ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে পিআরএম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের বার্ষিক তুলনামূলক ক্রম-উন্নতিভিত্তিক ফলপ্রকাশ পদ্ধতি (পিআরএম) বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবনের অর্থনীতি হল কক্ষে সেফ দ্য ভিলেজ উদ্যোগে এ সভা আয়োজন করা হয়।
এসময় অর্থনীতি বিভাগ সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. পার্থ সারথি লস্কর, অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফ, অধ্যাপক ড. মোঃ আবু রায়হান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ফারহা তানজিম তিতলী, সরকারি অধ্যাপক মিথিলা তানজিল, সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির’সহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও যুক্তরাজ্যের বাথ স্পা ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক ড. আহমেদ খন্দকার ফরিদ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক মোট ১১ জন ও মাধ্যমিক পর্যায়ের (মাগুরা জেলা) ১০ স্কুলের মোট ১১৪ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
এসময় অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স (২২-২৩) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইজাজ মাহমুদ অনিক বলেন, নিজের তুলনায় নিজেকে ছাপিয়ে যাবার যে অনন্য প্রণোদনা মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে পিআরএম টিম সরবরাহ করছে তা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। এতে করে শিক্ষার্থীদের মনে যে উদ্দীপনার সঞ্চার হচ্ছে বা হবে তাদের অনাগত আগামীর সফলতায় তা সোপান হিসেবে কাজ করবে বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী।
এসময় অধ্যাপক ড. আহমেদ খন্দকার ফরিদ বলেন, আকাশে ওড়ার স্বপ্ন মানুষের হাজার বছর ধরে। ব্যর্থ হচ্ছিলো। যখন বুঝলো, বিমানের ভেতর থেকে শক্তি দরকার, তখনই ভেতরে ইঞ্জিন প্রতিস্থাপন করলো। তখন মানুষ সাফল্য পেলো। আকাশে উড়তে শুরু করলো। আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে একটা করে ইঞ্জিন প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করছি মাত্র। সেই ইঞ্জিনের নাম ‘প্রোগ্রেসিভ রেজাল্ট মেথড’। এই প্রচেষ্টা চলতেই থাকবে।
অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. পার্থ সারথি লষ্কর বলেন, সেভ দ্য ভিলেজ এর তত্বাবধানে অনুষ্ঠিতব্য পিআরএম মেথড শীর্ষক আজকের এ আলোচনা সভাটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমার মনে হয়। সভায় উপস্থিত অর্থনীতি বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য ও দিক নির্দেশনা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ চলার পথ সুগম ও সাফল্যমন্ডিত করে তুলবে বলে আমি আশাবাদী। এ জাতীয় মহৎ প্রোগ্রামের অংশীদার হতে পেরে অর্থনীতি পরিবার গর্বিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার মানের ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটলেও মানের ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে এবং ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষায় অনেক কিছুই হয়েছে। অনেক প্রসার ঘটেছে। রমরমা অনেক বাণিজ্যও দেখা যাচ্ছে। তবে শিক্ষার মানের ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে এবং ঘটছে। এটা আশঙ্কাজনক। এখন প্রযুক্তির যুগ…সভ্যতার পথ ধরে এগোতে গেলে প্রযুক্তি তো লাগবেই। তবে নৈতিকতা ছাড়া সভ্য হওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, তোমরা যারা কর্মজীবনে প্রবেশ করছো, ক্যারিয়ারের প্রতি যত্নবান হবে। সমাজের জন্যও কিছু করতে হবে। সমাজের জন্য কিছু করা অর্থ কী? আমরা যে যা-ই করি না কেন, আমরা যদি সবক্ষেত্রেই নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সৎভাবে পালন করি, তবেই সেটা সমাজের জন্য কিছু করা হবে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আর্থিক বিবেচনায় আপনারা পেশা বেছে নেবেন না। বরং আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে, সেরকম পেশা বেছে নেওয়া উচিত। আমরা এমন সমাজে বাঁচতে চাই, যেখানে সৎভাবে বুক উঁচু করে বাঁচা যায়। সে পথে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের স্বার্থে জীবনবাজি রেখে লড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকের ধারণা ছিল যে প্রাইভেট ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়েই চিন্তা করে, তাদের মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা কাজ করে না। তবে আমরা সাম্প্রতিক যে গণঅভ্যুত্থান দেখেছি, সেখানে ব্র্যাকসহ বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেভাবে জীবনবাজি রেখে এগিয়ে এসেছিলেন, তাতে সবার ভুল ভেঙে গেছে।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন অস্কার জয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংবাদিক শারমিন ওবায়েদ চিনয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।
সমাবর্তনে ভেলিডিক্টোরিয়ান বক্তব্য দেন চ্যান্সেলর স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী শিহাব মুহতাসিম ও সমাপনী বক্তব্য দেন সমাবর্তন কমিটির কো-চেয়ার ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন ড. সাদিয়া হামিদ কাজী।
এবারের সমাবর্তনে চার হাজার ৮২৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুজনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং ২৮ জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি জিয়া পরিষদের নেতৃত্বে ফারুকুজ্জামান ও রফিকুল

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিএনপি পন্থি শিক্ষক সংগঠন জিয়া পরিষদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটির সভাপতি হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুকুজ্জামান খান ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মো. আবুল কাশেম তালুকদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ড. মোহা. আব্দুস সামাদ, ড. নূরুন নাহার, মো. আব্দুস শাহীদ মিয়া, ড. এ. এস. এম. আয়নুল হক আকন্দ। যুগ্ম-সম্পাদক ড. মো. রশিদুজ্জামান, মো. ফকরুল ইসলাম।
এছাড়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মো. হাফিজুর রহমান, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক,ড. মুহা. শরিফুল ইসলাম দপ্তর সম্পাদক, ড. মো. জালাল উদ্দিন,সহ-দপ্তর সম্পাদক ড. মো. নাসির উদ্দিন খান, কোষাধ্যক্ষ ড. শেখ মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রচার সম্পাদক ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান, সহ-প্রচার সম্পাদক এস.এম. আব্দুর রাজ্জাক, সংগ্রহ ও প্রকাশক সম্পাদক ড. এ.কে.এম রাশেদুজ্জামান সাহিত্য সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ড. খোদেজা খাতুন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মো. মিজানুর রহমান, ড. মো. নজিবুল হক।
নব নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান বলেন, জুলাইয়ের ছাত্র-গনআন্দোলনের চেতনা অনুযায়ী নতুন করে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সার্বিক কার্যক্রমে দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের প্রার্থীদের মধ্য থেকে এক হাজার ৩৫০ জন রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২ মার্চ থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা, যা চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ৪৪তম বিসিএসের জন্য নির্ধারিত অনলাইন ফরম কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে সংগ্রহ করবেন। অনলাইন ফরম প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মৌখিক পরীক্ষার দিন সংশ্লিষ্ট মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে ৩০ মিনিট আগে জমা দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সব সনদ/কাগজপত্রসহ বিপিএসসি ফরম-১ মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে জমা দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং তিনি মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বিপিএসসির প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন ৯০ জন করে প্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হবে।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে এ বিসিএসে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভিসি, প্রো-ভিসির অপসারণ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে কুয়েট শিক্ষার্থীদের চিঠি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই চিঠি পাঠান। এতে তারা দ্রুত নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান।
চিঠিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘আমরা কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ। অথচ ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ছাত্রদলের সদস্যরা ফর্ম বিতরণ শুরু করলে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেন। কিন্তু হঠাৎ করে ছাত্রদলের কর্মীরা মিছিলের ওপর হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়, যার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সহায়তায় ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলা চালায়, যা চার ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে। এই ন্যক্কারজনক হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি।’
চিঠিতে শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ‘এই মর্মে আমরা সকল শিক্ষার্থীরা ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করি। আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ভিসির অপসারণ দাবি করা হচ্ছে।’
এ ছাড়াও, চিঠিতে ভিসির অপসারণে শিক্ষার্থীরা যেসব কারণের কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলো হলো- রাজনীতি মুক্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি অনুপ্রবেশের অপচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্তৃক আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া, দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার পরও ব্যর্থতার দায় অস্বীকার করা, যথোপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও চিহ্নিত কুয়েট ছাত্রদল এবং স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে স্বীকার না করা এবং ভিসির কাছে সেই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রদানকৃত ছয় দফা দাবি পূরণের পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পরও দাবি সম্পূর্ণরূপে মেনে না নেওয়া।
শিক্ষার্থীরা চিঠিতে উল্লেখ করেন, অভিভাবকহীন ও অনিরাপদ কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চলমান করার জন্য অতিদ্রুত নতুন ভিসি এবং প্রো-ভিসি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। যারা আমাদের পাঁচ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে অভিভাবকের দায়ভার নেবেন।
কুয়েটের পাঁচ ব্যাচের ১৬টি বিভাগের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এই চিঠিতে সই করেছেন বলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ‘চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ’ জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাকে সশস্ত্র বাহিনীর এ শীর্ষ পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, চার্লস কিউ ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বিমানবাহিনীর (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ড্যান কেইন। আর এটি হতে যাচ্ছে নজিরবিহীন একটি ঘটনা। কারণ, এই সামরিক কর্মকর্তাকে অবসর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তিনি চার স্টার জেনারেলও না।
এদিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে এই ইস্যুতে একটি পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্প।
সেখানে জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে ‘ভদ্রলোক’ ও ‘দারুণ নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর আরও কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প লিখেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আমি আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার আগে সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্তের মাধ্যমে সেটির সূচনা করলেন তিনি।