জাতীয়
এনআইওএইচসি সভাপতির দায়িত্ব নিলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী
![এনআইওএইচসি সভাপতির দায়িত্ব নিলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী সিএপিএম বিডিবিএল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/aa-25.jpg)
নর্থ ইন্ডিয়ান ওশান হাইড্রোগ্রাফিক কমিশন (এনআইওএইচসি) এর ২৪তম সভা ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) ও ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সভায় অংশগ্রহণ করে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে আয়োজিত এনআইওএইচসি-এর ২৪তম সভায় বাংলাদেশ ছাড়াও কমিশনের সদস্য রাষ্ট্র মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ৬টি সহযোগী সদস্য রাষ্ট্র ও ৩টি পর্যবেক্ষক দেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। ওই সভায় হাইড্রোগ্রাফি কর্মকাণ্ডের মানোন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সুনীল অর্থনীতি প্রসারে হাইড্রোগ্রাফির ভূমিকা, ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা এবং নিরাপদ নৌ চলাচলে হাইড্রোগ্রাফির গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-১৪ (জলজ জীবন) অর্জনে হাইড্রোগ্রাফির ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা হয়।
আইএসপিআর জানায়, কমিশনের ২৪তম সভার সমাপনী দিনে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৫-২৭ সালের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী থাইল্যান্ড নৌবাহিনীর কাছ থেকে এনআইওএইচসির সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করে। এনআইওএইচসির সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নির্বাচিত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও কার্যকর নৌ পরিবহন নিশ্চিত করতে হাইড্রোগ্রাফিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ।
সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আঞ্চলিক হাইড্রোগ্রাফিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়কে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নৌবাহিনীর এ অর্জন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
এই দিবসকে ডাস্টবিনে ফেলুন, ভালোবাসা দিবস নিয়ে আহমাদুল্লাহ
![এই দিবসকে ডাস্টবিনে ফেলুন, ভালোবাসা দিবস নিয়ে আহমাদুল্লাহ সিএপিএম বিডিবিএল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/04/শায়খ-আহমাদুল্লাহ-১1.jpg)
১৪ ফেব্রুয়ারি তরুণ প্রজন্মের ভালোবাসা দিবস উদযাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী চিন্তাবিদ ও আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর সঙ্গে তিনি একটি শিক্ষণীয় ভিডিও জুড়ে দেন।
জনপ্রিয় এ ইসলামী বক্তা লেখেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি উদযাপনের আগে একবার ভাবুন। এই দিবসকে ডাস্টবিনে ফেলুন।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ফেব্রুয়ারি মাস অন্যায়ের বিরুদ্ধে উজ্জীবিত হওয়ার মাস। শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার মাস। এ মাসে আত্মত্যাগকারী আবদুস সালাম, আবদুল জব্বার, শফিউর রহমানরা আমাদেরকে সেই শিক্ষাই দেয়। অথচ খুব ধীরে ধীরে, সুকৌশলে, এক শ্রেণির মিডিয়া ও মুনাফালোভীরা নিজেদের স্বার্থে আমাদের প্রেরণার মাসটাকে নোংরামির মাসে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের শৈশব-কৈশোরের ফেব্রুয়ারি ছিল সাহস ও ঘুরে দাঁড়াবার শক্তিতে প্রত্যুজ্জ্বল। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ফেব্রুয়ারি মানেই অবৈধ সম্পর্কের ছড়াছড়ি। যেসব তরুণ-তরুণী এই নষ্ট স্রোতে গা ভাসাচ্ছে, তারা বুঝতেও পারছে না তারা এক নাচের পুতুল। তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে সুগভীর এক বাণিজ্যিক প্রকল্প ও শালীনতা ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রকৃত চেতনা ফিরিয়ে আনার এবং তরুণ্য-বিধ্বংসী সকল নোংরা আয়োজনের বিরুদ্ধে এখনই যদি আমরা সজাগ না হই, তবে পশ্চিমাদের মতো আমাদের পরিবার-ব্যবস্থাও ভেঙে খানখান হয়ে যাবে। তখন শত আফসোস করেও কোনো লাভ হবে না।
আহমাদুল্লাহর এসব পোস্টে নেটিজেনদের অনেককেই কমেন্ট করতে দেখা যায়। অধিকাংশ মানুষই তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন, আবার কেউ কেউ ভিন্নমতও প্রকাশ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহিতায় আনতে ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের সুপারিশ
![প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহিতায় আনতে ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের সুপারিশ সিএপিএম বিডিবিএল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/aa-24.jpg)
সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের আশঙ্কা মোকাবিলায় ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতার জন্য নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অন্য কোনো পথ না পেয়ে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। একবার প্রধানমন্ত্রী হলেই তাকে আর কখনো জবাবদিহি করতে হয় না। এটা থেকে বেরিয়ে আসতেই ওই অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের আশঙ্কা মোকাবিলায় ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতার প্রতিষ্ঠান তৈরির পাশাপাশি সেগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনের প্রতিবেদনে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সংস্কারের বিষয়ে সবাই ঐকমত্য আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদী শাসনের আশঙ্কা মোকাবিলার উপায় হচ্ছে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং তা স্থায়ী করা। ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতার জন্য প্রতিষ্ঠান তৈরি ও সেগুলোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করাও জরুরি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় পর্যায় থেকে শাসনব্যবস্থার সর্বস্তরে নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের প্রতিনিধিত্বকে কার্যকর করে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন করা হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়া জোরদার হবে। সংবিধানের অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে। সংবিধান সংশোধনে জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়া হয়নি আগে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সংকট তৈরি হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশন প্রধান বলেন, গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার হবে কি-না তা ঠিক করবে এই সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের পূর্বে অনেক সংস্কার সম্ভব। সে সব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেবেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার নিয়ে সারা দেশের মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। লিখিত বক্তব্য দিয়েছে ২৫টি রাজনৈতিক দল ও তিনটি জোট। এ ছাড়া সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত পর্যালোচনা করেই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের জনআকাঙ্খার প্রতিফলনস্বরূপ সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র’ প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রীর পদের ক্ষমতা হ্রাসসহ সাতটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার বয়স ২১ বছর নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত এমন নয়। কারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাহিরেও যোগ্য মানুষ থাকেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তরুণদের ভূমিকা বেশি। তাই আইন প্রণয়নে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে। এটি রাজনৈতিক দলের কাছে কমিশনের প্রস্তাবনা। সংবিধানের বিষয়টি কীভাবে হবে, সেটা সরকারের বিষয়। তারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ রকম পরিস্থিতি দেশে আগে কখনোই আসেনি।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং নাগরিকদের সুবিচার প্রাপ্তির জন্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপের সুপারিশ আছে। নাগরিকদের অধিকারগুলো সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়েছি এবং সেগুলো বলবৎকরণে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করেছি।
উল্লেখ্য, ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে অধিক পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্যের কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
![ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা সিএপিএম বিডিবিএল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/world-govt.-summit.jpg)
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করবে। এটা এ বছরের ডিসেম্বরেও হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিয়ে সিএনএনের সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডারসনের সঞ্চালনায় এক অধিবেশনে তিনি এ কথা জানান।
বেকি অ্যান্ডারসনের প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা ১৫টি বিভিন্ন খাতের জন্য সংস্কার গঠন করেছি। আইন-শৃঙ্খলা, পুলিশ, সংবিধান, নির্বাচনসহ অন্যান্য সংস্কার কমিশনগুলো প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তারা বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ করছে। এখনো আমরা যেটা করব সেটা হলো ঐকমত্য গঠন।
তিনি বলেন, আমরা এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছি। যেসব সুপারিশের বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করবে, সেগুলো নিয়ে আমরা একটা ‘সনদ’ তৈরি করব। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করে নির্বাচন দেবো। যত দ্রুত সম্ভব আমরা নির্বাচন দেবো। এটা এ বছরের ডিসেম্বরেও হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমরা একটু একটু করে সব গুছিয়ে নিচ্ছি। এই হলো আমাদের অবস্থা। অর্থনীতি, সমাজ, প্রশাসন সবকিছু ভেঙে পড়েছিল। আমাদের কাজ এই সবকিছু পুনর্গঠন। যেমন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুরোপুরি ধসে গিয়েছিল। ব্যাংকগুলো থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। আমাদের রিজার্ভ তলানিতে চলে গেছে। প্রথমত অর্থনীতি, দ্বিতীয়ত আইন-শৃঙ্খলা, এরপর প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করতে হবে।
নির্বাচন শেষে আরও কিছু সময় নেতৃত্বে থাকার ইচ্ছা সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, আমি এটা আগেও স্পষ্ট করে বলেছি। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর আমি যে কাজে ছিলাম, সেখানেই ফিরে যাব, কারণ আমি সে কাজেই আনন্দ পাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার আরও ৫৬৬ জন
![অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার আরও ৫৬৬ জন সিএপিএম বিডিবিএল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/operation-devil.jpg)
ঢাকাসহ সারাদেশে শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্টে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৬৬ জন। এছাড়া ডেভিল হান্টসহ অন্যান্য অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ৬৬৫ জনকে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৬৬ জনকে। এছাড়া এই বিশেষ অপারেশনসহ অন্যান্য অভিযানে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্টে উদ্ধার যত অস্ত্র : ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ১টি ছোরা ও ১টি রামদা।
উল্লেখ্য, ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার ইংরেজি শাব্দিক অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে, দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বুঝানো হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান। যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সৌদি-মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য বিমান ভাড়া কমলো
![সৌদি-মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য বিমান ভাড়া কমলো সিএপিএম বিডিবিএল](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/02/biman-bangladesh.jpg)
সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য বিমানের টিকিটমূল্য কমানো হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এই উদ্যোগ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রাথমিক পর্যায়ে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকা থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা ও দাম্মামগামী কর্মীদের জন্য বিদ্যমান যথাক্রমে ৪৮০ ডলার, ৪০০ ডলার, ৪৩০ ও ৪০০ ডলারের পরিবর্তে ভাড়া ৩৬০ ডলার (কর ছাড়া) নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪৩ হাজার ৮১২ টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৭০ পয়সা ধরে)।
এছাড়া মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরগামী কর্মীদের জন্য বিদ্যমান ১৭৫-১৮০ ডলারের পরিবর্তে ভাড়া ১৫০ (কর ছাড়া) ডলার নির্ধারণ করা করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৮ হাজার ২৫৫ টাকা। এ ভাড়া বিমানে এককযাত্রার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
সম্প্রতি সার্কভুক্ত ছাড়া অন্য দেশের জন্য ফ্লাইটে টিকিটের কর ৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। ফলে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় বিমানের টিকিটে কর দিতে হবে ৪ হাজার টাকা।
এ দেশ দুটিতে গমনেচ্ছু বিএমইটি (জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) কার্ডধারী কর্মীদের ক্ষেত্রে কমানো এ বিশেষ ভাড়া প্রযোজ্য হবে। এমন তথ্যও জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।