জাতীয়
হুটহাট করে কাউকে জামিন দেবেন না: আইন উপদেষ্টা
![হুটহাট করে কাউকে জামিন দেবেন না: আইন উপদেষ্টা পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/asif-nazrul-1.jpg)
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, মামলার এজাহার সুন্দর করে লেখেন, তথ্য দিন। হুটহাট করে কাউকে জামিন দেবেন না, বিচার বিবেচনা করে দেবেন।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয় কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে দেশে অরাজকতা, গুম ও খুন হয়েছে। প্রতিটা হত্যার বিচার হবে এ বার্তা দিতে হবে। তা না হলে এ পদে থাকার কোনো মানে হয় না।
তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব বিভাগ সঠিকভাবে কাজ করলে মবতন্ত্র কমে যাবে। সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
আমরা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, পতিত ফ্যাসিস্টরা লাখ লাখ টাকায় দেশকে অস্থিতিশীলের চেষ্টা করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
শবে বরাতে পটকা-আতশবাজি নিষিদ্ধ
![শবে বরাতে পটকা-আতশবাজি নিষিদ্ধ পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/dmp1.jpg)
পবিত্র শবে বরাতের রাতে সব ধরনের আতশবাজি, পটকা, বিস্ফোরকদ্রব্য কেনাবেচা, বহন ও ফাটানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষা ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সকল প্রকার আতশবাজি, পটকা ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
![প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/cheif-advisor-amiran.jpg)
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল রহমান বিন মোহাম্মদ আল ওয়াইস।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের (ডব্লিউজিএস) ফাঁকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার উপস্থিতি এ সম্মেলনের মর্যাদা আরও বাড়িয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, ডব্লিউজিএসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনাকালে আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন আমরা আপনার মতো মানুষের কাছ থেকে শিখি। ডব্লিউজিএস বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখছে।
আশা প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে বাংলাদেশ-আমিরাত সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং আগামী বছরগুলোতে উভয় দেশ বাণিজ্য, ব্যবসা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি ও প্রধান রোগ প্রতিরোধে তাদের সাফল্যে মুগ্ধতার কথা জানান। পাশাপাশি, এক মিলিয়নেরও বেশি বাংলাদেশিকে আতিথ্য দেওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব ও প্রধান এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের বিবৃতির প্রতিবাদ
![সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের বিবৃতির প্রতিবাদ পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2025/02/bcs-2.jpg)
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশন নামে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও তথ্য অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের একটি সাব ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন থেকে দেওয়া বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিসিএস তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি। অত্যন্ত অপেশাদার ও ঠুনকো কিছু বিষয় সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও প্রতিবাদে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত এই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জনকল্যাণমুখী, দলীয় লেজুরবৃত্তি বিহীন একটি জনপ্রশাসন গড়ে তোলা। তারই প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ বরেণ্য বিজ্ঞজনের সমন্বয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ একাধিক কমিশন গঠন করেছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব সরকারের নিকট পেশ করেছেন। বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের একটি সাব ক্যাডার যারা নিজেদের তথ্য-সাধারণ ক্যাডার নামে পরিচয় দিচ্ছেন। তাছাড়া বেশ কয়েকটি সার্ভিস জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছেন, এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন, সার্ভিস সম্পর্কে অসত্য ও অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে।
এধরনের কার্যক্রম নি:সন্দেহে জনপ্রশাসন সংস্কারের মহতী কাজকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত। তাদের আচরণ ও বিবৃতিতে মনে হচ্ছে তারা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে যে প্রক্রিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে তারা এখনো তাদের সেই ‘কমফোর্ট জোন’ ত্যাগ করতে চাচ্ছেন না। তারা নিজেদের সংস্কারে অনিচ্ছুক, তারা ভুলে গেছেন যে সরকারি চাকুরি হলো সরকারের ইচ্ছায় সরকার নির্ধারিত উপায়ে জনগণের সেবা করা, সরকারি চাকুরি মানে তাদের ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা ও হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার নিশ্চয়তা বিধান করা নয়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সার্ভিস জনমুখী ছিল না। তাদের বিবৃতি সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সেবাবিহীন সিভিল সার্ভিস এবং বিভাজিত সিভিল সার্ভিস এর প্রতিধ্বনি বলেই প্রতিফলিত হচ্ছে।
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ “প্রচার”; বাংলাদেশ বেতারের কাজ “সম্প্রচার”। তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ “গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা”, “জনসংযোগ” ও “গণযোগাযোগ”; বাংলাদেশ বেতারের কাজ “সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার”। বেতার একটি মিডিয়া হাউজ হিসেবে এ নির্দিষ্ট কাজটিই করবে, গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা বা জনসংযোগ তাদের কাজ নয়।
প্রকৃত সত্য: এই বিবৃতি প্রায়োগিক ও একাডেমিক (তাত্ত্বিক) উভয় দিক থেকেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। মূল বিষয় হলো- সহকারী পরিচালক/ সমমান (১২১), সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) (১২২) ও সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক (১২৩)-এই তিনটি উপ-গ্রুপ সরকারের যোগাযোগ তথা তথ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত। প্রচার তথ্য ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনুষ্ঠান ও বার্তা উভয় ক্ষেত্রের তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ বেতার, যা মূলত একটি ব্রডকাস্টিং (সম্প্রচার) প্রতিষ্ঠান, তার মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচারের কাজ পরিচালনা করেন।
অন্যদিকে, তথ্য ক্যাডারের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ন্যারোকাস্ট পর্যায়ে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর জন্য প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ডিজিটাল ডকুমেন্টারি এবং প্রিন্ট মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যা সরাসরি বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এছাড়া, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সাচিবিক দায়িত্ব পালন, সাংবাদিক এক্রিডিটেশন ব্যবস্থাপনা (তথ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে), এবং ফিল্ম আর্কাইভের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার কাজও তথ্য ক্যাডারের এ অংশের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ফিল্ম আর্কাইভে প্রকৌশলীরাও কাজ করেন।
অনুষ্ঠান ও বার্তা উপ-গ্রুপের তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তারা যেমন পেশাদারদের ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রচার কন্টেন্ট তৈরি করেন, তেমনি সাধারণ তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর পেশাজীবীদের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এছাড়া, এই তিনটি উপ-গ্রুপের কর্মকর্তারা একই ধরনের পদে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা- যেমন বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ইত্যাদিতে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করেন। এর বাইরে, তারা প্রেষণ ও সংযুক্তির মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেস সচিব, উপ-প্রেস সচিব এবং সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মাননীয় মন্ত্রীদের পাবলিক রিলেশন অফিসার (পিআরও), বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের প্রেস উইং, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, দুদক, পিএসসি, নির্বাচন কমিশন, এনবিআর, বিডা, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদিতেও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, পাবলিক রিলেশনস, মিডিয়া রিলেশনস এবং কমিউনিকেশন প্রফেশনাল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে- সম্প্রচার ব্যবস্থাপনা নির্দিষ্ট কর্মীগোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয়। এ কাজের জন্য বিশেষ ধরনের কারিগরি ব্যবস্থা অপরিহার্য। এজন্য বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” অনুবিভাগ প্রফেশনাল ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” গ্রুপকে সাধারণ ক্যাটাগরির ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু তাদের কাজের প্রকৃতি ও বিষয় থেকে যায় আগের মতোই। এভাবে কাজ ও জনবলের মধ্যে ধরনগত ভিন্নতা সৃষ্টি হয়।”
প্রকৃত সত্য: পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ১২১ (সাধারণ), ১২২ (অনুষ্ঠান), এবং ১২৩ (বার্তা)-এই তিনটি উপ-গ্রুপ মূলত ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল হিসেবে কাজ করে। তারা মূলত সরকারের যোগাযোগ কনটেন্টের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে এবং পেশাজীবীদের মাধ্যমে তা প্রস্তুত করিয়ে নেয়। এছাড়া, ঐতিহাসিকভাবে এই তিনটি গ্রুপের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। এমনকি ৯ম বিসিএসের ক্ষেত্রে একইসাথে সার্কুলার প্রকাশিত হয় এবং গেজেট জারি করা হয় এমনকি অদ্যাবধি এই ক্যাডারের তিনটি গ্রুপের বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ ও বিভাগীয় পরীক্ষার সিলেবাসও একই।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে- ২০২১ সালের ১৫ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম “তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়” করা হয় (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন নং এস আর ও নং ৭৬-আইন/২০২১)। এর আগে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাগণ স্বতন্ত্র “সম্প্রচার ক্যাডার” গঠনের উদ্যোগ নেন এবং সে উদ্যোগের ফলেই প্রাথমিক কাজ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তিত হয়।
প্রকৃত সত্য: সময়ের সাথে যুগোপযোগী করে সিভিল সার্ভিস রিফর্ম একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী বিভিন্ন মতামত ও প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ‘সম্প্রচার ক্যাডার’-বিষয়টিও তেমনই একটি প্রস্তাব, যা বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত সকল তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তার অভিমত ছিল না। এটি কেবল কিছু কর্মকর্তার ব্যক্তিগত মতামত। উল্লেখ্য, এ ধরনের আরও অনেক প্রস্তাব বিভিন্ন সময়ে এসেছে, যা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাভাবিক অংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে- বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) এবং বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” তিনটি গ্রুপের কম্পোজিশন, ক্যাডার রুলস, রিক্রুটমেন্ট রুলস্, ক্যাডার তফসিল, পদনাম ও পদসোপান, কার্যবন্টন এবং পদোন্নতির যোগ্যতা/ শর্তাবলি ও প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা।
প্রকৃত সত্য: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন মূলত এই বিষয়গুলো (বিবৃতিতে প্রদত্ত) বিবেচনায় নিয়েই সংস্কারের প্রস্তাব করেছে। সিভিল সার্ভিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডোমেইন হলো সরকারের যোগাযোগ ও তথ্য ব্যবস্থাপনা। এই ডোমেইনে কর্মরত কর্মকর্তারা একই ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং একই সিলেবাস অনুযায়ী বিভাগীয় পরীক্ষা দেন। তাই তাদের তিনটি পৃথক গ্রুপে বিভক্ত রেখে কাজ করানো জনস্বার্থ ও সরকারি অর্থের অপচয়ের শামিল। উল্লেখ্য, সিভিল সার্ভিস কাঠামো গঠনের সময় এ ডোমেইনে কর্মরত কর্মকর্তাদের আলাদা রাখা হয়নি। সবদিক বিবেচনা করেই জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনরায় একীভূতকরণের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” গ্রুপকে বিসিএস (সাধারণ তথ্য) ক্যাডারের সাব-ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ক্যাডারের নাম বিসিএস (তথ্য) এবং বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) এর একটি সাব-ক্যাডার। [বিসিএস (প্রশাসন), বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা)-সহ কোনো সাধারণ ক্যাটাগরির ক্যাডারেই “সাধারণ” শব্দটি নামের অংশ নয়। বিসিএস (তথ্য-সাধারণ) ক্যাডারে “সাধারণ (General)” শব্দটি সাব-ক্যাডারের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথাগতভাবে বেতারের “অনুষ্ঠান” ও “বার্তা” সাব-ক্যাডার/ গ্রুপের নামে সঙ্গে “সাধারণ” শব্দটি ব্যবহার করা যায় না।]
প্রকৃত সত্য: পিএসসির গ্যাজেটে বিসিএস (তথ্য)-এর কোনো সাব-ক্যাডারের নাম উল্লেখ নেই। বিসিএস পরীক্ষার জন্য পিএসসি কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে “সাধারণ ক্যাডারসমূহ/ ক্যাডারের পদ” শিরোনামের টেবিল গ্রুপে শুধুমাত্র “বিসিএস (তথ্য)” ক্যাডারের নাম উল্লেখ থাকে। এর আওতায় ১২১, ১২২ ও ১২৩ ক্যাডার কোড এবং সংশ্লিষ্ট পদের নাম উল্লেখ করা হয়। এই তিনটি গ্রুপে পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা বিসিএসের সাধারণ অংশের, তথা “জেনারেলিস্ট” গ্রুপের কমিউনিকেশন ডোমেইন সদস্য। অন্যটি প্রফেশনাল/ টেকনিক্যাল ক্যাডার গ্রুপ যার ক্যাডার কোড-৫৩০ (পদের নাম: সহকারী বেতার প্রকৌশলী)।
বর্ণিত আলোচনায় এটি স্পষ্ট যে ১২১, ১২২ ও ১২৩-এই তিনটি গ্রুপের কর্মপ্রকৃতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন বলা সত্যের অপলাপ। এগুলোকে কোনো একক সার্ভিসে একীভূত করলে তা অকার্যকর (নন-ফাংশনিং) হয়ে যাবে-এমন ধারণা সম্পূর্ণ অমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত!
প্রসঙ্গত, বর্তমান বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ঐতিহাসিক লিগ্যাসি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে। তৎকালীন পাকিস্তান আমলে, বৃটিশ আমলে নয়। সেন্ট্রাল ইনফরমেশন সার্ভিস এই ক্যাডার ১৯৬৩ সালে গঠন করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারি মালিকানাধীন তথ্য মাধ্যমে এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনগুলিতে কর্মরত অফিসারদের জন্য চাকরি কাঠামোর ব্যবস্থা করা। ১৯৭০ সালে এই ক্যাডারের নাম পরিবর্তন করে ইনফরমেশন সার্ভিস অব পাকিস্তান (আইএসপি) রাখা হয়। এই ক্যারিয়ারের চাকরি তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংগঠনসমূহ যেমন বেতার ও টেলিভিশনের বিভিন্ন পদে এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনসমূহের পদে সীমাবদ্ধ ছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৯১ সালের ৯ম বিসিএস পর্যন্ত একইসাথে গেজেটও হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসহ সরকারের অন্যান্য সকল সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন এবং বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে সকল কর্মকর্তা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জনপ্রশাসন সংস্কারকে শতভাগ সমর্থন করে সংগঠনটি।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
![জাতিসংঘের প্রতিবেদনে র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/12/RAB-2.jpg)
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কর্মকাণ্ড সীমিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন সংক্রান্ত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের অনুসন্ধান দলটি জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং সমস্যার মূল উৎস খুঁজে বের করতে ৫০টির মতো সুপারিশ করেছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষভাবে কার্যকর, পক্ষপাতহীনতার সঙ্গে সব বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনার তদন্ত করতে হবে। র্যাব ও এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটি নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করেছে।
অন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহিনীর কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো; বিজিবি, ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা সংস্থার আইনি ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরা; আনসার, বিজিবিকে সামরিক বাহিনী থেকে মুক্ত রাখা; অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সামরিক বাহিনী অভ্যন্তরীণ যেকোনো পরিস্থিতিতে কতটা সময় কাজ করবে এবং মাঠে থাকবে, তা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে জাতিসংঘ মূলত ৫টি খাতে জরুরি ভিত্তিতে ও ব্যাপক সংস্কারের সুপারিশ করেছে, সেগুলো হলো জবাবদিহি ও বিচারব্যবস্থা, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী, নাগরিক পরিসর, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক সুশাসন। সংস্থাটি বলছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সবার আগে এসব খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর অনুরোধ করে বাংলাদেশ সরকার।
আগস্টে জাতিসংঘের প্রাক-তদন্ত দল ঢাকা আসে। আর সেপ্টেম্বরে মূল তদন্ত কাজ শুরু হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি
![ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/11/Yunus-2-1.jpg)
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। ছয় মাস মেয়াদি এই কমিশন আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।
গতকাল বুধবার সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এ কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিশনের সহ-সভাপতি করা হয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
কমিশনের কার্যপরিধির বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- কমিশন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচারবিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিসমূহের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ মর্মে পদক্ষেপ সুপারিশ করবে। কমিশনের মেয়াদ হবে কার্যক্রম শুরুর তারিখ থেকে ৬ মাস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।
এর আগে গত বিজয় দিবসের দিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, নতুন এই কমিশনের প্রথম কাজ হবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব সিদ্ধান্ত জরুরি, সেসব বিষয়ে তাড়াতাড়ি ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং সবার সঙ্গে আলোচনা করে কোন সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শ চূড়ান্ত করা।
কমিশন রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে, সেগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করবে।