অর্থনীতি
এস আলম ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৩০ জনকে দুদকে তলব

সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস এবং অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিতর্কিত ব্যবসায়ী শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, তার ভাই ও ২৮ ইসলামী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমসহ ইসলামী ব্যাংকের ১২ শীর্ষ কর্মকর্তাকে তলব করেছিল সংস্থাটি।
এবারের চিঠিতে এস আলমের সঙ্গে তার ভাই এস আলম ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল আলমকেও তলব করা হয়েছে যাদের আগামী ৫ মার্চ দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ সই করা চিঠিতে এস আলম সুপার এডিবল ওয়েল লিমিটেডের অনুকূলে ৮৫০ কোটি টাকা ঋণ বা বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এবং টিআইএনসহ প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।
৬ মার্চ যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন– ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এসভিপি ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা প্রধান মোহাম্মদ কাইসার আলী, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন খান, সাবেক সিনিয়র অফিসার মো. মিজানুর রহমান, মো. সোহরাব হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মোহন মিয়া, সাবেক ইভিপি মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ।
৯ মার্চ যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন– ব্যাংকটির সাবেক সদস্য আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া, মোহাম্মদ আলী, মো. শফিকুর রহমান, মো. নাজিবুর রহমান, মো. শামসুজ্জামান, মো. আব্দুস সাদেক ভূঁইয়া ও রাফি আহমেদ বেগ।
১০ মার্চ যাদের তলব করা হয়েছে– ইসলামী ব্যাংকের সাবেক সদস্য মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, মো. মাহবুব-উল-আলম, ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সাবেক পর্যবেক্ষক বাংলাদেশ ব্যাংকের জিএম মো. ইস্কান্দার মিয়া, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, হুমায়ুন বখতিয়ার ও মো. আব্দুস সালাম।
এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক এ এইচ জি মহিউদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মো. ইস্কান্দার আলী খান, সাবেই ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর এনআরএম বোরহান, পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার, সাবেক মেম্বার সেক্রেটারি প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক ও সাবেক ডিএমডি মোহাম্মদ আবুল বাশারকে ১১ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এস আলমের ছেলে ও ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমকে আসামি করে তিনটি মামলা করা হয়েছে। দুদক থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের চাকতাই শাখা থেকে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা লুটপাটে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জন, চট্টগ্রামের জুবিলী রোড শাখা থেকে প্রায় এক হাজার ১১৪ কোটি টাকা লুটপাটে গত ৯ জানুয়ারি এবং গত ২৮ জানুয়ারি ৮২৭ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাতের ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম এবং সেঞ্চুরী ফুড প্রোডাক্টসের মালিক আরিফুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক।
গত ২১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর বিভিন্ন সময় ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

অর্থনীতি
চাল-সবজির বাজার চড়া, কমেছে ডিম-মুরগির দাম

কোরবানির ঈদের পর থেকে বেড়েই চলেছে চালের দাম। এরপর সবজির দামও বেড়েছে গেলো সপ্তাহ থেকে। সব মিলিয়ে চড়া দামে চাল আর সবজি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এদিকে, মুরগি ও ডিমের বাজারদর কিছুটা কম। এতে ক্রেতারা স্বস্তিতে থাকলেও খামারিদের জন্য লোকসান হচ্ছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মোকামগুলোতেই চালের দাম বেড়েছে। সেখানে চালকল মালিকরা ঈদের পর কারবার চাঙা হওয়ার সঙ্গে দাম বাড়িয়েছেন, যে কারণে চালের দাম বেশি এখন। ঈদের পর প্রতি বস্তা চালের দাম সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
যে কারণে ঈদের আগের চেয়ে এখন প্রতিকেজি চাল মানভেদে ২ থেকে ৮ টাকা টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন খুচরায় প্রতি কেজি মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা দরে। সরু চালের মধ্যে জিরাশাইলের কেজি ৭৪ থেকে ৮০ টাকা এবং মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা। কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৬ টাকা কেজিতে।
মালিবাগের চাল বিক্রেতা আল্লাহর দান স্টোরের আবুল হোসেন বলেন, নাজিরশাইল ছাড়া পাইজাম, বিআর-২৮, মিনিকেটের দাম কেজিপ্রতি ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগে ৬৮ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে যে মিনিকেট চাল কিনতাম, গতকাল কিনেছি ৭৬ টাকা কেজি দরে।
এদিকে, ছোট বাজারে ও পাড়ার মুদি দোকানে দাম আরেকটু বেশি। রামপুরা বাজারের চাল বিক্রেতা জুবায়ের আলী বলেন, ঈদের পর থেকে দোকান খুলে যে চালই অর্ডার দিচ্ছি, তারই দাম বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি। দিনাজপুর, নওগাঁ, কুষ্টিয়া সব মোকামে চালের দাম বাড়ছে।
ঢাকার বাজারে ঈদের পর থেকে নিম্নমুখী ছিল মুরগির দাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগির দাম কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে প্রতি ডজন ডিমের দাম নেমেছে ১২০ টাকায়। বড় বড় বাজারে কিনলে ১১৫ টাকায়ও কেনা যাচ্ছে। তবে এ দাম ডিম উৎপাদনকারীর জন্য লোকসানের বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। বিপুল হোসেন নামের একজন বিক্রেতা বলেন, অন্তত ১৪০ টাকা ডজন ডিমের দাম হলে খামারিদের কিছু লাভ হয়, এবার দাম খুব কমে তাদের লোকসান হচ্ছে।
এদিকে এরমধ্যে মুদি পণ্যগুলো দাম তেমন হেরফের হয়নি। তেল, চিনি, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি আগের দামে কেনা যাচ্ছে। কম দামে কেনা যাচ্ছে পেঁয়াজ, আলু, আদা, রসুনসহ অন্য নিত্যপণ্যও।
তবে বেড়েছে প্রায় অন্যান্য সব ধরনের সবজির দাম। সেগুনবাগিচায় সবজি বিক্রেতা তাকদির হোসেন বলেন, প্রায় সব ধরনের সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে।
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন বরবটি, কাকরোল, উস্তা কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে, পটোল, ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর ঝিঙা, চিচিঙার কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে চাইছেন বিক্রেতারা। তবে বড় বাজার, আবার ভ্রাম্যমাণ দোকানে দাম কিছুটা কম।
অর্থনীতি
বিকডার নতুন সভাপতি কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান। বিকডার সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে তিনি সংগঠনের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
খলিলুর রহমান দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি ডিপো কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিকডার মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব। তিনি বলেন, সংগঠনের সাধারণ সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের উপস্থিতিতেই খলিলুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব নেন।
বিকডা সূত্রে জানা যায়, বিকডার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নুরুল কাইয়ুম খান। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি গত ১৫ জুন পদত্যাগ করেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি বিকডার নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। এছাড়া বিকডার পূর্ববর্তী সংগঠন প্রাইভেট ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো-ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিকডা) সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৫.৩১ শতাংশ ঋণই এখন খেলাপি

ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুরবস্থা কাটছে না। উপরন্তু দিন দিন খেলাপি ঋণ বাড়ছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণের ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে। টাকার অঙ্কে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা, যা তিন মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ২ হাজার ১০০ কোটি এবং বছরে বেড়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিনের অবলোপন, পুনঃতফসিল আর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে খেলাপির প্রকৃত চিত্র আড়াল রাখা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারিতে চেপে রাখা খেলাপি ঋণ এখন প্রকাশ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ২৭ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়েছে, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এই খাতের ঋণ স্থিতি ছিল ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ছিল ২৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকা বা ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও ঋণ খেলাপি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে খেলাপি ছিল ২৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
পিপলস লিজিং, বিআইএফসি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্সসহ একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপির হার সর্বাধিক। ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক তারল্য ও ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে।
এদিকে মার্চ পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ২৪ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আসল পরিস্থিতি সামলাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এখন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
অর্থনীতি
অফশোর ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা জামানত রেখে টাকায় মিলবে ঋণ

বাংলাদেশ ব্যাংক দেশীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন ঋণ সুবিধার অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) রাখা বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল জামানত হিসেবে ব্যবহার করে টাকায় ঋণ নেওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনিবাসী হিসাবধারীদের ওবিইউতে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে ব্যবহার করে দেশে ব্যাংকের ডমেস্টিক ইউনিট থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। একইভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ওবিইউতে তাদের রাখা বৈদেশিক মুদ্রা জামানত হিসেবে রেখে দেশে টাকায় ঋণ নিতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঋণগ্রহীতা ও হিসাবধারীর মধ্যে যৌক্তিক সম্পর্ক থাকতে হবে। যেমন প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের স্থানীয় সুবিধাভোগী, বিদেশি শেয়ারহোল্ডার, বিদেশি বিনিয়োগকারী বা বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি- এ ধরনের সম্পর্ককে বৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
তবে এই জামানতের বিপরীতে কেবল স্বল্পমেয়াদী চলতি মূলধন ঋণ দেওয়া যাবে এবং জামানতের জন্য কোনো চার্জ বা ফি নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের ঝুঁকি সামাল দিতে ব্যাংক জামানতের কিছু অংশ মার্জিন হিসেবে রাখতে পারবে।
ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জামানত নগদায়ন করে ঋণ সমন্বয়ের সুযোগ থাকবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্সও একইভাবে জামানত হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। তবে ওবিইউতে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং হিসাবের অর্থ জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, দেশে স্থানীয়ভাবে জামানত প্রদানের প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় নতুন এই নিয়মের ফলে বৈদেশিক মুদ্রা জমা রেখে সহজেই টাকায় ঋণ নেওয়া যাবে। এতে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে তারা আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।
অর্থনীতি
পাঁচদিন বন্ধ থাকবে এনসিসি ব্যাংকের কার্যক্রম

বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের কার্যক্রম পাঁচদিন বন্ধ থাকবে। ব্যাংকটি আগামী মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত থেকে রোববার (১৩ জুলাই) সকাল পর্যন্ত সব ধরনের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন মতে, বিদ্যমান কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (সিবিএস) আপগ্রেডেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশে ৮ জুলাই রাত ৮টা হতে ১৩ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত সব ব্যাংকিং (শাখা, উপশাখা, ডেবিট কার্ড, এটিএম, বিএসিপিএস, বিএফটিএন, আরটিজিএস, এনপিএসবি, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, সুইফট ইত্যাদি) কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিরত থাকবে।
ব্যাংকের আবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক এ সাময়িক বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ সম্মতি দেওয়া হয়েছে।