ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিকাশে চাকরির সুযোগ, যেভাবে আবেদন করবেন
![বিকাশে চাকরির সুযোগ, যেভাবে আবেদন করবেন মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/12/job.jpg)
অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বিভাগ ব্যাংকিং পার্টনারশিপ অ্যান্ড অপারেশনস পদে একাধিক জনবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গত ০৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী আরো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বিকাশ লিমিটেড
পদের নাম: ব্যাংকিং পার্টনারশিপ অ্যান্ড অপারেশনস
বিভাগ: ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস
পদসংখ্যা: ০১ টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি
অন্যান্য যোগ্যতা: ব্যাংকিং সেক্টর বা কর্পোরেট ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজের দক্ষতা
অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ০৮ বছর
চাকরির ধরন: ফুলটাইম
কর্মক্ষেত্র: অফিসে
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)
বয়সসীমা: নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল: ঢাকা
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী
আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ
![ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/04/dhaka-university-du.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তির লড়াইয়ে নেমেছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৪ জন। এবছর এক হাজার ৮৯৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন এক লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী। প্রতি সিটের জন্য ভর্তিতে লড়াই করবেন ৭৭ জন শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় শুরু হয়ে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টায় অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা। প্রতিবারের মতো এবারও ৮টি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের এ ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ হবে ৬০ নম্বরে। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ৪৫ মিনিট। লিখিত পরীক্ষা ৪০ নম্বরে হবে ৪৫ মিনিটে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সকাল সাড়ে ১১টায় কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
এর আগে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, চারুকলা ইউনিট, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী আগামীকাল
![ইবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী আগামীকাল মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/EB-4.jpg)
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘পুনর্মিলনী ও ফ্যামিলি গেট টুগেদার-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে জানা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. আবদুল হাই। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ড.মো. মনজুরুল ইসলাম, সংবাদ সম্মেলনের মিডিয়া সেলের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন সহ মিলনমেলা বাস্তবায়ন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রায় তিনহাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে মিলনমেলার উদ্বোধন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের নানান বিষয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করবেন আ্যলামনাই সদস্যরা। এতে বর্তমান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে জানান তারা। এ অনুষ্ঠানে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম এলামনাইয়ের স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল-মামুন, এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মনজারুল আলম।
সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের অন্যতম বড় সংগঠন কর্তৃক ঢাকাস্থ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে গত ২৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ আয়োজিত প্রথম এলামনাই সম্মিলনী ছিল এলামনাইদের এক ঐতিহাসিক গেট টুগেদার। এ সফল মহা সম্মিলনীতে আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাসে একটি পারিবারিক গেট টুগেদারের দাবির প্রেক্ষিতে আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্যামিলি গেট টুগেদার হতে যাচ্ছে। আমরা যে যেখানেই সফলতার সাথে যা কিছু করছি এর সকল কিছুর সাথে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান জড়িত। এ ক্যাম্পাসে আমাদের পদচারণা, সবুজ চত্বর, হলসহ সকল কিছু আমাদের হৃদয়ে প্রোথিত। এ আবেগ উচ্ছ্বাস থেকে সকলেই তাদের পরিবার নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে চান। দু’টি শহর থেকে বেশ দূরত্বে হওয়ায় অনেক কষ্ট সাধ্য হলেও এলামনাইদের আকাঙ্খার কথা চিন্তা করে কষ্টসাধ্য দুরুহ এ কর্মযজ্ঞের দায়িত্ব আমরা কাঁধে নিয়েছি। এ সম্মেলনে পরিবারসহ প্রায় তিন হাজার এলামনাই অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।
বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বলেন, আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তারা বর্তমান প্রশাসনের কাজকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে পারে এবং বিভিন্ন দাবিদাওয়া আদায়ে চাপ প্রয়োগকারী হিসেবে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
সর্বোপরি দলমত নির্বিশেষে সকল প্রাক্তনকে ঐক্যের আহ্বান জানান এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. আবদুল হাই।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ইবি ছাত্রদলের
![শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ইবি ছাত্রদলের মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/ইবি-ছাত্রদল.jpg)
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা বিরোধী পূর্ব ঘোষিত বিধি-নিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি’র প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মো. মাসুদ রুমী মিথুন এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর। তাদের মতে বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণ জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের চেতনার পরিপন্থী। সবার সমাবেশ করার স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়মের অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোকে অদৃশ্য শৃংখলে আবদ্ধ করার হীন চেষ্টা করছে বলে মনে করে ইবি শাখা ছাত্রদল।
তারা বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য শর্তাবলী ইবি ছাত্রদল প্রত্যাখ্যান করছে। একই সাথে উক্ত বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, ছাত্র সংগঠন (নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ব্যতীত), জেলা কল্যাণ সমিতি ও সামাজিক সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করছে ইবি শাখা ছাত্রদল।
উল্লেখ্য, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জন্য ক্যাম্পাসের মধ্যে যে কোনো অনুষ্ঠান পালনে কিছু শর্ত জুড়িয়ে দেয় ছাত্রউপদেষ্টা দপ্তর। শর্তগুলো হলো- ক্যাম্পাসের মধ্যে যে কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতির জন্য ছাত্র-উপদেষ্টা/প্রক্টর বরাবর আবেদন করতে হবে, বিকাল ৪ টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করা, অনুষ্ঠান করার জন্য কম পক্ষে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অনুমতির জন্য আবেদন করা ও বিশ্ববিদ্যালয় সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটি থাকাকালীন কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না।
এছাড়া ক্লাস-পরীক্ষার বিঘ্ন ঘটে এমন কোনো সাউন্ড সিস্টেম বাজানো যাবে না, জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির অনুষ্ঠানের জন্য আবেদনে স্ব-স্ব সমিতির উপদেষ্টার সুপারিশ থাকতে হবে এবং বিভাগের শিক্ষার্থীদের যে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য আবেদনে স্ব-স্ব বিভাগীয় সভাপতির সুপারিশ থাকতে হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় অসঙ্গতি, পুনরায় নেওয়ার দাবি
![ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় অসঙ্গতি, পুনরায় নেওয়ার দাবি মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/04/dhaka-university-du.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সেটে অমিল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কিছু প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি এবং একই সেটের প্রশ্নে ক্রমধারার মিল না থাকা ছাড়াও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আরও প্রায় শতাধিক ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব ভুলের মধ্যে আছে বানানগত ভুল, অনুবাদে ভুল, বাক্যগঠনে ভুল এবং ব্যাকরণে ভুল। এছাড়া, বাক্যে গুরুচণ্ডালী দোষও সংগঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার এক প্রশ্নে এমন ভুল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। তারা পুনরায় এই পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ভুলেভরা প্রশ্নপত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তুলছে। এই প্রশ্নপত্র তৈরিতে যারা যুক্ত ছিলেন তাঁরা পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি। প্রশ্ন প্রণয়ণের পর এটি ভালোভাবে ক্রসচেক করে দেখা উচিত ছিলো। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় নিম্মোক্ত ত্রুটিসমূহ পরিলক্ষিত হয়েছে।
নির্দেশনাগত ভুল: প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সকল বিষয়ের প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের উত্তর করতে হয় না। প্রশ্নপত্রের শুরুতে যেই ভুলটি লক্ষ্য করা গেছে সেটি হলো নির্দেশনাগত ভুল অর্থাৎ পরীক্ষার্থীকে কয়টি বিষয়ে উত্তর করতে হবে সেই নির্দেশনা দেওয়া ছিলো না। ফলে একজন পরীক্ষার্থীর যদি পূর্ব নির্দেশনা না থাকে তাহলে পরীক্ষাতে তিনি নিশ্চিতভাবে বিভ্রান্ত হবেন।
কাঠামোগত ভুল: পরীক্ষা শেষে বিভিন্ন সেটের প্রশ্নপত্র এক করে দেখা যায়, এক সেটের সকল প্রশ্ন একই হওয়ার কথা থাকলেও ‘এ’সেটে দুই ধরনের প্রশ্ন এসেছে। এক ধরনে চারটি প্রশ্ন পুনারাবৃত্তি হয়েছে অন্য এক ধরনে কোনো প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়নি। ফলে যে ধরনে চারটি প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়েছে সেই ধরনে স্বভাবতই এমন চারটি প্রশ্ন অনুপস্থিত ছিলো যেটি অন্য ধরনে উপস্থিত ছিলো। আবার, একই সেটের সকল প্রশ্নের ক্রমধারা ঠিক থাকার কথা থাকলেও সেটিও ঠিক ছিলো না।
তেমনিভাবে‘বি’ সেটেও দুই ধরনের প্রশ্ন হয়েছে এবং এই সেটের সকল প্রশ্নের ক্রমধারাও এক ছিলো না। তবে দুই সেটেই এই ভুলগুলো হয়েছে শুধুমাত্র ইংরেজি ও অ্যাকাউন্টিং অংশে। সি এবং ডি সেটে এই ধরনের কোন ভুল হয়নি।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, ‘এ’ ও ‘বি’ এর প্রতিটি সেটে ১২টি প্রশ্নের ক্রমধারা ঠিক নেই। যেটি একজন পরীক্ষার্থীর রেজাল্টে বড় ধরণের ধ্বস নামিয়ে আনতে যথেষ্ট। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ওএমআর অংশটি স্ক্যান করে কম্পিউটারের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। কম্পিউটারকে একটি সেটের জন্য একটি উত্তরপত্র দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ভুল-শুদ্ধ নির্ণয় করে কম্পিটার নম্বর দেয়। ফলে একই সেটের প্রশ্নে এমসিকিউ’র ক্রমধারা ঠিক না থাকলে এবং ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন থাকলে যেসব শিক্ষার্থীর হাতে ভুল প্রশ্ন গিয়েছে, তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
অনুবাদগত ও ইংরেজি ব্যকরণগত ভুল-প্রশ্নপত্রের বাংলা ও ইংরেজি অংশ ছাড়া বাকিসব বিষয় অর্থাৎ অ্যাকাউন্টিং, বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং, ফিন্যান্স ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স অংশের করা প্রশ্ন বাংলা ও ইংরেজি ভাষা দুই ভাষাতেই করা হয়েছে।
প্রশ্নপত্র পড়ে দেখা যায়, কিছু প্রশ্নের ইংরেজি অনুবাদ ঠিকভাবে করা হয়নি। আবার এই অনুবাদ করতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে ব্যকরণগত ভুলও করা হয়েছে।
বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
‘নিচের কোন ধরণের নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়? (Which type of leadership style give full freedom to take decision to others?)’
এখানে দুইটি ভুল করা হয়েছে। প্রথমত ‘সিদ্ধান্তগ্রহণ’ একশব্দে হবে। আর give এর সাথে s যুক্ত হয়ে gives হবে।
‘কোনটি স্থায়ী পরিকল্পনা? (Which one of the following is standing plan)’
এই প্রশ্নের সঠিক অনুবাদ হবে- Which is the standing plan?
প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং অংশ
‘পণ্যের জীবনচক্রের কোন স্তরে এসে বিক্রয় প্রবৃদ্দি কমতে থাকে? (At what stage is the product lifecycle do the sales growth start to slowdown?)’
এখানে is এর স্থলে of, do এর স্থলে does এবং slowdown এর স্থলে slow down হবে।
অ্যাকাউন্টিং এর লিখিত অংশ-
‘কোন অনুপাতটি একটি কোম্পানির স্বল্পমেয়াদি দায় পরিশোধের ক্ষমতা পরিমাপ করে? (Which ratio measures a company’s ability to pay short-term liabilities)’
এখানে ‘স্বল্পমেয়াদী’ বানান ভুল লেখা হয়েছে। আর ইংরেজিতে ব্যাকরণগত ভুল হয়েছে। সঠিক ইংরেজি হবে,Which ratio Does measure a company’s ability to pay short-term liabilities?
বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এর লিখিত অংশ:
‘কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে দ্বৈতকর বলতে কি বুঝায়? (What is the double taxation in the context of coporation?)’
এখানে ‘কী’ এর স্থলে ‘কি’ লিখা হয়েছে। এছাড়া বাংলা অনুবাদ ভুলভাবে করা হয়েছে। সঠিক অনুবাদ হবে- ‘What is meant by double taxation in corporation?’
প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং লিখিত অংশ
‘পণ্য ও সেবার মধ্যে পার্থক্য কর। (What is the basic difference between product and service?)’ এটির সঠিক অনুবাদ হবে- Diffrentiate between product and service.
পুরো প্রশ্নপত্রে এই ধরনের আরও অনেক ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে।
বানানগত ভুল: প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন অংশে ‘কি’, ‘কর’, ‘নীচের’, ‘একত্রিকরন’, ‘অধিগ্রহন’, ‘গড়ব্যায়’, ‘কাচামাল’, ‘স্বারকলিপি’, ‘স্বত্ত্বগত শব্দগুলো ভুল বানানে লেখা হয়েছে যেগুলোর শুদ্ধরূপ হবে যথাক্রমে- ‘কী’, ‘করো’, ‘নিচের’, ‘একত্রীকরণ’ ‘অধিগ্রহণ’, ‘গড়ব্যয় ‘,‘কাঁচামাল’,‘স্মারকলিপি’,‘স্বত্বগত’। এছাড়া, লিখিত অংশে প্রশ্ন করা হয়েছে ‘মূলধনী লাভ বলিতে কি বুঝায়?’ এখানে গুরুচণ্ডালি দোষ হয়েছে। আর একাধিক জায়গায় ‘কী’ এর স্থলে লেখা হয়েছে ‘কি’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, এই ধরণের ভুলেভরা প্রশ্নপত্র অপেশাদারিত্বের ইঙ্গিত দেয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। এটির দায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন কখনো এড়াতে পারেন না। তার উচিত হলো সকল দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে পদত্যাগ করে ক্ষমা চাওয়া।
শিক্ষার্থী, দেশ, মেধার বিকাশ এবং ন্যায্যতার স্বার্থে এই পরীক্ষা দ্বিতীয়বার নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই শিক্ষক।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ দায়িত্বে সকল খরচ বহন করা উচিত।
পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী যা বলছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে কাঠামোগত ত্রুটি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ও অনুষদের ডিন ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম। গতকাল তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এ’ সেটের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার কিছু প্রশ্ন ‘বি’ সেটে এবং ‘বি’ সেটের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার কিছু প্রশ্ন ‘এ’ সেটে ছাপা হওয়ায় নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়েছে ও ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হয়েছে।
মাহমুদ ওসমান বলেছেন, ভুল প্রশ্নপত্র চিহ্নিত করার কাজ চলছে এবং এটি দ্রুত সমাধান করা হবে। শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না, বরং তাদের স্বার্থ নিশ্চিত করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কাঠামোগত এই ভুলের সমাধানের বিষয়ে রবিবার অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করেছেন ডিন মাহমুদ ওসমান।
দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে মাহমুদ ওসমান জানান, না, দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। যেটি পরীক্ষা নেওয়া ছাড়াই সমাধানযোগ্য সেখানে আমরা নতুন করে পরীক্ষা নিতে যাবো কেন?
তবে কী পদ্ধতি অনুসরণ করে এই কাঠামোগত ভুলের সমাধান করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত আমরা সেটি রিভিল (প্রকাশ) করছি না। সময় হলে আমরা আপনাদের জানাবো।
বানান, অনুবাদ এবং ব্যাকরণগত ভুলের বিষয়ে ডিন ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেছেন, ঠিক, এসবে আমাদের কিছু ভুল হয়েছে। সামনে আমরা এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি সাহিত্য সংসদ’র নেতৃত্বে হাসেম-সৌরভ
![ইবি সাহিত্য সংসদ’র নেতৃত্বে হাসেম-সৌরভ মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/aa-14.jpg)
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সাহিত্য সংসদ’র পঞ্চম কর্মপর্ষদ গঠিত হয়েছে। এ কমিটিতে সভাপতি হিসেবে বাংলা বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. হাসেম আলী সেখ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ কুমার দত্ত মনোনীত হয়েছেন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সংগঠনটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. শেখ মো. রেজাউল করিম, সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করেন সাবেক সভাপতি পলাশ হোসেন।
এ কর্মপর্ষদে সহ-সভাপতি হিসেবে সোহেলী তাবাসসুম জান্নাত ও মো.রেহেনুল ইসলাম চমক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নুসরাত জাহান তুসমি, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সায়েম আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. মাহফুজ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মূসা ইব্রাহিম, সহ-দফতর সম্পাদক হিসেবে ধ্রুব আহমেদ রনি, অর্থ-সম্পাদক হিসেবে আব্দুল্লাহ আল সদর, সহ অর্থ সম্পাদক হিসেবে তানজিলা জাহান সুখী, গ্রন্থার-সম্পাদক হিসেবে মো. সাকিব আল হাসান, সহ গ্রন্থাগার হিসেবে মাহাদি হাসান, পাঠচক্র সম্পাদক হিসেবে মো. সোহানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক হিসেবে সানজিদ আহমেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মেহেনাজ আফরিন মেঘ মনোনীত হন।
এছাড়া, কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে শিশির কবির, সোহানুর রহমান শাওন, যুক্ত্য যতি গোলদার, তাসনিম বিনতে হারুন ও তাসকিয়া মুরসালিনকে মনোনীত করা হয়।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ কুমার দত্ত বলেন, চিন্তা ও চর্চায় বুদ্ধির মক্তি হোক সাহিত্যে স্লোগানকে ধারণ করে সংগঠনটি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠচক্র ও সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কয়টি সংগঠন বুদ্ধিভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের মধ্যে ইবি সাহিত্য সংসদ অন্যতম।
সংগঠনটির সভাপতি মো. হাসেম আলী সেখ বলেন, একটি সংগঠন পরিচালনার জন্য সংগঠনের প্রতিটি সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজকে আমাদের নতুন যে কমিটি প্রদান করা হয়েছে। সবার প্রতি আহ্বান থাকবে আন্তরিকতার সাথে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ যথাযথ ভাবে পালন করে ইবি সাহিত্য সংসদকে আরো গতিশীল ও প্রাণবন্ত করে গড়ে তুলবে।
প্রসঙ্গত, ইবি সাহিত্য সংসদ ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। সংগঠনটির উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘শব্দতট’ নামে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিনির্ভর দেয়ালিকা প্রকাশ এবং ‘অতন্দ্র’ নামে সাময়িকী প্রকাশ। এছাড়া নানামাত্রিক জ্ঞানার্জন ও তরুণ লেখক সৃষ্টির উদ্দেশে নিয়মিত পাঠচক্র ও সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম