ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট)।
প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।
পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পারভেজ হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন

সম্প্রতি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা। এসময় মানববন্ধনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্মকে বিলুপ্ত ঘোষণার জন্য সরকারকে আহ্বান জানান তারা।
আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এ মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, উল্লাস, রোকন, সাক্ষর, সাবিক, রিয়াজ, আলিনুর প্রমুখ।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব বলেন, জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি হত্যাকারীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ২৪ শে আন্দোলনের সময় বলেছিলো জুলাই বিপ্লবে সফলতার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দাড়িয়ে সংগঠনটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে কিন্তু তারা বিলুপ্ত ঘোষণা না করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। জুলাই বিল্পবের পর বাংলাদেশ থেকে ছাত্রলীগ যেমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে তেমনি এই প্লাটফর্মকে বিলুপ্ত ঘোষণা করার জন্য যা যা করণীয় সরকার যেন সে সকল ব্যবস্থা নেয়।
মানববন্ধনে ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাহেদ আহমেদ বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামধারী কিছু কর্মী দ্বারা দিবালোকে পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু এখনো তাদের গ্রেপ্তারের করা হয়নি। শুধু হত্যাকারীদের বিচার করলে হবে না তাদের পিছনে কারা আছে সেটাও তদন্ত করে বিচার করতে হবে।
এসময় তিনি অন্তর্বতীকালীন সরকারকে ইঙ্গিত করে আরো বলেন, আপনারা কৌশলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করেতে চেষ্টা করছেন, স্বৈরাচারের দোসর বসুন্ধরা গ্রুপের সাথে লেনদেন করে নিজেদের দল গঠনে ব্যস্ত আছেন। অথচ এসব দোসর আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে খুনি হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে বিদেশ ভ্রমন করত। দেশে বর্তমানে দখলদারিত্বের রাজনীতি চলছে, প্রশাসন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের কথায় চলছে। আমরা কালক্ষেপণ না করে ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার অতিদ্রুত বিচার চায় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

চলমান গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে র্যালি ও মানববন্ধন করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসর, ইবি শাখা।
আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ফুলকড়ি আসরের পরিচালক আহমদ আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়।
এসময় র্যালিতে শিশুদের হাতে প্রতীকী লাস, ফিলিস্তিনের পতাকা ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। এছাড়া ফ্রম দা রিভার টু দা সি’ প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ওয়ান টু থ্রি ফোর ইজরায়েল নো মোর ইত্যাদি স্লোগান দেয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ‘স্টান্ড আপ ফর গাজা’, ‘স্টপ কিলিং’, স্টপ কিলিং চিলড্রেন ইন প্যালেস্টাইন’, ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ প্রতীকী প্লেকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে সাকসেস বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং এর পরিচালক রায়হান জামিল বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি মুসলমানেরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ, বৃটেন ও আমেরিকার ষড়যন্ত্র ও প্রতারনার শিকার। এছাড়া ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরায়েলের গণহত্যার শিকার। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি শাহাদাত হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের রক্ত নিয়ে হলি খেলায় মেতে উঠেছে। ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে তবুও তাদেরকে নগ্ন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা শক্তি সহ আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র আগ্রাসী ভারত। ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য মুসলিম হওয়ার প্রয়োজন নাই, ন্যূনতম মনুষ্যত্ববোধ থাকলেই প্রতিবাদ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা যাদেরকে আমরা মানবতার ফেরিওয়ালা বলে থাকি তাদের মনুষ্যত্ব, মানবিকতা মৃত দেখতে পাচ্ছি।
সমাবেশে ফুলকড়ি আসরের পরিচালক আহমদ আবদুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিন একদিন স্বাধীন হবে যেটা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বর্ননা করেছেন। ফিলিস্তিনের বিজয় সুনিশ্চিত, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর সহ গাজা ও রাফায় ইহুদিবাদী ইসরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে সেটা তাদের একটি ভুল সিদ্ধান্ত, কারন মুসলমানদের বিজয় এখান থেকেই শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, মানববন্ধনে শিশুদের ফিলিস্তিনি শিশুদের লাশের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৬তম বিসিএস নিয়ে পিএসসির নতুন বিজ্ঞপ্তি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। রবিবার (২০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, প্রার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের পর কাউকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
প্রবেশপত্রে উল্লেখিত নির্দেশনা এবং পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পরীক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথভাবে প্রতিপালনেরও অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, ৪৬তম বিসিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (আবশিক বিষয়) আগামী ৮ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রোববার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের

এবার সারাদেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল (রোববার) দেশব্যাপী এই কমসূচি পালন করবেন তারা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী।
কুমিল্লার কর্মসূচিতে ‘হামলার’ অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সারা দেশে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে আজ প্ল্যাকার্ড হাতে ‘রাইজ ইন রেড’ নামে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে ছয় দফা দাবি আদায়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
মিছিল পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষকে বলবো, আমাদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেনে নিন, আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব। কুমিল্লার ভাইদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করুন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী।
কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, এই সরকার আমাদের সরকার, শিক্ষার্থীদের সরকার, বিপ্লবীদের সরকার। এই সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। কারিগরি শিক্ষা সেক্টরে যে বৈষম্য আছে, আমরা চাই সরকার তা দূর করুক।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে মশাল মিছিল করেন। তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেও সন্তুষ্ট না হয়ে ছয় দফা দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বুধবার সকাল থেকে ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবি সিন্ডিকেট সভায় থাকছেন কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর, নিচ্ছেন সম্মানী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সদস্য না হলেও ‘পর্যবেক্ষক’ হিসেবে নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিচ্ছেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ। তারা সভায় অংশগ্রহণ ছাড়াও সম্মানীও গ্রহণ করছেন, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঢাবির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষকরা বলছেন, ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সিন্ডিকেট সদস্য না হলে সভায় অংশগ্রহণ বা সম্মানী গ্রহণের সুযোগ নেই। শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহের স্বার্থে কাউকে পর্যবেক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো যায়, তাও সীমিত ক্ষমতার আওতায়। সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় তিনি অংশ নিতে পারেন না।
কিন্তু কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ এ পর্যন্ত সাতটি সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিয়ে সভার আলোচনায় সক্রিয় থেকেছেন এবং প্রতি সভায় উপস্থিতির জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে সম্মানী গ্রহণ করেছেন, যাকে ‘নজিরবিহীন’ বলেছেন সিন্ডিকেটের একজন সদস্য।
সিন্ডিকেট সদস্য আবু হোসাইন মোহাম্মদ আহসান জানান, উপাচার্য চাইলে কাউকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। তবে কাউকে কন্টিনিউয়াসলি আমন্ত্রণ জানানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা নজিরবিহীন। আমি গত দুই বছর ধরে সদস্য হিসেবে আছি। আমি কখনো দেখি নাই।
সম্মানীর বিষয়ে তিনি বলেন, সিটিং অ্যালাউন্স শুধুমাত্র সিন্ডিকেট সদস্যদের জন্য। আমি এর আগে কখনো অন্য কাউকে নিতে দেখি নাই।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ, তবে তারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে চাননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা, যোগ্যতা ও মর্যাদা নির্ধারিত এবং অন্য কোনো পদে থাকা ব্যক্তির এসব সভায় অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। সদস্য না হয়েও ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং সম্মানী গ্রহণ ঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দুর্বলতা, বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড এবং আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভায় অংশগ্রহণ এবং সম্মানী নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তারা দুজনেই বলেছেন, তারা সিন্ডিকেট সভায় অংশগ্রহণ করেছেন উপাচার্যের আমন্ত্রণে।
এ বিষয়ে সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, উপাচার্যের এখতিয়ার আছে আমন্ত্রণ জানানোর। তাই, আমরা তার আমন্ত্রণে সিন্ডিকেটে অংশগ্রহণ করেছি। আর প্রতিটি সিন্ডিকেট সভায় সদস্যদের জন্য সম্মানীর ব্যবস্থা রয়েছে।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, উপাচার্য মহোদয়ের এখতিয়ার আছে যে কাউকে ইনভাইট করার। আমরা তার ইনভাইটেশনে সিন্ডিকেটে গিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান জানান, আমি তাদের অবজারভার হিসেবে রেখেছি। প্রতিবার সিন্ডিকেট মিটিংয়ের আগে তারা আমার কাছ থেকে পারমিশন নেন। তবে অধ্যাদেশের ধারায় এটা উল্লেখ আছে আমি জানি। তাই তারা অবজারভার হিসেবে অংশ নেন। এখানে নিয়মের লঙ্ঘন হওয়ার মত কিছু দেখছি না।
তাদের সম্মানী গ্রহণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে উপাচার্য বলেন, এ বিষয়ে আমি আলাপ করে দেখব।