রাজনীতি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে শিবির

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
সরকারকে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: ড. হেলাল উদ্দিন

নাগরিক সেবাপ্রাপ্তিতে ভোগান্তি নিরসনের জন্য সরকারকে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে গণশক্তি সভার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নাগরিক সেবাপ্রাপ্তিতে ভোগান্তি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম।
সমাবেশে আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন চলমান সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করে অন্তবর্তীকালীন সরকারের নানামূখী সমালোচনা করেন। এসময় তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শও প্রদান করেন।
ড. হেলাল বলেন, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা,জেলা পরিষদ ও সিটি কর্পোরেশন গুলোতে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, নাগরিক সনদ এসব নিতেই সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। ভোগান্তি নিরসনের জন্য সরকারকে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ফ্যাসিবাদের পতনের ৫ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারে কার্যকর কোন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। উল্টো ফ্যাসিবাদের আমলে নির্মম নির্যাতনের শিকার জামায়াতের তৎকালীন কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মত ব্যক্তিদের এখনো পর্যন্ত জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এভাবে নির্দোষ মজলুম ব্যক্তিদের জেলে বন্দি করে রাখা হলে সরকারের প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হেলাল অবিলম্বে এটিএম আজরুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেন এবং খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কেউ নিজ ইচ্ছায় বসেনি, তাদেরকে সরকারে বসানো হয়েছে। সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে আসেনি, রাখবে না, রাখতে পারবেও না। এই সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের চেষ্টা করছে। তবে শুধু সংস্কার নয় প্রয়োজন গণহত্যার বিচার কাজও সম্পন্ন করা। রাজনৈতিক সরকার গণহত্যার বিচার রাজনৈতিক বিবেচনায় করবে, ফলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না এবং বিচার জনমনে প্রশ্নবৃদ্ধি হবে। এজন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার এবং গণহত্যার সাথে জড়িত ও মদদদাতাদের বিচার করা এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে। বিপ্লবের সুফল জনগণের দৌড়গৌড়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করা।
প্রফেসর ডক্টর দেওয়ান সাজ্জাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক সাদেক রহমান, গণ মুক্তিযোটের কো চেয়ারম্যান আখতার হোসেন, নাগরিক অধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ নুর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ মজুমদার, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল এবং গবেষক ইমরান চৌধুরী প্রমুখ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ধর্মীয় উসকানিতে ঐক্য বিনষ্টের অপচেষ্টা চলছে: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

একটি বিশেষ চক্র ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় উসকানি দিয়ে ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স সেলের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দীর্ঘকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ সব ধর্মের মানুষের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহাবস্থানের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমাদের ঐতিহ্যের অংশ, যা জাতিগত ঐক্য ও শান্তির মূল ভিত্তি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিশেষ চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে আমাদের ঐক্য ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিশেষ করে, ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ এবং রাসূল (সা.)-এর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য ও প্রচারণা আমাদের সামাজিক ঐক্যে আঘাত হানছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন কিছু বক্তব্য দেখা যাচ্ছে, যা ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে আঘাত করছে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি করছে। দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকে কেউ যদি ধর্মীয় অবমাননাকর বক্তব্য প্রদান করে, তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয়। এ ধরনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, যেকোনো ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা শুধু ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতেই আঘাত হানে না, বরং এটি সামগ্রিক সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকিস্বরূপ। আমরা সমাজের সর্বস্তরের মানুষ— শিক্ষার্থী, বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং সচেতন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন বিভেদ সৃষ্টিকারীদের অপচেষ্টা প্রতিহত করেন এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কখনোই কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার দেয় না। প্রকৃত মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক চর্চা তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সুসংহত করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষও শহীদ হয়েছেন। সেই আত্মত্যাগের চেতনায় উজ্জীবিত নতুন বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা চাই, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি অব্যাহত থাকুক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আরও দৃঢ় হোক এবং যেকোনো বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হোক। আসুন, আমরা সকলে মিলে একটি শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সম্প্রীতিময় সমাজ গড়ে তুলি, যেখানে প্রত্যেক ধর্ম ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান থাকবে, আর আমাদের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির ২৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল

মাত্র সাড়ে তিন মাসের ব্যবধানে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে আবারো একবার দেশটিতে সফর করতে যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। বিএনপি ছাড়াও তাদের সহযোগী ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলের নেতারা থাকছেন ২৩ সদস্যের এ প্রতিনিধিদল। এবারের সফরে দলটির নেতৃত্বে থাকছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
আগামী সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চীনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বে প্রতিনিধিদলটি। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য।
ড. আব্দুল মঈন খান ছাড়াও বিএনপির পক্ষ থেকে এ সফরে যাচ্ছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ছাড়াও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলের নেতারাও থাকছেন প্রতিনিধিদলে। তাদের মধ্যে আছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।
এর আগে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণেই ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর চীন সফর করেছিল বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপনের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও দলের মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
চাঁদপুরে বিএনপি নেতা আজম খানের পথসভায় নেতাকর্মীদের ঢল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. আজম খান শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংক্ষিপ্ত সফরে শতাধিক গাড়ি বহরে অসংখ্য নেতাকর্মী নিয়ে চাঁদপুরে আসেন।
চাঁদপুরে আশার পথে মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ সহ বেশ কয়েকটি স্থানে পথসভা শেষে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বিলম্বে দেশে আসার বিষয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার এবং আমার পরিবারের পাসপোর্ট ও ভিসা আটকে রেখেছিল হাসিনা সরকার। পাঁচ আগস্টের পর আমাদের পাসপোর্ট ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় দেশে আসতে আমার অনেক সময় লেগেছে।
আজম খান আরো বলেন, আমরা সবাই জিয়ার সৈনিক, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সৈনিক। আমি কোন নেতা নই, আমি আপনাদের মতই একজন সৈনিক। আমরা নিজেরা নিজেরা যদি হানাহানি মারামারি করি, তাহলে আমাদের দল টেকানো কঠিন হয়ে যাবে। আমাদেরকে আবার ১৬ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। আমরা আওয়ামী লীগের মতো এক নেতা যেন আরেক নেতার উপর শক্তি প্রয়োগ না করি।
তিনি আরো বলেন, একজন নেতার ভোটের যে মূল্য, ঠিক তেমনি রাস্তায় যে ঘুমায়, তার ভোটেরও একই মূল্য। চাঁদপুরে অনেকেই বলেন নেতা কে হবে? আমি বলতে চাই নেতা কে হবে তা ঠিক করবে আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়া। আমাদের চাঁদপুরে যে ছাত্রদল যুবদল এবং বিএনপি’র যে কমিটি আছে এবং কাঠামো আছে, ওই কাঠামো অনুযায়ী আপনারা যার যার নেতৃত্ব মেনে নেন। আজকে যে ছাত্রনেতা, কালকে সে যুবনেতা হবে, পরশু হবে বিএনপি নেতা এবং এরপর সংসদের নেতা হবে। আমরা কি তাকে মেনে নেব না? আমরা অবশ্যই তাঁকে মেনে নেব।
তিনি আরো বলেন, পাঁচ আগস্টের পর আমাদের নতুন করে বয়স শুরু হয়েছে, আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, হানাহানি মারামারি বা হিংসা এবং যুদ্ধের মত অবস্থা কেউ সৃষ্টি করবেন না। যুদ্ধ নয়, আমরা চাই শান্তি। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে কমিটি দিবে, সেখানে যাকে যেখানে যে পজিশনে রাখা হবে, আমরা তাকেই শ্রদ্ধা ভরে মেনে নিয়ে কাজ করবো, এটাই আমার বিশ্বাস।
চাঁদপুরে উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ষোল বছর পরে চাঁদপুর এসে যা দেখলাম, তা হলো মানুষ বেড়েছে ১০ গুণ কিন্তু মেইল কল কারখানা এবং রাস্তার তেমন কোন উন্নয়ন কিছুই হয়নি। চাঁদপুরে আমাদের উন্নয়নের জন্য তারেক রহমানের দেয়া ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র দেশ ও জাতির উন্নয়ন হবে।
যুব সমাজের কর্মসংস্থান বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের যুব সমাজের জন্য আগামী দিনে অনেক ইনভেস্টর দরকার এবং অনেক কর্মসংস্থানের দরকার, আমাদের রেলপথ, নদী পথ এবং সড়ক পথ আছে। আমাদের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। প্রয়োজন একটি সুন্দর নেতৃত্ব, আর বিএনপি’র একটি সুন্দর নেতৃবৃন্দও আছে। যে কাজ করে তারই কেবল ভুল হয়, তাই কোন নেতাকেই দোষারোপ করবেন না। আমরা সবাই মিলেমিশে চাঁদপুরকে গড়বো।
বিএনপি নেতা কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েলের সঞ্চালনায় পথসভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপি নেতা শাহনেওয়াজ খান, সাবেক ছাত্রনেতা রাফিউস শাহাদাত ওয়াশিম পাটোয়ারী, সাবেক ছাত্রনেতা এমদাদুল হক মিলন। এছাড়া পথসভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য জনগণ ও দেশ: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু একমাত্র বিএনপি স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আড়াই বছর আগে দেশ পুনর্গঠনের কথা বলেছে, ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য জনগণ ও দেশ। তাই ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব। জনগণের ভোটে বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে পুনর্গঠন করা হবে।
আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের সমর্থন নেই এমন কোনো কাজ বিএনপি করে না। বিএনপিই একমাত্র দল যেটি নিজ দলের দোষী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
তিনি বলেন, বিভ্রান্ত হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। বিএনপি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না।