জাতীয়
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের বিবৃতির প্রতিবাদ

বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশন নামে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও তথ্য অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের একটি সাব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন থেকে দেওয়া বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিসিএস তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি। অত্যন্ত অপেশাদার ও ঠুনকো কিছু বিষয় সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও প্রতিবাদে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত এই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জনকল্যাণমুখী, দলীয় লেজুরবৃত্তি বিহীন একটি জনপ্রশাসন গড়ে তোলা। তারই প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ বরেণ্য বিজ্ঞজনের সমন্বয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ একাধিক কমিশন গঠন করেছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব সরকারের নিকট পেশ করেছেন। বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের একটি সাব ক্যাডার যারা নিজেদের তথ্য-সাধারণ ক্যাডার নামে পরিচয় দিচ্ছেন। তাছাড়া বেশ কয়েকটি সার্ভিস জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন, এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন, সার্ভিস সম্পর্কে অসত্য ও অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।
এধরনের কার্যক্রম নি:সন্দেহে জনপ্রশাসন সংস্কারের মহতী কাজকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত। তাদের আচরণ ও বিবৃতিতে মনে হচ্ছে তারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে যে প্রক্রিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে তারা এখনো তাদের সেই ‘কমফোর্ট জোন’ ত্যাগ করতে চাচ্ছেন না। তারা নিজেদের সংস্কারে অনিচ্ছুক, তারা ভুলে গেছেন যে সরকারি চাকুরি হলো সরকারের ইচ্ছায় সরকার নির্ধারিত উপায়ে জনগণের সেবা করা, সরকারি চাকুরি মানে তাদের ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা ও হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার নিশ্চয়তা বিধান করা নয়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সার্ভিস জনমুখী ছিল না। তাদের বিবৃতি সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সেবাবিহীন সিভিল সার্ভিস এবং বিভাজিত সিভিল সার্ভিস এর প্রতিধ্বনি বলেই প্রতিফলিত হচ্ছে।
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ “প্রচার”; বাংলাদেশ বেতারের কাজ “সম্প্রচার”। তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ “গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা”, “জনসংযোগ” ও “গণযোগাযোগ”; বাংলাদেশ বেতারের কাজ “সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার”। বেতার একটি মিডিয়া হাউজ হিসেবে এ নির্দিষ্ট কাজটিই করবে, গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা বা জনসংযোগ তাদের কাজ নয়।
প্রকৃত সত্য: এই বিবৃতি প্রায়োগিক ও একাডেমিক (তাত্ত্বিক) উভয় দিক থেকেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। মূল বিষয় হলো- সহকারী পরিচালক/ সমমান (১২১), সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) (১২২) ও সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক (১২৩)-এই তিনটি উপ-গ্রুপ সরকারের যোগাযোগ তথা তথ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত। প্রচার তথ্য ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনুষ্ঠান ও বার্তা উভয় ক্ষেত্রের তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ বেতার, যা মূলত একটি ব্রডকাস্টিং (সম্প্রচার) প্রতিষ্ঠান, তার মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচারের কাজ পরিচালনা করেন।
অন্যদিকে, তথ্য ক্যাডারের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ন্যারোকাস্ট পর্যায়ে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ডিজিটাল ডকুমেন্টারি এবং প্রিন্ট মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যা সরাসরি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এছাড়া, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্ব পালন, সাংবাদিক এক্রিডিটেশন ব্যবস্থাপনা (তথ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে), এবং ফিল্ম আর্কাইভের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার কাজও তথ্য ক্যাডারের এ অংশের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ফিল্ম আর্কাইভে প্রকৌশলীরাও কাজ করেন।
অনুষ্ঠান ও বার্তা উপ-গ্রুপের তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তারা যেমন পেশাদারদের ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রচার কন্টেন্ট তৈরি করেন, তেমনি সাধারণ তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর পেশাজীবীদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এছাড়া, এই তিনটি উপ-গ্রুপের কর্মকর্তারা একই ধরনের পদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা- যেমন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ইত্যাদিতে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করেন। এর বাইরে, তারা প্রেষণ ও সংযুক্তির মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেস সচিব, উপ-প্রেস সচিব এবং সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মাননীয় মন্ত্রীদের পাবলিক রিলেশন অফিসার (পিআরও), বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইং, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, দুদক, পিএসসি, নির্বাচন কমিশন, এনবিআর, বিডা, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদিতেও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, পাবলিক রিলেশনস, মিডিয়া রিলেশনস এবং কমিউনিকেশন প্রফেশনাল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে- সম্প্রচার ব্যবস্থাপনা নির্দিষ্ট কর্মীগোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয়। এ কাজের জন্য বিশেষ ধরনের কারিগরি ব্যবস্থা অপরিহার্য। এজন্য বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” অনুবিভাগ প্রফেশনাল ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” গ্রুপকে সাধারণ ক্যাটাগরির ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু তাদের কাজের প্রকৃতি ও বিষয় থেকে যায় আগের মতোই। এভাবে কাজ ও জনবলের মধ্যে ধরনগত ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।”
প্রকৃত সত্য: পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ১২১ (সাধারণ), ১২২ (অনুষ্ঠান), এবং ১২৩ (বার্তা)-এই তিনটি উপ-গ্রুপ মূলত ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করে। তারা মূলত সরকারের যোগাযোগ কনটেন্টের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে এবং পেশাজীবীদের মাধ্যমে তা প্রস্তুত করিয়ে নেয়। এছাড়া, ঐতিহাসিকভাবে এই তিনটি গ্রুপের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। এমনকি ৯ম বিসিএসের ক্ষেত্রে একইসাথে সার্কুলার প্রকাশিত হয় এবং গেজেট জারি করা হয় এমনকি অদ্যাবধি এই ক্যাডারের তিনটি গ্রুপের বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ ও বিভাগীয় পরীক্ষার সিলেবাসও একই।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে- ২০২১ সালের ১৫ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়” করা হয় (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং এস আর ও নং ৭৬-আইন/২০২১)। এর আগে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাগণ স্বতন্ত্র “সম্প্রচার ক্যাডার” গঠনের উদ্যোগ নেন এবং সে উদ্যোগের ফলেই প্রাথমিক কাজ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তিত হয়।
প্রকৃত সত্য: সময়ের সাথে যুগোপযোগী করে সিভিল সার্ভিস রিফর্ম একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিভিন্ন মতামত ও প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ‘সম্প্রচার ক্যাডার’-বিষয়টিও তেমনই একটি প্রস্তাব, যা বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত সকল তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তার অভিমত ছিল না। এটি কেবল কিছু কর্মকর্তার ব্যক্তিগত মতামত। উল্লেখ্য, এ ধরনের আরও অনেক প্রস্তাব বিভিন্ন সময়ে এসেছে, যা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাভাবিক অংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে- বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) এবং বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” তিনটি গ্রুপের কম্পোজিশন, ক্যাডার রুলস, রিক্রুটমেন্ট রুলস্, ক্যাডার তফসিল, পদনাম ও পদসোপান, কার্যবন্টন এবং পদোন্নতির যোগ্যতা/ শর্তাবলি ও প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা।
প্রকৃত সত্য: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন মূলত এই বিষয়গুলো (বিবৃতিতে প্রদত্ত) বিবেচনায় নিয়েই সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সিভিল সার্ভিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডোমেইন হলো সরকারের যোগাযোগ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা। এই ডোমেইনে কর্মরত কর্মকর্তারা একই ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং একই সিলেবাস অনুযায়ী বিভাগীয় পরীক্ষা দেন। তাই তাদের তিনটি পৃথক গ্রুপে বিভক্ত রেখে কাজ করানো জনস্বার্থ ও সরকারি অর্থের অপচয়ের শামিল। উল্লেখ্য, সিভিল সার্ভিস কাঠামো গঠনের সময় এ ডোমেইনে কর্মরত কর্মকর্তাদের আলাদা রাখা হয়নি। সবদিক বিবেচনা করেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনরায় একীভূতকরণের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” গ্রুপকে বিসিএস (সাধারণ তথ্য) ক্যাডারের সাব-ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ক্যাডারের নাম বিসিএস (তথ্য) এবং বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) এর একটি সাব-ক্যাডার। [বিসিএস (প্রশাসন), বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা)-সহ কোনো সাধারণ ক্যাটাগরির ক্যাডারেই “সাধারণ” শব্দটি নামের অংশ নয়। বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারে “সাধারণ (General)” শব্দটি সাব-ক্যাডারের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথাগতভাবে বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” সাব-ক্যাডার/ গ্রুপের নামে সঙ্গে “সাধারণ” শব্দটি ব্যবহার করা যায় না।]
প্রকৃত সত্য: পিএসসির গ্যাজেটে বিসিএস (তথ্য)-এর কোনো সাব-ক্যাডারের নাম উল্লেখ নেই। বিসিএস পরীক্ষার জন্য পিএসসি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে “সাধারণ ক্যাডারসমূহ/ ক্যাডারের পদ” শিরোনামের টেবিল গ্রুপে শুধুমাত্র “বিসিএস (তথ্য)” ক্যাডারের নাম উল্লেখ থাকে। এর আওতায় ১২১, ১২২ ও ১২৩ ক্যাডার কোড এবং সংশ্লিষ্ট পদের নাম উল্লেখ করা হয়। এই তিনটি গ্রুপে পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা বিসিএসের সাধারণ অংশের, তথা “জেনারেলিস্ট” গ্রুপের কমিউনিকেশন ডোমেইন সদস্য। অন্যটি প্রফেশনাল/ টেকনিক্যাল ক্যাডার গ্রুপ যার ক্যাডার কোড-৫৩০ (পদের নাম: সহকারী বেতার প্রকৌশলী)।
বর্ণিত আলোচনায় এটি স্পষ্ট যে ১২১, ১২২ ও ১২৩-এই তিনটি গ্রুপের কর্মপ্রকৃতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন বলা সত্যের অপলাপ। এগুলোকে কোনো একক সার্ভিসে একীভূত করলে তা অকার্যকর (নন-ফাংশনিং) হয়ে যাবে-এমন ধারণা সম্পূর্ণ অমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত!
প্রসঙ্গত, বর্তমান বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ঐতিহাসিক লিগ্যাসি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে, বৃটিশ আমলে নয়। সেন্ট্রাল ইনফরমেশন সার্ভিস এই ক্যাডার ১৯৬৩ সালে গঠন করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারি মালিকানাধীন তথ্য মাধ্যমে এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনগুলিতে কর্মরত অফিসারদের জন্য চাকরি কাঠামোর ব্যবস্থা করা। ১৯৭০ সালে এই ক্যাডারের নাম পরিবর্তন করে ইনফরমেশন সার্ভিস অব পাকিস্তান (আইএসপি) রাখা হয়। এই ক্যারিয়ারের চাকরি তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংগঠনসমূহ যেমন বেতার ও টেলিভিশনের বিভিন্ন পদে এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনসমূহের পদে সীমাবদ্ধ ছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৯১ সালের ৯ম বিসিএস পর্যন্ত একইসাথে গেজেটও হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসহ সরকারের অন্যান্য সকল সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন এবং বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে সকল কর্মকর্তা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জনপ্রশাসন সংস্কারকে শতভাগ সমর্থন করে সংগঠনটি।
অর্থসংবাদ/কাফি

জাতীয়
আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি: আলী রীয়াজ

গত সাতদিন ধরে আমরা আলোচনা করেছি। বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি হলেও সত্যি কথা হচ্ছে, আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা খানিকটা পিছিয়ে আছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
রোববার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠক শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, এই অগ্রগতির জায়গাটা অর্জন করা দরকার এই কারণে, আমরা কেউই চাই না আগের জায়গাটায় ফিরে যেতে। এটা আগামীকাল, আগামী দিনের বিষয় না। এটা দীর্ঘদিনের বিষয়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হবো। যে ব্যবস্থা ফ্যাসিবাদী শাসনকে তৈরি করেছে, তার কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আমাদের করতে হবে। এই সংকল্প থেকে সমস্ত কিছু পাশে রেখে আমরা সমবেত হয়েছিলাম। আপনাদের কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন, নিপীড়ন সহ্য করেছেন। সেই রক্তের ওপর পা রেখে আমরা এখানে এসেছি।
কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, কমিশন আপনাদের প্রতিপক্ষ না। কমিশন আপনাদেরই অংশ, আমরা একটা দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। আপনাদের অবস্থানের কারণে কমিশনের নমনীয়তা প্রকাশিত হয়েছে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই, আপনারাই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। আপনাদের মধ্য দিয়েই এক সময় দেশ শাসিত হবে।
তিনি বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে কমিশনের যে প্রস্তাব ছিল সেখান থেকে কমিশন আলোচনার মধ্যদিয়ে সরে এসেছে। স্থায়ী কমিটিগুলোর বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাব ছিল এক রকম, কিন্তু আমরা আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত এক জায়গায় এসেছি, সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। উচ্চকক্ষের বিষয়ে দুটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে একটি, ১০৫ জন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেবেন। আপনারা এই বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন। সঙ্গতভাবে কমিশন এই জায়গা থেকে সরে এসে ১০০ জন সদস্যের উচ্চকক্ষ তৈরির বিষয়ে একমত হতে পেরেছি। মূলনীতির ক্ষেত্রে কমিশনের কিছু প্রস্তাব ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশনে। সেখানে আমরা আলোচনা করেছি, অনেকটা অগ্রসর হয়েছি। আরও আলোচনা করব।
আলী রীয়াজ বলেন, আর এক দিন পর জুলাই মাস। কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমরা আন্তরিক থাকতে চাই। জুলাই মাসের মধ্যেই যেন আমরা একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে পারি। সেই প্রচেষ্টায় আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল। আমরা আশা করেছিলাম আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতেই সবাই মিলে সনদে স্বাক্ষর করতে পারব। সেটা কতটা সম্ভব হবে তা আপনাদের ওপর নির্ভর করে। আমরা খানিকটা শঙ্কিত যে, সে জায়গায় যাব না। তবে এটা আমরা বলতে পারি জুলাই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়ার একটা পরিণতির দিকে যেতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে এগিয়ে যেন কোনো ধরনের সংবিধান সংশোধন না হয়, সেটা সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করা দরকার। ব্যক্তির ক্ষমতা সীমিত করা প্রয়োজন হচ্ছে এই কারণে, শেষ পর্যন্ত শাসনের ক্ষেত্রে এক ধরনের ব্যক্তিতান্ত্রিকতা তৈরি হয়েছিল এবং তার আশঙ্কাকে আমরা উড়িয়ে দিতে পারছি না। সাংবিধানিকভাবে এ রক্ষাকবচগুলো আমাদের তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
আজকের সভায় আলোচনার বিষয়গুলো হচ্ছে- সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি; দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট; উচ্চকক্ষের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা।
জাতীয়
কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও বিবস্ত্র ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফজর আলী (অভিযুক্ত ধর্ষক) এবং ভিডিও ধারণকারী অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। সবাই মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে মুরাদনগরে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা এক নারীকে পাঁচকিত্তা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে ভিডিও ধারণ করে এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
পরে স্থানীয়দের কাছে মারধরের শিকার হয়ে পালিয়ে যায় ফজর আলী। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় আলাদা একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, মূল আসামি ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ছড়ানোয় জড়িত চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাফি
জাতীয়
একদিনে ডেঙ্গুতে আরও এক শিশুর মৃত্যু, আক্রান্ত ২৬২

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৬২ জন। শনিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আটজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত আট হাজার ৩৮০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ২৮ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৮৪ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক নয় শতাংশ পুরুষ ও ৪১ দশমিক এক শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে ৪১ জন মারা গেছেন। মৃত একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা যান ৫৭৫ জন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
জাতীয়
ঢাকার তিন এলাকায় ই-রিকশা নামানোর ঘোষণা আসিফের

ঢাকার তিনটি এলাকায় ই-রিকশা নামানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এসব রিক্সা তৈরি করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।
শনিবার (২৮ জুন) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে তিন চাকার স্বল্প গতির ব্যাটারি চালিত ই-রিকশার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ঢাকা শহরের অনিয়ন্ত্রিত রিকশা একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। সড়কের ৩২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে এসব অটো রিকশার কারণে। তাই নিরাপদ বাহন হিসাবে ই-রিকশাকে তৈরি করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নতুন ই-রিকশার ক্ষেত্রে লাইসেন্সের ব্যবস্থা থাকবে। যা হবে অনলাইনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আগামী আগস্ট থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির পল্টন ও ধানমন্ডি এবং উত্তর সিটির উত্তরায় প্রাথমিকভাবে চলবে এসব ই-রিকশা।
একই অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আগস্টের প্রথম থেকেই মার্কেটে আসবে নতুন এই রিকশা পাওয়া যাবে। দুই সিটির দুই জোনে অনুমোদনহীন রিকশাগুলো ধীরে ধীরে সরিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
চালক প্রশিক্ষণের বিষয়ে জানানো হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই উদ্যোগের আওতায় প্রথমে মাস্টার ট্রেইনার গড়ে তোলা হবে, যারা পরে মাঠ পর্যায়ে চালকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
মাস্টার ট্রেইনার তৈরির লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থী, যুব মহিলা ও পুরুষদের মধ্য থেকে ২০০ জন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে ১০০ জনসহ মোট ৩০০ জন প্রশিক্ষণার্থীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
দেশে গুঁড়া দুধ আমদানি লজ্জার বিষয়: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

দেশে গুঁড়া দুধ আমদানি করা হয়, যেটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। যে টাকা দিয়ে আমরা গুঁড়া দুধ আমদানি করি সেই টাকা দিয়ে আমরা অনেকগুলো চিলিং সেন্টার স্থাপন করতে পারবো। এই বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে। শুধু সরকারি ভাবে নয়, বেসরকারি ভাবেও উৎসাহ দেব যাতে করে চিলিং সেন্টার স্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার (২৮জুন) সকালে মানিকগঞ্জ সদরের জয়নগরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচিত ৪টি জেলায় গবাদিপশুর ক্ষুরারোগের টিকা প্রদান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ও ক্ষুরারোগের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। সেটা দেশে আমাদের পক্ষ থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে। কিছু আমদানিও করা হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি