জাতীয়
দূষণরোধে শিল্পকারখানাগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে: রিজওয়ানা

পরিবেশ দূষণরোধে শিল্পকারখানাগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং তাদের পুনর্বাসন পরিকল্পনার প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে সিসা দূষণ হ্রাসের সক্ষমতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করলে হবে না, শিল্পকারখানাকে নিজ দায়িত্বে দূষণরোধে কাজ করতে হবে। শিল্প বন্ধ করা উদ্দেশ্য নয় বরং তাদের ছাড়পত্র গ্রহণে বাধ্য করা এবং পুনর্বাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা জরুরি। পরিবেশগত ছাড়পত্রে নিয়মিত পুনর্বাসন কার্যক্রমের শর্ত সংযুক্ত করা উচিত, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগী, বিশেষ করে ফ্রান্সের সহায়তায় পরিবেশ অধিদপ্তর এখন একটি সময়সীমাবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। সব দূষণকারী শিল্পের বিরুদ্ধে একসঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না হলেও যেগুলোর পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় তিনি একটি দূষণ পুনর্বাসন তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন, যেখানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দেবে। সফল পুনর্বাসনের পর তা ফেরত দেওয়া হবে। আর ব্যর্থ হলে সরকার ওই অর্থ দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করবে।
উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে মাল্টি স্টেকহোল্ডার স্টিয়ারিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান, যাতে সিসাযুক্ত ব্যাটারির পরিবর্তে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহারে কর নীতির পরিবর্তন সহজ হয়। সিসা দূষণের স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলে ধরতে চিকিৎসকদেরও এ কমিটিতে রাখা উচিত- বলেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান (বিএসটিআই)-কে দূষণ নিয়ন্ত্রণের মানদণ্ড দ্রুত নির্ধারণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শেখ সাইদুল হক, আইসিডিডিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মায়া ভ্যানডেনেন্ট, পিওর আর্থ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মিতালী দাস এবং ইয়ুথনেট গ্লোবালের এক্সিকিউটিভ কো-অর্ডিনেটর সোহানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
চাকরি হারালেন সারদায় প্রশিক্ষণরত ৬ এএসপি

রাজশাহীর সারদাতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষানবিশ ৬ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সিনিয়র সহকারী সচিব তৌছিফ আহমেদ।
অপসারণ হওয়া ৬ সহকারী পুলিশ সুপার হলেন- মো. আশরাফউজ্জামান, মানস কীর্ত্তনীয়া, শান্তু রায়, মো. সোহেল রহমান, কাজী ফাইজুল করীম এবং সঞ্জীব দেব।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮১ এর ধারা ৬(২) এ মোতাবেক তাদেরকে সরকারি চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।
এর আগে, গত বছরের ১৯ নভেম্বর ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপারদের (শিক্ষানবিশ) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নাম ফিরে পাচ্ছে ‘শহীদ জিয়া শিশুপার্ক’

রাজধানীর শাহবাগের ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশু পার্ক’-এর নাম ফের ‘শহীদ জিয়া শিশুপার্ক’ করার সুপারিশ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির বোর্ড সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
সভায় ডিএসসিসি আওতাধীন এলাকার পাঁচটি স্থাপনা থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই পাঁচ স্থাপনার মধ্যে দুটি সড়ক, দুটি পার্ক ও একটি সেতুর নাম রয়েছে। এর বাইরে আরও পাঁচটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। এসব সুপারিশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, বোর্ড সভায় রায়ের বাজার স্লুইসগেট থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি সরণি’র নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘ইনার রিং সড়ক’, কামরাঙ্গীরচরে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সরণি’র নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘ঝাউচর প্রধান সড়ক’, ‘শহীদ শেখ রাসেল শিশুপার্ক’-এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘কলাবাগান শিশুপার্ক’, যাত্রাবাড়ীর ‘শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘যাত্রাবাড়ী শিশুপার্ক’, কামরাঙ্গীর চর এলাকায় ‘মেয়র শেখ তাপস সেতু’র নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ’ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া শাহবাগের ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশুপার্ক’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘শহীদ জিয়া শিশুপার্ক’, ‘মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘গেন্ডারিয়া সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’, ‘মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পার্ক’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘সরাফতগঞ্জ পার্ক’, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সরণি’র নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘কামরাঙ্গীরচর লোহারপুল-বুড়িগঙ্গা সড়ক’ এবং ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘কামরাঙ্গীরচর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শহীদ জিয়া শিশুপার্কের সামনে একটি বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে এটি বন্ধ ঘোষণা করেছিল ডিএসসিসি। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে ১৯৭৯ সালে ‘শহীদ জিয়া শিশুপার্ক’ নামে পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য দেশের প্রথম এই শিশুপার্কটি ১৯৮৩ সাল থেকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত: বিজিবি প্রধান

বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত। আমরা দুর্গাপূজার সময় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে পূজা প্যান্ডেলগুলোর নিরাপত্তা দিয়েছিলাম এবং সেই পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়েও কঠোর বার্তা দেন তিনি। আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, কোনো পক্ষই সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না। কোনো পক্ষেরই অনুমতি নেই। ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া দেওয়া হলে যোগাযোগের শূন্যতা দেখা দেয়।
এ ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ আপত্তি জানিয়েছে এবং যথাযথ পরামর্শ ও পারস্পরিক আলোচনা হওয়া দরকার বলেও জানিয়ে দিয়েছে।
বিজিবি প্রধান বলেন, আমরা ভবিষ্যতে এ বিষয়টি সমাধান করার আশা করছি, যাতে নোম্যানস ল্যান্ডে নির্মাণ কাজ করা যায়।
তিনি বলেন, বর্ডার এলাইনমেন্ট সংক্রান্ত ১৯৭৫ সালের ধারা পরিবর্তনের কোনো আলোচনা হয়নি। এটি এই বৈঠকে আলোচনা সম্ভব নয়। শূন্য রেখা থেকে কতটা পিছিয়ে বেড়া দিতে হবে, তা সবসময়ই আলোচনার অংশ। আমরা এই অবস্থানগুলোতে যৌথ পরিদর্শনের অনুরোধ করেছি।
অন্যদিকে সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থা সম্পর্কে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য আমরা যথেষ্ট ফোর্স পেয়েছি। একই সঙ্গে আমাদের কাছে প্রযুক্তিগত উপায়ও রয়েছে, অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা।
বিএসএফের ডিজি বলেন, আমাদের সিস্টেমের প্রতিটি এলাকায় নজর রাখা হচ্ছে, যাতে আমরা সীমান্তে যেকোনো অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।
বিএসএফ গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছিল, সীমান্ত-সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা এবং সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও উন্নত করার জন্য এ সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।
এই দ্বি-বার্ষিক আলোচনার সর্বশেষ আয়োজনটি গত বছরের মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ২২ ডিসিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান।
তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে যেসব ডিসি দায়িত্বে ছিলেন তাদের মধ্যে এখন চাকরি রয়েছে চারজনের।
এই চারজনসহ ১৮ সালের আরো ১৮ জনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়।
এর আগে গতকাল বুধবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরে কর্মরত যুগ্ম সচিব ও সমপর্যায়ের পদে থাকা প্রশাসনের ৩৩ কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে সরকার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আমরা বেশি শক্তিশালী: ড. ইউনূস

আমরা এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, উদ্যমী ও সৃজনশীল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ১৮ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দলকে একুশে পদক প্রদানের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি অভিভূত ও বাকরুদ্ধ। জাতির কৃতি সন্তানদের সম্মান জানাতে পেরে আমরা সবাই আনন্দে আপ্লুত। নারী ফুটবল দল আমাদের জাতিকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেছে, এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এর মধ্য দিয়ে সুযোগ এসেছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের।
দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি নতুন তাৎপর্য নিয়ে আমাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, আমরা জানি একুশে ফেব্রুয়ারি আত্মপরিচয়ের অভিলাষী স্মারক। ১৯৫২ সালের এই মাসে রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে পাকিস্তানি শাসকদের চাপিয়ে দেয়া অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিল ছাত্র-সমাজ। ঢাকার রাজপথে বুকে তাজারক্ত ঢেলে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এই ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমাদের স্বাধিকার চেতনার এক অবিশ্বাস্য জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
‘আমরা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তশালী, উদ্যোমী এবং সৃজনশীল। আমাদের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন অতীতের যেকোনো প্রজন্মের থেকে দুঃসাহসী। তারা যেমন নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, তেমনি একই আত্মবিশ্বাসে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে চায়,’ যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ঘুনে ধরা আত্মবিনাসী সভ্যতার বন্ধনমুক্ত হয়ে তরুণরা নতুন সভ্যতা গড়তে চায়। সে সভ্যতার মূল লক্ষ্য থাকবে পৃথিবীর সব সম্পদের ওপর প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, মানুষের স্বপ্ন দেখা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের সব সুযোগ নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রাকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে করে পৃথিবীর অস্তিত্ব কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়।