অর্থনীতি
নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবের ছবি

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচূত হওয়ার পর বাংলাদেশে একাধিক বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল শেখ পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অর্ধশতাধিক স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা। এখনো দেশের সবকটি নোট ও সারক মুদ্রায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শোভা পাচ্ছে।ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ নতুন টাকা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ব্যাংকগুলোতে নতুন নোট পাওয়া যাবে। তবে এবার বাজারে আসতে যাওয়া নোটগুলোতেও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ৫, ২০ ও ৫০ টাকার এসব নতুন নোটেও থাকছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি।
ছোট এসব নোটের পাশাপাশি বাজারে ছাড়া ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোটও বিদ্যমান ডিজাইনের বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নোটগুলো ছাড়বে সেগুলো নতুন করে ছাপানো হবে না। পূর্বের ছাপানো টাকাই বাজারে ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে এ মুহূর্তে বিপুল পরিমাণ ছাপানো নোট রয়েছে।
ছাপানো এ নোটগুলো বাতিল করলে বিপুল অংকের অর্থের অপচয় হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অপচয় করতে চাচ্ছে না। এজন্য আগে ছাপানো নোটগুলোই ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে ছাড়া হবে। তবে আগামী এপ্রিল-মে নাগাদ নতুন ছাপা নোট বাজারে আসবে।
সেই নোটের ডিজাইনও প্রস্তুত হয়েছে। নতুন ছাপা ওই নোটে শেখ মুজিবের জায়গায় ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্য এবং জুলাই বিপ্লবের দোলচিত্র বা গ্রাফিতি যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট রয়েছে। এসব নোট পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
রমজানে ভোগ্যপণ্যের মজুত করলে সরকার কঠোর হবে: অর্থ উপদেষ্টা

রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ভোগ্যপণ্যের বাজারে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যেন কোনো রকমের কারসাজি না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসকদের স্থানীয়ভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে সেই খাদ্য যায় না। গুদামে পড়ে থাকে, লুকিয়ে রাখা হয়। এগুলো যেন কোনোভাবেই না হয়। রোজার সময় আমরা এটি নিশ্চিত করবো।
তিনি বলেন, আজকে অনেক দীর্ঘ মিটিং হয়েছে, অনেকগুলো এজেন্ডা ছিল। তার মধ্যে চাল, সার আমদানি, সারের গুদাম তৈরি করা, কিছু রাস্তা, ব্রিজ ও বন্দরের রাস্তার বিষয় রয়েছে। আজকে যেটা করা হয়েছে সেটা হলো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, আর কতোগুলো আছে ভৌত অবকাঠামো সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রিজ ও রাস্তা রয়েছে কতগুলো। এই হলো আমাদের ক্রয় কমিটিতে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন তো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। এখন অন্য পণ্যে দাম বাড়বে-কমবে। আমি বলেছি একজন মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে, সেখানে একটা কমবে একটা বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয়। আমাদের পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে।
তিনি বলেন, রমজান চলে আসছে, আমরা বাজার মনিটরিং আরও বাড়াব। সেটি ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন। আমিও তাদের বলেছি স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করার জন্য। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যেন কোনো রকমের কারসাজি না হয়।
তিনি আরও বলেন, রমজানে আমরা এটি নিশ্চিত করব। আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। সুতরাং সাধারণ মানুষের যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয়, সেটি আমরা নিশ্চিত করব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৩০৭ কোটি টাকায় ডিএপি-ফসফরিক কিনবে সরকার

কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার এবং সার কারখানার জন্য ১০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৩০৭ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এ ডিএপি সার ও ফসফরিক অ্যাসিড কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির প্রস্তাব দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ডিএপি সার আমদানি করা হয়। এরআগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৬১৪ দশমিক ৫০ ডলার।
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের টিএসপিসিএলের জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির প্রস্তাবে দেওয়া হয়। এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
বৈঠকে সূত্রে জানা যায়, টিএসপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক অ্যাসিড ও রক ফসফেট বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র একটি দরপত্র জমা পড়ে। দরপ্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা হিসেবে এ অ্যাসিড সরবরাহ করবে গুয়াংজি পেঙ্গুইন ইকো-টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড। এতে ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রতি টন ফসফরিক অ্যাসিডের দাম ৬৩০ ডলার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভারত থেকে আসছে আরও ৫০ হাজার টন চাল

দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বাড়িয়ে সরকারি বিতরণব্যবস্থা সচল রাখতে ভারত আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি ৫৩ টাকা ২ পয়সা করে দরে এ চাল আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানি অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে এবং ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এম/এস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এ চাল আমদানি করা হবে।
প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৩ টাকা ২ পয়সা। আর প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৬৫ কোটি ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
জানা যায়, এ ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে আটটি দরপত্র জমা পড়ে। আটটি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভারতের এম/এস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রো কর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই, এলটিডি থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এ চালের প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয় ৪৩৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার। আর মোট ক্রয়মূল্য ধরা হয় ২৬৫ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
তার আগে গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ৫৭৮ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর প্রতি টনের মূল্য ধরা হয় ৪৭৪ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
এছাড়া ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
পাকিস্তান থেকে ‘জিটুজি’ পর্যায়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কিনতে ব্যয় ধরা হয় ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আর প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয় ৪৯৯ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির ব্যয় ধরা হয় ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ধরা হয় ৪৫৪ দশমিক ১৪ মার্কিন ডলার।
পাকিস্তান থেকে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়ার আগে গত বছরের ৪ ও ১৮ ডিসেম্বর ভারত থেকে ৫০ হাজার টন করে নন-বসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৪ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া চালের মূল্য ধরা হয় ২৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ১৮ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া চালের মূল্য ধরা হয় ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা

সোনার দাম ফের বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এ নিয়ে চলতি মাসের ২০ দিনের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো বাড়ানো হয়েছে সোনার দাম। দেশের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম।
সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনায় ৩ হাজার ২৪৩ বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে যার দাম ছিল ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যা আগামীকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মূল্যস্ফীতি নিয়ে ৫-৬ মাসের মধ্যে ভালো কিছুর প্রত্যাশা: গভর্নর

প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতাকে মেলাতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমেছে, আরও কমবে। পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে আরও ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীতে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
গভর্নর বলেন, পলিসি ঠিক থাকলে বাজার ঠিক থাকবে। তাছাড়া মূল্যস্ফীতি পাঁচের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভের পতন এখন আর নেই। একটু একটু করে বাড়ছে। আইএমএফের টাকা না এলেও নিজস্ব সক্ষমতায় আমরা রিজার্ভ বাড়াতে পারছি।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের রেমিট্যান্স এবং রপ্তানির প্রবাহ ভালো। রিজার্ভ-প্রবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।
রমজানের জন্য নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে বলেও এ সময় জানান গভর্নর।
আমাদের দেশে যত সমস্যা, তা সাধারণত একসঙ্গে কোনো দেশে হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজস্ব খাতের ব্যর্থতা এক বছরের সরকার কখনোই সমাধান করতে পারবে না।