অর্থনীতি
ভারত থেকে আসছে আরও ৫০ হাজার টন চাল

দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বাড়িয়ে সরকারি বিতরণব্যবস্থা সচল রাখতে ভারত আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি ৫৩ টাকা ২ পয়সা করে দরে এ চাল আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানি অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে এবং ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এম/এস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এ চাল আমদানি করা হবে।
প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৩ টাকা ২ পয়সা। আর প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৬৫ কোটি ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
জানা যায়, এ ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে আটটি দরপত্র জমা পড়ে। আটটি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভারতের এম/এস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রো কর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই, এলটিডি থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এ চালের প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয় ৪৩৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার। আর মোট ক্রয়মূল্য ধরা হয় ২৬৫ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
তার আগে গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫৭৮ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর প্রতি টনের মূল্য ধরা হয় ৪৭৪ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
এছাড়া ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
পাকিস্তান থেকে ‘জিটুজি’ পর্যায়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কিনতে ব্যয় ধরা হয় ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আর প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয় ৪৯৯ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির ব্যয় ধরা হয় ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ধরা হয় ৪৫৪ দশমিক ১৪ মার্কিন ডলার।
পাকিস্তান থেকে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়ার আগে গত বছরের ৪ ও ১৮ ডিসেম্বর ভারত থেকে ৫০ হাজার টন করে নন-বসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৪ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া চালের মূল্য ধরা হয় ২৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ১৮ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া চালের মূল্য ধরা হয় ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
আশিক চৌধুরীর ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার, বিডার দুঃখ প্রকাশ

নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর ব্যক্তিগত তথ্য অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, এটি তাদের টিমের অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর ব্যক্তিগত সফর সংক্রান্ত একটি খবর পোস্টের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
বিডা আরও জানায়, সংস্থার অফিশিয়াল পেজ শুধুমাত্র দাপ্তরিক কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রচারের জন্য নির্ধারিত। সংশ্লিষ্ট পোস্টটি টিমের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির কারণে প্রকাশিত হয়েছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থেকে কেবল প্রাসঙ্গিক তথ্যই প্রকাশ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৬ প্রস্তাবে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের ৫টি প্যাকেজের আওতায় পূর্ত কাজের ৬টি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ১৮ হাজার ৬৫৩ টাকা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে নতুন ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৯/০১ -এর পূর্ত কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গোলাম রব্বানি কন্সট্রাকশন লিমিটেড ৩৮ কোটি ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠকে একই প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৯ /০২ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৪ হাজার ৫২৮ টাকা।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৪/০২ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাজওয়ার ট্রেড সিস্টেম লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬ কোটি ৯৪ লাখ ২২ হাজার ২৭৪ টাকা।
‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৪/০৩ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং, খুলনা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৩ কোটি ২৯ লাখ ১৩ হাজার ১২৪ টাকা।
বৈঠকে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৪/০৪ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন, বরিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩৪ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার ৩৩৯ টাকা।
এছাড়া বৈঠকেব প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউডি-১৪/০৫ -এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভাওয়াল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কন্সট্রাকশন লি. ময়মনসিংহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ব্যয় হবে ৪৯ কোটি ২ লাখ ৮৮ হাজার ২১০ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আইএমএফের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

অবশেষে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বাংলাদেশের জন্য অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির কাছ থেকে নেওয়া মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শেষ দুটি কিস্তির অর্থ আগামী জুনে পেতে পারে বাংলাদেশ। ওই মাসেই আইএমএফের বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ঋণ প্যাকেজের শেষ দুই কিস্তি অনুমোদন করা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে দফায় দফায় বৈঠকের পর অর্থ ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা শুধু এ সুখবরটি দিতে পারি যে, জুনে ঋণের কিস্তির ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার (১৩০ কোটি ডলার) ছাড় হবে। জুনের (আইএমএফের) বোর্ড সভায় এ অর্থ ছাড় হবে বাংলাদেশের জন্য। বিস্তারিত আগামীকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গভর্নর বিস্তারিত জানাবেন বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে আইএমএফ ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে। জুনে বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (৪৭০ কোটি ডলার) ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুটি কিস্তি অনুমোদন করবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থ ছাড়ের জন্য নির্ধারিত থাকলেও সংস্কারের শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা বিলম্বিত হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে এ ঋণ দেওয়ার কথা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনটি কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। এ হিসাবে ঋণের বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।
গত বছরের ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও নানা শর্তে তা আটকে দেয় আইএমএফ।
তখন আইএমএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শর্ত পূরণ করলে চলতি বছরের মার্চে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাবে বাংলাদেশ। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ঘোষণা আসে, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একত্রে চলতি বছরের জুনে দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে এপ্রিলে বাংলাদেশে সফরে এসেছিল আইএমএফ প্রতিনিধিদল।
ঋণের এই অর্থ ছাড় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি বিনিয়োগকারী ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সিঙ্গাপুর থেকে ৫৮৪ কোটি টাকায় এলএনজি কিনবে সরকার

দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানি করবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সিঙ্গাপুর থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানি করতে মোট ব্যয় হবে ৫৮৪ কোটি ১৬ লাখ ৫ হাজার ৯৫২ টাকা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (২৬-২৭ জুন ২০২৫ সময়ে ২৬তম) এলএনজি আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, পেট্রোবাংলা থেকে এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার পারচেজ অ্যান্ড সেলস এগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ছয়টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিল করা ছয়টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি এমএমবিটিইউ ১২.১৮ মার্কিন ডলার হিসাবে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৮৪ কোটি ১৬ লাখ ৫ হাজার ৯৫২ টাকা।
এর আগে ৭ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া লিমিটেড থেকে এক হাজার ১০৪ কোটি ৪১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৬ টাকায় দুই কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে একটি কার্গো এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউয়ের মূল্য ধরা হয় ১১.৪৪৮৮ মার্কিন ডলার। এতে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সর্বমোট দাম দাঁড়ায় ৫৪৯ কোটি এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫২ টাকা।
আর এক কার্গো এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি এমএমবিটিইউয়ের মূল্য ধরা হয় ১১.৫৭৮৮ মার্কিন ডলার। এতে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজির সর্বমোট মূল্য দাঁড়ায় ৫৫৫ কোটি ৩২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৮৪ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে সারের দুই গুদাম

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার মজুতের জন্য দুটি গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরমধ্যে একটি নেত্রকোনায় এবং অন্যটি ময়মনসিংহে নির্মাণ করা হবে। সার মজুতের এ দুই গুদাম নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সারের গুদাম নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনায় একটি ও ময়মনসিংহে একটি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে দুটি প্রস্তাব আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এআইএল এবং এসসিএলর মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা। প্যাকেজের আওতায় নেত্রকোনায় একটি ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা এবং ময়মনসিংহে একটি ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার স্টিল স্ট্রাকচার বাফার গুদাম নির্মাণ করা হবে।