বীমা
বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট আদিবা রহমান-লিন্টু

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) ২০২৫-২০২৬ সালের নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ। প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের পরিচালক আদিবা রহমান এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন (লিন্টু)।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের কনফারেন্স রুমে বিআইএ’র নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান মীর নাসির হোসেনের সভাপতিত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন বোর্ডের অন্য দুইজন সদস্যের মধ্যে নিজাম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন বোর্ডের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন বিআইএ এনডিসি সচিব ওমর ফারুক।
প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ বর্তমানে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ চেক টেকনোলজি লিমিটেড ও পিউরিটি ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ভ্যানটেজ সিকিউরিটিজ লিমিটেড, সিটি হোমস্ লিমিটেড ও আল-তাইয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি আহমেদ শিপিং লাইন্স, আহমেদ ইনল্যান্ড শিপিং এজেন্সী, এ.কে. ইন্টারন্যাশনাল এবং আহমেদ এয়ারওয়েজ সার্ভিসেস এর স্বত্বাধিকারী। এছাড়া তিনি দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (পদ্মা ব্যাংক লি.) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটি ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রাক্তণ চেয়ারম্যান এবং একজন উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার। তিনি বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট।
সাঈদ আহমেদ লায়ন্স ক্লাব অফ ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ বি-২, বাংলাদেশ এর রিজিওন চেয়ারপারসন। তিনি ঢাকা ক্লাব লিমিটেড, গুলশান সোসাইটি, উত্তরা ক্লাব লিমিটেড, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড, বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম বোট ক্লাব লিমিটেড এবং অল কমিউনিটি ক্লাব লিমিটেডের স্থায়ী সদস্য এবং বাংলাদেশ খো-খো ফেডারেশন এবং রাজধানী শ্যুটিং ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সাঈদ আহমেদ শরীয়তপুর জেলা সমিতির পৃষ্ঠপোষক সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। তিনি ইতিপূর্বে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে (২০১০-২০১২) মেয়াদে ভাইস-চেয়ারম্যান এবং (২০১৯-২০২৪) মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনেও সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।
প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট আদিবা রহমান বর্তমানে তিনি ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ও তিনি ডেল্টা লাইফ সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান।
ভাইস-প্রেসিডেন্ট কাজী সাখাওয়াত হোসেন (লিন্টু) বর্তমানে তিনি অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমসিও ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল (প্রাইভেট লি.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান।
নির্বাহী কমিটির অন্য ১৭ জন সদস্য হলেন-
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মজিবুল ইসলাম, সিটি ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেন আখতার, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম, জনতা ইন্স্যুরেন্স পরিচালক বেলাল আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক তায়েব বিন ইউসুফ, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক আরিফ সিকদার, বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভাইস-চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানাহ চৌধুরী, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমাম শাহীন, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ কে এম সারোয়ার জাহান জামিল, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন সরকার, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সৈয়দ বদরুল আলম, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বিএম ইউসুফ আলী, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জালালুল আজিম, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নূরুজ্জামান।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বীমা
বিআইএ’র নির্বাহী সদস্য হলেন এনআরবি ইসলামিকের আরিফ সিকদার

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক আরিফ সিকদার। ২০২৫-২৬ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী বিআইএ’র নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এই নির্বাচনে সংগঠনটির ৫৩ সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গণনা শেষে নন-লাইফ খাতের বিজয়ী ১০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নির্বাচন বোর্ড। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় লাইফ বীমা খাতে ১০ নির্বাহী সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরিফ সিকদার ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আম্বালা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক (ইডি)। এছাড়া এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, আম্বালা আইটি, রেডিও বিক্রমপুর ৯৯.২ এফএম, স্বপ্নযাত্রাসহ তিনি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
এদিকে বিমা মালিকদের সংগঠন বিআইএ’র নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় পরিচালক আরিফ সিকদারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স পরিবার। এক বার্তায় তাঁরা জানায়, তাঁর এই সাফল্যে পুরো পরিবার গর্বিত ও আনন্দিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
জেনিথ ইসলামী লাইফের ৯৮.১৩ শতাংশ বীমা দাবি পরিশোধ

বেসরকারি বীমা খাতের চতুর্থ প্রজন্মের কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ২০২৪ সালে গ্রাহকদের ৯৮ দশমিক ১৩ শতাংশ বিমা দাবি পরিশোধ করেছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নিকট পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
জানা গেছে, সমাপ্ত ২০২৪ বছরে বিমা কোম্পানিটির অনিষ্পত্তি বিমা দাবি ছিলো ৫৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৬ টাকা। আর বছরজুড়ে বিমা দাবির পরিমাণ ৭ কোটি ০৮ লাখ ০৪ হাজার ৯৪৭ টাকা। কোম্পানিটি গ্রাহকদের ৭ কোটি ৫৩ লাখ ১৪ হাজার ১৫৫ টাকা বা মোট বিমা দাবির ৯৮ দশমিক ১৩ শতাংশ পরিশোধ করেছে।
অর্থাৎ, মোট বিমা দাবি পরিশোধের পর অনিষ্পত্তি রয়েছে মাত্র ১৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৮ টাকা।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, জেনিথ ইসলামী লাইফ দাবী সংক্রান্ত নথিপত্র সঠিক থাকলে সর্বোচ্চ ০৭ কার্যদিবসের মধ্যে দাবী নিষ্পত্তি করে থাকে। এছাড়াও, বীমা দাবী সমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে দাবী নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। একাউন্ট পেয়ী চেকের পাশাপাশি বিইএফটিএন এবং এমএফএস এর মাধ্যমেও দাবী পরিশোধ করা হচ্ছে, এতে গ্রহাকগণ দ্রুত বীমা দাবীর টাকা পেয়ে যাচ্ছেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
ভার্চুয়ালি পর্ষদ সভা করতে পারবে না বিমা কোম্পানি

জীবন বিমা এবং সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভা ভার্চুয়ালি করা যাবে না। এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
আইডিআরএর ১৭৯তম পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিমা কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জীবন এবং সাধারণ বিমাকারী কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভা এবং পরিচালনা পর্ষদের কোনো কমিটির কোনো সভা ভার্চুয়ালি করা যাবে না। সবাইকে সব ধরনের সভায় অবশ্যই সশরীরে অংশগ্রহণ করতে হবে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর বিমা কোম্পানির কয়েকজন পরিচালক আত্মগোপনে রয়েছেন। ভার্চুয়ালি পর্ষদ সভায় অংশ নিয়ে তারা পদ রক্ষা করছেন। আইডিআরএর নতুন নির্দেশনার ফলে এসব পরিচালক পর পর তিনটি পর্ষদ সভায় অনুপস্থিত হলে পরিচালক পদ হারাবেন।
এ বিষয়ে একটি বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বলেন, গত ১৫ বছরে বেশকিছু বিমা কোম্পানিতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজন পরিচালক পদ দখল করেন। ৫ আগস্ট সরকার পতন হওয়ার পর তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। কিন্তু কেউ কেউ কোম্পানির পর্ষদ সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, আইডিআরএর নতুন নির্দেশনার ফলে পর্ষদ সভায় আর ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করা যাবে না। ফলে আত্মগোপনে থাকা পরিচালকরা তাদের পদ হারাতে পারেন। কারণ পর পর তিন পর্ষদ সভায় অনুপস্থিত থাকলে পরিচালক পদ হারাতে হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
ইসলামী বিমার জন্য সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক

সাধারণ বিমা কোম্পানির পর এবার ইসলামি বিমা কোম্পানিগুলোর জন্য সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
আইডিআরএর পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। যা গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইসলামি বিমা কোম্পানিগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ইসলামী জীবন বিমা কোম্পানিগুলোকে সরকারি সিকিউরিটিজ ইসলামী বন্ড বা সুকুকে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে। অপরদিকে, ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে এ বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
আইডিআরএর তথ্য অনুসারে, বর্তমানে দেশের বেসরকারি খাতে ১৬টি ইসলামী বিমা কোম্পানি ব্যবসা করছে। এর মধ্যে ইসলামী জীবন বিমা কোম্পানির সংখ্যা ১২টি এবং ইসলামী সাধারণ বিমা কোম্পানির সংখ্যা চারটি। দেশে বিমা ব্যবসা করা ইসলামী চার সাধারণ বিমা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্স এবং তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স।
অপরদিকে, ইসলামী জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আদানির কাছ থেকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ চেয়েছে বাংলাদেশ

ভারতে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ চাইছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে সেখান থেকে। এর কারণ হলো বকেয়া পরিশোধ ইস্যু ও শীতে চাহিদা কম থাকা।
বকেয়া পরিশোধে দেরি হওয়ার কারণে ভারতীয় কোম্পানিটি ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে সরবরাহ অর্ধেক করে। এরপর নভেম্বর থেকে একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ থাকে। সে সময় বাংলাদেশও আদানিকে অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বলেছিল।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধের জন্য আদানিকে মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে এবং এখন কোম্পানিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে বলা হয়েছে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের বর্তমান চাহিদা অনুসারে দ্বিতীয় ইউনিটটি চালুর পরিকল্পনা করেছিল আদানির প্রতিষ্ঠান। তবে উচ্চ কম্পন ও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন পেমেন্ট করছি। আমরা আরও অর্থ পরিশোধের চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য ওভারডিউ কমানো। এখন আদানি নিয়ে বড় কোনো সমস্যা নেই।
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি গোষ্ঠীর কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এ কেন্দ্রে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে ক্রয় চুক্তি করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারে নির্মিত ওই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর কিনবে বাংলাদেশ। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে।