জাতীয়
নতুন বাংলাদেশে বিশ্ববাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
![নতুন বাংলাদেশে বিশ্ববাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার রেনাটা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/yunus-1.jpg)
দমনমূলক শাসন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র ও যুব সমাজের নেতৃত্বে পরিচালিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইতালির রাজধানী রোমে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) গভর্নিং কাউন্সিলের ৪৮তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আইএফএডি ৪৮তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি রেকর্ড করা ভিডিও সম্প্রচার করা হয়।
বক্তব্যে প্রফেসর ইউনূস বৈশ্বিক দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমাতে অবদানের জন্য আইএফএডিকে অভিনন্দন জানান। এসময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে আইএফএডি চার দশকের সহযোগিতা বিশেষ করে কৃষি ও জলবায়ু খাতে সমর্থিত প্রকল্পগুলির প্রশংসা করেন যা বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়ন করে। তিনি তার ‘সামাজিক ব্যবসা’-এর ধারণাকে গ্রামীণ উন্নয়নের একটি নতুন মাত্রা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা একটি সৎ চক্র তৈরি করে যেখানে ব্যবসা সম্প্রদায়ের চাহিদা পূরণ করে উন্নতি লাভ করে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকে উৎসাহিত করেছে। তিনি আইএফএডির প্রচেষ্টা এবং ‘৩ জিরো’ বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে একটি সমান্তরাল আঁকেন- অসম্পদ ঘনত্বের মাধ্যমে শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমনের আহ্বান জানান।
প্রফেসর ইউনূস আইএফএডি গভর্নিং কাউন্সিলকে জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো, টেকসই কৃষি অনুশীলন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সমাধানে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান, যাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নতি করতে পারে। তিনি আইএফএডির সদস্য রাষ্ট্রগুলো সবচেয়ে দুর্বলদের জন্য সুযোগগুলো কাজে লাগাতে এবং একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান, যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আইএফএডির নেতাদের তরুণ ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইএফএডির গভর্নিং বোর্ডের গভর্নর হিসেবে কাউন্সিল সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
![জাতিসংঘের প্রতিবেদনে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ রেনাটা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/12/RAB-2.jpg)
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কর্মকাণ্ড সীমিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন সংক্রান্ত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের অনুসন্ধান দলটি জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং সমস্যার মূল উৎস খুঁজে বের করতে ৫০টির মতো সুপারিশ করেছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষভাবে কার্যকর, পক্ষপাতহীনতার সঙ্গে সব বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনার তদন্ত করতে হবে। র্যাব ও এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটি নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করেছে।
অন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহিনীর কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো; বিজিবি, ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা সংস্থার আইনি ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরা; আনসার, বিজিবিকে সামরিক বাহিনী থেকে মুক্ত রাখা; অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সামরিক বাহিনী অভ্যন্তরীণ যেকোনো পরিস্থিতিতে কতটা সময় কাজ করবে এবং মাঠে থাকবে, তা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে জাতিসংঘ মূলত ৫টি খাতে জরুরি ভিত্তিতে ও ব্যাপক সংস্কারের সুপারিশ করেছে, সেগুলো হলো জবাবদিহি ও বিচারব্যবস্থা, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী, নাগরিক পরিসর, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক সুশাসন। সংস্থাটি বলছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সবার আগে এসব খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর অনুরোধ করে বাংলাদেশ সরকার।
আগস্টে জাতিসংঘের প্রাক-তদন্ত দল ঢাকা আসে। আর সেপ্টেম্বরে মূল তদন্ত কাজ শুরু হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি
![ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি রেনাটা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/11/Yunus-2-1.jpg)
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। ছয় মাস মেয়াদি এই কমিশন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।
গতকাল বুধবার সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এ কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিশনের সহ-সভাপতি করা হয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
কমিশনের কার্যপরিধির বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- কমিশন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিসমূহের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ মর্মে পদক্ষেপ সুপারিশ করবে। কমিশনের মেয়াদ হবে কার্যক্রম শুরুর তারিখ থেকে ৬ মাস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।
এর আগে গত বিজয় দিবসের দিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, নতুন এই কমিশনের প্রথম কাজ হবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব সিদ্ধান্ত জরুরি, সেসব বিষয়ে তাড়াতাড়ি ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং সবার সঙ্গে আলোচনা করে কোন সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শ চূড়ান্ত করা।
কমিশন রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে, সেগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
![দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা রেনাটা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/dubai.jpg)
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুদিনের সফরে দুবাই পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুবাই স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
এসময় প্রধান উপদেষ্টাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়া মন্ত্রী আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি স্বাগত জানান।
ড. আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান এবং গত এক দশকে বার্ষিক দুবাইয়ে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে তাকে অবহিত করেন।
তারা দুদেশের মধ্যে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী খাসেফ আল হামৌদি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আজ সন্ধ্যা সাতটা ৪৫ মিনিটে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫ সম্মেলনে অংশ নিতে আমিরাতের দিছে ঢাকা ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত ১৩ জানুয়ারি দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫ সম্মেলনে অংশ নিতে আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক আমির শাইখ মুহাম্মাদ বিন রাশিদ আল মাখতুম প্রধান উপদেষ্টাকে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে সম্মতি দিয়েছেন।
এবারের সম্মেলন সরকারগুলোর মধ্যে কার্যকরী অংশীদারি ও বৈশ্বিক মতবিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকার ও জনগণের মধ্যকার সেতুবন্ধ সৃষ্টিতে প্ল্যাটফরমটির উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে। প্রধান উপদেষ্টার সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তার চিন্তা এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী ইইউ
![বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী ইইউ রেনাটা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/milar.jpg)
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আগের মতো সহযোগিতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে আগ্রহী ইইউ।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সিলেটে সীমানা ছাড়িয়ে ব্যবসা এই আহ্বানে বাংলাদেশে টেকসই বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিও তাদের কার্যক্রমেরই একটা অংশ। তাছাড়া ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন প্রচারে ইউরোপ বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বার এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন তিনি।
সেমিনারে অংশ নেওয়া অন্যান্য বক্তারা দেশের আঞ্চলিক ব্যবসার সম্প্রসারণ, উদ্যোক্তা এবং অংশীদারদের একত্রিত করার জন্য ইউরোপ ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং প্রবৃদ্ধির জন্য নতুন সুযোগগুলি কাজে লাগানোর উপায় বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন তারা।
চেম্বারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড মোহাম্মদ আলী টিংকুর সভাপতিত্বে সেমিনারে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশি সিলেটি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডিসি সম্মেলন শুরু রবিবার, উঠছে ৩৫৩ প্রস্তাব
![ডিসি সম্মেলন শুরু রবিবার, উঠছে ৩৫৩ প্রস্তাব রেনাটা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/02/জেলা-প্রশাসক-সম্মেলন.jpg)
আগামী রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। যা শেষ হবে বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)। এবার ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের মধ্যে ৩৫৬টি এই সম্মেলনে উঠছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, এবারের ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে এক হাজার ২৪৫টি প্রস্তাব পায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর মধ্যে কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ৩৫৩টি প্রস্তাবের ওপর সম্মেলনে আলোচনা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ দ্বিমত করায় এবং আগের ডিসি সম্মেলনে উপস্থাপিত হওয়ায় অনেক প্রস্তাব কার্যপত্রে রাখা হয়নি।
১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা হবে। সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভা হবে। রাতে হবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নৈশভোজ।
দ্বিতীয় দিন কার্য-অধিবেশনের বাইরে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ডিসিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ রাখা হয়নি।
এবার ডিসি সম্মেলনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট ৩৪টি কার্য-অধিবেশন হবে। কার্য-অধিবেশনগুলো ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন এবং সমাপনী অধিবেশন সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নবনির্মিত ভবনে হবে।
আগামী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে ডিসি সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সরকারের নীতিনির্ধারক এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মধ্যে সামনা-সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এ সম্মেলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।