রাজনীতি
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি: ফখরুল

জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশবাসী স্থানীয় সরকারের নির্বাচন মেনে নেবে না। বিএনপিও তা কখনো হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যশোরে টাউন হল মাঠে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনাকে বিএনপি শ্রদ্ধা করে। দেশবাসী আপনাকে ভালোবাসে। আপনি আমাদের গর্ব। কিন্তু সেই সম্মানটুকু রক্ষার দায়িত্ব আপনারই।
তিনি আরও বলেন, আপনি যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দিয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে দেশবাসী তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারাও ক্ষমতার চেয়ার ছেড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। জনগণের রায় যদি আপনাদের পক্ষে যায়, তাহলে আপনারাই দেশ পরিচালনা করবেন। তবুও আমরা বলবো জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করুন।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাষ্ট্র সংস্কারে ভিশন-৩২ ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এসবই চলমান বিষয়। আর এসব সংস্কার তখনই কার্যকর হবে যখন দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস অপু, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
ছোট পরিসরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে পারে: নুর

জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তবে ছোট পরিসরে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগেও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, জন্ম নিবন্ধনের মতো সেবা মানুষ পাচ্ছে না। একজন আমলা আর কতটুকুই করতে পারে। অন্তত সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলাগুলোর নির্বাচন আগে হতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য একটা দক্ষ প্রশাসন দরকার। গত ১৬ বছরের যে প্রশাসন কারচুপির নির্বাচন করেছে, তাদের দ্বারা কী করে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আগে বলতো আওয়ামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ। এখন কেউ বলছে গণ অধিকার পরিষদের লোক, কেউ বলে বিএনপির লোক, কেউ বলে জামায়াতের লোক। আবার কেউ বলে আমরা ছাত্রদের প্রতিনিধি। কাজেই এখনকার প্রশাসনের মধ্যেও যদি এই রাজনৈতিক মনোভাব থাকে, তাহলে তো নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে।
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, নির্বাচনে যে রিটানিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা দায়িত্ব পালন করবেন, তারা যদি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকেন; সেটা যেন কমিশন আগেভাগেই নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও বলেন, বিতর্কিত নির্বাচনে যারা জড়িত ছিল, তাদের অনেকে বহাল তবিয়তে আছে। অনেককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। কাউকে কাউকে তলে তলে সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। আমরা বলেছি, তারা যেন নির্বাচনী দায়িত্বে না থাকে।
বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল বা স্থগিত করে দলটিকে ভোটের মাঠের বাইরে রাখারও দাবি জানান নুরুল হক নুর।
ডাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার জোটের কোনো দল যেনো নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সেই কথা কমিশনকে জানানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
দ্রুত নির্বাচন দিয়ে অস্থিরতা দূর করুন: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আজকে সবাই কিন্তু অস্থির অবস্থায় আছি। ঠিক জানি না কখন, কোথায় কী হচ্ছে। বুঝতেও পারছি না। এই জায়গা থেকে আমি অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান প্রফেসর ইউনূসকে অনুরোধ করবো- জাতিকে অস্থিরতার মধ্যে না রেখে দয়া করে খুব দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লার লাকসাম স্টেডিয়ামে রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লাকসাম উপজেলা, পৌরসভা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশকে আবার অস্থির করার পাঁয়তারা চলছে। আমরা চাই এই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কেননা ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে গঠিত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আজকে একটি ফ্যাসিবাদ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রজনতার সমন্বয়ে আমরা বিদায় করেছি। এখন একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন এ সরকারকে সমর্থন না দিলে কাজ করতে পারবে না। তাই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা ভোটের কথা কেনো বলছো। নির্বাচিত সরকারের সাথে জনগণ থাকে। অনির্বাচিত সরকারের সাথে জনগণ থাকে না। তাই যতদ্রুত সম্ভব সংস্কার শুরু করে নির্বাচন দেন।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ৭১ দেশ স্বাধীন করেছিলাম, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ভালো কিছু উপহার দিতে পারে নাই। তারই কন্যা সংসদ, বিচার বিভাগ, নির্বাচনী ব্যবস্থা, ভোটাধিকার, অর্থনীতি সব ধ্বংস করে দিয়েছে। এ থেকে দেশকে সুস্থধারায় ফিরে আনতে তারেক রহমান স্লোগান দিয়েছেন টেকব্যাক বাংলাদেশ। আরেকটি স্লোগান দিয়েছে ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথেই ফয়সালা হয়েছে। হাসিনা পালিয়েছে।
তিনি বলেন, এই লাকসামে বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক অত্যাচারের শিকার হয়েছে। ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছিল মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, বিএনপির কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেয়নি। লাকসামের ত্রাস ছিলেন। এখন কোথায়?
তিনি আরও বলেন, সারা দেশে আমাদের সাবেক এমপিসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ৬০ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। জুলাই বিপ্লবেও ২ হাজার মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে। সেই শহীদদের সম্মান জানাই, সম্মান জানাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাই গণতন্ত্রের জননীকে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিজেদের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে চাই না। কেউ কোনো বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। অযথা দেশকে বিভ্রান্ত করবেন না। ২৪ যেমন আমাদের স্মরণীয়, ৭১-ও স্মরণীয়। ৭১ নিয়ে কটাক্ষ কেউ কথা বলবেন না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক বয়স হয়েছে। আর হানাহানি চাই না। দেশ নিয়ে শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। আগেও বলেছি ভারত আমাদের বড় প্রতিবেশী। তারা শেখ হাসিনা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিলে জনগণ তাদের পক্ষে থাকবে না। এরা দেশের মানুষকে হত্যা করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণা জামায়াত আমিরের

জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নিজেই গ্রেপ্তার হতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন জামায়াত আমির।
তিনি ওই পোস্টে বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম এখনো বন্দি রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতৃবৃন্দ মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দি জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন।
জামায়াত আমির আরো বলেন, ‘তাকে (এ টি এম আজহারুল ইসলাম) কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি। এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকব।’
তিনি আরো বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবেন, ইনশাআল্লাহ।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নতুন প্রজন্মের হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: হাসনাত

গত ১৬ বছরের সব ঝড়-ঝঞ্ঝা আর গ্লানি মুছে দিয়ে এই নতুন প্রজন্মের হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমরা থামব না। আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবই। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তিন দিনব্যাপী দেবিদ্বার স্টুডেন্ট ফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের একটি বিষয় হলো অনেক শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করার পর বিদেশে চলে যায়, আর মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিয়ে দিয়ে দেয়, এটি খুবই দুঃখজনক। আমি বলব আপনারা স্বপ্নটাকে বড় করে দেখুন, ওই স্বপ্নে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত আমরা সহযোগিতা করব।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে, দেখতে হবে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। যে স্বপ্নে তোমাকে ঘুমাতে দেবে না। অভিভাবকদের বলছি, আপনারা আপনাদের সন্তানদের এ মেলায় নিয়ে আসুন। সবগুলো স্টল ঘুরিয়ে দেখান। মেলা থেকে বের হওয়ার পর জিজ্ঞাসা করুন আপনার সন্তান এই ফেস্ট থেকে কী শেখতে পেরেছে।
অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নতুন দলের ঘোষণা হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি

চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ হতে পারে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ।
ইতোমধ্যে দলটির আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। পরের পদগুলোর জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখভাগের কয়েকজন নেতার নাম আলোচনায় আছে।
দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, নতুন দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের আয়োজনটি হতে পারে ২৬ ফেব্রুয়ারি।
এমনকী তিনি এও জানান, ঢাকায় অনুষ্ঠান করে দলের ঘোষণা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটি হতে পারে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে।
এদিকে নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য নাহিদ ইসলাম যেকোনো সময় সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল তিন নেতা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে তারা জানান, সদস্যসচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অধিকাংশ নেতার পছন্দ আখতার হোসেনকে। মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদের জন্য আলোচনায় আছেন সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ কমিটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের লোকজন আছেন। এর মধ্যে তিনটি অংশ স্পষ্ট—১. গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক নেতা; ২. ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা ও ৩. বামধারার বিভিন্ন সংগঠনের সাবেক নেতা ও মধ্যপন্থী নেতারা।
তরুণদের উদ্যোগে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশের আয়োজনের জন্য দুটি জায়গার কথা ভেবেছিল জাতীয় নাগরিক কমিটি। একটি হলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অন্যটি ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। গতকাল রাতে একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানটি হতে পারে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে।
নেতারা জানান, প্রথমে ২৫ ফেব্রুয়ারি দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হয়েছিল; কিন্তু ওই দিন পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকী থাকায় এই দিনে দলের ঘোষণা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি।