জাতীয়
সিলেটে বিমানের যাত্রীবিহীন সিটের নিচ থেকে সোনার চালান জব্দ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীবিহীন সিটের নিচে লুকানো ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দুবাই থেকে আসা বিমানের বিজি-২৪৮ ফ্লাইট থেকে বারগুলো জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২৪৮ ফ্লাইটে অভিযান চালায় , সিলেট কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ। অভিযানে যাত্রীবিহীন সিটের নিচে বিশেষ কৌশলে লুকানো মোট ৯৩৩ গ্রাম ওজনের ৮টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় স্বার্থে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, স্টেকহোল্ডার, যাত্রী ও জনসাধারণের সহায়তা কামনা করছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত ৩ মাসে ৯টি অভিযানে প্রায় ২১ কেজি ৩৪৬ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
উত্তরায় দম্পতিকে কোপানোর ঘটনায় পুরো চক্র গ্রেপ্তার

রাজধানীর উত্তরায় দম্পতির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত পুরো চক্র শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ডিএমপি। দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বেপরোয়া’ বাইক চালানোর প্রতিবাদ করায় রাজধানীর উত্তরায় মেহেবুল হাসান ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার ইপ্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সরাসরি আঘাত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। তাদের সবাইকে শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই মো. মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার আলফাজ (২৩) নামের সরাসরি কোপানোতে জড়িত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে ‘বেপরোয়া’ চালিয়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়। সেখানে আরেকটি মোটরসাইকেলে থাকা মেহেবুল ও নাসরিন দম্পতিও এর প্রতিবাদ জানান।
এরপর রিকশায় ধাক্কা দেওয়া বাইকের আরোহীরা ওই দম্পতিকে হুমকি দেয় ও একপর্যায়ে কিল-ঘুসি মারে। পরে তারা ফোন করে আরও কয়েকজনকে ডেকে আনলে তারা অস্ত্রসহ ওই দম্পতির ওপর চড়াও হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর বলেন, আহত দম্পতি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, তারা শঙ্কামুক্ত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাসরিন আক্তার ইপ্তি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা রুজু করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তৌহিদী জনতা বলায় দুঃখপ্রকাশ উপদেষ্টা মাহফুজের

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে ‘তৌহিদী জনতা’ লেখার কারণে দুঃখপ্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে এই দুঃখপ্রকাশ করেন মাহফুজ। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আমার কোনো কোনো বক্তব্য হয়ত কারও কারও মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদী জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
এছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে, সে ক্ষেত্রেও আমি আমার বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিংবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। আমরা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চাই না।
উপদেষ্টা মাহফুজ আরও লিখেন, এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ করতে অন্তত ৫/৬ টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হইয়ে। ফলে এটা আসলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের অংশগ্রহণ ও পরামর্শেরও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর জনগণতো ১৯-৩৩ জুলাই কারও সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে তারা অবশ্যই পাবলিক- প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদরাসা-স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরই লেজিটিমেট নেতৃত্ব হিসেবে মানতেন।
মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে উল্লেখ করে মাহফুজ আরও লিখেন-আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে। সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু ‘স্যাবোটিয়ার’দের বাদ দিয়ে। পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস-এসব যে কোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে Gentlemen’s Agreement ও থাকবে না এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।
স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেন, আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি তা আখেরে এ দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে। গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থি জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেওয়া যাবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অষ্ট্রেলিয়া

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ঝুঁকির মুখে আছে। ঝুঁকি মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রশমন ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য বিপুল অর্থ প্রয়োজন। এজন্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
আর ঝুঁকি প্রশমনে সর্বাগ্রে জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নবায়নযোগ্য শক্তির প্রচলন ঘটাতে হবে। অস্ট্রেলিয়া নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তাদের সহায়তা দেশে নবায়যোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া: ক্লাইমেট পলিসি অ্যান্ড দ্য গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন‘ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা জানান।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফরি পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এ সংলাপের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার সুজান রায়েল বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান। নবায়যোগ্য জ্বালানিখাতে সহায়তা বাড়ানোর মাধ্যমে এ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেষ হলো তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন

তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শেষ হলো । গত রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শুরু হয়েছিল যে সম্মেলন, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সমাপনী অধিবেশন ও নৈশভোজের মাধ্যমে তা শেষ হয়।
গত বছরের মতো এবারও কার্য-অধিবেশনগুলো রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫’ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনের প্রথম দিন রবিবার সন্ধ্যা ৬টার পর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সভা করেন। এরপর সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসি এবং বিভাগীয় কমিশনাররা নৈশভোজ করেন।
প্রথম দিন আটটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে তিনটি কার্য-অধিবেশন হয়।
দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট ভবনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসকরা। দ্বিতীয় দিন ২১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আটটি অধিবেশন হয়।
মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ দিনে মোট ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ১৪টি কার্য-অধিবেশন হয় ডিসিদের।
এবার সম্মেলনে মোট ৩৪টি অধিবেশন হয়। এরমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ৩০টি।
কার্য অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। কার্য-অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। অধিবেশনগুলো শেষে সংশ্লিষ্টরা ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়ে তাদের অবস্থান ও দিক-নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন।
এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৪টি প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছিল। কার্য-অধিবেশনগুলোতে এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো ছাড়াও ডিসিরা তাৎক্ষণিক বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এবার ডিসি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম জোরদারকরণ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্ম-সৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন; সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স; শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ; পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ; ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়ের বিষয়গুলোকে আলোচনার জন্য প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
এবার সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসি এবং বিভাগীয় কমিশনারদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়নি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কর্মসূচি না মেলায় সৌজন্য সাক্ষাৎ রাখা হয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।
সম্মেলন শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ডিসিদের আমরা একটা মেসেজ দিয়েছি, সামনে চ্যালেঞ্জ আছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সেজন্য যাতে তারা প্রস্তুত থাকেন।
ডিসি সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি তারা (ডিসি) আরও উজ্জীবিত হয়ে চলে যাবেন।
শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা ভেবেছিলাম সম্মেলন তিনদিনে শেষ করতে পারবো। তিন দিনেই শেষ করেছি, কিন্তু খুবই আঁটসাঁট হয়ে গেছে। আমরা একটা শিক্ষা পেলাম। মাননীয় উপদেষ্টারা বলে গেছেন যে, সামনের দিকে আমরা যখন এ সম্মেলন করবো, তখন এটি তিনদিন না করে চারদিনে করবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের হারানো গৌরব ফিরে পেতে বিশ্বব্যাপী কাজ করছেন প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বৈদেশিক নীতির মূল লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী দেশের ইমেজ বাড়ানো। সেই লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা কাজ করে চলেছেন। এরই মধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভা, আজারবাইজানের বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন ও মিশরের কায়রোতে ডি-৮ সম্মেলনে গিয়েছেন।
দেশের হারানো গৌরব ফিরে পেতে বিশ্বব্যাপী কাজ করছেন প্রধান উপদেষ্টাফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার
তিনি বলেন, এসব সম্মেলনে যোগদানের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা। বাংলাদেশ তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা যেখানে গিয়েছেন সেখানে অনেক বেশি সম্মান পাচ্ছেন। সম্মেলনগুলোতে তাই সবাই নিজেরা এসে বলেছেন তারা বাংলাদেশের পাশে আছেন। যেকোনো সহায়তায় তারা পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়া আর কোন কোন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, যেকোনো দেশের গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে বা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বিদেশের সম্মান পাওয়া যায়। বিগত সরকারের তা ছিল না। তাদের সম্পর্কে দেশের বাইরে যে ধরনের কথাবার্তা যেত সে কারণে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। এ কারণে বিগত সরকারের আমলে মালয়েশিয়ায় ও বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়।