রাজনীতি
এটিএম আজহারুলের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: জামায়াতের আমির

জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি কেন হচ্ছে না প্রশ্ন রেখে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমার চেয়েছি অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যহীনের উদাহরণ সৃষ্টি করবে। কিন্তু কাউকে মুক্তি দিবে কাউকে মুক্তি দিবে না সরকারের এমন কর্মকান্ডে জাতি আশাহত হয়েছে। স্পষ্ট করে বলতে হয়, অনতিবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলাম সহ জুলুমের শিখার সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতিক ফেরত দিবে দিতে হবে। নতুবা জামায়াতে ইসলামী রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলমান রাখবে। এবং আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে। মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ফ্যাসিবাদের জুলুম ধরে রাখা যাবে না। সকল জুলুমের কবর রচনা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে পল্টন মোড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর কর্তৃক এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জামায়াত আমির আরো বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগ বিচারিক হত্যা করেছে। যখন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম, তখন আওয়ামী লীগ তাকে আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিগত ১৩ বছর কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।
ফ্যাসিবাদের ভাষায় নয় রাজনীতির ভাষায় কথা বলতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী এক আল্লাহ ব্যতিত কাউকে ভয় করে না। কারো কাছে মাথানত করে না। বহু আপোসের প্রস্তাব জামায়াতে ইসলামী ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। কারা কোথায় মাথানত করেছে তা আমাদের জানা আছে, তথ্যও আছে। জামায়াতে ইসলামী কারো চোখ রাঙ্গানীকে ভয় করে না। বরং সকল অপশক্তি ও ফ্যাসিবাদের নিপাত করতে জানে।
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের থেকে জানতে চান, বিগত সাড়ে ১৫ বছর যেভাবে জাতিকে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে লড়াই করা হয়েছে, বৈষম্য মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সেই লড়াই অব্যাহত রাখা যাবে কিনা?- এসময় উপস্থিত লাখ-লাখ নেতাকর্মী লড়াই অব্যাহত রাখার স্লোগান দিতে দেখা যায়। দেশ এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি। তাই দেশ যতদিন বৈষম্যমুক্ত না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ হবে না। কারণ, আমাদের বিজয় সবে শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি। তিনি উচ্চকিত কন্ঠে স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ; শেষ হয়নি যুদ্ধ’। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের যুদ্ধ-সংগ্রাম চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিচারের নামে প্রহসন ও ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে গুরুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারের পতনের পরও তার মুক্তির দাবি নিয়ে আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে এটিএম আজহারের মুক্তি, দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় আগামী দিনের আন্দোলনকে সর্বাত্মক রূপ দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, যদি চোখের ভাষা আর মুখের ভাষা সরকার না বুঝে তবে যেই ভাষা সরকার বুঝবে সেই ভাষাই ব্যবহার করা হবে। বিপ্লবের পর বিপ্লবী নেতা কারাগারে থাকতে পারে না। ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়েছে এদেশ থেকে জুলুমের ইতিহাস মুজে একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে। সেই মানবিক রাষ্ট্র গঠনে যারা বাঁধা হবে তাদের পরিণতিও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের মতই হবে। এটিএম আজহারুল ইসলাম সহ জুলুমের শিকার সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র-জনতার নামে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দায়ের করা সব মামলা বাতিল করতে হবে। নতুবা আমরাও কঠোর হতে বাধ্য হবো।
সভাপতির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর প্রধান উপদেষ্টা তার মামলা থেকে মুক্তি নিয়েছেন। আইন উপদেষ্টা তার মামলা থেকে মুক্তি নিয়েছেন। অথচ আওয়ামী লীগের জুলুমের শিকার হয়ে যেই বিপ্লবী নেতা বিগত ১৩ বছর কারাগারে বন্দি তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আমরা গত ৬ মাস অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিয়েছি। কিন্তু সরকার বৈষম্য দূর না করে নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। কেউ মুক্তি পাবে, কেউ মুক্তি পাবে না এটা নতুন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতিক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। নয়তো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেন নূরুল ইসলাম বুলবুলু।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা.ফখরুদ্দিন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অফিস সেক্রেটারী কামরুল আহসান হাসান, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রমহানের নেতৃত্বে কয়েক লাখ নেতাকর্মী পল্টন মোড় থেকে শুরু করে শাহবাগে এসে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে।

রাজনীতি
জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে জামায়াত সর্বদা প্রস্তুত: ড. হেলাল

দেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সর্বদা প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) শাহবাগ পূর্ব থানার উদ্যোগে আয়োজিত প্রচার মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াত আয়োজিত জাতীয় সমাবেশকে স্বাগত জানিয়ে এই প্রচার মিছিলের আয়োজন করা হয়।
এসময় ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যেন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তা নিশ্চিত করতে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই ঢাকার জাতীয় সমাবেশ শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই সমাবেশের মাধ্যমে জনগণের ন্যায্য দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। তাই এই ঐতিহাসিক জাতীয় সমাবেশ সফল করার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’
জামায়াত নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ ভূলুণ্ঠিত, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। আমরা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো জাতীয় নির্বাচন চাই। সে লক্ষ্যেই ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশ ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিবাহী সময়ে জাতীয় সমাবেশ জাতীয়ভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার পর গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে।’
ড. হেলাল বলেন, ‘সংস্কার না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আরেকটি ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। আবারও নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে, তা জনগণ কিছুতেই মেনে নেবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই এই সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, দখলবাজদের সঙ্গে জোট করবে না। জোট করবে সৎ, দক্ষ, যোগ্য, নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্বের সঙ্গে। জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্যই হচ্ছে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতিকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দেওয়া।’
ড. হেলাল আরও বলেন, ‘যারা দল পরিচালনায় ব্যর্থ, তারা দেশ পরিচালনায়ও ব্যর্থ হবে। যারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা ক্ষমতায় গেলে দেশের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হবে জাতি সেটি জানে। যে দলের এক নেতা আরেক নেতার কাছে নিরাপদ নয়, এক কর্মী আরেক কর্মীর কাছে নিরাপদ নয়, সেই দলের কাছে দেশ ও জাতি কখনোই নিরাপদে থাকতে পারবে না।’
শাহবাগ পূর্ব থানা আমির আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মো. নুরুন্নবী রায়হানের সঞ্চালনায় মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- থানা বায়তুলমাল সম্পাদক কামরুজ্জামান, অফিস ও প্রচার সম্পাদক মুখলেছুর রহমান জুয়েল, কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল মোনিম খান, ওমর ফারুক, ফারুক হোসেন, আলী হোসেন সুমন, সানাউল্লাহ রাকিবসহ অনেকে।
জামায়াতের এই মিছিলটি সেগুনবাগিচার আন নুর মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়নগর মোড়ে এসে শেষ হয়।
কাফি
রাজনীতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দেখে মরতে চাই: সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তর) সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা, শাপলা গণহত্যার নির্দেশদাতা, দিল্লিতে বসে থাকা হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই বাংলাদেশে হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেখে মরতে চাই।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় মুন্সীগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংক চত্বরে পদযাত্রা শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সারজিস বলেন, দেশের বাইরে বসে যারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণহত্যার সশস্ত্র হামলার ষড়যন্ত্র করছে তাদের অচিরেই গ্রেপ্তার করে জুলাই সহযোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিস্টদের দোসরমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ হতে এখনো অনেক পথ বাকি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সেই পথ পাড়ি দিতে হবে।
সারজিস আরও বলেন, আমরা যখন গোপালগঞ্জে যাই, আমরা বলেছিলাম আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশে একটি অংশ একটি জেলা এই গোপালগঞ্জ। কিন্তু আমরা দেখলাম সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানা হয়ে উঠেছে এই গোপালগঞ্জ। শুধু গোপালগঞ্জ নয়, পুরো বাংলাদেশে যেখানে ফ্যাসিস্টদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থাকবে, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দলমত নির্বিশেষে তাদের প্রতিহত করতে হবে। তাদের যদি আমরা জায়গা করে দিই তবে আগামীর বাংলাদেশে তারা এর চেয়ে বেশি ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, ডা. তাসনিম জারা, সামান্তা শারমিনসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। সকাল থেকেই কর্মসূচিকে ঘিরে শহরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া পুলিশ ও সেনাবাহিনীকেও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।
কাফি
রাজনীতি
জুলাই হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার নিশ্চিতের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, উত্তরা থানা শাখার কর্মী মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি – ঢাকা মহানগর উত্তর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল।
শ্রদ্ধা নিবেদন পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি – ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা চৌধুরী জোসেন, যুবনেত্রী মিনা চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএলের সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগরের সভাপতি সালমান রাহাত, সাধারণ সম্পাদক প্রিজম ফকির, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল হাসান সুজনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ডা. সাজেদুল হক রুবেল বলেন, “অভ্যুত্থানের যেই জন-আকাঙ্খা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিনিয়ত তার বিপরীতে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এই গণঅভ্যুত্থানকে মেটিকুলাস ডিজাইনড বলে প্রধান উপদেষ্টা দেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন। জনগণের ত্যাগকে অবজ্ঞা করে বাংলাদেশকে বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনের কথা শুনলেই ওনাদের সংস্কারের কথা মনে হয়, কিন্তু গত এক বছরে দৃশ্যমান কোন সংস্কারই করতে পারেন নাই। এমনকি বিচারকার্যও শুরু করতে পারেন নাই। জনগণের প্রকৃত মুক্তি নিশ্চিতে বাম-প্রগতিশীল শক্তি একত্রিত হয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, “২০২৪ সালের ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন মূলত স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের রূপান্তরিত হয়। ছাত্রসমাজ বুঝতে পেরেছিল পরাক্রমশালী স্বৈরাচারকে পরাস্ত করলে না পারলে ন্যায্য দাবি আদায় করা সম্ভব নয়। সেই ১৮ জুলাই উত্তরায় ২৯ জন ছাত্র-জনতা শহীদ হন। ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী মাহমুদুল হাসান রিজভী মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
আজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর হতে চলল। অথচ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোন অগ্রগতি আমরা দেখছি না। উলটো অভ্যুত্থানের চেতনার বিপরীতে গিয়ে নতুন আরেকটি গণবিরোধী সরকার আমরা পরিলক্ষিত করছি। মুক্তিযুদ্ধকে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। অথচ সরকার নির্বিকার। জুলাইয়ের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারের পতন হলেও জনগণের মুক্তি আসে নাই। জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে আরও একটি গণঅভ্যুত্থান প্রয়োজন। সেই গণঅভ্যুত্থান হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, সাম্যবাদী শক্তির হাত ধরে। আগামীর সেই লড়াইয়েও ছাত্র ইউনিয়ন সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার ভেতর দিয়েই শহীদ রিজভীসহ সকল শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে।”
কাফি
রাজনীতি
আমাদের সামনে আরেকটি লড়াই আসছে: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা জানি, আমাদের সামনে আরেকটি লড়াই আসতেছে। সেই লড়াইয়ের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি বলেন, সামনের এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের সেই লড়াইয়ে মুন্সীগঞ্জ আমাদের সঙ্গে থাকবে, আমরা জানি।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকার কৃষি ব্যাংকের সামনে এনসিপির পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে হামলা চালানো হয়েছে, বাংলাদেশের আরও ১০টা জায়গায় হামলা চালানো হলেও আমাদেরকে দমন করা যাবে না। মুজিববাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিরূপের যে লড়াই আমরা শুরু করেছি, এই লড়াই সমাপ্ত না করে আমরা থামবো না।
তিনি বলেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই, আপনারা সচেতন হন। গণঅভ্যুত্থানে আপনার সন্তান জীবন দিয়েছে। আপনাদের কথা বলতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় আপনারা সরব হন। প্রতিবাদের সংস্কৃতি গড়ে তুলুন। ইনশাল্লাহ আমরা যখন প্রতিবাদ করতে শিখেছি, আমরা আমাদের সব অধিকার এবং মর্যাদা নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব। দেখা হবে নতুন বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জের হাজারো মানুষ প্রবাসে থাকে আমরা প্রবাসীদের ভোটাধিকারের কথা বলছি। আমরা প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব, ইনশাল্লাহ।
দেশ গড়তে ‘জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জে পদযাত্রার অংশ নিতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জে আসেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় এনসিপির কয়েকশ নেতাকর্মী সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও মুন্সীগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক কমিটির আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম।
এর আগে, জুলাইয় পদযাত্রা উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে শুক্রবার সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। প্রথমে তারা মুন্সীগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির সামনে জড়ো হন, পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে এসে মুন্সীগঞ্জ সুপারমার্কেট চত্বর এলাকার কৃষি ব্যাংকের সামনে সমাবেশস্থলে জড়ো হন।
কাফি
রাজনীতি
জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটির বৈঠক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে প্রচার ও মিডিয়া উপ-কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ৯টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় প্রচার, মিডিয়া ও আইটি, ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের প্রচার, মিডিয়া ও আইটি এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রচার, মিডিয়া ও আইটি বিভাগের দায়িত্বশীলগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈঠকে প্রচার, মিডিয়া ও আইটি উপ-কমিটির সার্বিক কাজের পর্যালোচনা করা হয় এবং সমাবেশের দিন ১৯ জুলাই শনিবার জাতীয় সমাবেশ সুশৃঙ্খল ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দায়িত্বশীলদের মাঝে সুনির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব বন্টন করা হয়।
কাফি