আইন-আদালত
ট্রাইব্যুনালে সাবেক মেয়র আতিকসহ ৬ জনের হাজিরা আজ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে আজ।
সোমবার( ১৭ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।
আতিকুল ছাড়া আওয়ামী লীগের অন্য পাঁচ নেতা হলেন রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের বিভিন্ন মামলায় তারা বর্তমানে গ্রেফতার আছেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র আতিকুল ইসলাম ও অন্য পাঁচজনসহ এই ছয় নেতাকে হাজির করার আবেদন করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ। আদালতের নির্দেশের পর তিনি ওই দিন সাংবাদিকদের বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা উত্তরে প্রায় ২০০ লোক নিহত হয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে ভূমিকা ছিল সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের। আর অন্য পাঁচ আসামি সরাসরি নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে তা বাস্তবায়ন করেছেন।
গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার কার্যক্রম চলছে বলেও জানান প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের এই মামলায় যদি তাদের (সাবেক মেয়র আতিকুল ও আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা) গ্রেফতার দেখানো না হয়, তাহলে তারা বিভিন্ন মামলায় জামিন পেলে মামলার তদন্ত ব্যাহত হবে। যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের জন্য তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানানো হয়।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি গণঅভ্যুত্থানের সময় উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন ‘খুবই প্রভাবশালী সদস্য’-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
গাজী মোনাওয়ার হুসাইন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেই সদস্য গণঅভ্যুত্থানের সময় উত্তরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণে সহায়তা করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার অধীনস্তরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। ফলে যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের জন্য তাকে গ্রেফতার করা জরুরি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল

পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি এবং র্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণের তথ্য প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, আজ ট্রাইব্যুনালে ৩য় পিটিশন ছিল পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি এবং র্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে মারাত্মক। তিনি অসংখ্য মানুষকে গুম ও নির্যাতন করার সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, অনেককে এই আলেপ উদ্দিন গুম করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল। তাদের নিষ্ঠুরতম পন্থায় নির্যাতন করেছিল। বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে এই আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ হলো- এই আলেপ উদ্দিন একজন আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে (স্বামীকে হত্যার) রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এমন তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা বিষয়গুলো ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছি। এমন নিষ্ঠুরতম অপরাধীর অপরাধের তদন্ত করতে সময় লাগবে, কারণ প্রতিদিনই ভিকটিমরা আমাদের কাছে নতুন নতুন অনেক অভিযোগ নিয়ে আসছেন। এসব তদন্ত শেষ হলে তাদের ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া যেন শুরু করা যায় সে জন্য আমাদের তদন্ত সংস্থা দিন-রাত কাজ করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
এস কে সুর পরিবারের ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সম্পদ ফ্রিজ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সীতাংশু কুমার সুর, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর নামে থাকা দুইটি ফ্ল্যাট, একটি জমি জব্দ ও ৩৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এসব ব্যাংক হিসাবে ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪০ টাকা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের উপ-পরিচালক নাজমুল হুসাইন এসব স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের আবেদন করেন।
জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এসকে সুরের নামে থাকা একটি ফ্ল্যাট, যার দলিল মূল্য ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ টাকা। ধানমন্ডিতে সুপর্ণা সুরের নামে থাকা ৪৪০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, যার দলিল মূল্য ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর নামে নাটোরের লালপুরে থাকা ৮ শতাংশ জমি, যার দলিল মূল্য ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। এসব স্থাবর সম্পদের মোট মূল্য ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ টাকা।
এছাড়াও সীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও নন্দিতা সুর চৌধুরীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র, এফডিআর ও আমানত বাবদ ৩৯ টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪০ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে জব্দ ও অবরুদ্ধ হওয়া সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭৪০ টাকা।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস কে সুর অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর, রুপান্তরসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সম্পৃক্ত ধারার অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে নিয়মিত মামলা দায়েরের পূর্বেই তারা উক্ত সম্পত্তি স্থানান্তর করতে পারেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। উক্ত সম্পত্তি স্থানান্তর করা হলে অনুসন্ধান কার্যক্রমের ফলাফল শূন্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উক্ত সম্পত্তি জব্দ ও অবরুদ্ধকরণ করা প্রয়োজন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক আইজিপিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৮ এপ্রিলের মধ্যে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক পুলিশপ্রধান, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ ৮ কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত শেষ করে আগামী ২৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে আজ উপস্থিত আটজনসহ মামলার সব (২৩ জন) আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। সেদিন এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
নির্ধারিত দিনে আসামিদের বিরুদ্ধে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল ও তদন্তে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুর রহমান, গাজী এমএইচ তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররা। অন্যদিকে আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাজনিন নাহার।
আজ (বৃহস্পতিবার) যেসব ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় তারা হলেন: সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক (ওসি) আবুল হাসান, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপি মিরপুরের সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, ডিএমপি গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক এবং ডিবি ঢাকা উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাদের হাজির করতে আদেশ দিয়েছিলেন।
পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আজ (২০ নভেম্বর) তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরমধ্যে যারা গ্রেফতার রয়েছেন তাদের আনা হবে ট্রাইব্যুনালে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রসিকিউশন অফিসে ১২৫টির মতো অভিযোগ জমা পড়ে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাবরও অভিযোগ জমা পড়ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক আইজিপিসহ ৮ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশপ্রধান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ ৮ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসা দুটি পৃথক প্রিজন ভ্যানযোগে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আজ যাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে তারা হলেন- সাবেক পুলিশপ্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক (ওসি) আবুল হাসান, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপি মিরপুরের সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, ডিএমপি গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক এবং ডিবি ঢাকা উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাদের হাজির করতে আদেশ দিয়েছিলেন।
পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আজ (২০ নভেম্বর) তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে যারা গ্রেফতার রয়েছেন তাদের আনা হবে ট্রাইব্যুনালে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রসিকিউশন অফিসে ১২৫টির মতো অভিযোগ জমা পড়ে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাবরও অভিযোগ জমা পড়ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনকে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ

১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এবিষয়ে আপিল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
পরে আইনজীবীরা বলেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সর্বোচ্চ আদালত আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনকে ৯০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে।
এর আগে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ২৭তম বিসিএসে নিয়োগ বঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের চাকরি ফেরত চেয়ে আপিল শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ৭ নভেম্বর ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে করা আপিল শুনবেন বলে আদেশে বলা হয়।
এ সংক্রান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
ওই বিসিএসে প্রথমবারের মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে ১৪০ জন পৃথক আবেদন করেন।
সেদিন আদেশের পর আবেদনকারীদের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেছিলেন, এক-এগারোর সরকারের সময় ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১ হাজার ১৩৭ জন চূড়ান্ত সুপারিশের পর চাকরিতে প্রবেশ করবেন-এ পর্যায়ে ওই সিদ্ধান্ত হয়। পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলা হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। অপর একটি বেঞ্চ দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া বৈধ বলেন। দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে ২০১০ সাল আপিল বিভাগ রায় দেন। এই রায়ে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া সঠিক বলা হয়।
আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের পক্ষে ১৪০ জন পৃথক তিনটি আবেদন করেন বলে জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছিল না। এমনকি দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পিএসসি আইন ও বিধিতে নেই।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন। প্রথম রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগবঞ্চিত ২৫ জন আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন। দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে সরকার তিনটি লিভ টু আপিল করে। এক্ষেত্রে ২০৫ জন হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আপিল বিভাগ সরকারের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১০ সালের ১১ জুলাই রায় দেন।
২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে। ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ হন। পরে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।