জাতীয়
আ.লীগকে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বিডিআর হত্যাকাণ্ড: অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। আর এটি একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিল।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করার জন্য, ভোটের অধিকার হরণ করার জন্য, নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার জন্য বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটনো হয়েছিল।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের প্রচ্ছন্ন নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডদের বের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে প্রশাসনের পোশাক পরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন কিনা, সেটিও তদন্ত করতে হবে।
এ সময় আসাদুজ্জামান প্রতিবেশী দেশ ভারতের সমালোচনা করে বলেন, একটি বন্ধু রাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নামে বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখন আবার একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দুর্বল করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র, যার ফলে তৈরি হয়েছে জুলাই বিপ্লব।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠন করা হয়েছে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, কমিশন এ সংক্রান্ত সব তথ্য বের করে আনবে। এ দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্যই ৫৭ জন চৌকস সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের পাশাপাশি যারা মাস্টারমাইন্ড ছিলো তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
কাফি

জাতীয়
হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি আজ

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংঘটিত গুম, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে শুনানির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দিন ধার্য রয়েছে আজ।
রোববার (২৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে, গত ২৪ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও দুই মাস বাড়ানো হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গুম-হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম ও প্রসিকিউটর আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
এর আগে এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও দুই মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়। এরপর ২৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে তিন দফায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ানো হলো।
এ মামলার ১১ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের নাম প্রকাশ করেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। শেখ হাসিনা ও জিয়াউল ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এ মামলার আসামি। মামলায় মাত্র একজন গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি জিয়াউল আহসান। তাকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, র্যাব-১ ও র্যাব-২-এর কার্যালয় এবং কচুক্ষেতে গুমকেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছেন। সেগুলো তিনি পরিদর্শন করেছেন এবং আলামত জব্দ করেছেন। কিছু কিছু আলামত ধ্বংস করারও চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, ৮০০ থেকে ৯০০টি গুমের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে ২০০টির মতো ঘটনার তদন্ত শেষের দিকে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
গুমের কাজ গোপনে করা হতো উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, এ জন্য তদন্ত করতে সময় লাগছে। এরপর তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও দুই মাস বাড়ানোর আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
আদেশের পর প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলাটি আমরা ১১ জনের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলাম। মামলায় মাত্র একজন গ্রেফতার আছেন। তিনি হলেন সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। শত শত গুমের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তারপরও আমরা আদালতের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছিলাম। আদালত সেটিও মঞ্জুর করেছেন। এ সময়ের মধ্যে গুমের অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
জাতীয়
ভ্যাট বাড়ালে একসময় শুধু প্যাকেট থাকবে, বিস্কুট-রুটি নয়

চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত বাজেটে বিস্কুট ও পাউরুটির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে এই ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে বিস্কুট-পাউরুটির দাম বাড়ানোসহ প্যাকেট আরও ছোট করার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বিস্কুট-পাউরুটির কাঁচামাল গম, তেল ও চিনির দাম বাড়লেও আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি। কিন্তু সরকার ভ্যাট বাড়িয়ে আমাদের ওপর বোঝা চাপিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত বিস্কুট-পাউরুটি দিয়ে নাশতা করে। এগুলোকে অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে ঘোষণা করে ভ্যাট শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। প্রয়োজনে কোম্পানির ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করা হোক, কিন্তু বিস্কুট-পাউরুটির ওপর নয়।
তিনি বলেন, আমাদের লজ্জা লাগে আরও কত প্যাকেট ছোট করবো। ভ্যাটের কারণে একদিন দেখা যাবে, শুধু প্যাকেট থাকবে কিন্তু বিস্কুট ও পাউরুটি থাকবে না।
শফিকুর রহমান বলেন, আগে যাকে আমরা ফ্যাসিস্ট বলতাম, তারাও পাউরুটি-বিস্কুটের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট রেখে গেছে। তাহলে এখন কেন ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট করা হলো? আমার প্রশ্ন তাহলে ফ্যাসিস্ট কারা? ভ্যাট প্রত্যাহার না হলে দাম বাড়বে তখন আমাদের দায়ী করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবাদ-সমালোচনা উপেক্ষা করে শ্রমজীবী, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের খাবার রুটি-বিস্কুটে বাড়তি ভ্যাট চাপিয়ে সরকার প্রমাণ করছে, তারা পূর্ববর্তী সরকারের চেয়েও বৈষম্যমূলক ও পশ্চাৎপদ করনীতির দিকে যাচ্ছে, যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার সরাসরি পরিপন্থি।
শফিকুর রহমান বলেন, সরকার সুপারশপগুলো থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে, অথচ গরিবের নিত্যখাদ্যে ভ্যাট বাড়িয়েছে। ধনীদের জন্য ছাড়, আর গরিবের খাবারে কর কেন? এটা কেবল বৈষম্যমূলক নয়, বরং অনৈতিক এবং জাতিকে অপমান করার শামিল।
অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন মামুন বলেন, গবেষণা প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে, শ্রমজীবী মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন রুটি ও বিস্কুট খেয়ে তাদের ক্ষুধা নিবারণ করে। আবার বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট বলছে, খাদ্যনিরাপত্তার দিক থেকে বাংলাদেশ ‘রেড জোনে’। এ পরিস্থিতির মধ্যে গরিবকে শোষণের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের অনৈতিক ও পশ্চাৎপদ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি, যদি রাজস্ব সংগ্রহ করতে চান, তাহলে আমাদের শিল্পের চেয়ারম্যান ও ধনী ব্যবসায়ীদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করুন। কিন্তু ভ্যাট কেন? সরকার আসলে বিস্কুট-রুটি কোম্পানিকে ব্যবহার করছে গরিব শোষণের হাতিয়ার হিসেবে। আমরা এই ভূমিকায় যেতে চাই না। এ ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা মনে করি চাল-ডালের মতোই বিস্কুট রুটি নিত্যপ্রয়োজনীয়। তাহলে রুটি বিস্কুটে ভ্যাট কেন থাকবে?
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড মেনুফ্যাকচারারস অ্যাসোসিয়েশনের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দ্রজিৎ সরকার, কিষওয়ান ফুড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমান প্রমুখ।
জাতীয়
ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে সাড়ে ৬ লাখ আনসার

নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সারাদেশের ভোটকেন্দ্রে সাড়ে ৬ লাখ আনসার মোতায়েন থাকবে। এর জন্য নতুন করে এক লাখ ৮০ হাজার আনসার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুরের আনসার একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচনে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আনসার সদস্যদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকবে। নাশকতার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আনসার বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সব সদস্যের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণে যারা টিকে থাকবে তারাই আনসার বাহিনীতে সেবা দেওয়ার উপযোগী বলে বিবেচিত হবে।
এসময় আনসারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, উপ-মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম, একাডেমি কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ নুরুল আবছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
নদী দূষণের সঙ্গে জড়িত কারখানার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা: রিজওয়ানা হাসান

নদী দূষণের সঙ্গে জড়িত শিল্প-কারখানার (ডায়িং ফ্যাক্টরি) বিরুদ্ধে শিগগির কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘রাজধানী ঢাকার টেকসই উন্নয়নে বিকেন্দ্রীকরণ ও পরিবেশ সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নদীগুলোকে শিল্প বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। ব্যবসায়িক লাভের জন্য বর্জ্য শোধন না করে সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। নদী সৃষ্টি করা সম্ভব নয়, তাই এর ধ্বংসও বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সরিয়ে সাভারে নেওয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল আসেনি। পরিবেশ রক্ষায় শুধু সরকার নয়, সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। নদী দূষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।
নদী দূষণে জড়িত ডায়িং ও ট্যানারি শিল্পের বিরুদ্ধে শিগগির অভিযান শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীকে দূষণমুক্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর অংশ হিসেবেই এসব শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পাথর ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের চলমান অভিযানে অনেকে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এখানে পাথর হলো খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আর বালুর বিষয়টা ভূমি মন্ত্রনালয়ের। অথচ পরিবেশ বিষয়ক দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মানুষও এর প্রতি সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যে উন্নয়ন নদী, কৃষি এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, সেটি উন্নয়ন নয়। উন্নয়নের নামে এমন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না। পরিবেশ দূষণে শুধু সরকারের দায় নয়, শিল্প উদ্যোক্তাদেরও সমান দায়িত্ব রয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলামসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক, গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
জাতীয়
কোনো ষড়যন্ত্র নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জনগণ নির্বাচনমুখী হলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা কিংবা কোনো ষড়যন্ত্রই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের বিএডিসি হিমাগার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
অস্ত্র উদ্ধার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নির্বাচনের আগে সব অস্ত্রই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
সীমান্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত রয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বৃষ্টির কারণেই বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। বৃষ্টি কমলে সবজির দামও কমে আসবে। তবে আলুর দাম বাজারে অতিরিক্ত কমে যাওয়ার কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।