্ষোভে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে ও ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।’
এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে উপস্থিত হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে এনসিপির অবস্থান

আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তাঁর সঙ্গে সেখানে আরও অনেকে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
এই কর্মসূচিতে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ ঘোষণা দেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করা ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) না পাওয়া পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে যমুনার সামনে তিনি অবস্থান নেবেন।
রাত ১০টার পর হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেখানে তাঁর সঙ্গে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা যোগ দিয়েছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির কারণে যমুনার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এই কর্মসূচি চলার মধ্যেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফ্যাসিস্ট ও খুনি আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আসামিদের জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতিকে চোখের সামনে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। বিচার প্রশ্নে সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে।’
নাহিদ ইসলাম ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন, ‘জুলাইয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল খুনিদের বিচার এবং মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে। আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে উঠব না।’
জুলাইয়ের সব শক্তি, শহীদ পরিবারের সদস্যদের ও আহতদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি লিখেছেন, ‘বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ. লীগের বিষয়ে আজ রাতেই ফয়সালা হবে: নাহিদ ইসলাম

আজ রাতেই আওয়ামী লীগের বিষয়ে ফয়সালা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে উঠব না।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নাহিদ এই আহ্বান জানান।
স্ট্যাটাসে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফ্যাসিস্ট ও খুনি আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা চলছে। দলটির নিবন্ধন বাতিল বা নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। বরং আসামিদের জামিন দেওয়া হচ্ছে, অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতিকে চোখের সামনে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাইয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল খুনিদের বিচার। মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে উঠব না।’
শহীদ পরিবার ও আহতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাই চলে আসুন। জুলাইয়ে সকল শক্তি, সকল শহীদ পরিবার ও আহতদের আহ্বান জানাই রাজপথে নেমে আসুন। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থানের ডাক হাসনাতের

গণহত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে নিজের ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে এ ডাক দেন হাসনাত। রাত ১০টা থেকে কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
হাসনাত তার ফেসবুকে বলেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত দশটা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে ‘
তিনি আরও বলেন, ‘যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সাথে আমরা নাই। ’
ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিষিদ্ধকরণ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, আওয়ামী লীগ কোনোভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ালে দেশে ফের রক্তপাত হবে, গুম-খুনের ঘটনা ঘটবে। যে কারণে, সময় থাকতে দলটিকে নিষিদ্ধ করা জরুরি।
এর আগে সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক এক পোস্টে আওয়ামী লীগপন্থী অপরাধীদের ‘সেইফ এক্সিট’ নিশ্চিত করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এমন অভিযোগ তোলেন হাসনাত। তিনি বলেন, ‘খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত জামিন দেয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসেও তা শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন আওয়ামী লীগের বিচার হবে?
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরও লেখেন, ‘তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?’
প্রসঙ্গত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা সেফ-এক্সিটে দেশ ছেড়ে বিদেশে আয়েশি জীবন-যাপন করছেন। এর মধ্যেই বুধবার মধ্যরাতে দেশ ছাড়েন পতিত সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
তরুণদের নীতি প্রণয়নে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচি শুরু আগামীকাল

বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে তরুণ সমাজকে নীতি-প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে শুরু করেছে এক মাসব্যাপী কর্মসূচি। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে দেশের চারটি বিভাগীয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ধারাবাহিক সেমিনার ও সমাবেশ। কর্মসূচির প্রথম সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল (৯ মে)।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে তরুণ সমাজকে নীতি-প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে শুরু হচ্ছে এক মাসব্যাপী এই কর্মসূচি। কর্মসূচির প্রতিটি আয়োজনেই গুরুত্ব পাচ্ছে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, প্রযুক্তি ও রাজনৈতিক অধিকারসহ নানা বিষয়ে তরুণদের ভাবনা।
চট্টগ্রামে এই কর্মসূচির প্রথম সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হতে ৯ মে । ‘কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান বিকেল ৩টায় চট্টেশ্বরী রোডের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশ্লেষক আব্দুল্লাহ্-আল-মামুন, কর্নেল ইউনিভার্সিটির লেকচারার জামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাহরিন খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ, ওরাকলের সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ম্যানেজার মুনতাসির মুনীর, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, ইউনিভার্সিটি অব ডালাসের শিক্ষক শাফকাত রাব্বী এবং পাঠাও সিইও ফাহিম আহমেদ।
সেমিনারের পরদিন ১০ মে চট্টগ্রামেই আয়োজন করা হবে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
এ ধারাবাহিক কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে খুলনায়। ১৬ মে অনুষ্ঠিত হবে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার। পরদিন ১৭ মে হবে সমাবেশ। তৃতীয় পর্ব বগুড়ায় ২৩ ও ২৪ মে অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে। শেষ পর্ব ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ও ২৮ মে। যেখানে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এই সেমিনারগুলোতে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ, উদ্যোক্তা ও বক্তারা অংশ নেবেন। আলোচনায় উঠে আসবে তারুণ্যের ক্ষমতায়নে একটি আধুনিক, মানবিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা।
এসব আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের ভাবনা ও প্রত্যাশা সংগ্রহ করে দলীয় নীতি ও রূপরেখা আরও জনকল্যাণমুখী করে তোলাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।