জাতীয়
২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ। এ লক্ষ্যে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে এবং আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এ ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহানের সভাপতিত্বে সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, এ বছর ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করবেন। হজযাত্রীদের পরিবহন ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট হজযাত্রীর (৫০ শতাংশ) ৪৩ হাজার ৫৫০ জন এবং সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ৩৫ শতাংশ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স (১৫ শতাংশ) অবশিষ্ট ৪৩ হাজার ৫৫০ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে।
এ বছর ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় ফ্লাইট সিডিউল, বিদেশে রেজিস্ট্রেশনকৃত বাংলাদেশিদের হজ ফ্লাইট, প্রতিটি ফ্লাইট পরবর্তী যাত্রী সংখ্যা ও অন্যান্য তথ্য পোর্টালে আপলোডকরণ, হজযাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা এবং হজযাত্রীদের পরিবহন সেবা নিশ্চিতকরণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
হজ পরিবহন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি টাস্কফোর্স ও একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, এয়ারলাইন্স, হজ এজেন্সির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’

বায়ুদূষণে আজ বিশ্বের ১২৪ শহরের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আর শীর্ষে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ০৮টা ৫০ মিনিটে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ছিল ১৭৫। বায়ুর এই মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার নিয়মিত বায়ুদূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে ধারণা দেয়।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয়।
তবে স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ থাকলে তা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আর স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।
এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে ২৩৩ পয়েন্ট নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে ছিল ভিয়েতনামের হ্যানয়। ২০৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। ১৯০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ভারতের দিল্লি। আর ১৭৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিল আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। সকালে ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১৮ গুণ বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
লিঙ্গ সমতার অগ্রগতিতে বৈশ্বিক সহায়তা ও বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

বেইজিং ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে বৈশ্বিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। একই সঙ্গে তিনি অংশীদারত্ব জোরদার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং নতুন প্রতিশ্রুতি গ্রহণের মাধ্যমে নারী ও কন্যাশিশুদের পিছিয়ে না রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) নিউইয়র্কে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের (সিএসডব্লিউ৬৯) ৬৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচারের সংগ্রামে নারীরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানেও অগ্রভাগে ছিলেন নারীরা, যা মোট বিপ্লবীদের ৬৫ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনতে দায়িত্ব গ্রহণ করে, যা বাংলাদেশের লিঙ্গভিত্তিক কাঠামোকে আমূল পরিবর্তন করে।
শারমীন এস মুরশিদ জানান, বেইজিং ঘোষণা ও কর্মপরিকল্পনার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থেকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে একটি রূপান্তরকামী সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রথমবারের মতো ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়েছে, যা নারী ক্ষমতায়নের জন্য সহিংসতা দূরীকরণকে মূল শর্ত হিসেবে বিবেচনা করছে।
এছাড়া, সহিংসতার শিকার নারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সহায়তা দিতে ‘দ্রুত প্রতিক্রিয়া দল’ (কুইক রেস্পন্স টিম) চালু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা জাতিসংঘের নারী অধিকার সনদের (সিইডিএ ডব্লিউও) ১৩(ক), ১৬.১(চ), এবং ১৬.১(ফ) অনুচ্ছেদ থেকে বাংলাদেশের সংরক্ষণ (রিজার্ভেশন) প্রত্যাহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সিএসডব্লিউ৬৯ অধিবেশনের অংশ হিসেবে উপদেষ্টা ‘নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গসমতার জন্য জাতীয় কাঠামো: বেইজিং কর্মপরিকল্পনা পুনরায় প্রতিশ্রুতি, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন এবং বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও উত্তম চর্চাগুলো তুলে ধরেন।
তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বেইজিং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাফল্য তুলে ধরেন।
সিএসডব্লিউয়ের ফাঁকে উপদেষ্টা মুরশিদ চীন, সুইডেন, মেক্সিকো ও ফিনল্যান্ডের মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং নারী উন্নয়ন, লিঙ্গ সমতা, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশে ‘কেয়ার ইকোনমি’ (সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে যত্ন খাত) বিকাশের বিষয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বাংলাদেশ, নেপাল ও ফিনল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘যত্ন খাতে বিনিয়োগ: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও লিঙ্গ সমতার পথ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সাইড ইভেন্টে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
এই ইভেন্টে নেপালের মন্ত্রীরা, বাংলাদেশ, নেপাল ও ফিনল্যান্ডের উচ্চপদস্থ সরকারি প্রতিনিধি, জাতিসংঘের ইউএন উইম্যান, আইএলও, এডিবি, বিশ্বব্যাংক, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেবেন। তিনি তুরস্ক ও তিউনিসিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ গত ১০ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে এবং লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সেবায় বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে অংশীদারত্ব সম্পর্কিত বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত হতে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে সরকারি সফরে রয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংস্কারপ্রক্রিয়াকে ভেতর ও বাইরে থেকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে: আলী রীয়াজ

বিভিন্নভাবে সংস্কারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। বাইরে থেকে হচ্ছে, ভেতর থেকেও হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, যারা মনে করে, বর্তমান কাঠামো অব্যাহত রাখা দরকার। বিশেষ করে যারা পরাজিত শক্তি, তারা এটা মনে করে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নাগরিকদের অংশগ্রহণ, চাপ ও অন্তর্ভুক্তি ছাড়া কোনোভাবেই সংস্কারপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর পর নাগরিকদেরও মতামত নেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই সহসভাপতি বলেন, যে অভাবনীয় রক্তপাতের মধ্য দিয়ে এ জায়গায় এসেছি, সেখান থেকে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই দুর্বল ও ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠানগুলোকে গত ১৬ বছরের ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসন ধ্বংস করে দিয়েছে। সংস্কারের প্রশ্ন উঠেছে সে কারণেই।
আলী রীয়াজ বলেন, বিচার বিভাগ কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন দরকার। জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি করা না গেলে নির্বাচন হলেও আগের পরিস্থিতি হবে। তাই কাঠামোগত সংস্কারের আর কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান কাঠামোগত ব্যবস্থায় স্বৈরতন্ত্রের মোকাবিলা করা যাবে না।
সব কমিশন স্বাধীন সুপারিশ করেছে জানিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশনের এই প্রধান বলেন, রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত হবে। আর বিদ্যমান সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকলেও বিভিন্ন সময় সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে। বহুত্ববাদ সবার প্রতিনিধিত্ব করবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলেও রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করেনি। এর একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা আছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা সব বিষয়ে ঐকমত্য হলেও রাষ্ট্রধর্ম রাখার বিষয়ে সবাই একমত হননি।
অনুষ্ঠানে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ঢাবির সহযোগী অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ সাহান, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মিথ্যা তথ্যে ডব্লিউএইচওতে চাকরি, পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা

মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় চাকরি এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে জোর করে ২০টি ব্যাংক থেকে ৩৩ কোটি টাকা আদায়ের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভের উদ্দেশ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ২০২৩ সালে দাখিলকৃত সিভিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)- শিক্ষকতা/শিক্ষা ম্যানুয়েল তৈরি বা রিভিউ সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করেও নিজেকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত মর্মে মিথ্যা দাবি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আবেদন ও পরবর্তীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভ করায় তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৮/৪৭১ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজুর অনুরোধ করা হলো।
অন্য মামলায় বলা হয়, সূচনা ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদাদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের সিএসআর খাত হতে সূচনা ফাউন্ডেশনের অনুকূলে মোট ৩৩.০৫ কোটি টাকা দিতে বাধ্য করায় তার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পদোন্নতি পেয়ে যুগ্মসচিব হলেন ১৯২ কর্মকর্তা

১৯২ জন উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদোন্নতির আদেশে উল্লিখিত কর্মস্থল হতে কোনো কর্মকর্তার দপ্তর/কর্মস্থল ইতিমধ্যে পরিবর্তন হলে কর্মরত দপ্তরের নাম/ঠিকানা উল্লেখ করে তিনি যোগদানপত্র দাখিল করবেন। পরবর্তীতে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ/ভিন্নরূপ তথ্য পাওয়া গেলে তার ক্ষেত্রে এই আদেশের প্রয়োজনীয় সংশোধন/বাতিল করার অধিকার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে।
এতে বলা হয়, যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের যোগদানপত্র সরাসরি সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর অথবা অনলাইনে ইমেইল (sa1@mopa.gov.bd) দাখিল করতে পারবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।