প্রবাস
প্রবাসে সাংবাদিকতায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন আফছার হোসাইন

প্রবাসে নির্ভীক সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য মিশরে আরটিভি প্রতিনিধি প্রবাসী সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফছার হোসাইন পেয়েছেন ‘দারুল আজহার বাংলাদেশ’ বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মিশরে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘দারুল আজহার বাংলাদেশ’ এর মিফতাহুল মাকামাতের সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে আফছার হোসাইনের হাতে এই বিশেষ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মিশরের বিখ্যাত ক্বারী ফাদিলাতুশ শাইখ ইয়াসির ইবনু আব্দুল বাসেত ইবনে আব্দিস সামাদ হাফিজাহুল্লাহ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কারী সাইয়্যেদ রাশেদ মিশরি হাফিজাহুল্লাহ, শাইখ কারী আব্দুল লতীফ ওয়াহদান হাফিজাহুল্লাহ, শায়েখ ফাউকি জাওয়াদা ফিলিস্তিনি হাফিজাহুল্লাহ, আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশর একমাত্র বিচারক ক্বারী শোয়াইব মোহাম্মদ আল-আজহারী ও দারুল আজহার বাংলাদেশ’ এর প্রতিষ্ঠাতা শাইখ হাবিবুল বাশার আজহারী।
এর আগে মেক্সিকো সরকারের শীর্ষ বেসামরিক সম্মাননা ‘ওহটলি অ্যাওয়ার্ড’, কায়রোস্থ মেক্সিকান দূতাবাসে পরিষেবায় বিশেষ অবদান স্বরূপ রজতজয়ন্তী পুরস্কার, মিশরের আল-আহরাম পুরস্কার, মিশরে বাংলাদেশি চ্যারিটি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন সম্মাননা পুরস্কার ও হাফেজ্জী হুজুর সেবা ফাউন্ডেশনের বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই প্রবাসী।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নে জন্ম নেওয়া আফছার হোসাইন মেক্সিকো দূতাবাসে চাকরি নিয়ে মিশর যান ১৯৯৫ সালে। তার দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে চিকিৎসক পুষ্প হোসাইন যুক্তরাজ্যে একটি স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক এবং ছেলে নাঈম হোসাইন কানাডায় সিনিয়র আইটি কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করছেন। তার স্ত্রী নাজমা হোসাইন কায়রোর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

প্রবাস
ইউনেস্কোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তীর পর্দা উঠলো

ফ্রান্সের ইউনেস্কোতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠান। এতে অংশগ্রহণ করেন ভাষাবিদ, ভাষা বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
২০ ও ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী পালন করছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়, যা ২০০০ সাল হতে ইউনেস্কো কর্তৃক বৈশ্বিক উদযাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস সমূহের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মার্চ ২০২৪ সালে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিসের উদ্যোগে দিবসটির রজত জয়ন্তী পালনের জন্য ইউনেস্কো নির্বাহী পর্ষদের ২১৯তম সভায় একটি রেজুলেশন উত্থাপন করা হয় এবং তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই রেজুলেশনে ইউনেস্কোর ৬৬টি সদস্য দেশ সমর্থন জানায়, যার ফলে ইউনেস্কো প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য কূটনৈতিক অর্জন। এই বছরের আয়োজনের প্রথম দিন অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা সংরক্ষণ এবং প্রসারে দীর্ঘ দিন কাজ করে আসা ভাষা বিশেষজ্ঞ, ভাষাবিদ এবং সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। কারিগরি এই আলোচনা মূলত তিনটি বিশেষ ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করবে। এগুলো হলো- Multilingual approach for peace, Multilingual education in emergency situations and Multilingual education and the use of technology and AI. একইদিনে ইউনেস্কো বিগত ২৫ বছরে দিবসটি পালনের ওপর বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করেছে। পাশাপাশি ভাষা ভিত্তিক ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীদের মাতৃভাষা-ভিত্তিক শিক্ষা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি রজত জয়ন্তী পালনের মূল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন পর্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইউনেস্কো। কিন্তু ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে তিনি প্যারিস ভ্রমণে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং তার বক্তব্য ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় এই বক্তব্য ইউনেস্কো কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের ওয়েব স্ট্রিমের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হবে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিস কর্তৃক নিশ্চিত করা হয়েছে। এবারের রজত জয়ন্তী উদযাপনকে কেন্দ্র করে ইউনেস্কো প্রথমবারের মতো মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার আয়োজন করেছে। এই আলোচনায় বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১২ জন মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ হতে এই আলোচনায় যোগ দেবেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা মূলত দুইটি অধিবেশনে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অধিবেশনের প্রতিপাদ্য How multilingual education is building inclusive societies and supporting lifelong learning যেখানে বহুভাষাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থাকে অংশগ্রহণমূলক সমাজ গঠনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রতিপাদ্য হলো- Five years to 2030: How languages and multilingualism can contribute to achieving the sustainable development goals যেখানে বাংলাদেশের উপদেষ্টা অংশগ্রহণ করবেন। আলোচনাটি ইউনেস্কো কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের ওয়েব স্ট্রিমের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৪৫ মিনিট হতে রাত ১০টা পর্যন্ত। এই আলোচনায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ভাষার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা মাতৃভাষাকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়ন ও তৎপরবর্তী বৈশ্বিক উন্নয়ন এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আলোচনা করবেন।
রজত জয়ন্তী উদযাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক সফট পাওয়ারকে সুসংহত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা যেই টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছি তার অন্যতম বাধা হলো ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট মূলত জাতিসংঘ হতে প্রকাশিত একটি বৈশ্বিক নীতি, যা জাতিসংঘের অফিসিয়াল ৬টি ভাষায় অনমুদিত। ফলে বিভিন্ন ভাষাভাষীদের কাছে এই বৈশ্বিক নীতিপত্রটি সহজে বোধগম্য নয়। ফলে এর বাস্তবায়নে বিভিন্ন দেশ জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবনে বাংলাদেশ সরকার প্যারিস্থ দূতাবাসের মাধ্যমে যেই রেজল্যুশনটি গ্রহণ করেছে তার বৈশ্বিক প্রয়োগ রয়েছে এবং অংশগ্রহণ মূলক বৈশ্বিক নীতি নির্ধারণে এই রেজুলেশনটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে মনে করেন রাষ্ট্রদূত এম তালহা। এছাড়া এই প্রথমবারের মতো ইউনেস্কো পুরো অনুষ্ঠানটি জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষার পাশাপাশি সংকেত ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যা বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তাবিত রেজল্যুশনের অন্যতম আলোচ্য ছিল।
সার্বিক বিবেচনায় এই উদ্যোগটি গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রসারের বৈশ্বিক কার্যক্রমে অভূতপূর্ব নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট এই অনন্য কূটনৈতিক অর্জনকে স্বীকৃতি জানিয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দূতাবাস, প্যারিসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদকের জন্য মনোনীত করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা এই পদক হস্তান্তর করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করা ৬৮ বিদেশিকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)। এদের মধ্যে ৪৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে।
একেপিএস এক বিবৃতিতে জানায়, আটকরা মূলত পর্যটক হিসেবে প্রবেশের দাবি করলেও তারা ইমিগ্রেশন কাউন্টারের দিকে এগোননি। বরং বিমানবন্দরের খাবারের দোকান ও অন্যান্য জায়গায় ঘোরাফেরা করছিলেন এবং বিশেষ কারও জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়।
পরে ৪৫ বাংলাদেশি, ১৬ পাকিস্তানি ও সাত ভারতীয় নাগরিককে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন অপারেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে নোটিশ টু লিভ (ফেরত যাওয়া) দেওয়া হয়।
একেপিএস জানায়, গত জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিমানবন্দরের নজরদারি দল দুই হাজার ৬৫৪ বিদেশিকে যাচাই-বাছাই করেছে, যার মধ্যে ৯০০ জন প্রকৃত পর্যটক না হওয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে চাওয়া পর্যটকদের অবশ্যই নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে, অন্যথায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে কড়া নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকের কারাদণ্ড

মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি নাগরিকের ২৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির ইয়ং পেং ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ২৫ বছর বয়সী অভিযুক্ত রফিক তিনটি অভিযোগে দোষ স্বীকার করেছেন, যার মধ্যে একজনকে মারধর করা ও ২০টি চারা গাছ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট আরুন নভাল দাসের আদালতে দোভাষীর মাধ্যমে রফিক তার দোষ স্বীকার করেন।
আদালতের বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর মধ্যে মূলত বেতন পরিশোধ সংক্রান্ত একটি বিরোধ ছিল। বেতন না পেয়ে এই বিরোধ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে অভিযুক্ত রফিক ভুক্তভোগীকে পেছন থেকে আঘাত করেন এবং ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মস্থলের চারা গাছগুলোর ক্ষতি করেন।
প্রথম অভিযোগ অনুযায়ী, ৭ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে ইয়ং পেং-লাবিস সড়কে ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার দায়ে তাকে মালয়েশিয়ার ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই একই সময়ে ও স্থানে তিনি ভুক্তভোগীকে ভয় দেখিয়ে হুমকি দেন, যা ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হয়। তৃতীয় অভিযোগ, ৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্ত তার কর্মস্থলে ২০টি চারা গাছ নষ্ট করেন, যা কোম্পানির মালিকানাধীন ছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির ৬ হাজার রিঙ্গিত ক্ষতি হয়। এ অপরাধটি ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারার আওতায় পড়ে, যার শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড।
তদন্ত শেষে, উপ-অভিযোজক ফারাহ ওয়াহিদাহ মোহাম্মদ শরীফ মামলাটি পরিচালনা করেন, তবে অভিযুক্ত কোনো আইনজীবী পাননি।বিচারক অভিযুক্তকে ৪২৭ ধারায় এক বছর, ৩২৩ ধারায় আট মাস এবং ৫০৬ ধারায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। তবে, আদালত নির্দেশ দেন যে সমস্ত সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে। ৮ ডিসেম্বর থেকে তার সাজার দিন গণনা শুরু হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নব-নির্বাচিত কমিটি ঘোষণা

মিশরে আল আযহার সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সহ বর্তমানে প্রায় ৩ হাজারের উপরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বসবাস। যারা উচ্চ শিক্ষায় পড়াশোনা করতে পাড়ি জমিয়েছে বাংলাদেশ থেকে সূদুর মিশরে। এই সকল শিক্ষার্থীদের শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে সেখানে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন, মিশর নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন, যাকে তারা সংক্ষেপে “ইত্তিহাদ” নামে ডাকে।
এই সংগঠনের কার্যকরী কমিটি ২০২৪/২৫ সেশন প্রকাশিত হয়েছে শনিবার (২৫জানুয়ারি)। এবারের কমিটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এস এম ফখরুল ইসলাম, এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নূর হোসাইন।
এই স্টুডেন্ট কাউন্সিল সাধারণত আল আযহার সহ সকল অফিসিয়াল কার্যক্রম আঞ্জাম দেয়ার পাশাপাশি, বাংলাদেশ দূতাবাস কায়রো মিশরের পাশে থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কাজ ও সেবা প্রদান করে থাকে। শিক্ষার্থীদের যে কোন অফিসিয়াল ঝটিলতা, আইনী সমস্যা, বিপদ আপদ কিংবা হয়রানিতে সবার আগে দৌড়ে ছুটে ইত্তিহাদ। শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন ট্যুর, সাংস্কৃতিক আয়োজনে খেলাধুলা, রমজানে ইফতার প্রোগ্রাম ও কোরবানী সহ সারাবছর চতুরমুখী কার্যক্রমে ব্যাস্ত থাকে এই সংগঠনটি।
দেশের নাম উজ্জ্বল করতে অবদান রাখা প্রতিটি শিক্ষার্থী বিভিন্ন ভাবে কাজ করে যায় অনবরত। ইতোপূর্বে আল আযহারে পড়তে আসা বিশ্বের প্রায় ১৩০ দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকবার সেরা ফলাফল করেছে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এ, যা বাংলাদেশের জন্য গর্বের।
সম্প্রতি ডি-এইট সন্মেলনে যোগ দিতে অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস যখন মিশরে যান, সেখানেও তিনি শিক্ষার্থীদের এমন উচ্চ প্রশংসা শুনতে পান মিশরের বিভিন্ন সরকারি মহল থেকে। ড. ইউনূস আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা বাংলাদেশ দূতাবাস কায়রোর পাশাপাশি সার্বিক ম্যানেজমেন্ট ও আয়োজকের ভূমিকায় ছিলো বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
মালয়েশিয়ায় ১০ ভুয়া বাংলাদেশি চিকিৎসক গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবৈধ চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ১০ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। প্রবাসী অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর দ্য স্টার।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের (ফার্মেসি) সহযোগিতায় পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরের গোয়েন্দা ও অপারেশন বিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালায়। অভিযান চালানো হয় জালান তুন তান সিউ, লেবোহ, পুডুহ এবং জালান সিলাংসহ ১০টি স্থানে।
অভিযানে ৩১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১০ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজনের কাছে পরিসেবা খাতের জন্য একটি অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস ও ছয়জনের কাছে নির্মাণ খাতের অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস ছিল। এ ছাড়া দুজন অতিরিক্ত সময় ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করেছিলেন এবং অন্যজনের কাছে কোনো ভ্রমণ নথি বা বৈধ পাস ছিল না।
অভিযানে জাল চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ৫০২ ধরনের অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করা হয়। এসব ওষুধের বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার ১৯২ রিঙ্গিত।
জাকারিয়া শাবান জানান, গ্রেপ্তাররা লাইসেন্সবিহীন চিকিৎসাসেবা দিতেন এবং তাদের কার্যক্রম শুধু বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
জব্দ করা ওষুধগুলো বাংলাদেশ থেকে আনা হতো, যা মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নয়।
বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকরা এসব ওষুধ আনতে সাহায্য করতেন। রেস্টুরেন্ট এবং খুচরা দোকানের আড়ালে এই কার্যক্রম পরিচালিত হতো। প্রতিটি রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসা ও ওষুধের জন্য ৫০ থেকে ২০০ রিঙ্গিত চার্জ করা হতো। চক্রটি গত এক বছর ধরে এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
আটকদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫২-এর ধারা ১৩(ক), বিষ (সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস) রেগুলেশন ১৯৮৯-এর রেগুলেশন ৩(১) এবং ১৯৮৪ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস কন্ট্রোল রেগুলেশন ৭(১) অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।
তাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও দুই বাংলাদেশি পুরুষ ও ছয় স্থানীয় নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইমিগ্রেশন দপ্তরে হাজির হওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এমন অবৈধ কার্যক্রম প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।