রাজনীতি
আমরা বাংলাদেশে অযোগ্য শাসক চাই না: হাসনাত
![আমরা বাংলাদেশে অযোগ্য শাসক চাই না: হাসনাত মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/hasnat.jpg)
আমরা বাংলাদেশে অযোগ্য শাসক আর চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী দরবার শরীফের দুই দিনব্যাপী ৭৭তম ঈসালে সওয়াব মাহফিলের প্রথম দিনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ আর চাই না, যে বাংলাদেশের মধ্যে দুর্নীতি রাহাজানি গুম, খুন, হত্যা থাকবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যে বাংলাদেশে প্রত্যেকটা ধর্মের মানুষ, তার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, আমরা এমন দেশ আর চাই না, যে বাংলাদেশে আলেম ওলামাদের সামনে থেকে মাইক কেড়ে নেয়া হয়। আমরা এমন বাংলাদেশ আর চাই না, যে বাংলাদেশে দাড়ি ধরে ধরে আলেম-ওলামাদেরকে জেলে ঢোকানো হয়। আমরা এমন বাংলাদেশ আর চাই না, যে বাংলাদেশে কোরআন থেকে হাদিস থেকে আলোচনা করার কারণে সেই মাহফিল বন্ধ করে দেয়া হয়। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই যে বাংলাদেশে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আমরা সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বাস করতে পারবো।
হাসনাত বলেন, আমাদের রাষ্ট্র কখনো আমাদের ঠিক করতে পারবে না। প্রশাসন আমাদের কে কখনো ঠিক করতে পারবে না। পুলিশ আমাদেরকে কখনো ঠিক করতে পারবে না। যদি না আমরা নিজেরা নিজের থেকে ঠিক না হই। আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, আমি ইসলামের অনেক বেশি কিছু জানি না, এখানে যেই আলেমরা রয়েছেন তারা ইসলাম সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রয়েছে। আমার ভুল হলে আপনারা মাফ করবেন, আমার যেই বাস্তবিক অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, আপনারা ঘুস থেকে দূরে থাকবেন।
তিনি বলেন, তদবির ভালো জিনিস না। আপনি যদি মনে করেন আপনার পরিচিত লোক ক্ষমতার কাছাকাছি রয়েছে, তার থেকে আপনি বিশেষ সুযোগ-সুবিধা নিবেন, সেটাও এক ধরনের অপরাধ। এই ঘুস থেকে আপনাদের দূরে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনাদের যারা প্রতিনিধিত্ব করছে, তারা আপনাদের কর্মচারী। আপনাদের কর্মচারী থেকে যদি একটা বিশেষ দিনের আগে দুই হাজার এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে যান, তাহলে আপনাদের যে আমানত রয়েছে, এই আমানতের খেয়ানত আপনারা করবেন। আমরা সারাবছর, পাঁচ বছর দশ বছর আমরা নেতাকে গালাগালি করতে পারব। কিন্তু আপনাদের আপনার হাতে যে একদিনের ক্ষমতা ছিল, ওই একদিনের ক্ষমতা যদি আপনি অপব্যবহার করে থাকেন, তাহলে পাঁচ বছরের অপ শাসনের জন্য, দশ বছরের অপশাসনের জন্য এর দায়ভার আপনাকে নিতে হবে। এজন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা নেতাকে দোষ দেয়ার আগে, আমরা নিজের কাছে আগে প্রশ্নবিদ্ধ হব। আমরা নিজের কাছে আগে দায়বদ্ধ হবো। আপনাদের কাছে করজোড় অনুরোধ করব, আপনারা কর্মচারীর কাছে কখনো বিক্রি হইয়েন না।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, আপনারা অত্যাচারীর কাছে কখনো মাথানত কইরেন না, আপনারা কখনো সুদের কাছে মাথানত কইরেন না। আমরা ছোট ছোট মানুষ আমাদের বয়স ২৫ বছর ২৭ বছর, এই বয়সের ছেলেরা এখন পর্যন্ত হয়তো পরিবারের হাল ধরেনি। এখনো পর্যন্ত বাসা থেকে ৫০০ টাকা ১০০০ টাকা নিয়ে চলে, এই বয়সে আমাদেরকে দেশ সংস্কার করতে হচ্ছে। আমাদের ভুল হচ্ছে, আমরা ভুল করছি, আমরা দেখছি, আমরা শিখছি, আমাদের ভুল হলে আপনারা দেখবেন আমরা সেটা থেকে শিখব, এবং আপনাদের দেখানো পথে বাংলাদেশটাকে এগিয়ে দেবো। এ সময় ধামতী দরবার শরীফের গজনীশিন পীর মাওলানা বাহাউদ্দিনসহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম এবং পীর মাশায়েখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
রাজনীতি
তারেক রহমান যাকে মনোনিত করবেন, সবাই তার নির্বাচন করবো: আজম খান
![তারেক রহমান যাকে মনোনিত করবেন, সবাই তার নির্বাচন করবো: আজম খান মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/azam-khan.jpg)
দেশের মাটিতে পা রেখেই সাংগঠনিক দক্ষতার চমক দেখালেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপি উপদেষ্টা মো. আজম খান। প্রায় ১০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশের মাটিতে তাঁর পা রাখার খবর পেয়ে চাঁদপুরসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিমানবন্দর এবং জিয়া উদ্যানে সমবেত হয়। এদিন সকাল ১০ টায় বিমান বন্দরে নামেন বিএনপির দুঃসময়ে অন্যতম সাহসী যোদ্ধা মো. আজম খান। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে তাকে স্বাগত জানিন।
বিমান বন্দরে থেকে আজম খান নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে ছুটে যান। এসময় মো. আজম খানের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকার রাজপথ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে। দুপুর ১২ টায় তিনি প্রায় ১০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং কবর জিয়ারত করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুঃশাসনের কারণে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী দেশে থাকতে পারেনি। তাদেরই একজন বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য মো. আজম খান। তিনি দীর্ঘ বছর পর আজ নিজের জন্মভূমিতে পা রেখেছেন। তবে বিদেশের মাটিতে থেকেও তিনি দলের দুঃসময়ে একজন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি গণতন্ত্র এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে একজন সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। দল এবং দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন।
আব্দুস সালাম আরো বলেন, স্বৈরাচারী নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন। স্বৈরাচার হাসিনার পতন হলেও গণতন্ত্র এখনো পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকাতে হবে।
জিয়াউর রহমানে কবর জিয়ারত শেষে মো. আজম খান বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এসময় তিনি বলেন, আজ অনেক বছর পর আমি আমার মাতৃভূমিতে আসতে পেরেছি। স্বৈরাচার হাসিনা আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর জীবন থেকে এমন অনেক সুন্দর দিনগুলো কেড়ে নিয়েছে। আজ বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে আপনাদের উপস্থিতি দেখে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। আমি শহীদ জিয়ার আদর্শকে ভালোবেসে বিএনপির রাজনীতি করি। আমার রাজনীতির পথচলা ছাত্ররাজনীতির মধ্য দিয়ে। চাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছিলাম। বিএনপির দক্ষিণ আফ্রিকা শাখার প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি ছিলাম।
আজম খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই যুগের একজন নেনসন মেনডেলা। বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি দেশান্তরী হয়েছেন। তার পিতা এদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। দেশের জন্য তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তার মা বেগম খালেদা জিয়া এদেশের গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনার নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সেও বছরের পর বছর কারাভোগ করেছেন। এরপরেও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে ছিলেন আপোষহীন। ছাত্রজনতার গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আমারা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তবে এখনো আমাদের গণতন্ত্র ফিরে আসেনি। গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপির প্রতিটা নেতাকর্মীকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আগামীর নির্বাচন হবে স্বচ্ছ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমাদের স্বচ্ছ প্রার্থী প্রয়োজন। তাই দেশ এবং দলের প্রয়োজনে আমাদের মাঠে কাজ করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার কথা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। চাঁদপুরে আমরা বিএনপির বৃহৎ পরিবার এক ও অভিন্ন হয়ে দেশ ও দলের কল্যাণে কাজ করবো। চাঁদপুরের মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে আমরা মানুষের ভোট নিবো। আওয়ামী লীগের মত ভোট ডাকাতি কিংবা নিজেরা নিজের সহযোদ্ধা- ভাইদের সাথে ক্লেশ করবো না। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান যাকে মনোনিত করবেন তাকে আমরা সবাই সম্মান করবো। বর্তমানে যিনি আছেন তাকে আমরা সবাই সম্মান করবো। ওনাকে যদি একশো বছরও রাখেন, আমরা তার নির্বাচন করবো।
চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েলের পরিচালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহনেওয়াজ খান, রাফিউস শাহাদাত ওয়াসিম, জিসান চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি এমদাদুল হক মিলন সহ আরো অনেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্য কাজ গ্রহণযোগ্য হবে না: রিজভী
![নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্য কাজ গ্রহণযোগ্য হবে না: রিজভী মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/rijvi.jpg)
মূল কাজ নির্বাচন। এ বিষয়টি বাদ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যদি অন্যান্য কাজে গুরুত্ব দেয় তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘রোড টু ইলেকশন’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় সরকারের দায়িত্ব অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আয়োজন কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বেচ্ছায় সরকারের অধীনে যেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। এতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। তাই সংবিধান প্রদত্ত আইন কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের শক্তিশালী করতে হবে।
এ সময় জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা ব্যক্তিদের নির্বাচন আয়োজন কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ দেওয়ারও আহ্বান জানান বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ঈদের পর দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া
![ঈদের পর দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/khaleda-zea.jpg)
লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদ করেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
এমএ মালেক বলেন, আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। তিনি দেশবাসীর দোয়ায় আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। কারণ উনি তার প্রিয় সন্তান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান, শর্মিলা রহমান, তিন নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, জাহিয়া রহমান এবং জাফিয়া রহমানের সঙ্গে বাসায় দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। তারা সবাই উনার পাশে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যুক্তরাজ্য বিএনপির টিম উনার পাশে আছি। আলহামদুলিল্লাহ উনি মেন্টালি খুব রিলাক্স। আমরা উনাকে অনুরোধ করেছি আমাদের সঙ্গে অন্তত এই ঈদটা করে যাওয়ার জন্য। আমরা আশা করি, উনি যদি আমাদের কথা রাখেন তাহলে ঈদের পরেই বাংলাদেশে যাবেন। উনি আগের চেয়ে অনেক ভালো রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, হাসিনাই উনাকে স্লো পয়জনিং দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। আল্লাহ অশেষ মেহেরবানী। আল্লাহর ক্ষমতা অনেক বেশি। হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। হাসিনা যখন লন্ডনে আসেন তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন খালেদা জিয়াকে হত্যার। আল্লাহ বলেছেন এর চেয়ে বড় পরিকল্পনাকারী আমি খোদ আল্লাহ। আল্লাহর পরিকল্পনায় হাসিনার পতন হয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়ার উত্থান হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও কথাবর্তা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কথা বার্তা হয়নি। আমরা কোনও কথাবার্তা বলবোও না। কারণ রাজনীতিতে উনার অনেক সোর্স রয়েছে। উনি অনেক ব্রিফ পান এবং উনার দৃষ্টি বাংলাদেশের প্রতি রয়েছে। আমরা মা-সন্তানের তো উনার আশেপাশে ঘুরঘুর করি। এক টেবিলে ডাকলে আমরা মায়ের সঙ্গে বসে খাই। এটাই আমাদের আনন্দ এবং জীবনের চরম পাওয়া। উনি খুব ভালো আছেন।
গত ৮ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগের দিন কাতারের আমিরের শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির পাঠানো রাজকীয় বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৫ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসদের ছাড়পত্র পেয়ে ছেলের বাসায় উঠেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরত চাইলো বিএনপি
![ভারতের কাছে হাসিনাকে ফেরত চাইলো বিএনপি মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/BNP.jpg)
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশে গণহত্যা হয়েছে, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবিলম্বে আমরা এখন থেকে চাইব, ভারত সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত দিয়ে বাংলাদেশের সরকারের হাতে দেবে এবং তাকে (শেখ হাসিনা) বিচারের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া তার সহযোগী যারা ছিল তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল এ কথা বলে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে কবে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে। এ বিষয়ে সবার আগ্রহ থাকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, আমরা সন্তোষ প্রকাশ করেছি যে, যে ঘটনাগুলো সত্য এগুলো প্রকাশ পেয়েছে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো যখন এই ঘটনাগুলো বলি তখন কেউ বিশ্বাস করতে চায় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে যে হত্যাকাণ্ড হয় তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে তারই নির্দেশে এখানে গণহত্যা হয়েছে, এটা আজকে প্রমাণিত হয়ে গেছে। এদেশের মানুষকে তিনি অত্যাচার নির্যাতন করেছেন। যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র হত্যা সবকিছু তারই নির্দেশেই হয়েছে। সুতরাং এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে হাসিনা ফ্যাসিস্ট। আমি জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, এটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কোনো পার্টি নিষিদ্ধ হবে কি হবে না? কোন পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে।
আয়নাঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু পার্টি নয়, দেশের বিভিন্ন মানুষকে গুম করেছে। তুলে এনে জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে।
আনুপাতিক হারে নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এটা আমরা পুরো বিরোধী। মানুষ এতে অভ্যস্ত নয়।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটা আমরা আগেও বলেছি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়। জাতীয় নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার দুটো কারণে। বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, আর ওই গভর্ন্যান্স চালু করা। অর্থনীতি ঠিক হয়ে যাবে, ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া হচ্ছে না সেগুলো ঠিক হয়ে যাবে। নির্বাচিত সরকার না হলে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন।
নির্বাচনের ‘ডেড লাইন’ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমি তো বলতে পারব না। তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) বলেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
হয় আমরা থাকব না হয় আওয়ামী লীগ থাকবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
![হয় আমরা থাকব না হয় আওয়ামী লীগ থাকবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/hasnat.jpg)
এই ভূখণ্ডে হয় আমরা থাকব না হয় আওয়ামী লীগ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, বিপ্লবী ভাইয়ের শাহাদাত আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এতদিন পর্যন্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি। এই ভূখণ্ডে হয় আমরা থাকব না হয় আওয়ামী লীগ থাকবে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গাজীপুরে হামলায় নিহত শিক্ষার্থী আবুল কাশেমের জানাজা শেষে লাশের কফিন নিয়ে মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আজকে আয়না ঘর প্রকাশিত হয়েছে, আজকেই অভ্যুত্থান বিষয়ক জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, আজকেই আমাদের ভাই শহীদ হলেন। বিপ্লবী ভাইয়ের শাহাদাত আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এতদিন পর্যন্ত সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর এ ভূখণ্ডের দখল আমরা পেয়েছি। এ ভূখণ্ডে হয় আমরা থাকব না হলে আওয়ামী লীগ থাকবে। বিপ্লবীরা ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে এ দেশে থাকতে পারে না। আমরা স্পষ্ট করে সরকারকে বলতে চাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর শাস্তি নিশ্চিত করুন এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।
কফিন মিছিলে ছাত্র-জনতা- ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’; ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘আমার ভাই কফিনে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘ছাত্র-জনতার অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, খুনি হাসিনা গেলি কই’; ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’; ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, গাজীপুরে অভ্যুত্থানের ৬ মাস পরে আমাদের ভাইকে কুপিয়ে শহীদ করা হলো। আমরা কিছুই করতে পারলাম না। লাশ সামনে নিয়ে বিগত দিনের ফ্যাসিবাদকে মনে পড়ছে। যে আওয়ামী লীগ আমার ভাইকে শহীদ করেছে সেই আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করার বিন্দু পরিমাণ অধিকার রাখে না। শহীদের লাশের শপথ করে বলছি, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব।
কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। কর্মসূচি অনুযায়ী— সারা দেশের প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে শহীদ আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা এবং আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে খাটিয়া মিছিল করা হবে।