অর্থনীতি
সবজিতে স্বস্তি, কমছে গরু-মুরগির মাংসের দাম
![সবজিতে স্বস্তি, কমছে গরু-মুরগির মাংসের দাম মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/sobji-mach-murgi.jpg)
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে বাড়তি চাহিদার কারণে দাম বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের। এর একদিন পরই চাহিদা কমায় দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে- মাছ, গরু, মুরগি ও খাসির মাংস। এছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি।
আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক খান মার্কেট ও রায়ের বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। যা গতকাল শবে বরাতের দিন ৭৮০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। এক দিনের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম কমেছে ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া খাসির মাংস কেজি প্রতি ৫০ টাকা কমে ১১০০ টাকায় নেমে এসেছে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম গত ৪দিন আগেও ছিল প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। শবে বরাত উপলক্ষ্যে এক লাফে হয়েছে ২১০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বাড়লেও এক দিনের ব্যবধানে তা কমে আগের দরে বিক্রি করছেন দোকানিরা।
অপরদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পাঙাস ১৭০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৪৬০ টাকা, শিং ৩২০ থেকে ৪০০ শত টাকা, চিংড়ি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, পোয়া ২৬০ টাকা, শোল ৭০০ টাকা, টাকি ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গতকাল মাছে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
এছাড়া সবজির দামে প্রভাব পরেনি। আগের দামেই বিক্রি হয়েছে অধিকাংশ সবজি।
সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি টমেটো ২০ টাকা, আলু ২০ টাকা, বেগুন আকার অনুযায়ী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ টাকা, দেশি শসা ৫০ টাকা, খিরা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুল ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আদা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সাদেক খান সবজি বাজারের সবজি বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, এখানে রাজধানীর অন্যান্য বাজার তুলনায় সবজির দাম কম থাকে। সে কারণে আমরা খুচরায় কমে বিক্রি করতে পারি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় রোববার
![রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় রোববার মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/nbr-2.jpg)
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময়সীমা শেষ হচ্ছে রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। অর্থাৎ আজ ও আগামীকালের পর জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দেওয়া যাবে না।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত অনলাইনে ১৩ লাখ ৯৫ হাজারটি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। এখন পর্যন্ত কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৩টি।
এর আগে রিটার্ন জমার সময়সীমা তিন দফা বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারি এক আদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রিটার্ন জমার সময় বাড়িয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করে। যারা অনলাইনে নয়, সনাতনী পদ্ধতিতে কাগুজে রিটার্ন দিতে চান, তারা আগামীকাল নিজ নিজ কর কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩০টি রিটার্ন দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল হয়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯টি। রিটার্ন দাখিলকারীদের মধ্যে ব্যক্তি করদাতা ২৪ লাখ ৭ হাজার ৫৩৬ জন এবং কোম্পানি করদাতা ১১ হাজার ১০৫ জন। এ সময়ে মোট আয়কর আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৬৫৪ কোটি ৬ লাখ টাকা।
যেভাবে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা মোবাইল ফোন নম্বর লাগবে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইন রিটার্ন জমার ঠিকানা হলো etaxnbr.gov.bd।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন তথা ই-রিটার্ন দিতে করদাতাকে কাগজপত্র আপলোড করতে বা জমা দিতে হবে না। শুধু ওই সব দলিলের তথ্য দিলেই হবে।
যেমন : সনাতনী পদ্ধতিতে চাকরিজীবীদের আয়ের বা বেতন-ভাতার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাংক হিসাবের এক বছরের লেনদেন বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দিলেই চলবে। আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (অর্থবছর) সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
![হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/12/hili.jpg)
পবিত্র শবে-বরাত উপলক্ষ্যে দিনাজপুর হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারের কার্যক্রম।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, শুক্রবার রাতে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। ফলে আজ শনিবার সরকারি ছুটি রয়েছে। এ কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুই দেশের স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আগামীকাল রোববার থেকে পুনরায় আমদানি রপ্তানিসহ সব কার্যক্রম যথারীতি শুরু হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও সপ্তাহের ৭দিনই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে লোকজন বাংলাদেশ ও ভারতে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। তাই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধের সঙ্গে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারে কোনো সম্পর্ক নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভোজ্যতেলে সংকট, বেড়েছে মুরগি-গরুর মাংসের দাম
![ভোজ্যতেলে সংকট, বেড়েছে মুরগি-গরুর মাংসের দাম মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/goru-murgi-tel.jpg)
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাজারে গরু ও মুরগির মাংসের চাহিদা বেড়েছে। এতে দামেও কিছুটা চড়াভাব দেখা গেছে। বাজারভেদে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে কমপক্ষে ২০ টাকা। এদিকে মাসখানেক ধরে বাজারে চলছে বোতলজাত ভোজ্যতেলের ঘাটতি। সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাজারে মিলছে না খোলা তেলও।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে শবে বরাতের কারণে মুদি বাজারেও এখন ক্রেতার ভিড় বেশি। তবে সয়াবিন তেল ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল দেখা গেছে।
রামপুরা, মালিবাগ ও মগবাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মাংসের দোকানে ক্রেতার ভিড় বেশি। অন্য সময় প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হতো। দরদাম করলে আরও ২০-৩০ টাকা কমেও কিনতে পারতেন ক্রেতারা। তবে অধিকাংশ দোকানে এখন দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০০ টাকা। কিছু দোকানে একদাম আবার কোথাও ১০-২০ টাকা কমিয়ে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
এদিকে শবে বরাত উপলক্ষে বিভিন্ন বাজারসহ পাড়া-মহল্লায় বেশ কিছু অস্থায়ী মাংসের দোকান দেখা গেছে। অনেক দোকানে আগের মতো ৭৫০ টাকা কেজিতেও মাংস বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগের খোরশেদ মাংস বিতানে বিক্রেতা এনামুল হক বলেন, চাহিদার কারণে দাম কিছুটা বাড়তি। সকাল সকাল দুইটা গরু জবাই দিয়েছি, বিক্রি শেষ। তবে আমরা আগের দামে মাংস বিক্রি করছি। কেউ হাড় কমিয়ে নিলে দাম একটু বেশি পড়ছে।
এদিকে গরুর মাংসের পাশাপাশি ক্রেতার ভিড় বেড়েছে মুরগির মাংসের দোকানেও। ফলে ক্রেতাদের প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম গুনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, যা আগে ছিল ১৯০-২০০ টাকা। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগির দরও গত সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা।
অন্যদিকে শবে বরাতে চিনি, তেল, দুধ ও মসলার মতো পণ্যের বিক্রিও বেড়েছে। তবে তেল ছাড়া অন্য পণ্যের দাম বাড়েনি।
এদিকে এখনো সংকট কাটেনি ভোজ্যতেলের বাজারে। প্রায় মাসখানেক ধরে বাজারে বোতলজাত ভোজ্যতেলের সরবরাহে ঘাটতি চলছে। বোতল সংকটে খোলা সয়াবিন তেলের দর বেড়ে গেছে। এতে অনেকেই দোকানে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। যদিও তেলের বোতলের গায়ের দাম ১৭৫ টাকা।
অন্যদিকে, পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি থাকলেও রসুনের বাজার চড়া। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। দেশি নতুন রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এই দরের চেয়ে অন্তত ১০ টাকা কমে রসুন কেনা গেছে। একই সঙ্গে আদারও কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দর বেড়ে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সবজির বাজার এখনো ক্রেতার নাগালে। যদিও কিছুটা বেড়েছে বেগুনের দাম। প্রতি কেজি লম্বা বেগুনের দর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া মুলা ও শালগমের কেজি ১৫ থেকে ২০, শিম ও গাজর ৩০ থেকে ৪০, ফুল ও বাঁধাকপির প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫, লাউয়ের পিস ৪০ থেকে ৬০, টমেটো ২০ থেকে ২৫, শসা ৫০ থেকে ৬০ ও কাঁচা মরিচের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে ডাল ও ছোলার দামে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি কেজি ভালো মানের মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১১০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কৃষিতে কমেছে ঋণ বিতরণ, আদায় বেড়েছে
![কৃষিতে কমেছে ঋণ বিতরণ, আদায় বেড়েছে মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/05/কৃষি-ঝণ-১.jpg)
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (প্রথম ৬ মাস) কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ কমেছে ১১ শতাংশের বেশি। তবে একই সময়ে ঋণ আদায় বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, দেশের ব্যাংকগুলো চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কৃষি খাতে ১৬ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিলো ১৮ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে এই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম ৬ মাস) কৃষি খাতের ঋণ আদায় বেড়েছে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করা ঋণ আদায় করেছে ১৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে আদায়ের পরিমাণ ছিলো ১৭ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষি ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে বোরো মৌসুমে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ ২০২৪ সালের শেষার্ধে দুইটি বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাতে ঋণের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। বিপরীতে এসময়ে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমেছে।
প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে বিতরণ করা কৃষি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ১৮ কোটি টাকা। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এ ঋণের পরিমাণ ছিলো ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে আগের অর্থবছরের তুলনায় ঋণ বেড়েছে ৬২৩ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাস্তা-সেতু নির্মাণে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ইস্যু চূড়ান্ত
![রাস্তা-সেতু নির্মাণে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ইস্যু চূড়ান্ত মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/06/bangladesh-bank-4.jpg)
গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) অর্থের জন্য সুকুক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সরকার তিন হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সুকুক বন্ড হবে মেয়াদ হবে ৭ বছর।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়াহ্ অ্যাডভাইজরি কমিটি বৈঠক করে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানা গেছে, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’ এই সুকুক বন্ডের অর্থ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। সুকুকটির নাম দেওয়া হয়েছে ইসটিনা ও ইজারা। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআইডি) মাধ্যমে প্রকল্পটির আওতায় বাংলাদেশের আট বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় ৮২টি সেতু নির্মাণের কাজ চলমান। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৭ হাজার ৬৯৭ মিটার, ৩৮ হাজার ৮০০ মিটার সংযোগ সড়ক এবং চার হাজার ২৩০ মিটার নদী শাসনের কাজ বাস্তবায়ন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষিপণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হবে।