আন্তর্জাতিক
কানাডায় ৮০ জন যাত্রী নিয়ে উল্টে গেলো প্লেন

টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডেল্টা এয়ার লাইন্সের একটি আঞ্চলিক জেট বিমান অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে উল্টে যায়। এতে কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছেন, তবে সৌভাগ্যবশত সবাই বেঁচে গেছেন।
বিমান সংস্থার প্রধান নির্বাহী ডেবোরা ফ্লিন্ট বলেছেন, আমরা খুবই কৃতজ্ঞ যে এই দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায়নি এবং আহতরা তুলনামূলকভাবে কম গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
দেশটির জরুরি সেবা দানকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় একজন শিশু এবং দুই প্রাপ্তবয়স্ক গুরুতর আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ছবিগুলোতে দেখা গেছে, বিমানটি উল্টে গিয়ে বরফে ঢাকা রানওয়েতে পড়ে আছে এবং এর অন্তত একটি ডানা ভেঙে গেছে।
কানাডার ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর সিআরজে-৯০০ আঞ্চলিক জেটে থাকা ৮০ জনকে (৭৬ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য) নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এয়ারলিফট করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার পর বিমানবন্দরের ফ্লাইট অপারেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল, তবে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে ফ্লাইট অপারেশন আবার চালু করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে আবহাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার সেখানে ২০ থেকে ৩০ মাইল বেগে বাতাস বইছিল। কানাডার পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড এই দুর্ঘটনার তদন্ত করবে।
ওয়াশিংটন ডিসির রিগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জানুয়ারিতে একটি মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেই এই ঘটনাটি ঘটলো। সেই দুর্ঘটনায় আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি আঞ্চলিক জেট এবং একটি আর্মি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের মাঝ আকাশে সংঘর্ষ ঘটে যেখানে ৬৪ জন নিহত হয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
এবার ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাল হামাস

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে পবিত্র রমজানে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দখলদারদের এমন নৃশংসতায় এখন পর্যন্ত ২০০ শিশুসহ ৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ এই হামলার জবাবে এবার ইসরায়ালে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, হামলার ঘটনায় তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, গাজা উপত্যকা থেকে রকেট নিক্ষেপের পর সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। দক্ষিণ গাজা থেকে আসা তিনটি রকেটের মধ্যে একটি ভূপাতিত করেছে এবং অন্য দুটি খোলা জায়গায় পড়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিশোধে তেল আবিবে এই রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এর আগে, তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুতিরা। যদিও ক্ষেপণাস্ত্রটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরামর্শে যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে গত ১৮ মার্চ ভোরে গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। সেহরির সময় দখলদারদের এই হামলার ভয়াবহতা ফুটে উঠে ভোর পেরিয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও নিউজফিডে রক্তাক্ত-মৃত-আহত নারী ও শিশুদের লাশের ছবি ও ভিডিওতে ছেয়ে যেতে থাকে।
নৃশংস এমন তাণ্ডব চালানোর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তিতে যুদ্ধ আবার শুরু করেছে ইসরায়েল। এটা কেবল শুরু।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আমরা আমাদের শত্রুদের প্রতি কোনো দয়া দেখাব না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের সব জিম্মির বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত ইসরায়েল থামবে না।
এদিকে, আরব ও মুসলিম দেশগুলোর জনগণ এবং বিশ্বের মুক্ত মানুষকে গাজায় ইসরায়েলের বিধ্বংসী হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন লাখেরও বেশি মানুষ।
এ ছাড়া দখলদারদের হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে লাখ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবনতি, শীর্ষে ফিনল্যান্ড

‘বৈশ্বিক সুখী প্রতিবেদন ২০২৫’- তালিকার ১৪৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪ তম। গত বছর ১৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৯তম। এতে দেখা যাচ্ছে, গেল বছরের তুলনায় এ তালিকায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ অবনতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ‘বৈশ্বিক সুখী প্রতিবেদন’ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতি বছরের ২০ মার্চই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের নিচে মাত্র ১৩টি দেশ রয়েছে। যেগুলো বাংলাদেশের মানুষের চেয়ে কম সুখী।
অপরদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের পেছনে শুধু রয়েছে আফগানিস্তান। এই অঞ্চলে সবচেয়ে সুখী দেশ হলো নেপাল। এরপর যথাক্রমে রয়েছে— পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
গ্যালাপ, অক্সফোর্ডের ওয়েলবিয়িং রিসার্চ সেন্টার, জাতিসংঘের সাসটেনেবেল ডেভেলপমেন্ট সলিউসন্স নেটওয়ার্ক এবং একটি সম্পাদকীয় বোর্ড ১৪০টিরও বেশি দেশ ও দেশগুলোর মানুষের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে এই ‘সুখী দেশের তালিকা’ তৈরি করে।
অন্যান্যবারের মতো এবারও বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ফিনল্যান্ড। এরপর সেরা দশে যথাক্রমে রয়েছে— ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, কোস্টারিকা, নরওয়ে, ইসরায়েল, লুক্সেমবার্গ এবং মেক্সিকো। এরমধ্যে কোস্টারিকা এবারই প্রথম সেরা ১০টি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ মহাসচিব

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চালানো এই হামলায় গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ক্ষুব্ধও হন মহাসচিব। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আমি ক্ষুব্ধ।
তিনি যুদ্ধবিরতি মেনে চলা, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং আটক থাকা অবশিষ্ট বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য জোরালোভাবে আহ্বান জানান।
বুধবার (১৯ মার্চ) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গুতেরেসের এই বক্তব্যে তিনি ইসরায়েলের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় ইসরায়েলের নতুন করে বোমাবর্ষণের নিন্দা জানিয়েছে।
গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা ও হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা, ১৫ বাংলাদেশি আটক

টুর্নামেন্টের ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ও ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে ১৫ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম মালয় মালি মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, গতকাল কুয়ালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।
মালয়েশিয়ার বর্ডার কন্ট্রোল ও প্রটেকশন এজেন্সি (একেপিএস) জানিয়েছে, ১৫ সদস্যের এ দলটি প্রতারণা করতে ক্রিকেটের জার্সি পরে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়। এছাড়া তারা টুর্নামেন্ট আয়োজকদের একটি কাগজও উপস্থাপন করে। যেটিতে বলা হয়েছে, পেনাং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় এসেছেন তারা। তবে বর্ডার কন্ট্রোলের কর্মকর্তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পান এই কাগজটি আসলে ভুয়া। কাগজটিতে বলা আছে ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত এ টুর্নামেন্টটি হবে। তবে ওই সময় কোনো ম্যাচই নেই।
বর্ডার কন্ট্রোলের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, এই কথিত ক্রিকেটাররা একজন স্পন্সরকে তাদের গ্যারান্টর হিসেবে পাওয়ার চেস্টা করছিল। কিন্তু ওই স্পন্সর জানান, তিনি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পর্কে কিছু জানেন না এবং তিনি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।
পরবর্তীতে আরও তদন্ত করা হয়। এরপর স্পষ্ট হয় এই বাংলাদেশিরা আসলে কোনো ক্রিকেটারই নয়। তারা আসলে একটি সিন্ডিকেটের অংশ যারা ক্রিকেটার সেজে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
এরপর তাদের মালয়েশিয়ায় আর প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এখন তাদের বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্ডার কন্ট্রোল জানিয়েছে, যে বা যারা খেলোয়াড় ভিসা নিয়ে সেটির অপব্যবহার করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চীনের নতুন পদক্ষেপ

চীনের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। গত ১৬ মার্চ প্রকাশিত একটি ‘বিশেষ কর্মপরিকল্পনা’র মাধ্যমে ভোগব্যয় বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বহুতল ভবনে অতিরিক্ত লিফট স্থাপন, শিশুদের চিকিৎসা ক্লিনিকের সময়সীমা বাড়ানো এবং ক্যাম্পিংয়ের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করাসহ নানা পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই পরিকল্পনাটি বেশ প্রত্যাশিত ছিল। এর প্রকাশের সম্ভাবনার খবরেই গত ১৪ মার্চ চীনের প্রধান শেয়ারবাজার সূচক ২ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।
অর্থনীতিবিদদের মতে, চীন যদি সরকার ঘোষিত পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে চায়, তবে মোট প্রবৃদ্ধির ৬০ শতাংশের বেশি আসতে হবে ভোগব্যয় থেকে। ২০২৪ সালে এই খাতের অবদান ছিল ৪৫ শতাংশের কম।
ভোক্তাদের মনোভাব ও ব্যয় প্রবণতা
ভোক্তারা বছরটি কিছুটা ইতিবাচকভাবে শুরু করেছেন। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে খুচরা বিক্রি আগের বছরের তুলনায় চার শতাংশ বেড়েছে, যদিও এটি এখনো মহামারির আগের ধারা থেকে অনেক পিছিয়ে। বসন্ত উৎসবের আট দিনে ১৮ কোটি ৭০ লাখ মানুষ সিনেমা দেখেছে, যেখানে মূল আকর্ষণ ছিল অ্যানিমেটেড ছবি ‘নে ঝা ২’।
তবে চীনা পরিবারগুলোর আত্মবিশ্বাস এখনো পুরোপুরি ফিরে আসেনি। কঠোর কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের পর তারা এখনো তুলনামূলক বেশি সঞ্চয় করছে। অধিকাংশ সঞ্চয় ব্যাংক জমা ও আর্থিক সম্পদে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, নতুন বাড়ি কেনার পরিবর্তে। এই প্রবণতা ভোগব্যয় কমিয়ে দিচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থবিরতা তৈরি করছে।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং গত ৫ মার্চ পার্লামেন্টে দেওয়া বার্ষিক ভাষণে ‘জোরালোভাবে ভোগব্যয় বৃদ্ধি’কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সরকার পুরোনো গাড়ি, গৃহস্থালি সামগ্রী ও গ্যাজেট বদলে নতুন কেনার জন্য ভর্তুকি দ্বিগুণ করেছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যবিমার জন্য সরকারি সহায়তা বাড়ানো এবং গ্রাম ও শহরের কর্মহীনদের মাসিক পেনশন ১২৩ ইউয়ান থেকে ১৪৩ ইউয়ানে উন্নীত করা হয়েছে। তবে দুই শতাংশ জিডিপির সমান এই অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে কম।
কীভাবে বাড়বে ভোগব্যয়?
সরকার তিনটি প্রধান উপায়ে ব্যয় বাড়ানোর চেষ্টা করবে—
১. আয় বৃদ্ধি: ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো, কর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচি সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি।
২. সঞ্চয়ের প্রবণতা কমানো: ভোক্তা ঋণে ভর্তুকি প্রদান, শেয়ারবাজার ও আবাসন খাত স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি।
৩. আয়ের পুনর্বণ্টন: নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের হাতে বেশি অর্থ সরবরাহ করা, যারা তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যয় করে।
এছাড়া, কর্মীদের অবকাশকালীন ছুটি নেওয়ার নিয়ম কঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা বেশি সময় ভোগ করতে পারে।
সফলতা কতটা সম্ভব?
এই পরিকল্পনায় কিছু উদ্ভট ও অস্পষ্ট বিষয়ও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ভোগব্যয় কীভাবে বাড়বে তা স্পষ্ট করা হয়নি। শিল্পীদের জন্য একক অনুমোদন ব্যবস্থা চালু করলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অনিশ্চিত।
এছাড়া, ড্রোন শিল্প, প্রবীণদের অর্থনীতি ও শীতকালীন ক্রীড়া খাত নিয়ে সরকার আগেও পরিকল্পনা করেছিল, যা নতুন পরিকল্পনাতে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। কিন্তু যথাযথ সরকারি ব্যয় বরাদ্দ ছাড়া এই পরিকল্পনাগুলো সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে উৎপাদন অনেক বেশি। কিন্তু ভোগব্যয় বাড়ানোর প্রচেষ্টাগুলো বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। নতুন এই ৩০ দফা পরিকল্পনা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।