রাজনীতি
তারেক রহমান যাকে মনোনিত করবেন, সবাই তার নির্বাচন করবো: আজম খান

দেশের মাটিতে পা রেখেই সাংগঠনিক দক্ষতার চমক দেখালেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপি উপদেষ্টা মো. আজম খান। প্রায় ১০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশের মাটিতে তাঁর পা রাখার খবর পেয়ে চাঁদপুরসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিমানবন্দর এবং জিয়া উদ্যানে সমবেত হয়। এদিন সকাল ১০ টায় বিমান বন্দরে নামেন বিএনপির দুঃসময়ে অন্যতম সাহসী যোদ্ধা মো. আজম খান। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে তাকে স্বাগত জানিন।
বিমান বন্দরে থেকে আজম খান নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে ছুটে যান। এসময় মো. আজম খানের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকার রাজপথ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে। দুপুর ১২ টায় তিনি প্রায় ১০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং কবর জিয়ারত করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের কারণে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী দেশে থাকতে পারেনি। তাদেরই একজন বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মো. আজম খান। তিনি দীর্ঘ বছর পর আজ নিজের জন্মভূমিতে পা রেখেছেন। তবে বিদেশের মাটিতে থেকেও তিনি দলের দুঃসময়ে একজন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি গণতন্ত্র এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে একজন সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। দল এবং দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন।
আব্দুস সালাম আরো বলেন, স্বৈরাচারী নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন। স্বৈরাচার হাসিনার পতন হলেও গণতন্ত্র এখনো পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকাতে হবে।
জিয়াউর রহমানে কবর জিয়ারত শেষে মো. আজম খান বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এসময় তিনি বলেন, আজ অনেক বছর পর আমি আমার মাতৃভূমিতে আসতে পেরেছি। স্বৈরাচার হাসিনা আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর জীবন থেকে এমন অনেক সুন্দর দিনগুলো কেড়ে নিয়েছে। আজ বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে আপনাদের উপস্থিতি দেখে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। আমি শহীদ জিয়ার আদর্শকে ভালোবেসে বিএনপির রাজনীতি করি। আমার রাজনীতির পথচলা ছাত্ররাজনীতির মধ্য দিয়ে। চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছিলাম। বিএনপির দক্ষিণ আফ্রিকা শাখার প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি ছিলাম।
আজম খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই যুগের একজন নেনসন মেনডেলা। বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি দেশান্তরী হয়েছেন। তার পিতা এদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। দেশের জন্য তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তার মা বেগম খালেদা জিয়া এদেশের গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনার নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সেও বছরের পর বছর কারাভোগ করেছেন। এরপরেও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে ছিলেন আপোষহীন। ছাত্রজনতার গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আমারা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তবে এখনো আমাদের গণতন্ত্র ফিরে আসেনি। গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির প্রতিটা নেতাকর্মীকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আগামীর নির্বাচন হবে স্বচ্ছ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমাদের স্বচ্ছ প্রার্থী প্রয়োজন। তাই দেশ এবং দলের প্রয়োজনে আমাদের মাঠে কাজ করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার কথা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। চাঁদপুরে আমরা বিএনপির বৃহৎ পরিবার এক ও অভিন্ন হয়ে দেশ ও দলের কল্যাণে কাজ করবো। চাঁদপুরের মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে আমরা মানুষের ভোট নিবো। আওয়ামী লীগের মত ভোট ডাকাতি কিংবা নিজেরা নিজের সহযোদ্ধা- ভাইদের সাথে ক্লেশ করবো না। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান যাকে মনোনিত করবেন তাকে আমরা সবাই সম্মান করবো। বর্তমানে যিনি আছেন তাকে আমরা সবাই সম্মান করবো। ওনাকে যদি একশো বছরও রাখেন, আমরা তার নির্বাচন করবো।
চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েলের পরিচালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ খান, রাফিউস শাহাদাত ওয়াসিম, জিসান চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি এমদাদুল হক মিলন সহ আরো অনেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
এটিএম আজহারুলের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: জামায়াতের আমির

জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি কেন হচ্ছে না প্রশ্ন রেখে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমার চেয়েছি অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যহীনের উদাহরণ সৃষ্টি করবে। কিন্তু কাউকে মুক্তি দিবে কাউকে মুক্তি দিবে না সরকারের এমন কর্মকান্ডে জাতি আশাহত হয়েছে। স্পষ্ট করে বলতে হয়, অনতিবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলাম সহ জুলুমের শিখার সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতিক ফেরত দিবে দিতে হবে। নতুবা জামায়াতে ইসলামী রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলমান রাখবে। এবং আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে। মনে রাখতে হবে, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ফ্যাসিবাদের জুলুম ধরে রাখা যাবে না। সকল জুলুমের কবর রচনা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে পল্টন মোড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর কর্তৃক এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জামায়াত আমির আরো বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগ বিচারিক হত্যা করেছে। যখন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম, তখন আওয়ামী লীগ তাকে আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিগত ১৩ বছর কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।
ফ্যাসিবাদের ভাষায় নয় রাজনীতির ভাষায় কথা বলতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী এক আল্লাহ ব্যতিত কাউকে ভয় করে না। কারো কাছে মাথানত করে না। বহু আপোসের প্রস্তাব জামায়াতে ইসলামী ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। কারা কোথায় মাথানত করেছে তা আমাদের জানা আছে, তথ্যও আছে। জামায়াতে ইসলামী কারো চোখ রাঙ্গানীকে ভয় করে না। বরং সকল অপশক্তি ও ফ্যাসিবাদের নিপাত করতে জানে।
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের থেকে জানতে চান, বিগত সাড়ে ১৫ বছর যেভাবে জাতিকে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে লড়াই করা হয়েছে, বৈষম্য মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সেই লড়াই অব্যাহত রাখা যাবে কিনা?- এসময় উপস্থিত লাখ-লাখ নেতাকর্মী লড়াই অব্যাহত রাখার স্লোগান দিতে দেখা যায়। দেশ এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি। তাই দেশ যতদিন বৈষম্যমুক্ত না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ হবে না। কারণ, আমাদের বিজয় সবে শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি। তিনি উচ্চকিত কন্ঠে স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ; শেষ হয়নি যুদ্ধ’। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের যুদ্ধ-সংগ্রাম চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিচারের নামে প্রহসন ও ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে গুরুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারের পতনের পরও তার মুক্তির দাবি নিয়ে আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে এটিএম আজহারের মুক্তি, দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় আগামী দিনের আন্দোলনকে সর্বাত্মক রূপ দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, যদি চোখের ভাষা আর মুখের ভাষা সরকার না বুঝে তবে যেই ভাষা সরকার বুঝবে সেই ভাষাই ব্যবহার করা হবে। বিপ্লবের পর বিপ্লবী নেতা কারাগারে থাকতে পারে না। ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়েছে এদেশ থেকে জুলুমের ইতিহাস মুজে একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে। সেই মানবিক রাষ্ট্র গঠনে যারা বাঁধা হবে তাদের পরিণতিও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের মতই হবে। এটিএম আজহারুল ইসলাম সহ জুলুমের শিকার সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র-জনতার নামে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দায়ের করা সব মামলা বাতিল করতে হবে। নতুবা আমরাও কঠোর হতে বাধ্য হবো।
সভাপতির বক্তব্যে মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর প্রধান উপদেষ্টা তার মামলা থেকে মুক্তি নিয়েছেন। আইন উপদেষ্টা তার মামলা থেকে মুক্তি নিয়েছেন। অথচ আওয়ামী লীগের জুলুমের শিকার হয়ে যেই বিপ্লবী নেতা বিগত ১৩ বছর কারাগারে বন্দি তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আমরা গত ৬ মাস অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিয়েছি। কিন্তু সরকার বৈষম্য দূর না করে নতুন করে বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। কেউ মুক্তি পাবে, কেউ মুক্তি পাবে না এটা নতুন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতিক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। নয়তো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেন নূরুল ইসলাম বুলবুলু।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী ড. রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা.ফখরুদ্দিন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অফিস সেক্রেটারী কামরুল আহসান হাসান, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রমহানের নেতৃত্বে কয়েক লাখ নেতাকর্মী পল্টন মোড় থেকে শুরু করে শাহবাগে এসে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি: ফখরুল

জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশবাসী স্থানীয় সরকারের নির্বাচন মেনে নেবে না। বিএনপিও তা কখনো হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যশোরে টাউন হল মাঠে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনাকে বিএনপি শ্রদ্ধা করে। দেশবাসী আপনাকে ভালোবাসে। আপনি আমাদের গর্ব। কিন্তু সেই সম্মানটুকু রক্ষার দায়িত্ব আপনারই।
তিনি আরও বলেন, আপনি যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দিয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে দেশবাসী তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারাও ক্ষমতার চেয়ার ছেড়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। জনগণের রায় যদি আপনাদের পক্ষে যায়, তাহলে আপনারাই দেশ পরিচালনা করবেন। তবুও আমরা বলবো জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করুন।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাষ্ট্র সংস্কারে ভিশন-৩২ ঘোষণা করেছিলেন। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এসবই চলমান বিষয়। আর এসব সংস্কার তখনই কার্যকর হবে যখন দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস অপু, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে মতিঝিলে মিছিল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সার্টিফিকেট নিতে এসে ধরা খেলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী বৈশাখী

অনার্সের সার্টিফিকেট নিতে এসে ধরা খেলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ইডেন কলেজের শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখী। পরে তাকে আটক করে পুলিশ। বৈশাখী ইডেন কলেজ থেকে মার্কেটিং বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
জানা গেছে, অনার্সের সার্টিফিকেট নিতে আসলে প্রথমে তাকে কলেজের ভেতরে আটকে রাখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে লালবাগ থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ছাত্রলীগের নেত্রী বৈশাখী ইডেন কলেজে যান তার অনার্সের সার্টিফিকেট তুলতে। এ সময় নিষিদ্ধ এই সংগঠনের নেত্রীকে চিনে ফেলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে কলেজের মধ্যে আটকে রাখে এবং পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে লালবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাশৈনু।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ইডেন কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক বৈশাখীকে আটক করা হয়েছে। তিনি কলেজে সার্টিফিকেট তুলতে গিয়েছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। করে তাকে শিক্ষার্থীরা আটক করলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
তিস্তার একফোঁটা পানি আনতে পারেনি আ.লীগ: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে ভারতের কাছে বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু বেচে দিয়েছে কিন্তু তিস্তার একফোঁটা পানি আনতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, শুধু তিস্তা নয়, ৫৪টি অভিন্ন নদীর উজানে ভারত বাঁধ দিয়েছে। বাঁধ দিয়ে তারা পানি তুলে নিয়ে যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। আর আমাদের দেশের মানুষ এখানে ফসল ফলাতে পারে না। জীবন-জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয়। জেলেরা মাছ ধরতে পারে না। প্রত্যেকটা মানুষকে কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে।
আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেলসেতু পয়েন্টে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে কাউনিয়াসহ তিস্তা বিস্তৃত রংপুর অঞ্চলের ১১টি পয়েন্টে একযোগে ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মসূচি পালন করছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিস্তা বাঁচানোর ডাক আমাদের অন্তরের ডাক। আমরা লড়াই করেছি ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। ৩৬ দিনের সকলের লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি (শেখ হাসিনা) ওই ভারতে পালিয়েছেন। একদিকে পানি দেয় না, অন্যদিকে আমাদের যে শত্রু তাকে (হাসিনা) দিল্লিতে রাজার হালতে বসিয়ে রেখেছে। সেখান থেকে তিনি আবার আওয়ামী লীগারদের বিভিন্ন হুকুম রাজি করেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকের এই সংগ্রাম আমাদের বাঁচা-মরার সংগ্রাম। তিস্তাপাড়ের মানুষের এই সংগ্রামকে আবার কখনো বন্ধ হতে দেবো না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পরিষ্কার করে বলতে চাই তিস্তা নিয়ে আপনাদের মুখ খুলতে হবে। ভারতকে বলতে হবে আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। আর আপনারা যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেহেতু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন।
ভারতের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যদি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব যুক্ত করতে চান তাহলে আগে তিস্তার পানি দেন। সীমান্তে গুলি করে হত্যা বন্ধ করেন। আর আমাদের সঙ্গে বড় দাদার মতো আচরণ বন্ধ করেন। আমরা আমাদের পায়ের ওপর দাঁড়াতে চাই। আমরা আমাদের হিস্যা বুঝে নিতে চাই। আমরা অবশ্যই ভারতকে বন্ধুত্বের সঙ্গে দেখতে চাই। যে বন্ধুত্ব হবে সম্মানের সঙ্গে আমাদের পাওনা বুঝিয়ে দেবার।
এর আগে, সোমবার সকাল থেকে রংপুরের কাউনিয়া রেলসেতু ও গঙ্গাচড়া মহিপুর সেতু পয়েন্টে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে দেখা যায় নদীপাড়ের হাজারো মানুষকে। এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।