জাতীয়
দুর্নীতি বন্ধে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন প্রয়োজন: ড. ইফতেখারুজ্জামান

বাংলাদেশে দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় কতটা দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব? দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব? এসব বিষয় নিয়ে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেনে, স্বাভাবিক অবস্থায় এটা আশা করা যায় কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। এখনো সেই প্রশ্নটা আছে। এখন আমরা একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে এই অর্জন। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বের এই আন্দোলনে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এর অংশীদার বলে নিজেরা দাবি করছেন। যৌক্তিকভাবেই হয়তোবা। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন লাগবে।
এটা যদি হয়, তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে প্রত্যাশায় জায়গায় যাওয়া সম্ভব। এই শর্তে যে, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে হবে। যে কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অবস্থান ছিল, সেই কর্তৃত্ববাদ বিকাশের অন্যতম স্তম্ভ ছিল দুর্নীতি। এই দুর্নীতিকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের কাঠামো দখল করা হয়েছিল। এটার জন্যই তো সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো শামিল, ফলে তাদের কাছ থেকে তো ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করাই যায়, যদিও এটার লক্ষণ আমরা দেখিনি। ৫ আগস্ট থেকে দলবাজি, দখলবাজি একইভাবে হয়েছে। এখানে একটা ব্যানারের পরিবর্তন হয়েছে, চর্চাটা এখনো রয়ে গেছে। আমরা তো এটার জন্য আইন পরিবর্তন করতে বলেছি।
আমরা কর্তৃত্ববাদের সময়ও দেখেছি, অন্য সময়ও দেখেছি এবং অন্যান্য দেশেও যেটা হয়, সরকারি খাতে যে দুর্নীতি, সেটা এককভাবে সরকারি পর্যায় থেকে হয় না। সরকারি লোকজন, আমলাদের পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আসে বেসরকারি মালিকানাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন খাত। সেখানে ঠিকাদার, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী হিসেবে, সরবরাহকারী হিসেবে এতে তাদের ভূমিকা থাকে। এই অবস্থা থেকে যদি আমরা বের হতে চাই তাহলে বেসরকারি খাতের দুর্নীতিকেও বের করতে হবে। সেই লক্ষেই এই সুপারিশটা করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানা খাতের দুর্নীতিকে অপরাধ হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করাও সম্ভব। আমাদের সুপারিশের মধ্যে অনেক কিছুই আছে, যা আশু করণীয়। সেগুলো আমরা চিহ্নিত করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছি। এর মধ্যে আছে বেশ কিছু আইনি সংস্কার, নতুন কিছু আইনের দরকার, বেসরকারি খাতের দুর্নীতির বিষয়টি আছে, এর বাইরেও কিছু আইনি সংস্কারের দরকার আছে। বর্তমান সরকারের আমলেই অধ্যাদেশের মাধ্যমে এগুলো করা সম্ভব, যা পরবর্তীতে সংসদে অনুমোদিত হওয়ার চর্চা আছে।
দ্বিতীয়ত, ব্যবসা খাত, আমলাতন্ত্র ও রাজনীতি এই ত্রিপক্ষীয় আতাতের উপর ভিত্তি করে যে দুর্নীতি, সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা বেশ কিছু সুপারিশ করেছি। এগুলো দুদকে সরাসরি সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এতে কাজেও গতি আসবে। দুদকের স্বাধীনতার পাশাপাশি জবাবদিহিতার ক্ষেত্রেও আমরা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিয়েছি। দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্যও আমরা সুপারিশ করেছি। এগুলো এখনই করা সম্ভব। কাঠামোটাকে তৈরি করে যদি ধরে রাখা হয় তাহলে নির্বাচন পরবর্তীতে কার্যকরভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
তদন্তের আগে অনুসন্ধান বন্ধ করতে সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধান করা না হলে কিভাবে জানা যাবে একজন মানুষ কি পরিমাণ দুর্নীতি করেছেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত না করতে বলিনি। আমরা বলেছি, তদন্তের আগে অনুসন্ধান করা বাধ্যতামূলক করা আছে। সেটা বন্ধ করতে বলেছি। ক্রিমিনাল অপরাধের ক্ষেত্রে কিন্তু অনুসন্ধান পর্যায়ে থাকে না। এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।
প্রথমত, এটা করা হয়েছে, দীর্ঘসূত্রতার জন্য। দ্বিতীয়ত, এটার জন্য যে সময় নেওয়া হয়, তাতে যার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হচ্ছে, তিনি যদি প্রভাবশালী হন, তাহলে তিনি তথ্য সরিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পান। আমরা এটা বন্ধ করতে বলেছি। পাশাপাশি এটার কারণে দুদকের কর্মকর্তাদের মধ্যেও অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই কারণে আমরা আন্তর্জাতিক চর্চাটা এখানে করতে বলেছি।
উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি বন্ধে যে টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রসঙ্গে বলেন, বিদেশে টাকা পাচারের ক্ষেত্রে দুই ধরনের টাস্কফোর্সের কথা বলা হয়েছে। সার্বিকভাবে বিভিন্ন দেশের চর্চা অনুযায়ী, দুদকের পাশাপাশি এনবিআর, বিএফআইইউ, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, সিআইডিকে আমরা যুক্ত করতে বলেছি। দুদকের একার পক্ষের সবসময় আইনগতভাবেই এসবের অনুসন্ধান করা সম্ভব হয় না। সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজটা করলে প্রক্রিয়াটা সহজ হয়। টাস্কফোর্স সমন্বয়টা নিশ্চিত করবে বলে জানান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
অপর একটি প্রসঙ্গে বলেন, যেহেতু উচ্চ পর্যায়ে অংশগ্রহণ বা নির্দেশে দুর্নীতিগুলো হয়, সেটা বন্ধ করার জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকারের কথা আমরা বলেছি। সংবিধানে এটাকে অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক বলে আমরা মনে করি। আমাদের বর্তমান সংবিধানেও এটা বলা আছে। আমরা এর সঙ্গে একটু যুক্ত করতে বলেছি।
বর্তমান সরকারের সময় সংস্কারের যে উদ্যোগটা নেওয়া হয়েছে, এটা কিন্তু শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা না। এটা কিন্তু জনগণের প্রত্যাশার জায়গা। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মূল চেতনার জায়গা হলো, বাংলাদেশে দুর্নীতির যে গভীর বিস্তৃতি রয়েছে, সেটা দেশবাসী আর দেখতে চায় না। এটা যেহেতু সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এবং আমরা মনে করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে নিঃসন্দেহে ধরে নেওয়া যায়। তাই এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব, কিন্তু চ্যালেঞ্জ থাকবে বলে মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬৪২

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ৭২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৭০ জন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ৭২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫৭০ জন। মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৬৪২ জনকে।
অভিযানিক কার্যক্রমে একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, পাঁচটি পাইপগান, দুইটি ওয়ান শুটারগান, একটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড গুলি, চার রাউন্ড কার্তুজ, পাঁচটি চাইনিজ কুড়াল, একটি রামদা, তিনটি দা, একটি কিরিচ, তিনটি চাকু, একটি কাচি, একটি হাতুড়ি, একটি লাঠি, তিনটি রড, একটি কুচা ও একটি সুলফি।
বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সাইফুল ইসলাম টুকুন (৪০)।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের ডীয়াতলায়। তার বাবার নাম আফছার আলী।
তিনি কোন মামলায় কারাগারে ছিলেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। সাইফুলের হাজতি নং-৩৩০৯৬/২৪।
হাজতি সাইফুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী মো. মিলন জানান, আজ ভোরের দিকে হাজতি সাইফুল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। এরপর সকাল সাড়ে আটটার দিকে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে হাজতে সাইফুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। ময়নাতদন্তের পর কারা আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে সরকার: প্রেস সচিব

দেশের কারখানাগুলোয় স্বচ্ছন্দে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারের দোহায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
শফিকুল আলম বলেন, অনেকে বলেছেন, গ্যাসের অভাবে তাঁরা কারখানা স্থাপন করতে পারছেন না। তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চাই, যাতে পর্যাপ্ত গ্যাস (বিদেশ থেকে) আনা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দোহা সফরকালে কাতার এনার্জির সঙ্গে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কারখানাগুলোয় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে শিগগির স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালটি স্থাপন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার দোহা সফর সম্পর্কে তাঁর প্রেস সচিব বলেন, এই সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলবেন, এটি সবচেয়ে সফল ও অত্যন্ত আকর্ষণীয় সফরগুলোর একটি।
শফিকুল আলম আশা প্রকাশ করেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবেন।
দেশের অর্থনীতির উত্থান-পতনের কথা তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তা কমিয়ে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে এসেছে।
অবশিষ্ট ঋণ কয়েক মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাচ্ছেন রেলের অবসরপ্রাপ্ত ১০২ কর্মচারী

রেলের পরিবহন বিভাগের চুক্তিভিত্তিক স্টেশন মাস্টার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে অবসর নেওয়া ১০২ জন কর্মচারীকে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (পার্সোনেল-৩) পলাশ কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল পরিবহন বিভাগের ১০২ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীকে অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে ১ বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত পত্রের ছায়ালিপি প্রেরণপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
নিয়োগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠিটি বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপককে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, রেলে এভাবে অভিজ্ঞ কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার রেওয়াজ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভ্যাটিকানের উদ্দেশে কাতার ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ভ্যাটিকান সফরে কাতার ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তিনি কাতার ত্যাগ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইতালি সময় দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটে রোমে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ভ্যাটিকান সিটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাকে স্বাগত জানাবেন।
প্রধান উপদেষ্টা পৌঁছানোর এক ঘণ্টা পর শুক্রবার ভোর ৩টা ১৫ মিনিটে সেন্ট পিটার স্কয়ারে যাবেন এবং পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
ভ্যাটিকান সিটির ভিকার জেনারেল কার্ডিনাল মাউরো গ্যামবেত্তি, সেন্ট পিটার স্কয়ারে প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে আনুষ্ঠানিক শুভেচ্ছা জানাবেন।
আবার শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে সেন্ট পিটার স্কয়ারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা।
কাতার রাষ্ট্রের প্রটোকল প্রধান ইব্রাহিম বিন ইউসুফ আবদুল্লাহ ফখরু দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদায় জানান।
এদিকে রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) লিওনার্দো দা ভিঞ্চি রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন এবং সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে দেশে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।