ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় অসঙ্গতি, পুনরায় নেওয়ার দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সেটে অমিল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কিছু প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি এবং একই সেটের প্রশ্নে ক্রমধারার মিল না থাকা ছাড়াও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আরও প্রায় শতাধিক ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব ভুলের মধ্যে আছে বানানগত ভুল, অনুবাদে ভুল, বাক্যগঠনে ভুল এবং ব্যাকরণে ভুল। এছাড়া, বাক্যে গুরুচণ্ডালী দোষও সংগঠিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার এক প্রশ্নে এমন ভুল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। তারা পুনরায় এই পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ভুলেভরা প্রশ্নপত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তুলছে। এই প্রশ্নপত্র তৈরিতে যারা যুক্ত ছিলেন তাঁরা পেশাদারিত্ব এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেননি। প্রশ্ন প্রণয়ণের পর এটি ভালোভাবে ক্রসচেক করে দেখা উচিত ছিলো। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় নিম্মোক্ত ত্রুটিসমূহ পরিলক্ষিত হয়েছে।
নির্দেশনাগত ভুল: প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সকল বিষয়ের প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের উত্তর করতে হয় না। প্রশ্নপত্রের শুরুতে যেই ভুলটি লক্ষ্য করা গেছে সেটি হলো নির্দেশনাগত ভুল অর্থাৎ পরীক্ষার্থীকে কয়টি বিষয়ে উত্তর করতে হবে সেই নির্দেশনা দেওয়া ছিলো না। ফলে একজন পরীক্ষার্থীর যদি পূর্ব নির্দেশনা না থাকে তাহলে পরীক্ষাতে তিনি নিশ্চিতভাবে বিভ্রান্ত হবেন।
কাঠামোগত ভুল: পরীক্ষা শেষে বিভিন্ন সেটের প্রশ্নপত্র এক করে দেখা যায়, এক সেটের সকল প্রশ্ন একই হওয়ার কথা থাকলেও ‘এ’সেটে দুই ধরনের প্রশ্ন এসেছে। এক ধরনে চারটি প্রশ্ন পুনারাবৃত্তি হয়েছে অন্য এক ধরনে কোনো প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়নি। ফলে যে ধরনে চারটি প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়েছে সেই ধরনে স্বভাবতই এমন চারটি প্রশ্ন অনুপস্থিত ছিলো যেটি অন্য ধরনে উপস্থিত ছিলো। আবার, একই সেটের সকল প্রশ্নের ক্রমধারা ঠিক থাকার কথা থাকলেও সেটিও ঠিক ছিলো না।
তেমনিভাবে‘বি’ সেটেও দুই ধরনের প্রশ্ন হয়েছে এবং এই সেটের সকল প্রশ্নের ক্রমধারাও এক ছিলো না। তবে দুই সেটেই এই ভুলগুলো হয়েছে শুধুমাত্র ইংরেজি ও অ্যাকাউন্টিং অংশে। সি এবং ডি সেটে এই ধরনের কোন ভুল হয়নি।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, ‘এ’ ও ‘বি’ এর প্রতিটি সেটে ১২টি প্রশ্নের ক্রমধারা ঠিক নেই। যেটি একজন পরীক্ষার্থীর রেজাল্টে বড় ধরণের ধ্বস নামিয়ে আনতে যথেষ্ট। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ওএমআর অংশটি স্ক্যান করে কম্পিউটারের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। কম্পিউটারকে একটি সেটের জন্য একটি উত্তরপত্র দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ভুল-শুদ্ধ নির্ণয় করে কম্পিটার নম্বর দেয়। ফলে একই সেটের প্রশ্নে এমসিকিউ’র ক্রমধারা ঠিক না থাকলে এবং ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন থাকলে যেসব শিক্ষার্থীর হাতে ভুল প্রশ্ন গিয়েছে, তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
অনুবাদগত ও ইংরেজি ব্যকরণগত ভুল-প্রশ্নপত্রের বাংলা ও ইংরেজি অংশ ছাড়া বাকিসব বিষয় অর্থাৎ অ্যাকাউন্টিং, বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং, ফিন্যান্স ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স অংশের করা প্রশ্ন বাংলা ও ইংরেজি ভাষা দুই ভাষাতেই করা হয়েছে।
প্রশ্নপত্র পড়ে দেখা যায়, কিছু প্রশ্নের ইংরেজি অনুবাদ ঠিকভাবে করা হয়নি। আবার এই অনুবাদ করতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে ব্যকরণগত ভুলও করা হয়েছে।
বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
‘নিচের কোন ধরণের নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়? (Which type of leadership style give full freedom to take decision to others?)’
এখানে দুইটি ভুল করা হয়েছে। প্রথমত ‘সিদ্ধান্তগ্রহণ’ একশব্দে হবে। আর give এর সাথে s যুক্ত হয়ে gives হবে।
‘কোনটি স্থায়ী পরিকল্পনা? (Which one of the following is standing plan)’
এই প্রশ্নের সঠিক অনুবাদ হবে- Which is the standing plan?
প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং অংশ
‘পণ্যের জীবনচক্রের কোন স্তরে এসে বিক্রয় প্রবৃদ্দি কমতে থাকে? (At what stage is the product lifecycle do the sales growth start to slowdown?)’
এখানে is এর স্থলে of, do এর স্থলে does এবং slowdown এর স্থলে slow down হবে।
অ্যাকাউন্টিং এর লিখিত অংশ-
‘কোন অনুপাতটি একটি কোম্পানির স্বল্পমেয়াদি দায় পরিশোধের ক্ষমতা পরিমাপ করে? (Which ratio measures a company’s ability to pay short-term liabilities)’
এখানে ‘স্বল্পমেয়াদী’ বানান ভুল লেখা হয়েছে। আর ইংরেজিতে ব্যাকরণগত ভুল হয়েছে। সঠিক ইংরেজি হবে,Which ratio Does measure a company’s ability to pay short-term liabilities?
বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এর লিখিত অংশ:
‘কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে দ্বৈতকর বলতে কি বুঝায়? (What is the double taxation in the context of coporation?)’
এখানে ‘কী’ এর স্থলে ‘কি’ লিখা হয়েছে। এছাড়া বাংলা অনুবাদ ভুলভাবে করা হয়েছে। সঠিক অনুবাদ হবে- ‘What is meant by double taxation in corporation?’
প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিং লিখিত অংশ
‘পণ্য ও সেবার মধ্যে পার্থক্য কর। (What is the basic difference between product and service?)’ এটির সঠিক অনুবাদ হবে- Diffrentiate between product and service.
পুরো প্রশ্নপত্রে এই ধরনের আরও অনেক ভুল পরিলক্ষিত হয়েছে।
বানানগত ভুল: প্রশ্নপত্রের বিভিন্ন অংশে ‘কি’, ‘কর’, ‘নীচের’, ‘একত্রিকরন’, ‘অধিগ্রহন’, ‘গড়ব্যায়’, ‘কাচামাল’, ‘স্বারকলিপি’, ‘স্বত্ত্বগত শব্দগুলো ভুল বানানে লেখা হয়েছে যেগুলোর শুদ্ধরূপ হবে যথাক্রমে- ‘কী’, ‘করো’, ‘নিচের’, ‘একত্রীকরণ’ ‘অধিগ্রহণ’, ‘গড়ব্যয় ‘,‘কাঁচামাল’,‘স্মারকলিপি’,‘স্বত্বগত’। এছাড়া, লিখিত অংশে প্রশ্ন করা হয়েছে ‘মূলধনী লাভ বলিতে কি বুঝায়?’ এখানে গুরুচণ্ডালি দোষ হয়েছে। আর একাধিক জায়গায় ‘কী’ এর স্থলে লেখা হয়েছে ‘কি’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, এই ধরণের ভুলেভরা প্রশ্নপত্র অপেশাদারিত্বের ইঙ্গিত দেয়। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। এটির দায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন কখনো এড়াতে পারেন না। তার উচিত হলো সকল দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে পদত্যাগ করে ক্ষমা চাওয়া।
শিক্ষার্থী, দেশ, মেধার বিকাশ এবং ন্যায্যতার স্বার্থে এই পরীক্ষা দ্বিতীয়বার নেওয়া উচিত বলে মনে করেন এই শিক্ষক।
তিনি বলেন, দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ দায়িত্বে সকল খরচ বহন করা উচিত।
পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী যা বলছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে কাঠামোগত ত্রুটি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ও অনুষদের ডিন ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম। গতকাল তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এ’ সেটের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার কিছু প্রশ্ন ‘বি’ সেটে এবং ‘বি’ সেটের দ্বিতীয় পৃষ্ঠার কিছু প্রশ্ন ‘এ’ সেটে ছাপা হওয়ায় নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি হয়েছে ও ধারাবাহিকতা বিঘ্নিত হয়েছে।
মাহমুদ ওসমান বলেছেন, ভুল প্রশ্নপত্র চিহ্নিত করার কাজ চলছে এবং এটি দ্রুত সমাধান করা হবে। শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না, বরং তাদের স্বার্থ নিশ্চিত করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কাঠামোগত এই ভুলের সমাধানের বিষয়ে রবিবার অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করেছেন ডিন মাহমুদ ওসমান।
দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে মাহমুদ ওসমান জানান, না, দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। যেটি পরীক্ষা নেওয়া ছাড়াই সমাধানযোগ্য সেখানে আমরা নতুন করে পরীক্ষা নিতে যাবো কেন?
তবে কী পদ্ধতি অনুসরণ করে এই কাঠামোগত ভুলের সমাধান করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত আমরা সেটি রিভিল (প্রকাশ) করছি না। সময় হলে আমরা আপনাদের জানাবো।
বানান, অনুবাদ এবং ব্যাকরণগত ভুলের বিষয়ে ডিন ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেছেন, ঠিক, এসবে আমাদের কিছু ভুল হয়েছে। সামনে আমরা এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে স্বতন্ত্র ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৯১ শতাংশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্বতন্ত্র ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দুই হাজার ২৪ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৮২৮ জন শিক্ষার্থী। উপস্থিতির হার প্রায় ৯১ শতাংশ ছিল।
আজ রবিবার (১১ মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবন ও রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনে ৮০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মতত্ত্ব অনুষদভুক্ত তিনটি বিভাগ (আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ও আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ) এবং কলা অনুষদভুক্ত আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ সহ মোট চারটি বিভাগের সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্বতন্ত্র ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ও ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী জানান, ২ টা একাডেমিক ভবনে পরীক্ষা হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন ছিল। কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, উপস্থিতি সন্তোষজনক। একটি প্রেরণার ব্যাপার যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জিএসটির বাহিরে থেকেও ভালো উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। সবাই সর্বাত্মক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের জনপ্রশাসনও পর্যাপ্ত সহযোগিতা করেছে। লক্ষ্য করেছি যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলো সুশৃঙ্খল ভাবে সহযোগিতা করেছে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পৃথিবীতে খ্যাতিমান বেশিরভাগই আইনের শিক্ষার্থী: ব্যারিস্টার নজরুল

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে হলে আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। পৃথিবীতে যারা শাসন করেছে, চির অম্লান হয়েছে এবং বর্তমানে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রত্যেকে আগে নিজেকে পরিবর্তন করেছে। আইন হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীতে যারা খ্যাতনামা হয়েছেন বেশিরভাগই আইনের শিক্ষার্থী। ভালো কিছু করার দারুণ সুযোগ রয়েছে আইনের শিক্ষার্থীদের।
শনিবার (১০ মে) বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির ইবির আইন অনুষদ থানা শাখা কর্তৃক আয়োজিত ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা বাড়াতে লক্ষ্য সর্বোচ্চ, একাডেমিক ডিটারমেন্ট, পরিকল্পনা এবং সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিয়েছে, পরিবর্তন করেছে তাদের কোনো আগামীকাল নেই। বর্তমানকে কাজে লাগিয়েছে। ফাঁকি দেয়া যাবে না। এই কাজটা আগামীকাল করবো, অমুকের সাথে আগামীকাল দেখা করবো, তমুক কাজটা আগামীকাল শেষ করবো এমন মাইন সেট করা যাবে না।
তিনি আরো বলেন, আমি শিক্ষার্থী থাকাকালীন পড়াশোনা না করে একটি দিনও নষ্ট করিনি। এমনকি জেলে থাকা অবস্থায় পড়াশোনা করেও আমি মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছি। আপনারাও পারবেন ইনশাআল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল-ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিমুদ্দিন এবং হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশন, চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মো. সালাউদ্দিন ভুঁইয়া এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান সহ সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঈদের আগের দুই শনিবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। সেই সঙ্গে দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে ১৭ ও ২৪ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৭ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সেবা শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একই দিনের প্রজ্ঞাপনকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জাবের মো. সোয়াহিনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১১ ও ১২ জুন সরকারি ছুটি থাকবে। এই ছুটির সমন্বয়ে দাপ্তরিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ১৭ মে ও ২৪ মে (শনিবার) সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহও খোলা থাকবে।
প্রজ্ঞাপনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, এনসিটিবি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাপ্তাহিক ছুটির এই ২ দিন একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক ডিএনএ দিবস পালিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আমেরিকান স্যোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজি স্টুডেন্টস চ্যাপ্টার ইবি শাখার আয়োজনে আন্তর্জাতিক ডিএনএ দিবস-২০২৫ পালিত হয়েছে।
রবিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী এ দিবসটি উদযাপন করা হয়। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল: বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি উদযাপন। এছাড়া DNA PUZZLE SOLVING COMBAT অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে, দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (৩ মে) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষর্থীরা ফেসবুকে লাইফ সাইন্স ও বিজ্ঞান বিষয়ক মিমস (কার্টুন) তৈরির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। ২০০ জন বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষর্থীরা এই প্রোগ্রামে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিকেল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইলেকট্রনিক এন্ড ইলেকট্রনিকস, ফলিত খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা বিজ্ঞান ভবনে সকাল ১০ টায় কুইজ প্রতিযোগিতা এবং ১১ টায় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ছাত্র উপদেষ্টা ও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী। দুপুর ১২ টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে সকল বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
প্রসঙ্গত, ডিএনএ (ডিঅক্সিরিবোনিউক্লেইক অ্যাসিড) হলো একধরনের জৈবিক অণু যা সমস্ত জীবের কোষে পাওয়া যায় এবং এটি জীবের জেনেটিক তথ্য সংরক্ষণ করে। ডিএনএ-এর মধ্যে থাকা জেনেটিক কোড জীবের শারীরিক বৈশিষ্ট্য, বৃদ্ধি, পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রজনন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এটি একটি ডবল হেলিক্স (double helix) কাঠামো ধারণ করে, যা জীববিজ্ঞান ও জেনেটিক্সের ভিত্তি রচনা করেছে। ডিএনএ’র এই কাঠামো আমাদের জীবের অণু-গঠন, বিবর্তন এবং বংশগতির প্রক্রিয়া বোঝায় এবং আধুনিক জীববিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২৫ এপ্রিল বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানপ্রেমীদের জন্য একটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন, অর্থাৎ DNA দিবস।
বাহাত্তর বছর আগে, ১৯৫৩ সালের এই দিনে, জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক, মরিস উইলকিন্স, রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন ও তাঁর সহকর্মীরা DNA-এর দ্বিতন্ত্রী কাঠামো (double helix structure) সম্পর্কিত গবেষণাপত্র Nature জার্নালে প্রকাশ করেছিলেন। এই আবিষ্কারটি জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে পাল্টে দিয়েছিল এবং জীবের অণু-গঠন ও জেনেটিক কোডের সম্পর্কে আমাদের ধারণা পুরোপুরি বদলে যায়। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, তারা DNA আবিষ্কার করেননি, বরং DNA এর কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক হযরত আলী

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার (১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে কুয়েটে পূর্ণকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়।
শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ২২ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকে আমরণ অনশনে বসেন আন্দোলনরত ২৯ শিক্ষার্থী। পরদিন রাতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানানো হলে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙেন। ২৪ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল করেন।