ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ‘চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ’ জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাকে সশস্ত্র বাহিনীর এ শীর্ষ পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, চার্লস কিউ ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বিমানবাহিনীর (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ড্যান কেইন। আর এটি হতে যাচ্ছে নজিরবিহীন একটি ঘটনা। কারণ, এই সামরিক কর্মকর্তাকে অবসর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তিনি চার স্টার জেনারেলও না।
এদিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে এই ইস্যুতে একটি পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্প।
সেখানে জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে ‘ভদ্রলোক’ ও ‘দারুণ নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর আরও কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্প লিখেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আমি আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার আগে সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্তের মাধ্যমে সেটির সূচনা করলেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ভিসি, প্রো-ভিসির অপসারণ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে কুয়েট শিক্ষার্থীদের চিঠি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই চিঠি পাঠান। এতে তারা দ্রুত নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানান।
চিঠিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘আমরা কুয়েটের সকল শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ। অথচ ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ছাত্রদলের সদস্যরা ফর্ম বিতরণ শুরু করলে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেন। কিন্তু হঠাৎ করে ছাত্রদলের কর্মীরা মিছিলের ওপর হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়, যার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সহায়তায় ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলা চালায়, যা চার ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে। এই ন্যক্কারজনক হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি।’
চিঠিতে শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ‘এই মর্মে আমরা সকল শিক্ষার্থীরা ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগসহ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করি। আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ভিসির অপসারণ দাবি করা হচ্ছে।’
এ ছাড়াও, চিঠিতে ভিসির অপসারণে শিক্ষার্থীরা যেসব কারণের কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলো হলো- রাজনীতি মুক্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতি অনুপ্রবেশের অপচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্তৃক আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া, দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার পরও ব্যর্থতার দায় অস্বীকার করা, যথোপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও চিহ্নিত কুয়েট ছাত্রদল এবং স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে স্বীকার না করা এবং ভিসির কাছে সেই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রদানকৃত ছয় দফা দাবি পূরণের পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পরও দাবি সম্পূর্ণরূপে মেনে না নেওয়া।
শিক্ষার্থীরা চিঠিতে উল্লেখ করেন, অভিভাবকহীন ও অনিরাপদ কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চলমান করার জন্য অতিদ্রুত নতুন ভিসি এবং প্রো-ভিসি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। যারা আমাদের পাঁচ দফা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে অভিভাবকের দায়ভার নেবেন।
কুয়েটের পাঁচ ব্যাচের ১৬টি বিভাগের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী এই চিঠিতে সই করেছেন বলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পবিপ্রবির ৮ হলের নাম পরিবর্তন

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) আটটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করেছে প্রশাসন। ‘বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত শিক্ষার্থীদের জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে’ এসব নাম বদলানো হয়েছে বলে এক পরিপত্রে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও তিন মাস আগে শিক্ষার্থীরা শুধু একটি হলের নাম পরিবর্তনের আবেদন করেছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্রে হলের নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হয়।
পরিপত্রে দেখা যায়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল-১–এর নাম বদলে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২–এর নাম বদলে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের নাম বদলে চাঁদ সুলতানা হল, মূল ক্যাম্পাসে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বদলে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম বদলে বিজয়-২৪ হল, বরিশাল ক্যাম্পাসে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম বদলে জুলাই-৩৬ হল নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্মাণাধীন দুটি হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ছাত্র হলের নাম শের-ই-বাংলা হল ও নতুন ছাত্রী হলের নাম তাপসী রাবেয়া হল দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে বিজয়-২৪ হল নামকরণের আবেদন করেছিলেন। তবে পবিপ্রবি প্রশাসন গতকাল আটটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করে। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফিফ মাহামুদ বলেন, ক্যাম্পাসের হলগুলোতে যদি এভাবে রাজনৈতিক নামকরণ করা হয়, তবে শিক্ষাঙ্গনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যখন যে দল ক্ষমতায় বসবে, তখন তাদের নামে হলের নামকরণ হবে। এটা ঠিক নয়। আমাদের এ চিন্তাভাবনা থেকে বের হওয়া দরকার। এগুলো বন্ধ না হলে ক্যাম্পাসগুলোতে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা থাকে।
এদিকে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের নাম পরিবর্তন করে চাঁদ সুলতানা হল নামকরণ করায় গতকাল বৃহস্পতিবার হলের নারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ পবিপ্রবি প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদ জানান। পরে অবশ্য তাঁদের কেউ এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে কেউ রাজি হননি।
হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪–পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত পবিপ্রবির ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটির মতামত নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলকে জানাই। পরবর্তী সময়ে রিজেন্ট বোর্ডকে জানিয়ে আটটি হলের নামকরণের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা একটি হলের নাম পরিবর্তনের দাবি জানালেও আটটি হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, যেসব হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, তা আগে ছিল। বিগত সরকার ক্ষমতায় এসে নাম পরিবর্তন করেছে। সেগুলো পুনরায় পরিবর্তন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সিলেটে শিক্ষার্থী হামলার ঘটনায় ইবিতে বিক্ষোভ

সিলেটের এম. সি কলেজে শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে ও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে আওয়ামীপন্থীদের নৈরাজ্যের আশংকায় প্রতিবাদী বিক্ষোভ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা। একইসাথে আওয়ামী দোসরদের বিচার ও তাদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনায় তাদের নাম পরিবর্তনের দাবিতে এ বিক্ষোভ অংশগ্রহণ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সমবেত হয় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীরা।
এসময় ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইটের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, গোলাম রাব্বানী, ইয়াসিরুল কবীর, তানভীর মন্ডল’সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের “আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ; আমার ভাইয়ের ওপর হামলা কেন, প্রশাসনের জবাব চাই; জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো; সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, ” সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও”, “সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকারী ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আওয়ামী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, যেসব স্থাপনা তাদের নামে রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তনের দাবি জানান তারা। এই দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সমাবেশে সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, যে বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার যেমন বিনা ভোটে এমপি তৈরি করেছিল তেমনিভাবে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী তৈরি করেছিল। যারা ১৮ সালের নির্বাচন এবং ২৪ এর গণহত্যাকে বৈধ করার জন্য ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল। এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল যেমন শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাফর ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রুবায়েদ আরেফিন সিদ্দিকী এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম বেশ কিছু শিক্ষক ছিল যারা এ গণহত্যাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য ন্যারেটিভ তৈরি করেছিল। ইসলামী বিদ্যালয়ের কেন ইউজিসির দিকে তাকিয়ে থাকবে? দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে বিগত ষোল বছরের শ্বেতপত্র কেনো এখনো ঘোষণা করতে পারেনি? অনতিবিলম্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ষোল হাজার শিক্ষার্থীদের সামনে তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ষোল বছরের যাবতীয় অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে সবকিছু প্রকাশ করতে হবে। আপনারা জানেন বিপ্লবে আমাদের বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে, ইসলামী বিদ্যালয়ের শাপলা ফোরাম নামের একটি সংগঠন তাদের নেতৃত্ব কিছু শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা যেভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর গণহত্যাকে উসকে দিয়ে ছিলো তারা এখনো কিভাবে তাদের কার্যক্রম চলমান রাখে? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম! আপনারা একেকদিন একেক দলের সাথে মিটিং করেন কিন্তু আপনারা ভুলে যান, আমার ষোলোশত ভাই বোনের রক্তের উপর দাড়িয়ে আছেন।অনতিবিলম্বে আপনারা এদের বিরুদ্ধে ব্যাস্থা গ্রহণ করুন। গতকাল কুয়েটে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেখানে ছাত্রদল কতৃক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আহত হয়েছিল। আজ এমসি কলেজে যে হামলা হয়েছে। গণমাধ্যমে সূত্র জানতে পেরেছি এমসি কলেজে শিবির নাকি অভিযোগ আছে। এখানে ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র ইউনিয়ন যেই দলেরই হোক না কেন! তারা অপরাধী, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে জায়িম-রিফাত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক নয়া দিগন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি তাজমুল হক জায়িম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে দৈনিক ইনকিলাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাকিব রিফাত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম।
নির্বাচিত অন্য প্রতিনিধিরা হলেন সহ-সভাপতি মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ (মানবজমিন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা (ডেইলি অবজারভার), অর্থ সম্পাদক নিয়ামতুল্লাহ মুনিম (খবরের কাগজ), দফতর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান (যায়যায়দিন), প্রচার সম্পাদক মোর্শেদ মামুন (কালবেলা), কার্যনির্বাহী সদস্য ইদুল হাসান ফারহান (দিনকাল) ও জামাল উদ্দিন (শিক্ষাবার্তা)।
নির্বাচন পরবর্তী দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ ও ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, নতুন নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন। তোমাদের মাধ্যমে উঠে আসুক বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। আজকের এই দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সকল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত আছেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাচ্ছি সকল জায়গায় এই ধারা অব্যহত থাকুক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক বাংলাদেশর মধ্যে রোল মডেল।
নবনির্বাচিত সভাপতি তাজমুল হক জায়িম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সত্যের সারথি হয়ে সাহসিকতার সাথে ক্যাম্পাস তথা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে ইবিসাস ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করেছে। এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সভাপতি হিসেবে যে গুরুদায়িত্ব আমাদের কাঁধে এসেছে আমরা সেই দায়িত্ব পালনে সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এই কাজে ইবিসাসের সকল সহযোদ্ধাদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডারের সহযোগিতা কামনা করছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কুয়েটে হামলার প্রতিবাদে ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মশাল মিছিল

কুয়েটের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে এ মশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে এসে সমবেত হয়।
এ সময় তাদের,”কুয়েটে হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই”, ” দিয়েছিতো রক্ত আরো দিব রক্ত, এই রক্ত কোনো দিনো পরাজয় মানে না”, “সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও” স্লোগান দিতে দেখা যায়।
ইবি সংসদের সহ সভাপতি সাদীয়া মাহমুদ মিম বলেন, কুয়েটের মত জাতীয় পর্যায়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে হামলা হয়েছে, যে সহিংস আচরণ শিক্ষার্থীদের সাথে করা হয়েছে তা অত্যান্ত নেক্কার জনক। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় ও এর সাথে জড়িত সকল রাজনৈতিক অরাজনৈতিক বা যেই হোক না কেন তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আওত্তায় আনা হয়। সকল ছাত্র সমাজ ও সকল জনতার মনে যেন এই শাস্তি যেন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে থাকে।
ইবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম বলেন, খুলনা প্রকোশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা হাসপাতালে জীবনযাপন করছে। সংগ্রামী ভাইয়েরা সন্ত্রাসীদের এটা প্রমাণ করে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের পরেও আমরা স্বাধীনতা পায়নি। স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যারা পরিচালনা করেছে এবং যারা মদদদাতা অতিশীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, গতকাল দিনভর কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর কি নির্মমভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে জানতে পেরেছি ছাত্রদল এই হামলা চালিয়েছে। এছাড়া আরো দেখেছি স্থানীয় যুবদলকে হামলার অংশীদার হিসেবে মনে করা হচ্ছে। আমার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গুলোতে অস্ত্রের রাজনীতি এখন থেকে শুরু নয়, আমরা অতীতে শিবির, ছাত্রদলের হাতে অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও সর্বশেষ ছাত্রলীগ বিগত ১৬ বছরে ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতির নাম নিয়ে ছাত্র রাজনীতিকে যে কলঙ্কিত করেছে এর দায়ভার ছাত্রলীগ কোনোভাবে এড়াতে পারে না। আমরা ক্যাম্পাসের আর অপরাজনীতি দেখতে চাই না। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি কুয়েট আগামী আটাশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা বাংলাদেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে এরকম দেখতে চাই না যে কোন ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য বিস্তারের কারণে ক্যাম্পাস একদিনের জন্য বন্ধ হোক। সর্বশেষ কুয়েটে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটার সুস্থ তদন্ত দাবি করছি এবং জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছি এবং কোন ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি যেন আধিপত্য বিস্তার না করতে পারে তার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি