জাতীয়
দুর্নীতি বন্ধে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন: ড. ইফতেখারুজ্জামান
![দুর্নীতি বন্ধে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন: ড. ইফতেখারুজ্জামান মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/11/Iftekharuzzaman-Executive-director-of-Transparency-International-Bangladesh-TIB1.jpg)
বাংলাদেশে দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় কতটা দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব? দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব? এসব বিষয় নিয়ে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেনে, স্বাভাবিক অবস্থায় এটা আশা করা যায় কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। এখনো সেই প্রশ্নটা আছে। এখন আমরা একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে এই অর্জন। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বের এই আন্দোলনে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এর অংশীদার বলে নিজেরা দাবি করছেন। যৌক্তিকভাবেই হয়তোবা। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন লাগবে।
এটা যদি হয়, তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে প্রত্যাশায় জায়গায় যাওয়া সম্ভব। এই শর্তে যে, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে হবে। যে কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অবস্থান ছিল, সেই কর্তৃত্ববাদ বিকাশের অন্যতম স্তম্ভ ছিল দুর্নীতি। এই দুর্নীতিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের কাঠামো দখল করা হয়েছিল। এটার জন্যই তো সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো শামিল, ফলে তাদের কাছ থেকে তো ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করাই যায়, যদিও এটার লক্ষণ আমরা দেখিনি। ৫ আগস্ট থেকে দলবাজি, দখলবাজি একইভাবে হয়েছে। এখানে একটা ব্যানারের পরিবর্তন হয়েছে, চর্চাটা এখনো রয়ে গেছে। আমরা তো এটার জন্য আইন পরিবর্তন করতে বলেছি।
আমরা কর্তৃত্ববাদের সময়ও দেখেছি, অন্য সময়ও দেখেছি এবং অন্যান্য দেশেও যেটা হয়, সরকারি খাতে যে দুর্নীতি, সেটা এককভাবে সরকারি পর্যায় থেকে হয় না। সরকারি লোকজন, আমলাদের পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আসে বেসরকারি মালিকানাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন খাত। সেখানে ঠিকাদার, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী হিসেবে, সরবরাহকারী হিসেবে এতে তাদের ভূমিকা থাকে। এই অবস্থা থেকে যদি আমরা বের হতে চাই তাহলে বেসরকারি খাতের দুর্নীতিকেও বের করতে হবে। সেই লক্ষেই এই সুপারিশটা করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানা খাতের দুর্নীতিকে অপরাধ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করাও সম্ভব। আমাদের সুপারিশের মধ্যে অনেক কিছুই আছে, যা আশু করণীয়। সেগুলো আমরা চিহ্নিত করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছি। এর মধ্যে আছে বেশ কিছু আইনি সংস্কার, নতুন কিছু আইনের দরকার, বেসরকারি খাতের দুর্নীতির বিষয়টি আছে, এর বাইরেও কিছু আইনি সংস্কারের দরকার আছে। বর্তমান সরকারের আমলেই অধ্যাদেশের মাধ্যমে এগুলো করা সম্ভব, যা পরবর্তীতে সংসদে অনুমোদিত হওয়ার চর্চা আছে।
দ্বিতীয়ত, ব্যবসা খাত, আমলাতন্ত্র ও রাজনীতি এই ত্রিপক্ষীয় আতাতের উপর ভিত্তি করে যে দুর্নীতি, সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা বেশ কিছু সুপারিশ করেছি। এগুলো দুদকে সরাসরি সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এতে কাজেও গতি আসবে। দুদকের স্বাধীনতার পাশাপাশি জবাবদিহিতার ক্ষেত্রেও আমরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিয়েছি। দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্যও আমরা সুপারিশ করেছি। এগুলো এখনই করা সম্ভব। কাঠামোটাকে তৈরি করে যদি ধরে রাখা হয় তাহলে নির্বাচন পরবর্তীতে কার্যকরভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
তদন্তের আগে অনুসন্ধান বন্ধ করতে সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধান করা না হলে কিভাবে জানা যাবে একজন মানুষ কি পরিমাণ দুর্নীতি করেছেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত না করতে বলিনি। আমরা বলেছি, তদন্তের আগে অনুসন্ধান করা বাধ্যতামূলক করা আছে। সেটা বন্ধ করতে বলেছি। ক্রিমিনাল অপরাধের ক্ষেত্রে কিন্তু অনুসন্ধান পর্যায়ে থাকে না। এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।
প্রথমত, এটা করা হয়েছে, দীর্ঘসূত্রতার জন্য। দ্বিতীয়ত, এটার জন্য যে সময় নেওয়া হয়, তাতে যার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হচ্ছে, তিনি যদি প্রভাবশালী হন, তাহলে তিনি তথ্য সরিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পান। আমরা এটা বন্ধ করতে বলেছি। পাশাপাশি এটার কারণে দুদকের কর্মকর্তাদের মধ্যেও অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই কারণে আমরা আন্তর্জাতিক চর্চাটা এখানে করতে বলেছি।
উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি বন্ধে যে টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রসঙ্গে বলেন, বিদেশে টাকা পাচারের ক্ষেত্রে দুই ধরনের টাস্কফোর্সের কথা বলা হয়েছে। সার্বিকভাবে বিভিন্ন দেশের চর্চা অনুযায়ী, দুদকের পাশাপাশি এনবিআর, বিএফআইইউ, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, সিআইডিকে আমরা যুক্ত করতে বলেছি। দুদকের একার পক্ষের সবসময় আইনগতভাবেই এসবের অনুসন্ধান করা সম্ভব হয় না। সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজটা করলে প্রক্রিয়াটা সহজ হয়। টাস্কফোর্স সমন্বয়টা নিশ্চিত করবে বলে জানান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
অপর একটি প্রসঙ্গে বলেন, যেহেতু উচ্চ পর্যায়ে অংশগ্রহণ বা নির্দেশে দুর্নীতিগুলো হয়, সেটা বন্ধ করার জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকারের কথা আমরা বলেছি। সংবিধানে এটাকে অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক বলে আমরা মনে করি। আমাদের বর্তমান সংবিধানেও এটা বলা আছে। আমরা এর সঙ্গে একটু যুক্ত করতে বলেছি।
বর্তমান সরকারের সময় সংস্কারের যে উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে, এটা কিন্তু শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা না। এটা কিন্তু জনগণের প্রত্যাশার জায়গা। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মূল চেতনার জায়গা হলো, বাংলাদেশে দুর্নীতির যে গভীর বিস্তৃতি রয়েছে, সেটা দেশবাসী আর দেখতে চায় না। এটা যেহেতু সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এবং আমরা মনে করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে নিঃসন্দেহে ধরে নেওয়া যায়। তাই এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব, কিন্তু চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
সংলাপের মাধ্যমে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু: প্রধান উপদেষ্টা
![সংলাপের মাধ্যমে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু: প্রধান উপদেষ্টা মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/younus.webp)
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাসে প্রথম ইনিংস বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।”
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক এখনো চলছে।
আসরের নামাজের বিরতি চলাকালে প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের কথা সাংবাদিকদের জানান তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রেস সচিব বলেন, “মিটিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা দীর্ঘসময় বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রথম ছয় মাস অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য প্রথম ইনিংস বা অধ্যায় ছিল। আজকের বৈঠকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে’। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমরা যে দেশ গড়তে যাচ্ছি, তাতে পুরো দেশ এবং বিশ্বের সমর্থন আছে। বড় বড় দেশ আমাদেরকে বলেছে তোমাদের কি চাই, আমরা তোমাদের পাশে আছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ইউনাইটেড নেশনসেরও পুরো সমর্থন আছে’।”
প্রেস সচিব আরও বলেন, “আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ শুরু শুরু হয়েছে। বলা যায়, এটা প্রস্তুতিমূলক সভা।”
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ২৬টি দল ও জোটের প্রায় ১০০ রাজনৈতিক বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। আজ বিকেল তিনটার পরপর ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক শুরু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আইসিটি রিফর্ম রোডম্যাপের খসড়া প্রকাশ
![আইসিটি রিফর্ম রোডম্যাপের খসড়া প্রকাশ মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/dak-o-telejogajog.jpg)
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি ডিভিশন ‘ন্যাশনাল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্রাটেজি এবং আইসিটি রিফর্ম রোডম্যাপের’ খসড়া প্রকাশ করেছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইসিটি রোডম্যাপের খসড়াটিতে জাইকা প্রদত্ত বাস্তবায়ন কৌশল ও ইউনেস্কোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট মেথডোলজি (এআই আরএএম) সামারিকে আমলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিটাল ইকোনমির জন্য গঠিত টাস্কফোর্স প্রদত্ত দশটি প্রস্তাবনাও এখানে গৃহীত হবে।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দেশ ও বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছে এই খসড়ার উপর মতামত আহ্বান করেছেন। খসড়াটির ওপর বিশেষজ্ঞ নিয়ে এটিকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আগামী নির্বাচন: প্রেস সচিব
![জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আগামী নির্বাচন: প্রেস সচিব মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/01/press-sochib-sofiqul-alom.jpg)
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচনটা কবে হবে। কারণ এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন- ‘ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হতে পারে’। সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারব। এরপর যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসবে তারা বাকিটা বাস্তবায়ন করবে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রেস সচিব। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা এসে পৌঁছেছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস- এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে, আমাদের আশা থাকবে সব রাজনৈতিক দল এটাতে স্বাক্ষর করবে। সেটা হবে জুলাই চার্টার।
সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, আর যেসব ক্ষেত্রে প্রধান ঐকমত্য প্রয়োজন সেটার জন্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশকে পুনর্গঠন এবং তারপর আমরা যে রাজনৈতিক সমাধানে যাচ্ছি, কীভাবে আমাদের ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনটা হবে তার জন্য আজকে রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সূচনা।
এদিকে বৈঠকে অংশ নিতে দুপুর ২টার পর থেকেই ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হালদার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, গণ ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা এসেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হজের বিমান ভাড়া বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
![হজের বিমান ভাড়া বেশি নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ধর্ম উপদেষ্টা khalid](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/dhormo-montronaloy.jpg)
হজের বিমান ভাড়া সরকার নির্ধারিত ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার বেশি নিলে এজেন্সির লাইসেন্স ও জামানত বাতিলসহ রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরান পল্টনে বিশ্বকল্যাণ পাবলিকেশন্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ হোসেন বলেন, এবার এক হাজারের নিচে কোনো এজেন্সি হাজি পাঠাতে পারবে না। আর আগামী বছর থেকে অনুমোদন পেতে এজেন্সিকে ন্যূনতম ২০০০ হাজি পাঠাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া কোনো এজেন্সি যদি হাজিদের জন্য আগাম টিকিট বুকিং করতে চায়, তাহলে ব্যক্তির নাম ও পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে বুকিং করতে হবে এবং সেটা তিন দিনের বেশি ব্লক রাখা যাবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস ছালাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আ.লীগকে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বিডিআর হত্যাকাণ্ড: অ্যাটর্নি জেনারেল
![আ.লীগকে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বিডিআর হত্যাকাণ্ড: অ্যাটর্নি জেনারেল মেঘনা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/ashadujjaman.jpg)
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। আর এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিল।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করার জন্য, ভোটের অধিকার হরণ করার জন্য, নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার জন্য বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটনো হয়েছিল।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের প্রচ্ছন্ন নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের বের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে প্রশাসনের পোশাক পরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন কিনা, সেটিও তদন্ত করতে হবে।
এ সময় আসাদুজ্জামান প্রতিবেশী দেশ ভারতের সমালোচনা করে বলেন, একটি বন্ধু রাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নামে বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখন আবার একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দুর্বল করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র, যার ফলে তৈরি হয়েছে জুলাই বিপ্লব।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠন করা হয়েছে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কমিশন এ সংক্রান্ত সব তথ্য বের করে আনবে। এ দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্যই ৫৭ জন চৌকস সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের পাশাপাশি যারা মাস্টারমাইন্ড ছিলো তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
কাফি