আইন-আদালত
বেনজীরকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারির আদেশ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক হাফিজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আবেদনে বলা হয়, বেনজির আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে দেশে আনা প্রয়োজন। এজন্য ইন্টারপোলের সহযোগিতায় তাঁকে দেশে আনা যাবে।
আবেদনে বলা হয়, ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করার জন্য আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত নির্দেশ দেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বেনজীর পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছে। ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চার মামলা করে দুদক। মামলায় বেনজীর পরিবারের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ ও ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। সেখানে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে।
এরপর ১৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের এক সভায় অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। পরে অনুসন্ধানে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাট, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাব খুঁজে পেয়ে আদালতের আদেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করে দুদক।
বেনজীরের বিরুদ্ধে এপ্রিলে অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি দেশত্যাগ করেন। এরই মধ্যে ২৮ মে তাঁদের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দফায় তলব করলেও তাঁরা দুদকে আসেননি।
আর গত ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠিয়েছিল দুদক। এ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে আগস্টের মাঝামাঝি আইনজীবীর মাধ্যমে পুলিশের সাবেক প্রধান তাঁর পরিবারের চার সদস্যের সম্পদ বিবরণী জমা দেন।
এর আগে গত বছরের ২৩ মে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ৩৪৫ বিঘা (১১৪ একর) ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
অন্যদিকে গত ২৬ মে আদালত বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানে ৪টি ফ্লাট জব্দের আদেশ দেন। সবমিলিয়ে ৬২৭ বিঘা জমি ক্রোক করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব সম্পত্তি দেখভালে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের আইজি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কিছু প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ তুলে এক শিক্ষার্থীর রিটের শুনানি শেষে আজ বুধবার (১৯মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী শিশির মনির এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা হয়। এরপর ‘একাধিক ভুল থাকায় সুষ্ঠু ফলাফল প্রকাশের জন্য পুনরায় পরীক্ষার আবেদন’ শীর্ষক ভিসি বরাবর একটি আবেদন দেন এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তাতে সাড়া না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে পরীক্ষা বাতিলে কর্তৃপক্ষের কাছে রিটকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। একই সঙ্গে ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

চার বছর আগে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রীতে ৭ বছরের এক শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ম বিষয়ের গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সব ধর্ষকের কঠিন সাজা হওয়া উচিত, যাতে কেউ এমন ঘৃণ্য কাজের সাহস না পায়।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আশা করছি, উচ্চ আদালত তাকে খালাস দেবেন।
রায় ঘোষণা সময় জাহিদুলকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দণ্ডিত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুকে বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ও মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন তারা। এরপর শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। শিশুটি তাদের জানায়, শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে বাবরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৮ মে বাবরের গুলশানের বাসার শোয়ার ঘর থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার অভিযোগে একই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা হয়।
বিচার শেষে একই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর নয় নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে ২০০৭ সালেই আপিল করেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে প্রায় ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির এই নেতা।
এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। সেসব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। এ মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
বুধবার (১৯ মার্চ) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে। যার শুনানি হতে পারে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে।
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত ১ ডিসেম্বর তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানান, মামলাগুলোর বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ, কারণ তা অবৈধ উপায়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন। এ ঘটনার পর মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ না করার নির্দেশ

এখন থেকে যাতে ধর্ষণের শিকার কোনো ভুক্তভোগীর ছবি ও নাম-পরিচয় আর প্রচার করা না হয় সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ৪ মার্চ বরগুনায় ধর্ষণের কিশোরী ও তার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও ভুক্তভোগীকে দেখাশোনা করার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে নিয়োগ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে, গত ৪ মার্চ বরগুনায় সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বরগুনা সদর থানায় সিজিত রায়সহ দুজনের নামে ধর্ষণের মামলা করেন।
এরপর ১১ মার্চ কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন কিশোরীর বাবা। ওই দিন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবেই বাদীকে হত্যা করা হয়েছে।